ঢাকা, শুক্রবার, ৯ মে ২০২৫ ২৭ বৈশাখ ১৪৩২
 
শিরোনাম

গুচ্ছ ভর্তিতে জিপিএ নম্বর রাখা নিয়ে যা বললেন শাবিপ্রবি ভিসি

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ২১:৩৯
নিজস্ব প্রতিবেদক
গুচ্ছ ভর্তিতে জিপিএ নম্বর রাখা নিয়ে যা বললেন শাবিপ্রবি ভিসি

গুচ্ছভুক্ত ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি প্রক্রিয়ায় জিপিএ নম্বর রাখা না রাখার বিষয়ে স্ব স্ব বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সিদ্ধান্ত নেবে। এ বিষয়ে গুচ্ছ কমিটি কোনো হস্তক্ষেপ করবে না।

বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্ব) গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে আয়োজিত সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন।

তিনি জানান, তবারের ন্যায় এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল থাকবে কিনা তা স্ব স্ব বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক কাউন্সিল নির্ধারণ করবে। এ বিষয়ে আমরা কোনো হস্তক্ষেপ করবো না।

আগামী ১৭ অক্টোবর থেকে গুচ্ছের ভর্তি আবেদন শুরু হবে। ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে ১৩ অথবা ১৪ অক্টোবর। গুচ্ছের কেন্দ্রীয় ভর্তি সংক্রান্ত ওয়েবসাইটে ভর্তি আবেদন করতে হবে। আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০০ টাকা।

ওই সূত্র আরও জানায়, গুচ্ছভুক্ত প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আলাদা আলাদা আবেদন করতে হবে। যদিও পূর্বে এক আবেদনে ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের কথা বলা হয়েছিল। তবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থী ভর্তির যোগ্যতা আলাদা হওয়ায় আবেদন পৃথক পৃথক ভাবে নেওয়া হবে। তবে মেধাতালিকা কেন্দ্রীয়ভাবে দেওয়া হবে।

এ প্রসেঙ্গে জানতে চাইলে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রাইটেরিয়া ভিন্ন। তাই আবেদন পৃথক পৃথক ভাবে করতে হবে। তবে মূল ওয়েবসাইট একটিই। ওই ওয়েবসাইট থেকেই আবেদন করতে হবে।

তিনি বলেন, প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের পর বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পৃথক পৃথক ভাবে একটি মেধাতালিকা তৈরি করবে। এই তালিকা তারা সেন্ট্রাল এডমিশন কমিটির কাছে পাঠাবে। এরপর সেন্ট্রাল কমিটি কেন্দ্রীয়ভাবে একটি মেধাতালিকা তৈরি করে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবে। সেই তালিকা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা হবে।

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে পুনঃনিরীক্ষায় গরমিলের অভিযোগ

    নিজস্ব প্রতিবেদক
    ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৯:৫৫
    নিজস্ব প্রতিবেদক
    কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে পুনঃনিরীক্ষায় গরমিলের অভিযোগ

    সমন্বিত ৮টি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ সেশনের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল পুনঃনিরীক্ষায় গরমিলের অভিযোগ উঠেছে।

    ১০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল ১৫ সেপ্টেম্বরে প্রকাশের পর কিছু শিক্ষার্থী ফলাফল নিয়ে অভিযোগ ও স্মারকলিপি দিলে ফলাফল পুনঃনিরীক্ষার সুযোগ দেওয়া হয়। এক হাজার টাকা ফি দিয়ে ফলাফল পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করেন ৪২১জন শিক্ষার্থী। ২৪ তারিখে নিরীক্ষনের আবেদনকারীদের ফলাফলে বিস্তারিত স্কোরসহ দেওয়া হয়। সেই স্কোরে কয়েকজন মাদ্রাসা বোর্ড থেকে পাশ করা শিক্ষার্থী গরমিল খুঁজে পেয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন।

    এসএসসি এবং এইচএসসিতে প্রাপ্ত মোট নম্বরকে ২৫+২৫=৫০-এ রূপান্তরিত করে ভর্তি পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বরের সঙ্গে যোগ করে মেধা তালিকা প্রকাশ করা হয়।

    মাদ্রাসা বোর্ড থেকে পাশ করা রিফাত আহমেদ রিপন নামের এক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, তার এইচএসসির প্রাপ্ত নম্বর ১১৩০ থেকে ঐচ্ছিক বিষয়ের জন্য ৮০ বাদ দিয়ে সেটাকে মোট নম্বর ১৩০০ দিয়ে ভাগ করার পর ২৫ দিয়ে গুণ করলে স্কোর আসে ২০.১৯। কিন্ত পুনঃনিরীক্ষার ফলাফলে দেওয়া হয়েছে ১৫.৪৪। অর্থাৎ ৪.৭৫ নম্বর কম পেয়েছেন তিনি।

    একইভাবে আব্দুল্লাহ আল মাহিন নামে মাদ্রাসা বোর্ড থেকে পাশ করা আরেকজন শিক্ষার্থী জানান, তার এইচএসসির প্রাপ্ত নম্বর ১১০০ থেকে ঐচ্ছিক বিষয়ের জন্য ৮০ বাদ দিয়ে ২৫ এ রুপান্তর করলে স্কোর আসে ১৯.৬১৫। কিন্তু পুনঃনিরীক্ষার ফলাফলে তাকে দেওয়া হয়েছে ১৫.০০। এ রকম আরও কয়েকজন মাদ্রাসা মাদ্রাসা বোর্ড থেকে পাশ করা ক্ষেত্রে সমস্যা হয়েছে জানা গেছে।

    নম্বর গরমিলের হওয়ার কারণ জানতে চাইলে, কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার টেকনিক্যাল কমিটির প্রধান অধ্যাপক এ এম এম শামসুজ্জামান বলেন, মাদ্রাসা ব্যাকগ্রাউন্ডের ক্ষেত্রে এমনটা হয়েছে। গতবারেও এমন সমস্যা হয়েছিল। তবে কোনো শিক্ষার্থীর যদি এমন সমস্যা হয় তবে আমরা তাকে বঞ্চিত করবো না। তাদের বিষয়ে আমরা যাচাই করে সিদ্ধান্ত নেব।

    এ বিষয়ে শেকৃবির প্রক্টর ড. হারুন-উর-রশীদ যুগান্তরকে বলেন, বোর্ড থেকে আমাদের যে নম্বর পাঠিয়েছে সেটাই আমরা হিসেব করেছি।

    বোর্ড থেকে পাঠানোর নম্বরের উপর গড়ে ভুলের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টা নিয়ে আমরা বসব। এরকম কিছু হলে আমরা বিশেষ বিবেচনা করব।

    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      বুবলীর ছেলের বাবা ঢালিউডের সুপারস্টার শাকিব খান।

      নিজস্ব প্রতিবেদক
      ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৯:৪৫
      নিজস্ব প্রতিবেদক
      বুবলীর ছেলের বাবা  ঢালিউডের সুপারস্টার শাকিব খান।

      শোবিজ অঙ্গনে কয়েক দিন ধরে চিত্রনায়িকা বুবলী ও তার সন্তানকে কেন্দ্র করে নানা ধরনের সংবাদ প্রকাশ হচ্ছে। গত মঙ্গলবার বুবলীর ‘বেবি বাম্প’-এর ছবি প্রকাশ্যে আসার পর শোবিজ অঙ্গনে থাকা গুঞ্জনগুলো যেন সত্যি হয়ে সামনে আসছে। সিনেমাপাড়ায় গুঞ্জন আছে, কন্যা সন্তানের মা হয়েছেন এই চিত্রনায়িকা। আর সেটি হয়েছে বছর কয়েক আগে। আর সে সময়ের ‘বেবি বাম্প’-এর ছবি এতদিন পর সামনে এনেছেন বুবলী।

      তবে বুবলীর একাধিক ঘনিষ্ঠসূত্র জানিয়েছেন, মেয়ে নয় ছেলের মা হয়েছেন বুবলী। আর তার সন্তানের বাবা ঢালিউডের সুপারস্টার শাকিব খান। ছেলের নাম শেহজাদ খান। বরেণ্য নির্মাতা কাজী হায়াতের ‘বীর’ সিনেমার মুক্তির পরপরই যুক্তরাষ্ট্রে শেহজাদ খানের জন্ম হয়েছে। আর ‘বীর’ মুক্তি পেয়েছে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে।

      নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বুবলীর এক ঘনিষ্ঠজন জানান, যুক্তরাষ্ট্রে বুবলীর ছেলে হয়েছে। যখন বুবলী আড়ালে ছিলেন, তখনই তিনি মা হয়েছেন। বুবলীর ছেলে শেহজাদ খানের বয়স এখন দুই বছরের ওপরে।

      খোঁজ নিয়ে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্র থাকা বাংলাদেশের মডেল-অভিনেত্রী নওশীন নাহরীন মৌ সেসময় বুবলীর পাশে ছিলেন। আর বুবলী ও তার সন্তানের পাশে থেকে সার্বিক সহযোগিতাও করেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, শাকিব খানকে যুক্তরাষ্ট্রে থাকার অনুমতি নিয়ে দেওয়ার পেছনেও নওশীনের অবদান অনেক। তার গ্রিন কার্ড পাওয়ার সব সহযোগিতা করেছেন এই মডেল-অভিনেত্রী।

      তবে এখনও অনেক প্রশ্নের উত্তর অধরাই রয়ে গেছে। ২৭ সেপ্টেম্বর বুবলী তার বেবি বাম্পের ছবি প্রকাশের প্রর সাংবাদিকদের জানান, শিগগিরই তিনি বিষয়টি নিয়ে কথা বলবেন।

      ২৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে দেয়া পোস্টের ক্যাপশনে বুবলী লিখেছেন, ‘আমার জীবনের সঙ্গে আমি’। এর নিচে হ্যাশট্যাগ দিয়ে লিখেছেন ‘থ্রোব্যাক আমেরিকা’।

      বুবলীর মা হওয়ার গুঞ্জন উঠেছিল ২০২০ সালে। বুবলী যখন শাকিব খান প্রযোজিত ও কাজী হায়াৎ পরিচালিত বীর সিনেমায় অভিনয় করছিলেন, তখন তার মা হওয়ার গুঞ্জন ওঠে।

      সিনেমাটির শুটিং শেষ করেই বুবলী পাড়ি জমান আমেরিকা। করোনা মহামারির সময় যখন দেশে লকডাউন চলছিল, তখন তিনি আমেরিকাতে ছিলেন। গুঞ্জন আছে, আমেরিকাতে সন্তান প্রসব করেছেন এ অভিনেত্রী। সন্তানের বাবার পরিচয় হিসেবে শাকিব খানের নাম শোনা গিয়েছিল সেসময়।

      তবে পরবর্তীতে দেশে ফিরে এসবকে গুঞ্জন বলেই জানিয়েছেন বুবলী। নায়ক শাকিব খানের সঙ্গে তার সম্পর্কের গুঞ্জনটিও স্বীকার করেননি তিনি।

      প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য

        এক হাজার নারী উদ্যোক্তা পেল ৫ কোটি টাকা

        নিজস্ব প্রতিবেদক
        ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৯:১৩
        নিজস্ব প্রতিবেদক
        এক হাজার নারী উদ্যোক্তা পেল ৫ কোটি টাকা

        প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এক হাজার নারীকে ৫ কোটি টাকার অনুদান দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম থেকে নির্বাচিত প্রত্যেক নারী উদ্যোক্তাকে ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান দেয়া হয়।

        বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁও শেরে-বাংলা নগরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র (বিআইসিসি) এর হল অব ফেইমে এক অনুষ্ঠানে নারী উদ্যোক্তাদের হাতে এই অর্থ তুলে দেওয়া হয়।

        তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ।

        প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. শিরীন শারমিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের নারী ক্ষমতায়নের অগ্রদূত। তিনি সারা বিশ্বে বাংলাদেশকে নারী ক্ষমতায়ন, নারী অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং জেন্ডার সমতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বা রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন। তারই নিরলস পরিশ্রম এবং দূরদৃষ্টি সম্পন্ন চিন্তাধারা, সংবেদনশীলতা এবং সকল কিছুর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের নারীরা দৃশ্যমানভাবে প্রতিটি ক্ষেত্রে এগিয়ে এসেছে।

        সারা বিশ্বের মত বাংলাদেশও তথ্যপ্রযুক্তির অবাধ সুবর্ণ সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। সবশেষে তিনি তথ্যপ্রযুক্তিকে আমাদের কাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে নখদর্পণে নেওয়ার পাশাপাশি নিজেদের উন্নয়নের জন্য প্রতিটি ক্ষেত্রে এর সর্বাত্নক ব্যবহার নিশ্চিত করার পরামর্শ দেন।

        সভাপতির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী জুনা্লেইদ আহমেদ পলক বলেন, নারীর প্রকৃত ক্ষমতায়নে নারীর আর্থিক সক্ষমতার গুরুত্ব তার লেখনীর মাধ্যমে তুলে ধরেছেন বঙ্গবন্ধু। আর তা বাস্তাবায়ন করছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি নারী ক্ষমতায়নের ও কর্ম সৃজনের অগ্ৰদূত। তাঁর গৃহীত নানা উদ্যোগ ও ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ই-ক্যাব করোনায় ই-কমার্সকে লাইফ লাইনে পরিণত করেছেন। তাই আগামীতে প্রযুক্তির মাধ্যমে ১৮ বছরের নিচের কিশোরী উদ্যোক্তাদেরও এই অনুদান দেয়ার ঘোষণা দেন প্রতিমন্ত্রী।

        প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সমাজের নারীদের উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় সম্পৃক্ত করতে না পারলে দেশের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন সম্ভব নয়। পলক আরো বলেন, আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে “হার পাওয়ার” প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। উক্ত প্রকল্পের আওতায় ২৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে চার বিভাগে ৫ মাসের প্রশিক্ষণ দিয়ে ২৫ হাজার স্মার্ট নারী উদ্যোক্তা তৈরি করা হবে।

        অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এন এম জিয়াউল আলম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব শমী কায়সার, ই-ক্যাবের সভাপতি নাসিমা আক্তার নিশা। সবশেষে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন আইডিয়া প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও যুগ্মসচিব মো: আলতাফ হোসেন।

        প্রাসঙ্গিক
          মন্তব্য

          নারী-পুরুষের জন্য আলাদা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থাকা উচিত নয়

          নিজস্ব প্রতিবেদক
          ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৯:৮
          নিজস্ব প্রতিবেদক
          নারী-পুরুষের জন্য আলাদা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থাকা উচিত নয়

          বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেছেন, লৈঙ্গিক বৈষম্য কমাতে নারী-পুরুষের একসাথে কাজ করার সংস্কৃতি তৈরি করতে হবে। দেশে নারী ও পুরুষের জন্য পৃথক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার বিরোধিতা করে বলেন, দেশে কোন ধরনের আলাদা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকা উচিত নয়। যৌন নির্যাতন ও হয়রানি প্রতিরোধে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী নিশ্চিত করা এবং এ সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।

          বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে কার্যকরী কৌশল প্রণয়ন ও উচ্চ আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়নে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন ও ইউএন উইমেন যৌথভাবে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

          রাজধানীর লেকশোর হোটেলে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউজিসি চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম। সভায় ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান, গর্ভমেন্ট অব কানাডার ডেভেলপমেন্ট এডভাইজার ফারজানা সুলতানা বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ইউএন উইমেন- এর ডেপুটি কান্ট্রি রিপ্রেজেনন্টেটিভ দিয়া নন্দা।

          সভায় প্রফেসর ড. আলমগীর বলেন, যৌন হয়রানি প্রতিরোধে মনস্তাত্ত্বিক পরিবর্তন আনা এবং নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা জরুরি। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নিরপেক্ষ অবস্থানে থেকে যৌন হয়রানি অভিযোগ কমিটিকে কাজ করার সুযোগ নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।

          প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম বলেন, ইউজিসি ও ইউএন উইমেন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যৌন হয়রানি ও নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়নে কাজ করছে। যৌন হয়রানির প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দক্ষতা বৃদ্ধিতেও নানাবিধ পদক্ষেপ গ্ৰহণ করা হয়েছে।

          তিনি আরও বলেন, নারী ও পুরুষের লৈঙ্গিক বৈষম্য দূর করতে হবে। পরিবার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মূল্যবোধ ও নৈতিক শিক্ষার চর্চা নিশ্চিত করতে হবে। নারীর সম-অধিকার নিশ্চিত করা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কর্মস্থলে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া, তিনি যৌন হয়রানি প্রতিরোধে গণমাধ্যমকে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।

          ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান বলেন, যতদিন পর্যন্ত লৈঙ্গিক বৈষম্য বিষয়ে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন হবে না ততদিন পর্যন্ত শুধু আইন দিয়ে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ করা কঠিন হবে।

          সভায়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি সংক্রান্ত গবেষণা/ প্রতিবেদন থেকে প্রাপ্ত তথ্য ও যৌন হয়রানি প্রতিরোধে কার্যকর কৌশল তুলে ধরেন ইউএন উইমেন- এর নলেজ ম্যানেজমেন্ট ও মনিটরিং এনালিস্ট শ্রবণা দত্ত। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা তুলে ধরেন ব্লাস্টের সহকারি পরিচালক তাপসি রাবেয়া। এছাড়া, ইউজিসি প্রণীত যৌন হয়রানি সংক্রান্ত তথ্যের ওপর অর্ধ-বার্ষিকী প্রতিবেদন তৈরির জন্য মনিটরিং টুলের ওপর আলোচনা করেন ইউজিসি’র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের উপ-পরিচালক ও কমিশনের যৌন হয়রানি প্রতিরোধ অভিযোগ কমিটির সদস্য সচিব মৌলি আজাদ।

          মতবিনিময় সভায় ইউজিসি, ইউএন উইমেন-এর কর্মকর্তা ও ১৭ বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন হয়রানি সংক্রান্ত অভিযোগ কমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

          প্রাসঙ্গিক
            মন্তব্য
            সর্বশেষ সংবাদ
              সর্বাধিক পঠিত