অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যে সুখবর দিলো ঢাবি

দেশের অন্য সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সুখবর দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকেই অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সীমিত আসনে মাস্টার্স করতে পারবেন ঢাবিতে।
আজ মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের এক সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সীমিত আসনে ঢাবিতে মাস্টার্স করতে পারবেন।
আরও বলা হয়, ঢাবির মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে সীমিত আসনে শিক্ষার্থীরা ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে ভর্তি হতে পারবেন। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়/বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রিপ্রাপ্ত হতে হবে।
আন্তঃএকাডেমিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও জীবনব্যাপী শিক্ষা সুযোগ তৈরি করতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ বিষয়ে বিভাগ/ইনস্টিটিউট প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সিন্ডিকেট সভায় সভাপতিত্ব করেন।
উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক স্তরে অধ্যয়নের জন্য উচ্চমাধ্যমিক উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ভর্তি হয়ে থাকেন। এর আগে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়মিত মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তির সুযোগ ছিল না।
পিএসসি পরীক্ষায় একসঙ্গে উত্তীর্ণ হলেন মা-ছেলে

বয়স কোন কিছুতে বাঁধা হতে পারে না তা আবারো প্রমানিত হলো। ইচ্ছা থাকলেই সব বাধাকে জয় করা যায়, প্রয়োজন শুধু ইচ্ছা শক্তির। এমনটায় হয়েছে ভারতের কেরালার মালাপ্পুরম শহরে। মা-ছেলে একই সাথে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) পরীক্ষায় পাস করে পেইয়েছেন সরকারি চাকরি।
৪২ বছর বয়সী মা আর ২৪ বছরের ছেলে একসাথে পরীক্ষায় পাস করে সরকারি চাকরিতে যোগ দিতে যাচ্ছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
মায়ের নাম বিন্দু (৪২) এবং ছেলের নাম বিবেক (২৪)। তারা দুজনই জানিয়েছেন তাদের সেই দীর্ঘ পথ পাড়ি দেয়ার গল্প। বিবেক বলেন, ‘আমরা মা-ছেলে একসাথে কোচিংয়ে যেতাম। আমার বাবাই সব ব্যবস্থা করে দিতেন। শিক্ষকদের কাছে খুব প্রেরণা পেয়েছি।
তিনি আরো বলেন, আমরা একসাথে পড়ালেখা করেছি, কিন্তু দুজনে যে একসাথেই পাস করব তা ভাবতে পারিনি। আমরা অনেক খুশি।
বিন্দুর ছেলে বিবেক যখন দশম শ্রেণির ছাত্র, তখন তাকে উৎসাহ দিতেই বিন্দু চাকরির পড়ালেখা শুরু করেন। সেই পড়ালেখাই তাকে কেরালার পিএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে আগ্রহী করে তোলে। এর পর দীর্ঘ ৯ বছর ধরে মা-ছেলে একসাথে নেন চাকরির প্রস্তুতি।
পিএসসির ৩৮তম র্যাংকের লোয়ার ডিভিশনাল ক্লার্ক (এলডিসি) পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হয়েছেন বিন্দু, আর ৯২তম র্যাংক নিয়ে লাস্ট গ্রেড সার্ভেন্টস (এলজিএস) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন বিবেক।
এর মধ্যে তিনবারের চেষ্টায় এবারই চূড়ান্তভাবে চাকরির জন্য মনোনীত হয়েছেন মা বিন্দু। বিগত ১০ বছর ধরে একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে শিক্ষকতা করেছেন তিনি।
বিন্দু জানান, তার বন্ধুরা, ছেলে এবং তার কোচিং সেন্টারের প্রশিক্ষকরা সব সময় আমাকে অনুপ্রেরণা এবং সমর্থন দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, একজন পিএসসি পরীক্ষার্থীর কী করা উচিত এবং কী করা উচিত নয়, এখন তার নিখুঁত উদাহরণ মনে হয় নিজেকে।
বিন্দুর ভাষ্যমতে, চেষ্টা সব সময়ই ছিল। কিন্তু আমি যে আসলে একটানা পড়ালেখা করেছি তা কিন্তু নয়। পরীক্ষার ছয় মাস আগে থেকে পড়তে শুরু করি। এরপর টানা পড়লেখা করেছি।
বিন্দু পিএসসির যে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সরকারি চাকরিতে যোগ দিতে যাচ্ছেন, তার বয়সসীমা ৪০ বছর। তবে কিছু ক্ষেত্রে এই বয়সসীমার ব্যতিক্রমও রয়েছে।
তিন বোনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক: গর্বিত বাবা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন আহমদ কবির। তার স্ত্রী নিলুফার বেগম ছিলেন ঢাকা সিটি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক। তাদের তিনমেয়ে, উপমা কবির, শৈলী কবির ও মিত্রা কবির। তিনজনই এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষক। এই পরিবারের প্রায় সকলেই ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে।
শিক্ষক দম্পতির বড় মেয়ে উপমা কবির বলেন, দেশের স্বনামধন্য শিক্ষাবিদদের খুব কাছ থেকে দেখার অভিজ্ঞতা হয়েছে আমার সেই ছেলেবেলায়। তাদের দেখে তাদের মতো হওয়ার একটা আগ্রহ জাগত। তাই হয়তো আমাদের তিন বোনেরই শিক্ষকতায় আসা।
আরেক বোন মিত্রা কবির বলেন, ছোটবেলা থেকেই গণিত বা পদার্থবিজ্ঞানের প্রতি আমার মনোযোগ ছিলো একটু বেশি। মিত্রা কবির ছায়ানটের শিল্পীও ছিলেন। ২০০৪ সালে অনুষ্ঠিত স্টার সার্চ প্রতিযোগিতাতে তিনি পুরস্কারও জিতেছিলেন। তিন বোনের প্রত্যেকেই মেডিকেল বা বুয়েটে পড়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু সেই সুযোগ ছেড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সিদ্ধান্ত নেন তারা।
উপমা কবির বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়টা অনেক বড়, এখানে মনটাও বড় হয়ে যায়। আমার কাছে মনে হয়েছিল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আরও ঔদার্যভরা একটা দৃষ্টিভঙ্গি পাব।’ এর সাথে শৈলী কবির যোগ করলেন, ‘মেডিকেলে ভর্তি হওয়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজাল্ট পাই। কম্পিউটার সায়েন্সে চান্স পেয়েছি দেখে ঢাবিতে চলে আসি। কারণ, আমার মনে হয়েছে এটাই আমার আপন জায়গা।’
একই বিভাগে পড়ালেও তারা অবশ্য একসঙ্গে কাজ করতে পেরেছেন খুবই কম। উচ্চতর শিক্ষার জন্য কেউ না কেউ দেশের বাইরে ছিলেনই।
তবে মিত্রা কবির বললেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নির্বাচনের দিনের এক বিরল ঘটনার কথা। বাবা, তিন বোন এবং দুজনের স্বামী—একসঙ্গে ৬ জন শিক্ষক হিসেবে ভোট দিতে গিয়েছিলেন। দিনটি তাদের জন্য সত্যিই অন্য রকম গর্বের ছিল।
শিক্ষক পরিবারের পরের প্রজন্মও কি একই পথে হাঁটার স্বপ্ন দেখছে? এমন প্রশ্নের জবাবে শৈলী কবির বলেন, ‘শিক্ষক হওয়া সহজ নয়। একটা জাতিকে গড়ে তোলার দায়িত্ব থাকে শিক্ষকতায়। আমি অবশ্যই চাই এমন সম্মানের একটা জায়গা তাঁরা নিজেদের জন্য গড়ে তুলুক, নিজ নিজ যোগ্যতায়।’
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শের-ই- বাংলা আলোচনা সভা

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:আজ সোমবার (৩১ অক্টোবর)শের-ই-বাংলা এ.কে.ফজলুল হকের ১৪৯ তম জন্মদিন উপলক্ষে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরে বাংলা হল টিভি রুমে সন্ধা ৭ টা ৩০ মিনিটে আলোচনা সভা এবং কুইজ প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।
এ সময় ৭ জন শিক্ষার্থীকে পুরষ্কৃত করা হয়। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরে বাংলা হল ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
১৮৭৩ সালের ২৬ শে অক্টোবর শের -ই- বাংলা এ.কে.ফজলুল হক বরিশালের চাখারে জন্মগ্রহণ করেন। শের-ই -বাংলার জন্মদিন উপলক্ষে গত ২৬ শে অক্টোবর, ২০২২ তারিখে তার ছবিতে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড.ছাদেকুল আরেফিন,ট্রেজারার ড.মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া, কলা ও মানবিক অনুষদের ডিন ড. মোঃ মুহসিন উদ্দিন শেরে বাংলা হলের প্রাধ্যক্ষ জনাব আবু জাফর মিয়া ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মী। গত ৩০ অক্টোবর সন্ধা ৭ টায় শেরে বাংলা ফজলুল হকের জীবনীর উপর কুইজ প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয় শেরে বাংলা হলে।
আজকের আলোচনা সভার বিশেষ অতিথি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানবিক অনুষদের ডিন প্রফেসর ড.মোঃ মুহসিন উদ্দিন শের-বাংলার জীবনী বর্ণনা ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আমি মনে করি তোমাদের মাঝেই অনেকে শেরে বাংলা ফজলুল হকের মতো সৎ ও সাহসী নেতা তৈরি হবে,যাদের হাত ধরে আমদের দেশ এগিয়ে যাবে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ছাদেকুল আরেফিন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বর্ণনা করেন এবং মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধু, শেরে বাংলা ফজলুল হক,জাতীয় চার নেতার অবদান বর্ননা করেন।তিনি বলেন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সাম্প্রতিক সময়ে লেখাপড়ায় অনেক এগিয়ে গেছে। চাকরির বাজারেও শিক্ষার্থীরা বেশ ভালো করছে।১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ হলেও তার অনেক আগেই পাকিস্তানের অপশাসকদের বিরুদ্ধে বাঙালিরা অনেক আন্দোলন -সংগ্রাম করে,যার নেতৃত্বে ছিলেন শেরে বাংলা।
শেরে বাংলা হলের প্রাধ্যক্ষ জনাব আবু জাফর মিয়া বলেন, শের- ই- বাংলা এ কে ফজলুল হক বরিশালের গর্ব। তার জীবনী জানা আমাদের সকলের নৈতিক দায়িত্ব।
এ সময় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ নেতা মহিউদ্দিন আহমেদ সিফাতের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এবং বঙ্গবন্ধু ও শের -ই- বাংলা এ কে ফজলুল হকের আদর্শের ছাত্রসমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য প্রাধ্যক্ষ জনাব আবু জাফর মিয়া মহিউদ্দিন আহমেদ সিফাতকে ধন্যবাদ জানান।
শেরে বাংলা হলের প্রাধ্যক্ষ আবু জাফর মিয়ার সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শেরে বাংলা হলের আবাসিক শিক্ষক, সহকারী আবাসিক শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, ছাত্রলীগনেতা মহিউদ্দিন আহমেদ সিফাত,সৈয়দ রুম্মান,শরিফুল ইসলাম নিলয়, রাজু মোল্লাসহ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ।
জবি শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে ৭ দিনই হাফ-পাস সুবিধা পাবে

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এখন থেকে পরিচয়পত্র দেখানোর শর্তে সদরঘাটগামী পাবলিক বাসে আসা যাওয়ায় সপ্তাহের সাত দিনই হাফ ভাড়ার সুবিধা পাবেন। তবে যেসব শিক্ষার্থীর পরিচয়পত্র নেই তারা লাইব্রেরী কার্ড, সফট কপি কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পে স্লিপ দেখিয়েও এই সুবিধা পাবেন। এক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা অনুযায়ী হাফ ভাড়া কার্যকর হবে।
গতকাল রোববার (৩০ অক্টোবর) বিকাল ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং সদরঘাটগামী পরিবহনগুলোর শ্রমিকদের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক লাউঞ্জে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত মতবিনিময় সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
উক্ত সভায় গৃহীত বাকি সিদ্ধান্তগুলো হলো- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বাহাদুর শাহ পরিবহন চলতে পারবে না। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গেইটে যেকোন সময় কোন গাড়ি পার্কিং করা যাবে না।
মন্তব্য