নিজস্ব প্রতিবেদক : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি এটিএম এমদাদুল হক কে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠে। ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষার একটি উপ-কমিটিতে সম্পাদকের বাবার নাম না রাখার জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। রবিবার (১৪ মে) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবন সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এর প্রেক্ষিতে সোমবার (১৫ মে) দুপুরে কর্মকর্তা সমিতির সভাপতির কক্ষে গিয়ে উক্ত ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়েছেন শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিদ হাসান মুকুট। তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে মিটিংয়ে বসেছিলাম এবং এ ঘটনার বিচারের আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে এই মূহুর্তে সাধারণ সম্পাদক জয় আমাদের মিটিংয়ে এসে কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি এটিএম এমদাদুল আলমের নিকট ক্ষমা চাই পরে তাকে ক্ষমা করেন সমিতির সভাপতি এবং এধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে সে ব্যাপারে জয়কে বলা হয়।
এর আগে, গতকাল বিকেলে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি এটিএন এমদাদুল হক। এসময় সেখানে সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিদ হাসান মুকুটসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান শিক্ষার্থ, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও ছিলেন। তার পাশেই বাবা তোবারক হোসেন বাদলের সাথে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় ছিলেন।
এসময় জয় এমদাদের কাছে তার বাবাকে পরীক্ষা কমিটিতে না রাখার কারণ জানতে চান। এসময় এমদাদুল হক বলেন, এটা প্রশাসনের কাজ এর মধ্যে থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যাদের প্রয়োজন মনে করেছে তাদের সিলেক্ট করেছে। এতে আমার কোনো হাত ছিল না। এর জের ধরে ছাত্রলীগ সম্পাদকের সাথে তার বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে জয়ের অনুসারীরা তাকে মারতে উদ্যত হন। ছাত্রলীগ কর্মী শাহিন, হাফিজ, বাঁধনসহ ১০/১৫ জন কর্মী উপস্থিত ছিলেন। এসময় গাড়িতে থাকা অন্য কর্মকর্তারাও এক পর্যায়ে নেমে এসে পরিস্থিতি শান্ত করে।
একপর্যায়ে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সবকিছু ছাত্রলীগের মতই চলবে। আমরা যা বলি তা করতে হবে। এসময় কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি বলেন, সবকিছু এত সস্তা না। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা প্রশাসনের একটা অংশ তারা তাদের রুলস রেগুলেশন অনুযায়ী চলবে। তোমরা ছাত্রলীগ কর তোমরা তোমাদের মতই চলো।