The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪

শিক্ষক সমিতির নির্বাচনের দাবি কুবি শিক্ষকদের

গত ১ ডিসেম্বর কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির নির্বাচনের হট্টগোল সৃষ্টি করে বঙ্গবন্ধু পরিষদের একাংশের (ওমর-জাহিদ) শিক্ষকরা। এসময় বাধার মুখে নির্বাচন স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন। তবে নতুন করে নির্বাচনের দাবি করে শিক্ষক সমিতির সভাপতি বরাবর চিঠি দিয়েছেন ওমর-জাহিদ পরিষদের শিক্ষকরা।

বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাসেনা বেগম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ দাবি জানান তারা।

চিঠিতে তারা বলেন, শিক্ষক সমিতির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ১ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটি ২০২৩ এর নির্বাচন নির্দিষ্ট সময়ে অনুষ্ঠিত হয়নি। গঠনতন্ত্রের ১০ এর (ক) ধারা অনুযায়ী অনিবার্য কারণে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করা না গেলে ডিসেম্বর মাসের ১৬ থেকে ৩১ তারিখের মধ্যে সাধারণ সভা আহ্বান করার কথা উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনো সাধারণ সভা আহ্বান করা হয়নি।

এদিকে গত ২৪ নভেম্বর বর্তমান কমিটির উপর অনাস্থা প্রস্তাব করেন ওমর-জাহিদ পরিষদ। অনাস্থা প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ৮ ডিসেম্বর শিক্ষক সমিতি জরুরি সাধারণ সভার আয়োজন করলে সাড়া দেননি তারা। শিক্ষক নেতাদের দাবি, ঐদিনের সভায় আসলে নির্বাচন সংক্রান্ত ও অনাস্থার বিষয়ে কথা বলতে পারতেন।

চিঠির বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. দুলাল চন্দ্র নন্দী বলেন, এই চিঠির ব্যাপারে আমার কিছু বলার নাই। আমরা গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচনের আয়োজন করেছিলাম ও অনাস্থা দাবির প্রেক্ষিতে জরুরি সাধারণ সভার আয়োজন করেছিলাম। তারা যেভাবে নির্বাচনকে বানচাল করেছে তা শিক্ষকদের সাথে যায় না। আবার প্রক্টর অফিসে বসে আড্ডা দিলেও সাধারণ সভায় আসেনি। আমাদের প্রতি যে অনাস্থা ছিল সেটাও উঠিয়ে নেয়নি। আসলে তাদের হিসেব না মিললে নির্বাচনে এগোবে না।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.

  1. প্রচ্ছদ
  2. ক্যাম্পাস
  3. শিক্ষক সমিতির নির্বাচনের দাবি কুবি শিক্ষকদের

শিক্ষক সমিতির নির্বাচনের দাবি কুবি শিক্ষকদের

গত ১ ডিসেম্বর কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির নির্বাচনের হট্টগোল সৃষ্টি করে বঙ্গবন্ধু পরিষদের একাংশের (ওমর-জাহিদ) শিক্ষকরা। এসময় বাধার মুখে নির্বাচন স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন। তবে নতুন করে নির্বাচনের দাবি করে শিক্ষক সমিতির সভাপতি বরাবর চিঠি দিয়েছেন ওমর-জাহিদ পরিষদের শিক্ষকরা।

বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাসেনা বেগম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ দাবি জানান তারা।

চিঠিতে তারা বলেন, শিক্ষক সমিতির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ১ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটি ২০২৩ এর নির্বাচন নির্দিষ্ট সময়ে অনুষ্ঠিত হয়নি। গঠনতন্ত্রের ১০ এর (ক) ধারা অনুযায়ী অনিবার্য কারণে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করা না গেলে ডিসেম্বর মাসের ১৬ থেকে ৩১ তারিখের মধ্যে সাধারণ সভা আহ্বান করার কথা উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনো সাধারণ সভা আহ্বান করা হয়নি।

এদিকে গত ২৪ নভেম্বর বর্তমান কমিটির উপর অনাস্থা প্রস্তাব করেন ওমর-জাহিদ পরিষদ। অনাস্থা প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ৮ ডিসেম্বর শিক্ষক সমিতি জরুরি সাধারণ সভার আয়োজন করলে সাড়া দেননি তারা। শিক্ষক নেতাদের দাবি, ঐদিনের সভায় আসলে নির্বাচন সংক্রান্ত ও অনাস্থার বিষয়ে কথা বলতে পারতেন।

চিঠির বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. দুলাল চন্দ্র নন্দী বলেন, এই চিঠির ব্যাপারে আমার কিছু বলার নাই। আমরা গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচনের আয়োজন করেছিলাম ও অনাস্থা দাবির প্রেক্ষিতে জরুরি সাধারণ সভার আয়োজন করেছিলাম। তারা যেভাবে নির্বাচনকে বানচাল করেছে তা শিক্ষকদের সাথে যায় না। আবার প্রক্টর অফিসে বসে আড্ডা দিলেও সাধারণ সভায় আসেনি। আমাদের প্রতি যে অনাস্থা ছিল সেটাও উঠিয়ে নেয়নি। আসলে তাদের হিসেব না মিললে নির্বাচনে এগোবে না।

পাঠকের পছন্দ

মন্তব্য করুন