কৃষিগুচ্ছের ভর্তির আবেদন শুরু কাল

কৃষি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার আবেদন আগামী ১৭ জুলাই (রোববার) থেকে শুরু হবে। আগামী ১৬ আগস্ট পর্যন্ত এই আবেদন প্রক্রিয়া চলবে।
ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা আবেদন সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য ওয়েবসাইটে (acas.edu.bd) পাবেন। ওয়েবসাইটের ভর্তি নির্দেশিকা অনুযায়ী অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। আবেদন ফি ১২০০ টাকা।
এ বছর ২০১৭/২০১৮/২০১৯ সালে এসএসসি/সমমান এবং ২০২০/২০২১ সালে এইচএসসি/সমমানের পরীক্ষায় যারা বিজ্ঞান বিভাগ হতে জীববিজ্ঞান, রসায়ন, পদার্থবিজ্ঞান ও গণিত বিষয়সহ উত্তীর্ণ হয়েছেন, কেবলমাত্র তারাই এই ভর্তি আবেদন করতে পারবেন। আবেদনকারীর এসএসসি/সমমান এবং এইচএসসি/সমমানের পরীক্ষায় উভয়ক্ষেত্রে প্রতিটিতে চতুর্থ বিষয় ব্যতীত ন্যূনতম জিপিএ ৪.০০ সহ সর্বমোট ন্যূনতম জিপিএ ৮.৫০ থাকতে হবে।
এছাড়া জিসিই এবং A লেভেল পাসকৃত প্রার্থীর ক্ষেত্রে (O লেভেল পরীক্ষায় অন্তত ৫টি বিষয়ে এবং A লেভেল পরীক্ষায় বিজ্ঞানের অন্তত ২টি বিষয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে। উভয় পরীক্ষায় প্রতিটিতে ন্যূনতম জিপিএ ৪.০০ এবং সর্বমোট ন্যূনতম জিপিএ ৮.৫০ থাকতে হবে এক্ষেত্রে A ও B গ্রেডের জন্য যথাক্রমে ৫ ও ৪ জিপিএ গণনা করা হবে।
MCQ পদ্ধতিতে ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১০ সেপ্টেম্বর (শনিবার) বেলা ১১:৩০ থেকে ১২:৩০ পর্যন্ত ৭টি কেন্দ্র ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে এক বা একাধিক উপকেন্দ্রের অধীনে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে।
এইচএসসি/সমমান পর্যায়ে ইংরেজিতে ১০, প্রাণীবিজ্ঞানে ১৫, উদ্ভিদবিজ্ঞানে ১৫, পদার্থবিজ্ঞানে ২০, রসায়নে ২০ এবং গণিতে ২০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে। প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য ১.০০ (এক) নম্বর প্রদান করা হবে এবং প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা।
তবে মোট ১৫০ নম্বরের ভিত্তিতে ফল প্রস্তুত করা হবে। ভর্তি পরীক্ষার ১০০ নম্বরের সাথে এসএসসি/সমমানের জন্য ২৫ এবং এইচএসসি/সমমানের জন্য ২৫ নম্বর যোগ করে ফল প্রস্তুত করে মেধা ও অপেক্ষমাণ তালিকা তৈরি করা হবে।
ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত যেকোনো বিষয়ে কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে এবং ভর্তি কমিটি যে কোন সিদ্ধান্ত পরিবর্তন ও পরিমার্জনের অধিকার রাখে।
চবিতে প্রতি আসনের বিপরীতে লড়বেন ২৯ জন

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় প্রতি আসনের বিপরীতে ২৯ জন শিক্ষার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করবেন। গত শুক্রবার আবেদন ফি জমা দেয়ার সময়সীমা শেষ হয়েছে। অনলাইনে আবেদন করেও ১৪ হাজার ৭৬৬ জন ভর্তি–ইচ্ছুক টাকা জমা না দেওয়ায় ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে না।
জানা গেছে, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের তুলনায় এবার ভর্তি আবেদন কমেছে। ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ (সম্মান) ভর্তি পরীক্ষায় চার ইউনিট ও দুই উপ-ইউনিটে ৪ হাজার ৯২৬টি আসনের জন্য চূড়ান্তভাবে আবেদন করেছেন ১ লাখ ৪৩ হাজার ৭২৪ জন শিক্ষার্থী। সে হিসেবে প্রতি আসনের বিপরীতে লড়বেন ২৯ জন শিক্ষার্থী।
আজ শনিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেল থেকে এ তথ্য জানা যায়। এর আগে শুক্রবার রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে ভর্তি আবেদন ফি জমাদানের সময় শেষ হয়।
তথ্যমতে, ‘এ’ ইউনিটে ১ হাজার ২১২টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ৫৪ হাজার ১০৪ জন শিক্ষার্থী। এই ইউনিটে প্রতি আসনের বিপরীতে ভর্তি–ইচ্ছুক শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪৫ জন।
‘বি’ ইউনিটে ১ হাজার ২২১টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ৩৫ হাজার ৭৭৯ জন শিক্ষার্থী। এই ইউনিটে প্রতি আসনের বিপরীতে ভর্তির জন্য লড়বেন ২৯ জন।
‘সি’ ইউনিটে ৪৪১টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ১১ হাজার ৬০ জন শিক্ষার্থী। এই ইউনিটে প্রতি আসনে ভর্তির জন্য লড়বেন ২৫ জন।
‘ডি’ ইউনিটে ১ হাজার ১৬০টি আসনের বিপরীতে ৩৯ হাজার ৩৯১ জন আবেদন করেছেন। সম্মিলিত এই ইউনিটে প্রতি আসনের বিপরীতে ৩৪ জন লড়বেন।
দুইটি উপ-ইউনিটের মধ্যে ‘বি-১’ ইউনিটে ১২৫টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ১ হাজার ৫৭৯ জন। এই উপ-ইউনিটে প্রতি আসনের বিপরীতে ভর্তির জন্য লড়বেন ১৩ জন। আর ‘ডি-১’ উপ-ইউনিটে ৩০টি আসনের বিপরীতে ১ হাজার ৮১১ জন প্রার্থী আবেদন করেছেন। এই উপ ইউনিটে আসন প্রতি লড়বে ৬০ জন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ খাইরুল ইসলাম বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ১ লাখ ৪৩ হাজার ৭২৪ জন শিক্ষার্থী টাকা জমা দিয়েছেন। আবেদন ফি জমা না দেয়ায় ১৪ হাজার ৭৬৬ জন ভর্তি-ইচ্ছুক পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন না।
ঢাবির ৭ কলেজে ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১২ আগস্ট

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার আবেদন আজ শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে। অনলাইনে ভর্তির আবেদন চলবে ৩১ জুলাই পর্যন্ত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এসব কথা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ১২ আগস্ট শুক্রবার বিজ্ঞান ইউনিট, ১৯ আগস্ট শুক্রবার কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট এবং ২৬ আগস্ট শুক্রবার বাণিজ্য ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি–সংক্রান্ত বিস্তারিত নির্দেশনা ও তথ্য collegeadmission.eis.du.ac.bd ওয়েবসাইট থেকে জানা যাবে।
৪৩তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা বাংলাদেশ বিষয়াবলির প্রস্তুতি নেবেন যেভাবে

বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ‘বাংলাদেশ বিষয়াবলি’। এতে ২০০ নম্বরের জন্য ৪ ঘণ্টা সময় বরাদ্দ। মোট ১৬টি অধ্যায় রয়েছে। এখানে সব পরীক্ষার্থীর বেশি নম্বর পাওয়ার সুযোগ থাকে। সিলেবাস অনেক বড় মনে হলেও অনেক টপিক প্রিলিতে পড়া হয়ে যায়। তাই কিছু অধ্যায়ের সঙ্গে আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি এবং বাংলা ও ইংরেজি রচনায় সামঞ্জস্য খুঁজে পাওয়া যায়।
● প্রথমেই বাংলাদেশ বিষয়াবলির সিলেবাসটি ভালো করে বুঝে নিন। এতে করে কোন কোন বিষয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে আর কোন কোন বিষয়ে তুলনামূলক কম গুরুত্ব দিতে হবে, তা অনুধাবন করা সহজ হবে। তারপর ৮০/২০ রুল প্রয়োগ করে ভালো করে প্রিপারেশন নিতে পারলে বিষয়টিতে অনেক বেশি নম্বর পাওয়া সম্ভব।
● পিএসসির দেওয়া বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার বর্তমান সিলেবাস বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়—শুধু সংবিধান এবং মুক্তিযুদ্ধ অংশ থেকেই ৮০-৯০ নম্বরের প্রশ্ন হয়ে থাকে। সংবিধান এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে পারলে এখানে ভালো নম্বর পাওয়া সম্ভব।
● আমার মতে অর্থনৈতিক সমীক্ষা হচ্ছে বিসিএস লিখিত পরীক্ষার বাইবেল। অর্থনৈতিক সমীক্ষা থেকে লিখিত পরীক্ষার সিলেবাস সম্পর্কিত ৫-৬টি অধ্যায় পড়তে পারলে প্রিলি, লিখিত ও মৌখিক সব জায়গায় ভালো করা সম্ভব।
● ম্যাপ, ডেটা চার্ট: কিছু কিছু প্রশ্নের উত্তরে ম্যাপ সংযোজন করতে পারলে ১-২ নম্বর বেশি পাবেন। সঠিক ম্যাপ আঁকতে না পারলে তা দেওয়ার প্রয়োজন নেই এবং সব প্রশ্নের উত্তরে ম্যাপ দেয়ার মানসিকতা পরিহার করতে হবে। ডেটা ও চার্ট হতে হবে সঠিক এবং গ্রহণযোগ্য উৎস থেকে।
● বাংলাদেশ বিষয়াবলির সিলেবাসের চার নম্বর অধ্যায় অর্থনীতি সম্পর্কিত। এই অধ্যায়ের যেকোনো প্রশ্নের উত্তরে ডেটা এবং চার্ট নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে দেওয়ার চেষ্টা করবেন।
● পরিবেশ এবং প্রাকৃতিক সম্পদের (অধ্যায় ৬ এবং ৭) জন্য অর্থনৈতিক সমীক্ষার পঞ্চদশ অধ্যায় (পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও উন্নয়ন) ও দশম অধ্যায় (বিদ্যুৎ ও জ্বালানি) এবং মাধ্যমিক ভূগোল বইয়ের নবম, দশম, একাদশ ও চতুর্দশ অধ্যায় থেকে ভালোভাবে প্রস্তুতি নিলে এই অংশে ভালো করা সম্ভব। রাজনৈতিক দল এবং নির্বাচন (অধ্যায় ১০ এবং ১১) থেকে সংবিধানের উল্লেখিত স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা ও বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ও সংশ্লিষ্ট আইনগুলো সম্পর্কে অবশ্যই জেনে যাবেন। তাছাড়া এই অধ্যায় থেকে অনেক প্রশ্নের উত্তর সাধারণ ধারণা থেকেই লেখা সম্ভব।
● সংবিধান এবং রাষ্ট্রের নির্বাহী, বিচার ও আইন বিভাগ (অধ্যায় ৭ এবং ৮)। বাংলাদেশের সংবিধান এবং উচ্চমাধ্যমিক পৌরনীতি ও সুশাসন (২য় পত্র) বই ভালোভাবে পড়লে এই অধ্যায় দুটিতে ভালো করা সম্ভব। অধ্যায় ৪, ৬ ও ১৪ ভালোভাবে পড়তে পারলে আন্তর্জাতিক বিষয়বলির অনেক বিষয় পড়া হয়ে যায়।
নারীর ক্ষমতায়ন, নারী নীতি ও সংবিধানে নারী ইত্যাদি বিষয়গুলোর ওপর ভালো ধারণা রাখলে অধ্যায় ১৫–এর প্রস্তুতি নেওয়া হয়ে যাবে।
● অধ্যায় ১৬ হলো মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক। লিখিত পরীক্ষার সিলেবাসে মুক্তিযুদ্ধের ওপর ৫০ নম্বর আলাদাভাবে উল্লেখ করা আছে।
● প্রিলিতে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক অনেক কিছুই পড়া হয়েছে। আর সেটা ঠিকমতো গুছিয়ে উপস্থাপন করতে পারলে এই অধ্যায় থেকে ভালো নম্বর পাওয়া সম্ভব। মনে রাখবেন মুক্তিযুদ্ধ এবং সংবিধান অংশ থেকেই ৮০-৯০ নম্বরের প্রশ্ন পরীক্ষায় পাওয়া যায়। এই অংশে ভালো করতে হলে ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ এবং বঙ্গবন্ধুসংশ্লিষ্ট বিষয়ে সঠিক এবং সুস্পষ্ট ধারণা থাকা প্রয়োজন।
● অধ্যায় ১, ২ ও ৩ এর জন্য নবম দশম শ্রেণির ভূগোল ও পরিবেশ এবং অষ্টম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এবং সম্প্রতি বাংলাদেশের ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব বিবেচনায় বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত কলাম ও সংবাদ থেকে প্রস্তুতি নিলে এই অধ্যায়ে ভালো করা সম্ভব।
বেশি নম্বর পেতে অবশ্যই করণীয় বাংলাদেশ বিষয়াবলিতে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো সময়। ৪ ঘণ্টায় অবশ্যই সব প্রশ্নের উত্তর করতে হবে। যেহেতু ২৪০ মিনিটে ২০০ নম্বরের প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে, সেহেতু আপনি প্রতি ১ নম্বরের জন্য মাত্র ১ মিনিট ১০ সেকেন্ড সময় পাবেন। এই সময়ের হিসাব করে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবেন। যেমন: ৫ নম্বরের একটি প্রশ্নের উত্তর ৬ মিনিটের মধ্যে লিখে শেষ করার চেষ্টা করবেন এবং শুধু মূল পয়েন্টগুলোতে ফোকাস করবেন। এর বেশি সময় নিয়ে লিখতে যাবেন না। পরীক্ষায় সময় খেয়াল না করলে পুরো পরীক্ষায় একই ধারা অব্যাহত রাখা এবং সব প্রশ্নের উত্তর করা কঠিন হয়ে যাবে। সব প্রশ্নের উত্তর লিখে আসবেন। প্রথম প্রশ্নের উত্তর থেকেই দ্রুতগতিতে লেখার চেষ্টা করবেন। লেখা খুব সুন্দর হওয়ার প্রয়োজন নেই। বোঝা গেলেই হলো। সম্ভব হলে প্রশ্নের উত্তরগুলো সিরিয়াল করে লিখবেন। প্রতিটি পরীক্ষার আগের রাতে অবশ্যই পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে যাতে পরীক্ষার সময় আপনি সতেজ থাকতে পারেন। একটানা পরীক্ষা হওয়ায় যেকোনো একটি পরীক্ষা আপনার আশানুরূপ নাও হতে পারে বা খারাপ হতে পারে। এর প্রভাব যেন পরবর্তী পরীক্ষায় না পড়ে। সবার জন্য শুভকামনা।
বিচিত্র না হাসলে চলে যাবে চাকরি

সরকারি কার্যালয়ে গেলে প্রয়োজনীয় সেবা না পাওয়ার অভিযোগ অনেকেরই। বিশেষত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা–কর্মচারীর রূঢ় আচরণের শিকার হওয়ার অভিযোগও করেন অনেকে। সরকারের পক্ষ থেকে বারবার বলেও এই সমস্যার সমাধান হচ্ছে না।
এমন পরিস্থিতিতে কঠোর নিয়ম চালু করেছে ফিলিপাইনের একটি শহর কর্তৃপক্ষ। বলা হয়েছে, সাধারণ মানুষকে সেবা দেওয়ার সময় সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারীদের মুখে হাসি ধরে রাখতে হবে। এর ব্যত৵য় হলে গুনতে হবে জরিমানা। এমনকি চাকরিও হারাতে হতে পারে।
ব্যতিক্রমী এই নিয়ম চালু করেছে ফিলিপাইনের লুজন দ্বীপের কুয়েজন প্রদেশের মুলানি শহর কর্তৃপক্ষ। যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত মে মাসে শহরটিতে মেয়র নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। মেয়র হন অ্যারিস্টটল আগুইরে। গত জুনে তিনি দায়িত্ব নেন। আর চলতি মাসে শহর কর্তৃপক্ষ ‘স্মাইল পলিসি’ (হাসি নীতি) চালু করে।
অ্যারিস্টটল আগুইরের এই ‘স্মাইল পলিসি’ মুলানি শহরের সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারীদের জন্য। মেয়র আগুইরে জানান, সরকারি সেবা দেওয়ার সময় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা–কর্মচারীরা মুখ গোমড়া করে রাখেন। এটা মোটেও উচিত নয়। এতে তাঁরা যেমন কাজের আগ্রহ হারান, তেমনি সেবাগ্রহীতারাও অসন্তুষ্ট হন। তাই শহরের সব সরকারি কার্যালয়ের কর্মকর্তা–কর্মচারীদের কাজের সময় মুখে হাসি ধরে রাখতে বলা হয়েছে।
শুধু নির্বাহী আদেশ দিয়েই ক্ষান্ত হননি আগুইরে। এই নিয়ম মানতে কড়া অবস্থান নিয়েছেন তিনি। তিনি জানান, কোনো কর্মকর্তা–কর্মচারী এই নিয়ম ভাঙলে জরিমানা হবে। সর্বোচ্চ ছয় মাসের বেতনের সমপরিমাণ জরিমানা গুনতে হতে পারে। শুধু তাই নয়, নিয়ম ভাঙার অপরাধ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা–কর্মচারী চাকরি হারাতে পারেন।
সমুদ্রঘেঁষা শহর মুলানির নারকেল উৎপাদনকারী ও জেলেদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ, টাউন হলে কর দিতে কিংবা সহায়তা আনতে গেলে কর্মকর্তা–কর্মচারীরা রূঢ় আচরণ করেন।
মেয়র নির্বাচিত হলে এই সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন আগুইরে। এ জন্য শহরটির সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারীদের জন্য সাধারণ মানুষকে সেবা দেওয়ার সময় মুখে হাসি বজায় রাখার নিয়ম চালু করেছেন তিনি। এখন আগুইরের আশা, কর্মচারীরা নিয়মটি পালন করবেন এবং এই নিয়মের আওতায় কাউকে শাস্তি দেওয়ার প্রয়োজন হবে না।
মন্তব্য