যবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) থেকে দ্বিতীয় কোন শিক্ষার্থী বাংলা চ্যানেল সাঁতরে পাড়ি দেওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন। চ্যানেল পার হওয়া ওই শিক্ষার্থীর নাম মো. তারেক হাসান। তিনি যবিপ্রবি’র পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের ২০১০-২০১১ শিক্ষা বর্ষের শিক্ষার্থী। এর আগে প্রথম বারের মতো বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেন যবিপ্রবি’র শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মিতু আক্তার।
বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) ‘১৭তম ফরচুন বাংলা চ্যানেল সাঁতার ২০২২’ প্রতিযোগীতার অংশ হিসেবে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন পর্যন্ত বিস্তৃত বিশাল এই জলপথ সাঁতরে পার হন মোঃ তারেক হাসান। ১৬ দশমিক ১ কিলোমিটার দূরত্বের বিশাল এই চ্যানেল পাড়ি দিতে তিনি সময় নেন ৭ ঘন্টা ১ মিনিট। “ষড়জ অ্যাডভেঞ্চার” ও “এক্সটিম বাংলা” যৌথভাবে আয়োজন করেছে এই সাঁতার প্রতিযোগিতা। এই প্রতিযোগীতায় আরো সাহায্য করেছেন ভিসাথিং, ইউনাইটেড সিকিউরিটিজ লিমিটেড এবং এনসিসি ব্যাংক লিমিটেড।
বাংলা চ্যানেল পার হওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে তারেক হাসান বলেন, এমন একটি প্রতিযোগীতায় অংশ নিয়ে সফল হতে পেরে অনেক ভালো লাগছে। আমি আমার বিশ্ববিদ্যালয়কে রিপ্রেজেন্ট করতে পারছি এটা আমার জন্য অনেক বড় প্রাপ্তীর।
তিনি আরো বলেন, নতুন প্রজন্ম যেন আমার থেকে অনুপ্রেরণা নিতে পারে বরং ভয় না পায় এজন্য ও আমার এই প্রতিযোগীতায় অংশ নেওয়া।
বাংলা চ্যানেলের মতো এতো বড় জলপথ পাড়ি দেওয়ার অনুপ্রেরনা কোথা থেকে পেলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনেক আগে থেকে আমি চ্যানেল পার হওয়ার এই ভিডিও দেখতাম এবং তখন থেকে চাইতাম আমি নিজেও এমন এডভেঞ্চার টাইপের কিছু করব। সেই থেকে অনুপ্রেরণা পেয়ে আমার এই যাত্রা। সাহায্য সহযোগিতা পেলে আরো ভালো কিছু করতে পারবেন বলেও জানান তিনি।
জানা যায়, এবারের প্রতিযোগিতায় একজন মেয়ে সহ মোট ৩২ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহন করেন। এর মধ্যে ২০ জন প্রতিযোগী সফলভাবে চ্যানেল পাড়ি দিতে সক্ষম হন।
বিভাগীয় শিক্ষার্থীর এ সফলতার বিষয়ে পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শিরিন নিগার বলেন, বাংলা চ্যানেল সফলভাবে পাড়ি দেওয়ার গৌরব অর্জন করায় তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে অভিনন্দন। তারেকের এ অর্জন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষার্থীদের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। খেলাধুলা সম্পর্কিত বিভাগের বাইরে অন্য বিভাগে পড়ালেখা করেও নিজের প্রচেষ্টা আর পরিশ্রমের মাধ্যমে এমন সফলতা অর্জন করা সম্ভব সেটা তারেক প্রমান করেছে। তার এ সফলতায় অন্যরা অনুপ্রাণিত হবে বলে বিশ্বাস করি।
উল্লেখ্য, বঙ্গোপসাগরে দূরপাল্লার সাঁতারের উপযোগী ১৬ দশমিক ১ কিলোমিটার দূরত্বের এই বাংলা চ্যানেল আবিষ্কার করেন প্রয়াত কাজী হামিদুল হক। ২০০৬ সালে বাংলা চ্যানেলে সাঁতার অনুষ্ঠিত হয়। সেবার সাঁতারে অংশ নিয়েছিলেন লিপটন সরকার, ফজলুল কবির সিনা ও সালমান সাইদ।