টেকনাফের শীর্ষ সন্ত্রাসী গিয়াস ডাকাত অবশেষে পুলিশের জালে ধরা

কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ কক্সবাজারের টেকনাফে সাবেক ওসি প্রদীপের সোর্স ও কুখ্যাত আন্ত ডাকাত দলের প্রধান গিয়াস উদ্দিন ডাকাত কে অবৈধ অস্ত্র,গুলি ও ইয়াবাসহ তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৭ এপ্রিল) রাত এগারোটায় বিষয়টি গণমাধ্যম কে জানান টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল হালিম।
এর আগে গত সোমবার হ্নীলা পশ্চিম রঙ্গিখালী শীলের জিরি পাহাড়ের ঢালে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আটক গিয়াস উদ্দিন (৩৯) ওই এলাকার গুরা মিয়ার পুত্র।
টেকনাফ থানার ওসি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গিখালী এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওসি প্রদীপের সোর্স ও কুখ্যাত ডাকাত দলের প্রধান গিয়াস ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে ।এসময় তার কাছ থেকে ১টি দেশীয় তৈরী একনলা বন্দুক, ১টি ওয়ান শুর্টারগান,২রাউন্ড রাবার কার্তুজ এবং ৫ হাজার পিস ইয়াবাসহ উদ্ধার করা হয়। তার বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় একাধিক অস্ত্র, মাদক, হত্যা মামলা সহ ও ৯ টি মামলা রয়েছে।
টেকনাফ থানার ওসি জানান, আটককৃত আসামী গিয়াস উদ্দিন প্রঃ গিয়াস ডাকাতের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনের পৃথক পৃথক ধারায় নিয়মিত মামলা দায়েরের পর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আদালতে সোপর্দ করার প্রক্রিয়া চলছে।
একাধিক নির্ভরযোগ্যে সূত্রে জানিয়েছে, গিয়াস ডাকাতের সাথে রোহিঙ্গা সশস্ত্র বিরোধী সংগঠন আরসা (আরএসও) সহ একাধিক সংগঠনের অপকর্মের সাথে গিয়াস ডাকাতের সম্পৃক্ততা রয়েছে।বিশেষ করে স্থানীয়দের অপহরণ করে রোহিঙ্গা সস্ত্রাসীদের আস্তানায় নিয়ে যাওয়া ও মুক্তিপণ আদায়ের ক্ষেত্রে গিয়াসের অগ্রণী ভূমিকা রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে আরো জানিয়েছে বহুল আলোচিত রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নবী হোসেন ও হাকিম ডাকাতের সাথে গিয়াস ডাকাতের সাথে রয়েছে দহরমমহরম সম্পর্ক
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আরও জানান, তার সেকেন্ড ইন কমান্ড আনেয়ার প্রকাশ (লেডাইয়া) ধরতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রয়েছে এদিকে গিয়াস ডাকাতের আরও অপকর্মের তথ্য জানতে আদালতে তার বিরুদ্ধে রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সোনাহাট স্থলবন্দরে আমদানি রপ্তানি বন্ধ ৯ দিন

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে, কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীর সোনাহাট স্থলবন্দরের কার্যক্রম ৯ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
সোনাহাট স্থলবন্দরের সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে এ বন্ধের সিদ্ধান্ত জানানো হয়। এ সময় সোনাহাট স্থলবন্দরের পণ্য আমদানি ও রপ্তানিসহ সকল ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, সোনাহাট স্থল বন্দরের সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি সরকার রকিব আহমেদ জুয়েল।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বুধবার ১৯ এপ্রিল থেকে বৃহস্পতিবার ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত ৯ দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি রপ্তানির কাজ বন্ধ থাকবে। আগামী ২৯ এপ্রিল থেকে বন্দরে পুনরায় ব্যবসায়ীক কার্যক্রম চালু হবে।
সোনাহাট স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) মোহাম্মদ রহুল আমীন জানান, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সোনাহাট স্থল বন্দরে পণ্য আমদানি রপ্তানির কাজ বন্ধ থাকবে। এ ব্যাপারে একটি চিঠি ইস্যু করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
কৃষ্ণনগর আঞ্চলিক প্রেসক্লাবের আয়োজনে হিফজুল কুরআন ও ইসলামী সংগীত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

তাজুল হাসান সাদ, কালিগঞ্জঃ কৃষ্ণনগর আঞ্চলিক প্রেসক্লাবের আয়োজনে হিফজুল কুরআন ও ইসলামী সংগীত প্রতিযোগিতা সম্পন্ন হয়েছে
আজ ২৫ রমজান ১৭ এপ্রিল সোমবার। কিষাণ মজদূর ইউনাইটেড এ্যাকাডেমি হাইস্কুল মাঠে দিনব্যাপী এ প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয় উক্ত অনুষ্ঠানে অংশ নেই শ্যামনগর ও কালিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ১২০ জন প্রতিযোগি। হিফজ বিভাগে ৪৬ জন এবং ইসলামী সংগীত বিভাগে ৭৪ জন প্রতিযোগি।
এসময় কৃষ্ণনগর প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো: আফজাল হোসেন ও সদস্য আব্দুর রহমানের সঞ্চালনায় সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয় প্রতিযোগিতায় দুটি বিভাগ থেকে প্রথম পর্যায়ে সর্বোচ্চ নাম্বার প্রাপ্ত ২১ জন প্রতিযোগিকে প্রাথমিক নির্বাচনের মাধ্যমে ২য় রাউন্ডে প্রতিযোগিতার জন্য মনোনীত করে ৬ সদস্যর বিচারক প্যানেল।
হেফজ বিভাগের ১০ জন ও ইসলামী সংগীত বিভাগের ১১ জন প্রতিযোগী ২য় রাউন্ডে প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। সেখান থেকে হেফজুল কুরআন বিভাগে রহমতপুর হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ফরহাদ রেজা ১ম, বায়নুল কুরআন ইণ্টা: হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী আসিফ হাসান ২য় ও আব্দুল্লাহ ৩য় স্থান অধিকার করেন।
ইসলামী সংগীত বিভাগে জয়নগর আমিনিয়া হামিদিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী আফসানা ১ম শ্যামনগর সরকারী কলেজের শিক্ষার্থী শাহারিয়া তৌফিক ২য় এবং শহিদ স্মৃতি ড্রিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী তারিক বিন মিজান ৩য় স্থান অধিকার করেন।
অনুষ্ঠান টিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের মাঝে সম্মাণনা ক্রেস্ট ও প্রাইজমানি তুলে দেন উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি কালিগঞ্জ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক গাজী মিজানুর রহমান। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন শাখার সভাপতি মোস্তফা কবিরুজ্জামান (মন্টু), সহ এলাকার আলেম ওলামা এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও শত শত মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
পুরস্কার বিতরণ পরবর্তিতে সকল প্রতিযোগিকে সান্তনা পুরস্কার সহ ইফতার বিতরণের মাধ্যমে সন্ধা ৬টায় অনুষ্ঠানটি সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
স্কুলছাত্রী অদিতা হত্যার মামলায় তার সাবেক গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে পুলিশ

নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীতে চাঞ্চল্যকর অদিতা হত্যাকান্ডের ঘটনার ৭ মাস পর অভিযোগপত্র দাখিল করেছে পুলিশ। গেলো বছরের ২২ সেপ্টেম্বর বিকেলে জেলা শহরের পূর্ব লক্ষ্মীনারায়নপুর এলাকায় নিজ বাসায় নির্মমভাবে খুন হন নোয়াখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী তাসনিয়া হোসেন অদিতা (১৪)। হত্যা মামলায় তার গৃহশিক্ষক আবদুর রহিম রনির বিরুদ্ধে আদালতে ৭ মাস পর অভিযোগপত্র দাখিল করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার দুপুরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সুধারাম মডেল থানার এস আই স্পেসল্যাব চৌধুরী প্রমোজ জেলার মুখ্য বিচারিক আদালতের জিআরও অফিসে এ অভিযোগপত্র জমা দেন।
জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম জানান, মামলার তদন্তে ৩১ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ, আসামির ডিএনএ পরীক্ষার প্রতিবেদন, হত্যায় ব্যবহৃত ছোরা, ভিকটিম ও আসামির জামা কাপড়সহ অন্যন্য আলামত জমা দেওয়া হয় বলে জানান তিনি।
চাঞ্চল্যকর এ মামলার অভিযোগপত্রে স্কুলছাত্রী অদিতার সাবেক গৃহশিক্ষক আবদুর রহিম রনি তাকে একা ঘরে ধর্ষণের চষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে বালিশ চাপা দিয়ে এবং গলা কেটে হত্যা করে বলে উল্লেখ করা হয়।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২২ সেপ্টেম্বর বিকেলে নোয়াখালী জেলা শহরের পূর্ব লক্ষ্মীনারায়নপুর এলাকায় নিজ বাসা থেকে নোয়াখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী তাসনিয়া হোসেন অদিতার (১৪) রক্তাক্ত নিথর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে এ ঘটনায় নিহতের মা রাজিয়া সুলতানা রুবি বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরদিন এ ঘটনায় অদিতার সাবেক গৃহশিক্ষক আবদুর রহিম রনিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে অপরাধ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয় রনি।
ঈদের দীর্ঘ ছুটিতে পর্যটক বরণে প্রস্তুত হচ্ছে কক্সবাজার

কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারের হোটেল-মোটেলগুলো পর্যটক বরণ করতে আবার নতুন করে সাজছে। আসন্ন ঈদুল ফিতরের সময় ভ্রমণে আসা পর্যটকদের বরণের জন্য শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে এসব হোটেল-মোটেলে। ঈদের ছুটি পাঁচ দিন হলেও ঈদে টানা সাত দিন কক্সবাজারে পর্যটকরা ভ্রমণে আসবেন বলে আশা করছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
ইতিমধ্যে কক্সবাজারের পাঁচ শতাধিক আবাসিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বেশির ভাগের রং লাগানো, ধুয়ে-মুছে পরিচ্ছন্নতার কাজ শেষ।
পবিত্র মাহে রমজানের শুরু থেকেই দীর্ঘতম বেলাভূমির সকাল-বিকালের চিত্রই সম্পূর্ণ ভিন্ন। কোথাও পর্যটক নেই। বালুচরের পর্যটন ছাতাগুলো একদম খালি পড়ে রয়েছে। রমজান উপলক্ষে সাগরপারের শতকরা ৯০ ভাগ হোটেল-মোটেল বন্ধ রয়েছে। এসবের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও পুরো রমজান মাস ছুটি কাটাচ্ছেন। রমজানের পর্যটকশূন্য অবস্থায় প্রতিষ্ঠানগুলোতে নতুন করে সাজগোজের মাধ্যমে পর্যটক বরণের সকল প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্টহাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম সিকদার বলেন, ‘ঈদের ছুটি পাঁচ দিন হলেও টানা সাত দিন কক্সবাজারে পর্যটক আসবেন। অনেক পর্যটক ইতিমধ্যে যোগাযোগ শুরু করেছেন। এবার আবাহাওয়া ভালো থাকলে প্রতিদিন গড়ে ৭০-৮০ হাজার পর্যটক কক্সবাজার ভ্রমণে আসবেন বলে আশা করা হচ্ছে।’
তিনি জানান, ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত হয়েছে ফেডারেশনভুক্ত আবাসিক হোটেল-মোটেল ও গেস্টহাউসে ভাড়ায় ৩০-৪০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে টানা সাত দিনের পর্যটন ব্যবসায় সাড়ে ১২ কোটি টাকার বেশি ব্যবসা হতে পারে।
হোটেল দি কক্স টুডের ব্যবস্থাপক আবু তালেব জানান, অন্যান্য বছরের মতো এবারও ঈদকে সামনে রেখে সকল প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। পর্যটকরা আসলেই স্বচ্ছ পরিচ্ছন্ন হোটেল দেখবে।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার শেহরিন আলম জানান, ঈদের ছুটির পর্যটকের পদভারে আবারও চিরচেনা রূপে ফিরবে সমুদ্রসৈকতসহ পর্যটন এলাকা। এর জন্য সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছেন তারা। নিরাপত্তা জোরদার করে পর্যটকের সেবা দিতে প্রস্তুত তারাও।
মন্তব্য