এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ

বন্যার কারণে স্থগিত হওয়া এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার রুটিন প্রকাশিত হয়েছে। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে লিখিত পরীক্ষা শুরু হবে। শেষ হবে ১ অক্টোবর। লিখিত পরীক্ষা শেষে ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১০ অক্টোবর থেকে ১৫ অক্টোবরের মধ্যে।
রবিবার (৩১ জুলাই) মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রয়ক ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক এস এম আমিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ রুটিন প্রকাশিত হয়।
এর আগে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ১৯ জুন থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে সিলেট, সুনামগঞ্জসহ কয়েকটি অঞ্চলে ভয়াবহ বন্যা শুরু হওয়ায় ১৭ জুন পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণা আসে। এতে এসএসসি ও সমমানের প্রায় ২০ লাখ ২২ হাজার পরীক্ষার্থী অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে।
প্রকাশিত রুটিনে দেখা গেছে, প্রতিটি পরীক্ষা বেলা ১১টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর ১টা পর্যন্ত চলবে। এ স্তরে বিকেলে কোনো পরীক্ষা আয়োজন করা হবে না। এমসিকিউ পরীক্ষার সময় ২০ মিনিট এবং রচনামূলক পরীক্ষার সময় ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট। পরীক্ষাকেন্দ্রে ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের প্রবেশ করতে হবে।
১৫ সেপ্টেম্বর বাংলা (আবশ্যিক) প্রথমপত্র, সহজ বাংলা প্রথমপত্র, ১৭ সেপ্টেম্বর বাংলা (আব্যশিক) দ্বিতীয়পত্র, সহজ বাংলা দ্বিতীয়পত্র, ১৯ সেপ্টেম্বর ইংরেজি (আবশ্যিক) প্রথমপত্র, পরদিন ২০ সেপ্টেম্বর ইংরেজি (আবশ্যিক) দ্বিতীয়পত্র, ২২ সেপ্টেম্বর গণিত, ২৪ সেপ্টেম্বর পদার্থ বিজ্ঞান (তত্ত্বীয়), বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং, পরদিন গার্হস্থ্য বিজ্ঞান (তত্ত্বীয়)।
কৃষি শিক্ষা, সংগীত, আরবি, সংস্কৃত, পালি, শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া, চারু ও কারুকলা (তত্ত্বীয়), ২৬ সেপ্টেম্বর রসায়ন (তত্ত্বীয়), পৌরনীতি ও নাগরিকতা ও ব্যবসায় উদ্যোগ, পরদিন ২৭ সেপ্টেম্বর ভূগোল ও পরিবেশ, ২৮ সেপ্টেম্বর জীববিজ্ঞান (তত্ত্বীয়) ও অর্থনীতি, ২৯ সেপ্টেম্বর হিসাববিজ্ঞান এবং ১ অক্টোবর উচ্চতর গণিত (তত্ত্বীয়) পরীক্ষার মাধ্যমে এসএসসি পরীক্ষা শেষ করা হবে।
রুটিন দেখতে এখানে ক্লিক করুন...
শোক দিবসের ব্যানারে বঙ্গবন্ধু ছাড়া অন্য কারও ছবি ব্যবহার না করার নির্দেশ

আগামী ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী। এই অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ছবি ছাড়া ব্যানার ও পোস্টারে অন্যকোন ছবি ব্যবহার করা যাবে না বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
শনিবার এ সংক্রান্ত আদেশে বলা হয়, জাতীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস যাথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা আওতাধীন দপ্তর, সংস্থা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পালন করবে।
নির্দেশনায় বলা হয়, জাতীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে পালন করবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর, সংস্থা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। দিবসটি উপলক্ষে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখতে হবে। মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগ ও আওতাধীন অধিদপ্তর, সংস্থা, দপ্তরগুলোর পক্ষে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর রোডের বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে সকাল ৮টায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। এসময় দুই বিভাগের যুগ্ম-সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, দপ্তর ও সংস্থা প্রধানসহ অনধিক পাঁচজন উপস্থিত থাকবেন।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জেলা তথ্য অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করে পোস্টার সংগ্রহ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে প্রচারের ব্যবস্থা করবেন। যাদের এলইডি বোর্ড রয়েছে, তারা এলইডি বোর্ডের মাধ্যমে প্রচারের ব্যবস্থা করবেন।
সব দপ্তর ও সংস্থার কার্যালয়ে এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট অফিসের দৃশ্যমান স্থানে জাতীয় শোক দিবসের ভাবগাম্ভীর্য অক্ষুণ্ন রেখে ব্যানার টাঙাতে হবে। পোস্টার ও ব্যানারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ছাড়া অন্য কোনো ছবি ব্যবহার করা যাবে না। মন্ত্রণালয় থেকে ব্যানারের নমুনা তৈরি করে সব দপ্তর ও সংস্থায় পাঠানো হবে। দপ্তর ও সংস্থা তা অনুসরণ করবে।
রাবির ‘এ’ ইউনিটের ফল সোমবারের মধ্যে

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের কলা অনুষদভুক্ত ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল আগামী সোমবারের (৪ আগস্ট) মধ্যে প্রকাশ করা হবে। ফল তৈরির প্রথম ধাপের কাজ শেষ হয়েছে।
শনিবার (৩০ জুলাই) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ‘এ’ ইউনিটের সমন্বয়ক অধ্যাপক ইলিয়াস হোসেন।
তিনি বলেন, ‘এ’ ইউনিটের ফল তৈরির প্রথম ধাপের কাজ শেষ হয়েছে। তবে নির্ভুল ফলাফল প্রকাশের স্বার্থে সেটি আরও যাচাই-বাছাই চলছে। একটু সময় নিয়ে হলেও আমরা নির্ভুলভাবে ফল প্রকাশ করতে চাই। তবে আশা করা যায়, ৪ আগস্টের মধ্যে ‘এ’ ইউনিটের ফল প্রকাশ করা সম্ভব হবে।
এর আগে গত ২৬ জুলাই রাবির এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এই ইউনিটে মোট আসন দুই হাজার ১৯টি। এবার ‘এ’ ইউনিটে আবেদন জমা পড়েছে ৬৭ হাজার ২৩৭ জন। সেই হিসাবে প্রতি আসনের বিপরীতে লড়বেন ৩২ শিক্ষার্থী।
ইউনিটটিতে ৬০ শতাংশ আসন এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মানবিক বিভাগ থেকে পাস করে আসাদের জন্য নির্ধারিত। বাকি ৪০ শতাংশ আসন এইচএসসিতে বিজ্ঞান ও বাণিজ্য বিভাগে পাস করা শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ করা হবে।
তথ্যপ্রযুক্তিতে ক্যারিয়ারের পথ খুলে দেয় যে প্রশিক্ষণ!

Islamic Development Bank-Bangladesh Islamic Solidarity Education Wakf (IsDB-BISEW) বাংলাদেশ সরকার এবং ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, জেদ্দা, সৌদি আরবের যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়। তথ্যপ্রযুক্তি এবং কারিগরি শিক্ষা খাতে বাংলাদেশের যুবসমাজের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে IsDB-BISEW নিজস্ব অর্থায়নে কর্মমুখী শিক্ষা ও বিভিন্ন প্রকল্প প্রণয়ন, অর্থায়ন এবং বাস্তবায়ন করে থাকে।
IsDB-BISEW পরিচালিত প্রোগ্রামগুলোর মধ্যে আইটি স্কলারশিপ প্রোগ্রাম অন্যতম। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে প্রতিবছর সহস্রাধিক প্রশিক্ষণার্থী সফলতার সঙ্গে প্রশিক্ষণ সমাপ্ত করে সুদক্ষ তথ্যপ্রযুক্তিবিদ হিসেবে আকর্ষণীয় ক্যারিয়ার গড়ে তুলছেন। তাঁরা নিয়োজিত আছেন দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে এবং অনেকেই উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করে দেশের জন্য নিয়ে আসছেন রেমিট্যান্স।
প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করা শতকরা ৯২ শতাংশ শিক্ষার্থী Web Developer, Software Developer, Database Developer, Network Engineer, Visual & Graphics Engineer, CAD Engineer ছাড়াও অন্যান্য আইটি পেশায় কর্মরত আছেন।
উল্লেখ্য, IsDB-BISEW আইটি স্কলারশিপ বাংলাদেশের একমাত্র আনুষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম, যেখানে যেকোনো বিভাগ (বিজ্ঞান, বাণিজ্য বা মানবিক) থেকে স্নাতক ডিগ্রিধারীরা সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে, আন্তর্জাতিক মানের ও পেশাদার আইটি প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের সুযোগ পান। বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার কারণে তথ্যপ্রযুক্তিতে একাডেমিক ডিগ্রি অর্জন করতে না পারলেও আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য তথ্যপ্রযুক্তিতে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ করে দেয় IsDB-BISEW।
আবেদনের যোগ্যতা: স্নাতক/ফাজিল পাস বা মাস্টার্স/কামিলে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এ ছাড়া চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং (শুধু কম্পিউটার/টেলিকমিউনিকেশন/ সিভিল/আর্কিটেকচার/সার্ভে/কন্সট্রাকশন) পাস প্রার্থীরাও আবেদন করতে পারবেন।
সফল কয়েকজনের কথা ‘উন্নত ক্যারিয়ার এবং ভবিষ্যৎ জীবনকে গড়ার জন্য একটি কার্যকর প্রশিক্ষণই যথেষ্ট’ বলছিলেন গ্রামীণফোনে কর্মরত আইটি প্রফেশনাল মো. বাবুল আখতার। তিনি পাবনার একটি সরকারি কলেজ থেকে রসায়নে স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করে IsDB-BISEW আইটি স্কলারশিপ প্রোগ্রামের অধীনে এক বছর মেয়াদি ‘ডেটাবেইস ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট’ কোর্সটি সম্পন্ন করেন। প্রথমে তিনি বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট টিমে চাকরি শুরু করেন এবং পরবর্তী সময়ে লিডস করপোরেশনে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে নিযুক্ত হন। বর্তমানে তিনি গ্রামীণফোনে বিজনেস ইন্টেলিজেন্স ডিপার্টমেন্টের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ হিসেবে কাজ করছেন।
আ ক ম রফিকুল আলম, ছোটবেলা থেকেই কম্পিউটারের বিষয়ে আগ্রহী ছিলেন। কিন্তু পরিবারের আর্থিক সংকটের কারণে এই বিষয়ে পড়াশোনা বা প্রশিক্ষণ নেওয়ার সুযোগ পাননি। রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করার পর তিনি IsDB-BISEW আইটি স্কলারশিপ প্রোগ্রামের ‘Enterprise Systems Analysis & Design with C#.NET’ কোর্সটি সম্পন্ন করেন। বর্তমানে রফিকুল KAZ Software-এ একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করছেন। IsDB-BISEW আইটি স্কলারশিপ প্রোগ্রাম তাঁর ক্যারিয়ার বদলে দিতে সাহায্য করেছে।
আ ক ম খাদেমুল হাসান, ঢাকা কলেজে পদার্থবিদ্যায় (সম্মান) পড়ার সময় তিনি তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি) খাতে তাঁর ক্যারিয়ার পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেন। কারণ তিনি জানতেন, তথ্যপ্রযুক্তি বাংলাদেশের একটি অন্যতম উদীয়মান খাত এবং এখানে যোগ্য ব্যক্তিদের আকর্ষণীয় চাকরির সুযোগ রয়েছে। তিনি IsDB-BISEW আইটি স্কলারশিপ প্রোগ্রামের অধীনে এক বছর মেয়াদি ‘ডেটাবেইস ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট’ কোর্সটি সফলভাবে সম্পন্ন করেন। কোর্সটি শেষ করার ১৫ দিন আগেই খাদেমুল স্পেকট্রাম ইঞ্জিনিয়ারিং কনসোর্টিয়ামে ইন্টার্ন হিসেবে কাজ শুরু করেন এবং মাত্র ছয় মাসের মধ্যেই জুনিয়র ডেটাবেইস অ্যাডমিনিস্ট্রেটর হিসেবে প্রতিষ্ঠানটিতে তাঁর চাকরি নিশ্চিত হয়। খাদেমুল বর্তমানে মধুমতি ব্যাংক লিমিটেডের আইটি ডিপার্টমেন্টে সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার (Database Administrator) হিসেবে কাজ করছেন। তিনি বলেন, ‘আজ আমার এ সাফল্যের জন্য IsDB-BISEW আইটি স্কলারশিপ প্রোগ্রামটি মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে।’
IsDB-BISEW-এর অন্যান্য কার্যক্রম: আইটি স্কলারশিপ প্রোগ্রাম ছাড়াও IsDB-BISEW বাংলাদেশে কারিগরি শিক্ষাভিত্তিক আরও চারটি প্রোগ্রাম চালিয়ে আসছে। এর মধ্যে ২০১২ সাল থেকে শুরু হওয়া ভোকেশনাল ট্রেনিং প্রোগ্রাম অন্যতম। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে মূলত হাইস্কুল বা এসএসসি পরীক্ষার পর ঝরে পড়া ছাত্রদের ইলেকট্রিক্যাল ওয়ার্কস, রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ারকন্ডিশনিং, ওয়েল্ডিং অ্যান্ড ফেব্রিকেশন, মেশিনিস্ট ও ইলেকট্রনিকস—এই ৫টি ট্রেডের যেকোনো একটিতে ছয় মাসের হাতে-কলমে ফ্রি প্রশিক্ষণ (থাকা-খাওয়াসহ) দেওয়া হয়। এখান থেকে যাঁরা সফলভাবে প্রশিক্ষণ শেষ করেছেন, তাঁদের প্রায় শতভাগ বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে যুক্ত আছে।
IsDB-BISEW বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় ৬টি মাদ্রাসা ও ১টি এতিমখানা স্থাপন করেছে এবং মাদ্রাসাসমূহে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে সর্বপ্রথম ২০০৮ সালে দাখিল ভোকেশনাল কোর্স শুরু করে। মাদ্রাসা প্রোগ্রামের আওতায় এ পর্যন্ত প্রায় ৩২ হাজার ২৫০ জন শিক্ষার্থী বিভিন্ন শ্রেণিতে পড়াশোনা করে সুফল ভোগ করেছেন। এর মধ্যে ১ হাজার ৭৩২ জন দাখিল ভোকেশনাল পরীক্ষায় পাস করেছে এবং পাসকৃতদের মধ্যে ২৩১ জন ছাত্রছাত্রী IsDB-BISEW–এর অর্থায়নে, সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে বিভিন্ন বিষয়ে চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং করছেন। IsDB-BISEW–এর এই প্রোগ্রাম মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার পথ খুলে দিয়েছে। IsDB-BISEW কর্তৃক পরিচালিত বিভিন্ন প্রোগ্রামের তথ্য প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইট পাওয়া যাবে।
প্রতিষ্ঠানটির ঠিকানা: IsDB-BISEW, IDB Bhaban (4th Floor), Sher-e-Bangla Nagar, Dhaka-1207, Phone: +88 02 9183006, Email: info@isdb-bisew.org, Web: www.isdb-bisew.org
গুচ্ছের ‘ক’ ইউনিটের পরীক্ষা শুরু

দেশের ২২টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। শনিবার (৩০ জুলাই) বেলা ১২টা থেকে সারাদেশে একযোগে এই পরীক্ষা শুরু হয়।
এর আগে শনিবার সকাল থেকেই ভর্তি পরীক্ষার্থীরা কেন্দ্রে আসতে শুরু করেন। ভর্তিচ্ছুরা সুশৃঙ্খলভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করেন। এ সময় তাদের সবার মুখেই চিন্তার ছাপ দেখা গেছে।
হাবিবুর রহমান নামের এক অভিভাবক বলেন, ঢাকা শহরে যে পরিমাণ যানজট তাতে পর্যাপ্ত সময় হাতে নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজে বের না হলে মিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই আগেভাগেই ছেলেকে নিয়ে পরীক্ষার কেন্দ্রে চলে এসেছি। তবে অত্যাধিক ভ্যাপসা গরমের কারণে পরীক্ষার্থী সহ সবারই খারাপ অবস্থা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে আসা আদিবুল ইসলাম আদর বলেন, ঢাকা শহরের যানজট সমস্যা জন্য পরীক্ষার কেন্দ্রে আগে আগে চলে এসেছি। তাছাড়া আমি আগে কেন্দ্রে আসিনি। তাই সীট খোঁজে পাওয়ার জন্য আগে চলে এসেছি।
নাজনীন নামের এক অভিভাবক বলেন, পরীক্ষা শুরু হওয়ার দুই ঘন্টা আগে পরীক্ষা কেন্দ্রে চলে এসেছি। যাতে যানজটে পড়তে না হয়। মেয়ের জন্য বেশ চিন্তা লাগছে। তার কোথায় চান্স হয় না হয়। সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া করছি।
এদিকে, ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে ভর্তিচ্ছুদের একগুচ্ছ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এসব নির্দেশনা শিক্ষার্থীদের অবশ্যই পালন করতে হবে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, অনলাইনে দেয়া প্রবেশপত্র রঙিন প্রিন্ট করতে হবে। প্রবেশপত্রে প্রার্থীর রঙিন ছবি এবং তথ্য স্পষ্টভাবে মুদ্রিত থাকতে হবে। পরীক্ষার্থীকে অবশ্যই প্রবেশপত্রে উল্লিখিত নির্দিষ্ট কক্ষের নির্ধারিত আসনে পরীক্ষা দিতে হবে। প্রবেশপত্র, উপস্থিতি তালিকা, উত্তরপত্রে অভিন্ন স্বাক্ষর থাকতে হবে। উত্তরপত্রে কালো কালির বল পয়েন্ট কলম ব্যবহার করতে হবে। পেনসিলের ব্যবহার সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ।
এতে আরও বলা হয়, ভর্তি পরীক্ষার সময় প্রার্থীকে প্রবেশপত্র এবং উচ্চমাধ্যমিকের মূল রেজিস্ট্রেশন কার্ড অবশ্যই সঙ্গে আনতে হবে। পরীক্ষার হলে দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক উত্তরপত্র ও প্রবেশপত্রে স্বাক্ষর করবেন। প্রবেশপত্রটি পরবর্তী সময় ব্যবহারের জন্য সংরক্ষণ করতে হবে। ক্যালকুলেটরসহ অন্য যেকোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে পরীক্ষার হলে প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
এদিকে, ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে প্রতিটি কেন্দ্রে মেডিকেল টিম প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারে থাকবে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ।
রাজধানীতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে শিক্ষার্থীরা যেন নির্বিঘ্নে আসতে পারে সেজন্য যানজট নিরসনে ইতিমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রতিটি কেন্দ্রে ওএমআর ও অন্যান্য কাগজপত্র বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।
মন্তব্য