The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪

শুধুমাত্র শুনেই কোরআন হেফজ করলেন ৬৬ বছরের আছিয়া!

আছিয়া আহমাদ। এরই মধ্যে তিনি ৬৬ বছর পূর্ণ করেছেন। বলা চলে জীবনের এই পড়ন্ত বেলাতেই পবিত্র কোরআনে কারিম হিফজ করে রীতিমতো বিস্ময় সৃষ্টি করেছেন তিনি। আরো আশ্চর্যের ব্যাপার যেটা সেটা হলো আছিয়া আহমাদ পড়তে বা লিখতে– কোনোটাই জানেন না!

মঙ্গলবার আলজাজিরা মুবাশির জানায়, শুধুমাত্র শুনে শুনেই কঠিন এ কাজটি সম্পন্ন করেছেন এই ইয়ামেনি নারী।

এ প্রসঙ্গে আছিয়া আহমাদ বলেন, ‘আমি রেডিও, টেলিভিশন ও মোবাইলে কোরআন শুনতাম। আমার হৃদয়টা কোরআনের সঙ্গেই লেগে থাকত।’

‘আসলে আমাকে আমার দৃঢ় সংকল্প কোরআন হিফজের প্রতি প্রতিনিয়ত উদ্বুদ্ধ করে রাখত। সম্পূর্ণ কোরআন হিফজ করার প্রতি বিশেষ আগ্রহই আমার দৃঢ় সংকল্প ছিল।’

মায়ের হিফজ প্রসঙ্গে আছিয়া আহমাদের ছেলে আলজাজিরাকে বলেন, ‘আমি মাঝেমধ্যে মধ্যরাতের পর তার কক্ষে প্রবেশ করে দেখতাম– তিনি নামাজ পড়ছেন, কাঁদছেন। তার হৃদয় ভারাক্রান্ত সেটি অনুভব করতাম।’

তিনি আরো বলেন, ‘একদিন মাকে জিজ্ঞেস করলাম– কাঁদছো কেন মা? তিনি উত্তর দিলেন, আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করি– তিনি যেন আমাকে সাহায্য করেন ও আমার জন্য পবিত্র কুরআন হিফজ সহজ করে দেন।’

আছিয়া আহমাদ ২০১৮ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে কোরআন মুখস্থ শুরু করেন। এ বিষয়ে তার শিক্ষিকা বলেন, ‘তার কোরআন হিফজ বেশ কষ্টসাধ্য ছিল। কেননা, তিনি পড়তে বা লিখতে– কোনোটাই জানেন না। এজন্য হিফজের পথে আমরা বেশ কঠিনতার সম্মুখীন হয়েছি। আছিয়ার কঠোর পীড়াপীড়িতেই আসলে পবিত্র এ গ্রন্থ মুখস্থ সম্ভব হয়েছে।’ [সূত্র : আল-জাজিরা মুবাশির]

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.

  1. প্রচ্ছদ
  2. উদ্যোক্তা ও সফলতার গল্প
  3. শুধুমাত্র শুনেই কোরআন হেফজ করলেন ৬৬ বছরের আছিয়া!

শুধুমাত্র শুনেই কোরআন হেফজ করলেন ৬৬ বছরের আছিয়া!

আছিয়া আহমাদ। এরই মধ্যে তিনি ৬৬ বছর পূর্ণ করেছেন। বলা চলে জীবনের এই পড়ন্ত বেলাতেই পবিত্র কোরআনে কারিম হিফজ করে রীতিমতো বিস্ময় সৃষ্টি করেছেন তিনি। আরো আশ্চর্যের ব্যাপার যেটা সেটা হলো আছিয়া আহমাদ পড়তে বা লিখতে– কোনোটাই জানেন না!

মঙ্গলবার আলজাজিরা মুবাশির জানায়, শুধুমাত্র শুনে শুনেই কঠিন এ কাজটি সম্পন্ন করেছেন এই ইয়ামেনি নারী।

এ প্রসঙ্গে আছিয়া আহমাদ বলেন, ‘আমি রেডিও, টেলিভিশন ও মোবাইলে কোরআন শুনতাম। আমার হৃদয়টা কোরআনের সঙ্গেই লেগে থাকত।’

‘আসলে আমাকে আমার দৃঢ় সংকল্প কোরআন হিফজের প্রতি প্রতিনিয়ত উদ্বুদ্ধ করে রাখত। সম্পূর্ণ কোরআন হিফজ করার প্রতি বিশেষ আগ্রহই আমার দৃঢ় সংকল্প ছিল।’

মায়ের হিফজ প্রসঙ্গে আছিয়া আহমাদের ছেলে আলজাজিরাকে বলেন, ‘আমি মাঝেমধ্যে মধ্যরাতের পর তার কক্ষে প্রবেশ করে দেখতাম– তিনি নামাজ পড়ছেন, কাঁদছেন। তার হৃদয় ভারাক্রান্ত সেটি অনুভব করতাম।’

তিনি আরো বলেন, ‘একদিন মাকে জিজ্ঞেস করলাম– কাঁদছো কেন মা? তিনি উত্তর দিলেন, আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করি– তিনি যেন আমাকে সাহায্য করেন ও আমার জন্য পবিত্র কুরআন হিফজ সহজ করে দেন।’

আছিয়া আহমাদ ২০১৮ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে কোরআন মুখস্থ শুরু করেন। এ বিষয়ে তার শিক্ষিকা বলেন, ‘তার কোরআন হিফজ বেশ কষ্টসাধ্য ছিল। কেননা, তিনি পড়তে বা লিখতে– কোনোটাই জানেন না। এজন্য হিফজের পথে আমরা বেশ কঠিনতার সম্মুখীন হয়েছি। আছিয়ার কঠোর পীড়াপীড়িতেই আসলে পবিত্র এ গ্রন্থ মুখস্থ সম্ভব হয়েছে।’ [সূত্র : আল-জাজিরা মুবাশির]

পাঠকের পছন্দ

মন্তব্য করুন