ঢাকা, শুক্রবার, ৯ মে ২০২৫ ২৭ বৈশাখ ১৪৩২
 
শিরোনাম

কোচিং ব্যবসা পরিহার করতে শিক্ষকদের প্রতি রাষ্ট্রপতির আহ্বান

নিজস্ব প্রতিবেদক
৫ অক্টোবর, ২০২৩ ১৬:৭
নিজস্ব প্রতিবেদক
কোচিং ব্যবসা পরিহার করতে শিক্ষকদের প্রতি রাষ্ট্রপতির আহ্বান

শিক্ষকদের প্রতি কোচিং বাণিজ্য বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সকালে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, যে অভিভাবকরা জিপিএ-৫ পেলে খুশিতে আত্মহারা হয়ে যান, আপনারা যদি মনে করেন সন্তানকে নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে, বাস্তব শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে, তাহলে এ ধরনের কোচিংয়ে পড়ানোর অবস্থান থেকে নিজেদের সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবেন। শিক্ষকদের কাছেও কোচিং ব্যবসা পরিহার করার আহ্বান থাকল।

তিনি বলেন ‘শিক্ষকদের মধ্যে কেউ কেউ কোচিংয়ের রমরমা ব্যবসা করে যাচ্ছেন। যেটা শিক্ষার্থীদের নৈতিকতার শিক্ষা থেকে কিছুটা দূরে সরিয়ে দিচ্ছে। আপনাদের এ কোচিং ব্যবসা পরিহার করতে হবে।’ অভিভাবকদেরও সন্তানকে কোচিংয়ে দেওয়ার আগ্রহ কমাতে হবে উল্লেখ করে মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, শুধু জিপিএ-৫ পাওয়ার জন্য অভিভাবকরা তাড়াহুড়া করে সন্তানকে একটা ভালো কোচিংয়ে দেন। তারা মনে করেন যে, এ কোচিংয়ের মাধ্যমে তাদের সন্তানকে গুণগত বা ভালো শিক্ষা দিতে পারব। কিন্তু ঘটছে উল্টো। এ মানসিকতা থেকে সরে আসতে হবে।

সমাজের ভিত্তি নির্মাণে শিক্ষকরাই মূল প্রকৌশলী উল্লেখ করে তিনি বলেন, পৃথিবীর যত উল্লেখযোগ্য অর্জন, গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার, আধুনিক সভ্যতা গঠন— সবকিছুর পেছনে কোনো কোনো শিক্ষক প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভূমিকা রেখে চলেছেন। শিক্ষকরা শুধু শিক্ষার্থীদের অ্যাকাডেমিক দিকটাই দেখেন না, মানবিক মূল্যবোধ, সততা, দেশপ্রেমবোধ সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখেন। সমাজগঠন ও সমাজের ভিত্তি নির্মাণে শিক্ষকরাই মূল প্রকৌশলী।

শিক্ষার্থীকে সত্য-মিথ্যার পার্থক্য শেখাতে শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, আপনারা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ন্যায়-অন্যায়, সত্য-মিথ্যার পার্থক্য বোঝাবেন। মানবসেবা, দেশপ্রেম ও পিতা-মাতার প্রতি যত্নশীল হওয়ার শিক্ষা দেবেন। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পিতা-মাতাতুল্য আচরণ করবেন। শাসনও করবেন। কিন্তু যেটা শাস্তির পর্যায়ে পড়ে, সেটা পরিহার করবেন।

শিক্ষকদের মর্যাদা ফেরাতে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, অভিভাবক, সমাজের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিসহ সবাই মিলে যদি এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য কাজ করেন, তাহলে আমাদের শিক্ষকদের সেই মান-মর্যাদা ফিরে আসবে। তারা আর দুঃখবোধ করবেন না। মনে মনে ভাববেন না যে, এমন ছাত্র-ছাত্রীকে পড়ালাম, মানুষ করার চেষ্টা করলাম, তাদের দ্বারা অসম্মানিত হচ্ছি। শিক্ষকদের এ দুঃখ-দুর্দশা নজরে নিয়ে সবাইকে এ অবস্থা থেকে উত্তরণে চেষ্টা করতে হবে।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন এবং শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। অনুষ্ঠানে শিক্ষাসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে প্রধান ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং শিক্ষকরা অংশ নেন।

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    ইবিতে নোফেলিয়ানদের মিলনমেলা অনুষ্ঠিত

    নিজস্ব প্রতিবেদক
    ৫ অক্টোবর, ২০২৩ ১৫:৫২
    নিজস্ব প্রতিবেদক
    ইবিতে নোফেলিয়ানদের মিলনমেলা অনুষ্ঠিত

    ইবি প্রতিনিধি : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষীপুর জেলা থেকে আগত শিক্ষার্থীদের ছাত্র কল্যাণ ফোরাম 'নোফেল'র মিলনমেলা ও কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনের ৪০১ নম্বর কক্ষে এটি অনুষ্ঠিত হয়। এসময় ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের বিদায়ী ক্রেস্ট প্রদান এবং ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়।

    আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোঃ দেলোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দাওয়াহ ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ রহিম উল্যাহ। এছাড়াও কোয়ার্টার মসজিদের সিনিয়র ইমাম এম. এম.ইউসুফ, নোফেল ছাত্র কল্যাণ ফোরামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আজমেরী হক পিয়াস, বর্তমান সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মাসুমসহ শতাধিক শিক্ষার্থীরা।

    এছাড়াও এসময় অনলাইনে যুক্ত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ নাজিমুদ্দিন।

    আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. রহিম উল্যাহ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় এমন একটি যায়গা যেখানে কেও চাইলে ভালো কিছু করতে পারবে আবার চাইলে মন্দ দিকেও নিজেকে নিয়ে যেতে পারবে। সেখানে ভালোমন্দ বিবেচনা করে ভালো জিনিসগুলো তোমাদেরই বেছে নিতে হবে। আপনারা সময়ের গুরুত্ব দিবেন, সময়কে মূল্যায়ন করবেন। তাহলে জীবনে অনেক ভালো যায়গায় নিজেকে নিয়ে যেতে পারবেন। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভালো সামাজিক সংগঠনে যুক্ত হয়ে নিজেকে ডেভেলপ করতে পারবেন।

    এসময় আলোচনা সভা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে নবীন শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নেয়।

    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      কয়েক ঘন্টার বৃষ্টিতে জলাবদ্ধ রাবি ক্যাম্পাস

      নিজস্ব প্রতিবেদক
      ৫ অক্টোবর, ২০২৩ ১১:৪৯
      নিজস্ব প্রতিবেদক
      কয়েক ঘন্টার বৃষ্টিতে জলাবদ্ধ রাবি ক্যাম্পাস

      কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ক্যাম্পাসে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে চলাচলে ভোগান্তিতে পড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজারো শিক্ষক-শিক্ষার্থী।

      শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, ক্যাম্পাসে যে ড্রেনগুলো আছে সেগুলোর অবস্থা বেহাল। এ কারণে বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে চলাচলে বিড়ম্বনায় পড়েন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বিভিন্ন সময়ে এমন জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হলেও কর্তৃপক্ষের টনক নড়েনা।

      বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ কলা ভবন ও মমতাজ উদ্দীন কলা ভবনের সামনে, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের পেছনে, পরিবহন মার্কেটের সামনে, টুকিটাকি চত্বর, পরিবহন এলাকা ও চারটি বিজ্ঞান ভবনের সামনে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া কাজী নজরুল অডিটোরিয়ামের উত্তর পাশ থেকে শুরু করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবন পর্যন্ত রাস্তা পানির নিচে তলিয়ে আছে। এতে একাডেমিক ভবনগুলোতে ঢুকতে বিপাকে পড়ছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। কেউবা ঢুকছেন পানিতে ভিজে আবার অনেকে রিকশা করে গেট পর্যন্ত যাচ্ছেন।

      এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, জলাবদ্ধতার বিষয়ে আমরা অবগত আছি। আমরা জানার সঙ্গে সঙ্গে পানি নিষ্কাশনের জন্য জানিয়েছি। দ্রুতই পানি বের হয়ে যাবে আশা করি। সবাইকে একটু ধৈর্য ধরার অনুরোধ করছি।

      প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য

        নানা সমস্যায় জর্জরিত যবিপ্রবির ফার্মেসি বিভাগ

        নিজস্ব প্রতিবেদক
        ৪ অক্টোবর, ২০২৩ ২০:২৭
        নিজস্ব প্রতিবেদক
        নানা সমস্যায় জর্জরিত যবিপ্রবির ফার্মেসি বিভাগ

        যবিপ্রবি প্রতিনিধি: শিক্ষক সংকট, ক্লাসরুম সংকটসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) ফার্মেসি বিভাগ। বিভাগটিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর মিলিয়ে বর্তমানে ৮টি ব্যাচ চলমান থাকলেও ৭ জন শিক্ষক দিয়ে চলছে ক্লাস কার্যক্রম। আর নিয়ম না থাকলেও ৭ জন শিক্ষক রয়েছেন শিক্ষা ছুটিতে। যা মোট শিক্ষকের ৫০ শতাংশ। ফলে শিক্ষকরা ঠিকমতো ক্লাস নিতে না পারায় ব্যহত হচ্ছে গুনগত মানের শিক্ষা কার্যক্রম। অনিয়মিত ক্লাসের সাথে ক্লাস রুমেরও সংকট থাকায় শিক্ষার্থীদের নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে শিক্ষকদের উদাসীনতার কারণে ৫ বছরের স্নাতক প্রোগ্রাম ৭.৫ বছর এবং ১.৫ বছরের স্নাতকোত্তর প্রোগ্রাম ৪ বছরে শেষ করতে হয়েছে বিভাগটির শিক্ষার্থীদের। এসব বিষয়ে শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ জানালে একাডেমিকভাবে ক্ষতি করা হয় এমন অভিযোগও পাওয়া গেছে।

        নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফার্মেসি বিভাগের সাবেক এক শিক্ষার্থী জানান, সাবেক শিক্ষার্থী হিসাবে আমরা যে সমস্যাগুলো ফেস করেছি সেটা খুবই কষ্টদায়ক। বিশেষ করে ৭.৫ বছরে অনার্স এবং ৪ বছরে মাষ্টার্স শেষ করে জীবনের আর কিছুই বাকী থাকে না। শিক্ষকদের উদাসীনতা, ফলাফল প্রকাশে দেরি, সিনিয়র শিক্ষকদের অভ্যন্তরীন দ্বন্দ্ব এবং রাজনীতির বলি হচ্ছে শত শত শিক্ষার্থী। আমাদের শিক্ষকরা বরাবরই ঠিকমত ক্লাস রুটিন ফলো করে না। শিক্ষকদের কাছে কোনো সমস্যার কথা যারাই বলে তাদেরই একাডেমিকভাবে ক্ষতি করা হয়। ফলে শিক্ষার্থীরা মুখ খুলতে ভয় পায়।এরকম অনেক ছাত্রছাত্রীর ক্যারিয়ার শিক্ষকরা নষ্ট করেছে শুধুমাত্র নিজেদের সুবিধার জন্য। এসকল সমস্যার সমাধান না করা গেলে প্রতিবছরেই শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

        >> নিয়ম না থাকলেও শিক্ষা ছুটিতে ৫০% শিক্ষক

        >> ৭ জন শিক্ষক দিয়ে চলছে ৮টি ব্যাচ >> ঠিকমতো হয় না ক্লাস-পরীক্ষা >> ৮টা ব্যাচের ক্লাস রুম ৪টা

        এবিষয়ে বর্তমান এক শিক্ষার্থী জানান, বর্তমানে আমাদের ডিপার্টমেন্টে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সহ মোট ৮ টি ব্যাচ চলমান আছে। কিন্তু আমাদের ডিপার্টমেন্টের শিক্ষক ৭ জন। ৭ জন শিক্ষক দিয়ে ৮ টি ব্যাচের ক্লাস নিতে গিয়ে নিয়মিত ক্লাস পরীক্ষা হচ্ছে না। এছাড়া আমাদের ক্লাসরুম ৪ টি। একটি ব্যাচ ক্লাস করলে আরেকটি ব্যাচ বাহিরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। ছাত্ররা তাদের পরীক্ষার ফলাফল সঠিক সময় পায়না। এক বর্ষে পরীক্ষা দিলে সেই পরীক্ষার ফলাফল পেতে পেতে আরেক বর্ষ শেষ হয়ে যায়। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান, খেলাধুল ও ডিপার্টমেন্টের ক্লাবের জন্য কোন ধরনের সহযোগিতা পাওয়া যায় না।

        সার্বিক বিষয়ে ফার্মেসি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কিশোর মজুমদার বলেন, ডিপার্টমেন্টের ধারাবাহিক উন্নতি হচ্ছে। আমাদের ল্যাব সংখ্যা বেড়ে ৫ টি হয়েছে। ফলে শিক্ষার্থীদের ল্যাব ও রিসার্চ ফ্যাসিলিটি বাড়বে। তবে ঠিকমতো ক্লাস না হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, শিক্ষকগণ ক্লাসের বিষয়ে অনেক আন্তরিক। শিক্ষকরা অবশ্যই তাদের কোর্স শেষ করেই পরীক্ষা নেন। কোর্সের ক্রেডিট ভিত্তিক যে সময় নির্ধারণ করা হয়েছে সেখানে পূর্ণাঙ্গ সময় যেনো দেন সে বিষয়ে শিক্ষকদের সাথে কথা বলবো। ৭ জন শিক্ষক শিক্ষা ছুটিতে আছেন ও বর্তমান ৭ জন শিক্ষক ক্লাস নিচ্ছেন। যা শিক্ষার্থী ও ব্যাচ সংখ্যা অনুযায়ী কম। আগামী ২-৩ মাসের মধ্যে কয়েকজন শিক্ষক নিয়োগ হবে বিভাগে। আশা করি তখন সংকট কেটে যাবে। ক্লাস রুম সংকটের বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের পাঁচটা ক্লাস রুম রয়েছে। ক্লাস সংকটের বিষয়টি আমরা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দ্রুত পদক্ষেপ নিলে ক্লাস রুম সংকটের নিরসন হবে।

        ফলাফল দেরিতে প্রকাশের বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীদের ৬ মাসের ট্রেনিং রয়েছে। ভালো প্রতিষ্ঠানে ট্রেনিং করাতে গেলে তাদের সিডিউল জটিলতার কারণে অনেক সময় দু-এক মাস দেরি হয়। ভালো কিছুর জন্য এই দু-এক মাস শিক্ষার্থীদের মেনে নেওয়া উচিত। তবে শিক্ষার্থীরা বলেন, একাডেমিক ক্যালেন্ডারের বাইরে অতিরিক্ত সময়কে কিভাবে চেয়ারম্যান স্যার মেনে নিতে বলেন? যবিপ্রবিতে অনেক বিভাগে ট্রেনিং হয়। আমাদের শিক্ষকরা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সাথে আগে থেকে যোগাযোগ করলে এধরণের সমস্যা হয় না। বিভাগের শিক্ষার্থীদের নিয়ে উদাসীনতা ও শিক্ষকদের অভ্যন্তরীন দ্বন্দ্বের কারণে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

        প্রাসঙ্গিক
          মন্তব্য

          নোবিপ্রবি এমআইএস নেটের নেতৃত্বে ওয়াজিহা—নাফিজ

          নিজস্ব প্রতিবেদক
          ৪ অক্টোবর, ২০২৩ ২০:১৭
          নিজস্ব প্রতিবেদক
          নোবিপ্রবি এমআইএস নেটের নেতৃত্বে ওয়াজিহা—নাফিজ

          নোবিপ্রবি প্রতিনিধি: নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস (এমআইএস) বিভাগের এমআইএস নেট ক্লাবের ২০২৩—২৪ সেশনের কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়েছে।

          মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিভাগের চেয়াম্যান ড. মো. জিয়াউল হক ও উপদেষ্টা মন্ডলীর সম্মতিক্রমে আগামী এক বছরের জন্য ৩১ সদদ্য বিশিষ্ট কার্যনিবার্হী কমিটি ঘোষনা করা হয়।

          এতে সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন এমআইএম বিভাগের ২০১৮—১৯ সেশনের শিক্ষার্থী ওয়াজিহা ইসলাম মানহা ও সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন একই বিভাগের ২০১৮—১৯ সেশনের শিক্ষার্থী নাফিস নাওয়াল।

          সহসভাপতি পদে নিবার্চিত হয়েছেন নিজাম উদ্দিন ও তূর্য সাহা। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে নিবার্চিত হয়েছেন মাসুদ রানা মিরাজ ও নাফিজা জান্নাতুল মাওয়া।

          নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক নাফিস নাওয়াল বলেন, শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমার সম্মানিত সকল শিক্ষকমন্ডলীর প্রতি আমাকে সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনীত করার জন্য। আমি সততা ও নিষ্ঠার সাথে ডিপার্টমেন্টের ক্লাব এমআইএস নেট কে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।

          নবনির্বাচিত সভাপতি ওয়াজিহা ইসলাম বলেন, আমি আমার দায়িত্বের প্রতি দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে এমআইএস বিভাগের শিক্ষার্থীদের যেকোনো প্রয়োজনে পাশে থাকবো এবং এমআইএস নেট—এর গতিশীলতা বৃদ্ধিসহ নানাবিধ কার্যক্রমের মধ্যে দিয়ে এই ক্লাব এবং বিভাগের সার্বিক উন্নয়নে চেষ্টা করে যাবো। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের পরস্পরের মধ্যে একটি সুন্দর মেলবন্ধন তৈরী করতে সচেষ্ট থাকবো।

          উল্লেখ, ২০১৭ সালে এমআইএস বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়। সর্বপ্রথম এডহক কমিটির মাধ্যমে ২০১৯ সালে এমআইএস নেট এর কার্যক্রম শুরু হয়।

          প্রাসঙ্গিক
            মন্তব্য
            সর্বশেষ সংবাদ
              সর্বাধিক পঠিত