ইউনিস্যাব রাজশাহী বিভাগের ১০ম স্বেচ্ছাসেবী সংগ্রহ সম্পন্ন

সোহানুর রহমান, রাবি : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ইউনাইটেড ন্যাশন্স ইয়ুথ অ্যান্ড স্টুডেন্টন্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউনিস্যাব) রাজশাহী বিভাগের ১০ম স্বেচ্ছাসেবী সংগ্রহের চূড়ান্তপর্ব সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দিনব্যাপী আগ্রহী তরুণ ও ক্রিয়াশীল শিক্ষার্থীদের সরাসরি সাক্ষাৎকার গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
ইউনিস্যাব রাজশাহী বিভাগের ১০ম স্বেচ্ছাসেবী সংগ্রহ ২০২৩-এর প্রাথমিক পর্যায়ে আবেদন করে প্রায় পাঁচ শতাধিক আগ্রহী প্রার্থী। এদের মধ্যে থেকে প্রাথমিক যাচাইকরণ শেষে মেধা, দক্ষতা এবং আগ্রহ ইত্যাদি যাচাই করে স্বেচ্ছাসেবী সংগ্রহ প্রক্রিয়া শেষ করা হয়। এই তরুণরা যাতে ভবিষ্যতে দেশের কল্যাণে জাতিকে নেতৃত্ব দিতে পারে তা বিবেচনা করে যোগ্য স্বেচ্ছাসেবক বাছাই করা হয়।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি হতে সদস্য সংগ্রহ প্রক্রিয়া শুরু হয়। তারপর ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি তারিখ পর্যন্ত অনলাইন এবং অফলাইনে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সচল ছিল। এতে রেজিস্ট্রেশনকৃত শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রাথমিক বাছাইপর্ব শেষে ২৪ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত বাছাইপর্ব অনুষ্ঠিত হয়। মোট তিনটি ধাপে বিভক্ত এই প্রক্রিয়ার; প্রথম পর্বে লিখিত পরীক্ষা, দ্বিতীয় পর্বে ফোকাস গ্রুপ ডিসকাশন এবং সর্বশেষ ভাইভার মাধ্যমে সদস্যদের বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। সারাদিনব্যাপি মোট চৌদ্দটি স্লটে আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের ভাইভা হয়।
জানা যায়, যুবসমাজের গঠনমূলক উন্নয়ন ও নেতৃত্বের বিকাশকে প্রতিপাদ্য রেখে ‘স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রমের মাধ্যমে নেতৃত্বের বিকাশ’ এই স্লোগান নিয়ে ২০১৪ সালে যাত্রা শুরু করে ইউনিস্যাব রাজশাহী বিভাগ।
প্রতিবছর ইউনিস্যাব রাজশাহী বিভাগ ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলন আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। এর পাশাপাশি নানা ব্যক্তিক দক্ষতার উন্নয়নমূলক সেমিনার ও কর্মশালার আয়োজন করে থাকে। করোনার সময়েও ইউনিস্যাব রাজশাহী বিভাগ অসহায়, বন্যায় কবলিত ও অর্থহীন মানুষের জন্য কাজ করে গেছে।
এছাড়াও বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস উদযাপন, শীতকালীন সময়ে শীত বস্ত্র বিতরণ, ঈদ ফর স্ট্রিট চিলড্রেন, প্রজেক্ট হ্যাপি বার্থডে, বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রান্তিকালে বহুবিধ সহায়তা কার্যক্রম, সমাজ সংস্কারসহ বিবিধ কার্যক্রমের মাধ্যমে সামাজিক দায়বদ্ধতা রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা রাখার মাধ্যমে বাংলাদেশের অন্যতম যুব সংগঠন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
পরীক্ষার দাবিতে বিক্ষোভ করেছে ইবি শিক্ষার্থীরা

মোস্তাক মোর্শেদ, ইবিঃ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) আইন অনুষদের অধীন আল ফিকহ্ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের মাস্টার্স প্রথম বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টার পরীক্ষা স্থগিত করায় বিভাগ প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে।
রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মোশাররফ হোসেন ভবনের নিচতলায় পরীক্ষার দাবিতে আন্দোলন করেন প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী। এ বিষয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, করোনা কারণে এমনিতেই আমরা দুই বছর পিছিয়ে গিয়েছি। এই মুহূর্তে আবার পুনরায় পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। ২০১৯ সালের পরীক্ষা আমাদের ২০২৩ সালে দিতে হচ্ছে। আমরা অনতিবিলম্বে পরীক্ষার গ্রহণের জন্য দাবি জানাচ্ছি।
এ প্রসঙ্গে বিভাগের পরীক্ষা কমিটির সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক মোঃ আনোয়ারুল ওহাবের সংঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান এবং প্রতিবেদককে সরাসরি দেখা করতে বলেন।
এ বিষয়ে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. নাসির উদ্দীন বলেন, পরীক্ষা কমিটিকে বসে সিদ্ধান্ত নিতে বললাম। আর দ্রুত পরীক্ষা নিতে বললাম। পরিক্ষা কমিটির সভাপতি বলেছেন ওনি কন্ট্রোলার অফিসে কাগজ পাঠিয়েছেন। তারা যথাযথ ভাবে কাজ করে নি। একবার সাপ্লিমেন্টারী দিতে হবে এবং আর্ডিনেন্স গত সমস্যাও রয়েছে।
নিরাপত্তাজনিত কারণে ক্যাম্পাসে আসেননি ফুলপরী, বয়ান দিলেন অনলাইনেই

মোস্তাক মোর্শেদ, ইবিঃ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আবাসিক হলে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ফুলপরীর সাথে কথা বলেছে শাখা ছাত্রলীগের তদন্ত কমিটির সদস্যরা।
রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারী) বেলা ১২ টার দিকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে তদন্ত কমিটির সদস্যরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এসময় তদন্ত কমিটির সদস্যদের মধ্যে ছিলো মুন্সী কামরুল হাসান অনিক, বনি আমিন ও রাকিবুল ইসলাম। এর আগে ভুক্তভোগী ফুলপরীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ক্যাম্পাসে ডাকা হলেও নিরাপত্তাজনিত কারণে অনলাইনেই তার বয়ান নেয়া হয়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ফুলপরী জানান, ছাত্রলীগের সাথে আমার অনলাইনে কথা হয়েছে। তারা আমাকে ক্যাম্পাসে ডাকেন। কিন্তু বাড়ি থেকে ক্যাম্পাস দূরে হওয়ায় নিরাপত্তার অভাবে আমি সেখানে যেতে পারিনি। তদন্ত রিপোর্টের ব্যাপারে আমার ছাত্রলীগ সহ সকলের প্রতি আস্থা আছে তারা সুষ্ঠু প্রতিবেদন জমা দিবে। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ভাই আমার সাথে কথা বলেছেন এবং সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ দেন।
শাখা ছাত্রলীগের তদন্ত কমিটির সদস্যরা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিকদের জানান, আমরা কথা যা বলার বলেছি আজকেই আমরা আমাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কাছে পাঠাবো ওনারা দ্রুতই এর বিচার করবে। আমাদের সব তদন্তের কাজ কমপ্লিট শুধু তদন্তের রিপোর্টটা তৈরি করে আজকের মধ্যে বা কাল সকালের মধ্যে কেন্দ্রীয় সভাপতি বা সেক্রেটারি কাছে পাঠিয়ে দিবো। আমরা আমাদের শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি বা সেক্রেটারির মাধ্যে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগকে অবহিত করবো যে লিগ্যাল একশন নেওয়ার জন্য। তদন্তে কোনো সত্যতা পাওয়া গিয়েছে কিনা সেটি তদন্তের রিপোর্ট জমা দেওয়ার আগ পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না। আমরা ভুক্তভোগী, অভিযোগকারী এবং অভিযুক্ত যারা যারা আছেন এবং প্রত্যক্ষদোষী যারা ছিলেন, হলের প্রভোস্ট সবার সাথেই কথা বলে সুস্থ তদন্ত করেই রিপোর্ট জমা দিয়েছি। আমরা ফুল পরীর সাথে ১ ঘন্টা কথা বলেছি আর বাকিদের সাথে দুই বা সোয়া দুই ঘন্টা কথা বলেছি।
এ বিষয়ে ইবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহম্মেদ জয় বলেন, এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে কথা বলেছি। আমরা আশা করি আজ তদন্ত কমিটির রিপোর্ট কেন্দ্র জমা দিবো। সংগঠনের যদি কেউ অভিযুক্ত প্রমাণিত হয়, সাথে সাথে আমরা কেন্দ্রের সাথে সমন্বয় করে সর্বোচ্চ শাস্তির জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
বেরোবির নতুন ছাত্র উপদেষ্টা সৈয়দ আনোয়ারুল আজিম

বেরোবি প্রতিনিধি: বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের নতুন পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) হিসেবে ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ারুল আজিমকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলমগীর চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ দায়িত্ব প্রদান করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের কার্যক্রম সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনার নিমিত্তে সৈয়দ আনোয়ারুল আজিমকে পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) দায়িত্ব প্রদান করা হলো।
এ আদেশ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখ হতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
জাবির গ্র্যাজুয়েটদের উচ্ছ্বাস যেন বাঁধভাঙা জোয়ার

উচ্চ মাধ্যমিকের পর কয়েক বছর আগে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে একদিন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন এই শিক্ষার্থীরা । আজ সবাই গ্র্যাজুয়েট। তাদের বিদায় জানাতেই আয়োজন করা হয়েছে স্বপ্নের সমাবর্তন উৎসবের । মাথায় হ্যাট আর গায়ে কালো গাউন জড়িয়ে চলছে গ্র্যাজুয়েটদের সমাবর্তন উদযাপনের আনুষ্ঠানিকতা । গ্র্যাজুয়েটদের পদচারণায় ক্যাম্পাস জুড়ে সাজসাজ রব। এ যেন উৎসবের আমেজ। আর এ অর্জনের আনন্দে উচ্ছ্বসিত প্রায় ষোল হাজার গ্র্যাজুয়েট।
আনুষ্ঠানিক শিক্ষা জীবনের শেষ লগ্নটুকু নিজের মুঠোফোনে ধরে রাখার চেষ্টা সব গ্র্যাজুয়েটদের। স্বপ্নের সেই সমাবর্তনকে আরেকটু স্মৃতিময় করে রাখতে দূরদূরান্ত থেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ক্যাম্পাসে এসেছেন গ্র্যাজুয়েটরা। কেউবা আবার তার প্রেয়সি ও আদরের সন্তানকে সঙ্গে এনেছেন ঐতিহাসিক মুহূর্তটাকে আরো রঙিন করতে। প্রিয় বাবা-মা, সন্তানকে গাউন, টুপি পড়িয়ে ছবি তুলছেন অনেকে। কেউবা উপরে টুপি ছুড়ে নিজেকে করছেন ফ্রেমবন্দি ।
কালো গাউনপরা গ্র্যাজুয়েটরা দলে দলে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ক্যাম্পাসের প্রতিটি চত্বরে চত্বরে । দেখা হচ্ছে নবীন-প্রবীন সকলের সঙ্গে। বন্ধুত্বের টানে সাড়া দিতেই পুরনো ক্লাসরুম, পুরনো হলের বারান্দা, চিরচেনা প্রিয় ক্যাম্পাসে পা রেখেছেন সাবেকরা । আনন্দ-উৎসব, আড্ডায় মেতে উঠছেন গ্র্যাজুয়েটরা। পুরনো দিনের বন্ধু-বান্ধব, সিনিয়র-জুনিয়রদের সঙ্গে খোশগল্পে মেতে উঠছেন তারা।
তারা হরেকরকম পোজে ছবি তুলছেন । উড়ন্ত গ্র্যাজুয়েট, রিকশাওয়ালা গ্র্যাজুয়েট, ভূত গ্র্যাজুয়েট, শ্রমিক গ্র্যাজুয়েট,গাছধরা গ্র্যাজুয়েট, কাপল গ্র্যাজুয়েট, বিবাহিত গ্র্যাজুয়েটসহ বিভিন্ন পোজে ছবি তুলছেন তারা । সমাবর্তন উৎসবে রাষ্ট্রপতি ও গ্র্যাজুয়েটদের বরণ করতে পুরো ক্যাম্পাস সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে । বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শেষ দিন এটি। শেষ দিনটি একদিকে যেমন আনন্দের ঠিক তেমনি বেদনার। ছেড়ে যেতে হবে প্রিয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ । স্কুল আর কলেজ পেরিয়ে উচ্চ শিক্ষার সোপানে পা রাখা শিক্ষার্থীদের আত্ম প্রতিষ্ঠা অর্জনের পরম ঠিকানা হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় আঙিনা । অধ্যয়ন আর জ্ঞান আহরণ শেষে সমাপ্তি ঘটে মধুর এই জীবনের। বর্ণাঢ্য আনুষ্ঠানিকতায় সনদ প্রাপ্তির এই আয়োজনই হলো সমাবর্তন।
সমাবর্তন প্রতিটি গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীর কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুষ্ঠান বটে । জীবনের অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করেন একজন শিক্ষার্থী। এজন্য বিদায়ের মুহূর্তটাকে একটু আনন্দময় করতেই আয়োজন করা হয় সমাবর্তন অনুষ্ঠানের ।
সমাবর্তনকে ঘিরে গ্র্যাজুয়েটদের উচ্ছ্বাস যেন বাঁধভাঙা । আজ শনিবার সমাবর্তনের দিনক্ষণ হলেও আগে থেকেই কালো গাউন,ক্যাপ,টাই সংগ্রহ করে আনন্দে মেতেছেন গ্র্যাজুয়েটরা। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রথম দিন থেকে শেষ পর্যন্ত ক্যাম্পাসের আনাচে কানাচে যত স্মৃতি রয়েছে তা রোমন্থন করছেন বিদায়ী শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাসের সবখানেই যেন তাদের সরব উপস্থিতি।
এই সমাবর্তনের মধ্যে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শেষ করে কর্মজীবনের পথে পা বাড়াবে গ্র্যাজুয়েটরা। আর এই দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জিত জ্ঞানকে ধারন করে দেশ ও মানুষের জন্য কাজ করার প্রত্যয় তাদের ।
একদল গ্র্যাজুয়েট উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে জানান, সমাবর্তন ব্যাপারটা সত্যি আমাদের জন্য অনেক গর্বের এবং অনেক আনন্দের । বেশ মজার সময় পার করছি। জীবনের এই পর্যায়ে এসে মা-বাবা, শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। এতো দিনের অর্জনটা শুধু আমাদের একার না, আমাদের সবার বাবা-মায়ের অর্জন। সেটা ভেবে একদিকে যেমন ভালো লাগছে তেমনি আবার খারাপও লাগছে যে, শেষ হয়ে গেল ছাত্র জীবন।
ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক থেকে শুরু করে সমার্বতনের প্যান্ডেল , অভ্যন্তরীন বিভিন্ন সড়ক যেন গ্র্যাজুয়েটদের দখলে। এদিকে বসন্তের বিভিন্ন ধরনের ফুল শোভা পাচ্ছে গাছে গাছে । মূল ফটক থেকে শহীদ মিনার, প্রশাসনিক ভবন, একাডেমিক ভবনগুলো, আবাসিক হলগুলোতে যেন সাবেক বর্তমান শিক্ষার্থীদের এক মিলনায়তনে পরিণত হয়েছে ।
আজ শনিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ষষ্ঠ সমাবর্তনে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় চ্যান্সেলর জনাব মো. আবদুল হামিদ সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করেন । জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো.নূরুল আলম সমাবর্তনে বক্তব্য রাখেন । সমাবর্তনে বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। সমাবর্তনে প্রায় ১৬ হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন এবং ১৬ জন কৃতি শিক্ষার্থীকে গোল্ড মেডেল প্রদান করা হয়।
সমাবর্তনে একদিকে আছে স্বপ্ন জয়ের আনন্দ অন্যদিকে বাজছে প্রিয় বিদ্যাপিঠ থেকে বিদায়ের সুর। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের মধুর স্মৃতি অমলিন থাকবে সারাজীবন। জীবনের প্রতি বাঁকে হয়ে থাকবে সুখস্মৃতি । এমনটাই প্রত্যাশা বিদায়ী শিক্ষার্থীদের।
লেখক: ইমন ইসলাম, জার্নালিজম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।
মন্তব্য