করোনা সংক্রমণ বাড়ায় বন্ধ রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সশরীরে পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে আগের মতো এবারও ধাপে ধাপে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়তে পারে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সরকার করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। পরিস্থিতি উন্নতি না হলে আগের মতো এবারও ধাপে ধাপে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়বে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে নির্ধারণ করা হবে ছুটি। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হবে।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, করোনা সংক্রমণের হার ২৮ শতাংশ ছাড়ানোর সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়। গতকালও এই হার ছিলো ২৯ দশমিক ৭৭ শতাংশ। সংক্রমণের হার গত সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা কমেছে। তবে করোনা সংক্রমণের হার এখনো নিরাপদ জায়গায় না আসায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সম্ভাবনা কম। আরও ৭-১৪দিন ছুটি বাড়তে পারে।
অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সমালোচনা করছেন। তারা বলছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়া সবই স্বাভাবিকভাবে চলছে। কোনো কিছুই বন্ধ হচ্ছে না। দেড় বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা অনেক পিছিয়ে গেছে। অনলাইন পাঠে সে ক্ষতি পুষিয়ে ওঠা সম্ভব না। অচিরেই তারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবি জানান।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, গত দুইদিন ধরে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে সরকারের ওপর চাপ রয়েছে। শিক্ষার্থীদের টিকাদান কর্মসূচিও প্রায় শেষের দিকে। করোনা সংক্রমণ আরও কিছুটা কমলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেয়া হতে পারে। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকও বলেছেন, করোনা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে কবে নাগাদ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেয়া হবে। পরামর্শক কমিটির সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তবে শিক্ষার্থীদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে চান না বলে জানান তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও সংক্রমণ বেড়েই যাচ্ছে। এখনো এ সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখি। একইসঙ্গে দেশে মৃত্যুর সংখ্যাটাও বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা আমাদের জানিয়েছেন, এ ঊর্ধ্বগতিটা আরও কিছুদিন থাকবে। তাদের পক্ষ থেকে আরও দুই সপ্তাহ এ ঊর্ধ্বগতি থাকবে বলে জানানো হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সরকার এ গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছে। করোনা পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সশরীরে পাঠদান কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত নেবো।