বাকৃবিতে মেঘনাদ সাহা স্মরণে বিজ্ঞান প্রতিযোগিতা

আমান উল্লাহ, বাকৃবিঃ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) বিজ্ঞানী মেঘনাদ সাহার স্মরণে বিজ্ঞান প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (৭ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপালন অনুষদীয় গ্যালারীতে ওই বিজ্ঞান প্রতিযোগিতার আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান চর্চা ভিত্তিক সংগঠন বাকৃবি শাখা বিজ্ঞান চর্চা কেন্দ্র।
জানা যায়, মেঘনাদ সাহা ও বিজ্ঞানের তাত্তি¡ক দিক বিষয়ে বিজ্ঞান কুইজ, বিজ্ঞানী ও সামাজিক দায়বদ্ধতা বিষয়ে উপস্থিত বক্তৃতা, বিজ্ঞান ভিত্তিক যেকোনো বিষয়ে পোস্টার ও প্রজেক্ট উপস্থাপনসহ মোট তিনটি ধাপে প্রতিযোগিতাটি অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতার ১ম ধাপ কুইজে অংশগ্রহণ করেন ৫৫জন। পরবর্তীতে তাদের মধ্যে বিজ্ঞানী ও সামাজিক দায়বদ্ধতা বিষয়ে উপস্থিত বক্তৃতা দেন ৯ জন, বিজ্ঞান ভিত্তিক প্রজেক্ট উপস্থাপনা করেন ১ জন এবং সবশেষে বিজ্ঞান ভিত্তিক পোস্টার উপস্থাপনা করেন ৩ জন প্রতিযোগী।প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
বিজ্ঞান চর্চা কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবা নাবিলার সঞ্চালনায় বিজ্ঞান প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানের বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান চর্চা কেন্দ্রের সভাপতি উত্তম বালা, উপদেষ্টা পৃথ্বীরাজ দাশ, গৌতম ঈশান কর, সেজুতি চৌধুর এবং অজিত দাস। এসময় আরোও উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান চর্চা কেন্দ্রের সদস্যগণ ও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী।
উল্লেখ্য, বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি, যুক্তিবাদী মনন ও যুক্তিশীল চিন্তাপদ্ধতি গঠনের উদ্দেশ্যে বিজ্ঞান চর্চা কেন্দ্রের পথচলা। বিজ্ঞানের ইতিহাস ও দর্শনগত বিষয়ের অনুশীলন, বিজ্ঞানের প্রয়োগের সকল ক্ষেত্রে নৈতিক মূল্যবোধ ও সামাজিক দায়িত্ববোধের চর্চা ও মানবজীবনে অপবিজ্ঞান ও বিজ্ঞানের অপপ্রয়োগের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যেও কাজ করে সংগঠনটি।
বাকৃবিতে রোটার্যাক্ট ক্লাবের ইফতার মাহফিল

আমান উল্লাহ, বাকৃবিঃ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) রোটার্যাক্ট ক্লাবের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (৭ এপ্রিল) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েট ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের (জিটিআই) ডরমেটরিতে ওই ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের রোটার্যাক্ট ক্লাব।
ইফতার মাহফিলে রোটার্যাক্ট ক্লাবের কাজি রবিউল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং ইরফান খানের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন জিটিআইয়ের পরিচালক অধ্যাপক ড. এম. নজরুল ইসলাম, প্রভোস্ট কাউন্সিলের আহবায়ক অধ্যাপক ড. মুহম্মদ নুরুল হায়দার, জিটিআইয়ের অধ্যাপক ড. মাসুমা হাবিব, কৃষি অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড মো. নাহিদ সাত্তার এবং কীটতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড মো. মাহবুবুর রহমানসহ রোটার্যাক্ট ক্লাবের অন্যান্য সদস্যরা।
ইফতারের আগে দেশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক কল্যাণ ও বিশ্ব মুসলিম উম্মার শান্তি কামনা করে দোয়া করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মো. জালাল উদ্দীন।
কর্মস্থলে অনুপস্থিত ৯৫ শিক্ষক-কর্মচারীকে শোকজ

অননুমোদিতভাবে স্কুলে অনুপস্থিত থাকার কারণে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ৯৫ জন শিক্ষক-কর্মচারীকে শোকজ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। কোনো ঘোষণা না দিয়েই গত ফেব্রুয়ারি মাসে মাঠপর্যায়ের শিক্ষা কর্মকর্তারা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শনে গেলে তাদের অনুপস্থিত পাওয়া যায়। কর্মস্থলে তাদের অনুপস্থিত থাকার কারণ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে সশরীরে উপস্থিত হয়ে জানাতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) এ শিক্ষক-কর্মচারীকে শোকজ নোটিশ পাঠিয়েছে অধিদপ্তর।
অধিদপ্তর জানিয়েছে, ডিজিটাল মনিটরিং সিস্টেমের মাধ্যমে পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন গিয়ে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা এ ৯৫ জন শিক্ষক-কর্মচারীকে অনুপস্থিত পেয়েছেন। অধিদপ্তরের মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন উইং থেকে মাধ্যমিক উইংয়ে পাঠানো প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে।
শোকজ নোটিশে ওই ৯৫ শিক্ষককে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে অননুমোদিতভাবে স্কুলে অনুপস্থিত থাকার সুস্পষ্ট কারণ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে সশরীরে উপস্থিত হয়ে জানাতে বলা হয়েছে।
একাডেমিক কাউন্সিলে জবি অধ্যাপককে হেনস্তার অভিযোগ

জবি প্রতিনিধি: সমন্বিত গুচ্ছ পরীক্ষায় অংশ নেওয়া নিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বিশেষ একাডেমিক কাউন্সিলে এক শিক্ষককে হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় উপাচার্যের সভাকক্ষে থাকা সিসি টিভি ফুটেজও সরিয়ে নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে উপাচার্যের কনফারেন্স রুমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৫ তম বিশেষ একাডেমিক কাউন্সিল সভায় ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল কাদেরকে মারধরের এ ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়।
একাডেমিক কাউন্সিলের একাধিক সদস্যের সাথে কথা বলে জানা যায়, একাডেমিক কাউন্সিল সভায় গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে এসে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া এবং কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটি গঠন নিয়ে আলোচনা করা হয়৷ এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল কাদের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় থাকার পক্ষে মতামত দেয় এবং গুচ্ছে যাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ার আগেই ভর্তি কমিটি গঠন করা হবে কেন প্রশ্ন তুলে। এসময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবুল কালাম মো. লুৎফর রহমান, সদস্য ও শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডক্টর মো. আবুল হোসেন বাক বিতণ্ডা শুরু করে। বাক বিতণ্ডার এক পর্যায়ে অধ্যাপক আব্দুল কাদের কে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবুল কালাম মো. লুৎফর রহমান, সদস্য ও শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডক্টর মো. আবুল হোসেন, প্রাণীবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল মাসুদ, দর্শন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজুল ইসলাম, মনোবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডক্টর মুহাম্মদ আকরাম উজ্জামানসহ কয়েকজন মিলে অপর পাশ থেকে উঠে গিয়ে মারধর করেন। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ট্রেজারার তাদের শান্ত করতে গিয়েও ব্যার্থ হয়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল কাদের বলেন, 'বঙ্গবন্ধু আমাদের শিখিয়েছেন যদি কেউ ন্যায্য কথা বলে, আমরা সংখ্যায় বেশী হলেও, সে একজনও যদি হয়, তার ন্যায্য কথা আমরা মেনে নেবো। একাডেমিক কাউন্সিল সভায় আমি একটু ভিন্ন মত দিয়েছি, ন্যায্য কথা বলেছি বলেই এত শিক্ষকের মাঝে আমার গায়ে হাত তুলেছে। এ বিষয়ে আমি আইনি প্রক্রিয়ায় যাবো। আইন বলতে তো ফৌজদারি আইনই নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনও তো আছে।'
সভায় উপস্থিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. নূরে আলম আব্দুল্লাহ বলেন, 'আমি বিষয়টা নিয়ে কথা বলতে রাজি না। শুধু এটুকু বলবো ভালো কোনো ঘটনা ঘটেনি।'
অভিযুক্ত শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. একে এম লুৎফর রহমান বলেন, 'এখানে মারামারির ঘটনা ঘটেনি। সে খুব উত্তেজিত ছিলো। বসতে বলার পরও বসতে চাচ্ছিলো না। কয়েকজন তার ঘাড়ে চাপ দিয়ে বসিয়ে দিয়েছি। আর বিষয়টা মিটমাট হয়ে গেছে। আমরাও দুঃক্ষ প্রকাশ করেছি, সেও স্যরি বলেছে।'
এবিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ও বর্তমান কমিটির সদস্য সমাজকর্ম বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড আবুল হোসেন বলেন, 'মারধরের এমন কোন ঘটনা ঘটেনি। কাদের স্যার একটু বেশি উত্তেজিত হয়ে গেছিলো। একাডেমি কাউন্সিলে সে টেবিল থাপড়িয়ে কথা বলতে পারে না। পরবর্তীতে আমরা কয়েকজন গিয়ে তাকে বসায়ে দিছি।'
অভিযুক্ত আরেক শিক্ষক প্রাণীবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল্লাহ মাসুদ বলেন, 'শিক্ষকদের মাঝে এমন আচারণ তিনি করতে পারেন না। তাকে শুধু বোঝানো হয়েছে কিন্তু মারধর করা হয়নি।'
সিসি টিভি ফুটেজ গায়েব হয়ে যাওয়ার বিষয়ে আইটি দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার আচার্য বলেন, 'অনেক খোজাখুজি করেও সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া যায়নি। টেকনিক্যাল ত্রুটির কারনে পাওয়া যাচ্ছে না।'
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম বলেন, 'মারামারির কোনো ঘটনা ঘটেনি। সে উত্তেজিত হয়ে গিয়েছিলো, তখন তাকে হাত ধরে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে।'
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক বলেন, যাই ঘটেছে তা শিক্ষকদের কাছ থেকে কখনই কাম্য নয় এবং শিক্ষকসুলভ আচরণও না। একাডেমিক কাউন্সিলের একজন সদস্য হিসেবে পক্ষে বিপক্ষে সবার কথা বলার অধিকার আছে।
বাকৃবিতে কর্মচারীদের মারধর ও হুমকির অভিযোগ, কর্মবিরতি

বাকৃবি প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) কর্মরত কর্মচারীদের মারধর ও হুমকি প্রদানের অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে। ৬ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪টি কর্মচারী সংগঠনের (তৃতীয় শ্রেণী কর্মচারী পরিষদ, কারিগরি কর্মচারী সমিতি, আমরা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও ৪র্থ শ্রেণী কর্মচারী সমিতি) সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত ওই অভিযোগপত্র প্রেরণ করা হয়।
অভিযোগপত্রে জানানো হয়, গত ১ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নিরাপত্তাকর্মীকে মারধর করে কতিপয় শিক্ষার্থী। এর প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার সকল কর্মচারী কর্মবিরতি ঘোষণা করে। বিষয়টি মীমাংসার জন্যে ৫ এপ্রিল বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসানের কার্যালয়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার আহ্বান করেন উপাচার্য। এসময় বাকৃবি অফিসার পরিষদের সভাপতি মোঃ খাইরুল আলম নান্নু, সাধারণ সম্পাদক আবুল বাসার আমজাদ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ থেকে ২০ জন শিক্ষার্থী সভাকক্ষে প্রবেশ করে উপাচার্যের উপস্থিতিতেই সকল কর্মচারীদের শারিরীক ক্ষতিসাধনের হুমকি দেয়। পরবর্তীতে সভা বাতিল করা হয়। এসময় তারা মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারবর্গের বিরুদ্ধে ঔদ্ধত্যপূর্ণ কট‚ক্তি এবং অবমাননাকর আচরণ করেন বলেও জানান তারা।
আরো জানা যায়, ওই ঘটনায় ৬ এপ্রিল সকাল ১১ টায় তৃতীয় শ্রেনী কর্মচারী পরিষদ কার্যালয়ে আয়জিত এক জরুরি সভায় ৪ টি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। তাদের সিদ্ধান্তগুলো হলো - পূর্বঘোষিত চলমান কর্মসূচী অনুযায়ী নিরাপত্তা শাখায় নিয়োজিত তৃতীয় ও ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকবে, হল শাখায় নিয়োজিত সকল কর্মচারীদের শিফটিং ডিউটি পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে, ৯ এপ্রিল থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনের সকল কর্মচারীদের পূর্ণ কর্মবিরতি পালন এবং অনতিবিলম্বে আশেপাশের জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনিক ব্যক্তিবর্গের সাথে কাউন্সিলিং করে তাদের সহযোগিতায় কঠোর কর্মসূচী গ্রহণ করা হবে।
এছাড়া ওই অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য ইন্ধন দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. অলিউল্লাহ বলে অভিযোগ করেছেন তারা। এজন্য রেজিস্ট্রারের পদত্যাগ এবং কতিপয় ছাত্র নামধারী দুষ্কৃতিকারী ও অফিসার পরিষদের অবৈধ সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকের সুষ্ঠ বিচারের দাবি জানানো হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. অলিউল্লাহ এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কর্মচারীদের মারধরের ঘটনার পরেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের আয়োজনে মিটিং করা হয় এবং বিষয়টির বিচারের আশ্বাস দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পাঁচদিনের অনুপস্থিতি ও বিচারকার্য সম্পাদনের জন্য তাদের নিকট সময় চাওয়া হয়েছে এবং তাদেরকে স্বাভাবিক কর্মকান্ডে ফিরে যাওয়া আহবান জানানো হয়েছে। পরবর্তীতে ৫ এপ্রিল উপাচার্যের উপস্থিতিতে আলোচনা সভা আয়োজন করা হয় এবং সেখানে তারা তাৎক্ষণিক সমাধানের দাবি করে। এতে অফিসার পরিষদ ও ছাত্রনেতাদের সাথে ককর্মচারীদের বাকবিতন্ডা শুরু হয়।
অভিযোগের বিষয়ে অফিসার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আবুল বাসার আমজাদ বলেন, তাদের দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। উপাচার্যের শেষ সময়ে এসে কতিপয় দুষ্কৃতিকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পরিস্থিতিকে ঘোলাটে করার চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে অফিসার পরিষদের সভাপতি খায়রুল আলম নান্নুকে বারবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, গত ১ এপ্রিল (শনিবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় শিক্ষার্থী ও বহিরাগতের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নিরাপত্তাকর্মীকে মারধর করে কতিপয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
মন্তব্য