ঢাকা, সোমবার, ১১ আগস্ট ২০২৫ ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২
 
শিরোনাম

এনা ও স্টারলাইন পরিবহনের ১৯০ বাস জব্দের আদেশ

অনলাইন ডেস্ক
৪ মে, ২০২৫ ১৭:৫৫
অনলাইন ডেস্ক
এনা ও স্টারলাইন পরিবহনের ১৯০ বাস জব্দের আদেশ
ছবি: দ্যা রাইজিং ক্যাম্পাস গ্রাফিক্স

ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ এবং তার পরিবারের সদস্য ও তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে নিবন্ধিত ১৯০টি বাস জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (৪ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিব দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

জব্দের আদেশ হওয়া গাড়িগুলো খন্দকার এনায়েত উল্লাহ, তার স্ত্রী নার্গিস সামসাদ, ছেলে রিদওয়ানুল আশিক নিলয়, মেয়ে চামশে জাহান নিশি এবং তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এনা পরিবহন ও স্টারলাইন স্পেশাল লিমিটেডের নাম উল্লেখযোগ্য।

এদিন দুদকের উপ-পরিচালক মো. সাইদুজ্জামান এসব গাড়ি জব্দ চেয়ে আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, অভিযুক্ত খন্দকার এনায়েত উল্লাহর বিরুদ্ধে বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী বাস থেকে দৈনিক ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগ অনুসন্ধানে তিন সদস্যবিশিষ্ট টিম গঠন করা হয়েছে। অভিযোগটি অনুসন্ধানকালে এনায়েত উল্লাহ, তার স্ত্রী নার্গিস সামসাদ, ছেলে রিদওয়ানুল আশিক নিলয়, মেয়ে চামশে জাহান নিশি এবং তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর নামে এসব রেজিস্ট্রেশনভুক্ত যানবাহন বা মোটরযানগুলোর তথ্য পাওয়া যায়। অভিযুক্তরা এসব যানবাহন বা মোটরযানের মালিকানা হস্তান্তর করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন মর্মে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। অভিযোগটি সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে এসব যানবাহন জব্দ করার আদেশ দেওয়া প্রয়োজন।

 

মন্তব্য

চেম্বার আদালতের আদেশে

ইসকন নেতা চিন্ময় দাসের জামিন বাতিল

অনলাইন ডেস্ক
৩০ এপ্রিল, ২০২৫ ১৮:৩৬
অনলাইন ডেস্ক
ইসকন নেতা চিন্ময় দাসের জামিন বাতিল
সাবেক ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী

রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় সাবেক ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেছেন চেম্বার আদালত।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৫টা ৫০ মিনিটে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হকের আদালত এ আদেশ দেন।

এর আগে দুপুরে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি মো. আলী রেজার হাইকোর্ট বেঞ্চ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে জামিনের আদেশ দেন। তার জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। পরে বিকেলে অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড হেলাল আমীন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে জামিন স্থগিতের আবেদন করেন।

আদালতে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্য। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক ও আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া।

মন্তব্য

বিচারপতি খায়রুল হককে গ্রেপ্তারের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৯ এপ্রিল, ২০২৫ ১৫:৫৪
নিজস্ব প্রতিবেদক
বিচারপতি খায়রুল হককে গ্রেপ্তারের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে বিক্ষোভ

সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হককে অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবিতে সুপ্রিম কোর্ট বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম এ বিক্ষোভের আয়োজন করে।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা দেশের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার ধ্বংসের মূল কারিগর সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হককে অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও বিচারের মুখোমুখি করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি দাবি জানান।

আইনজীবী নেতারা বলেন, খায়রুল হকের কঠোর বিচার নিশ্চিত করতে হবে। যেন ভবিষ্যতে তার মতো কোনো বিচারপতি তৈরি না হয়। তার বিচারের দাবিতে প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। এখনও দেশের উচ্চ ও অধস্তন আদালতে যেসব দলবাজ ও ফ্যাসিবাদের দোসর বিচারকরা বহাল আছে উল্লেখ করে তাদের অবিলম্বে অপসারণ করার দাবি জানান তারা।

 

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন- জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, যুগ্ম সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল, ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট শাখার আহ্বায়ক ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট গাজী তৌহিদুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী, অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান খান, অ্যাডভোকেট মো. মাকসুদ উল্লাহ, অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান রায়হান বিশ্বাস, অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম মুকুল প্রমুখ।

এর আগে গত ২৭ এপ্রিল সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হককে অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টসহ সারা দেশের আদালতে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

ফ্ল্যাট থেকে ১৮ লাখ টাকার মালামাল চুরির ঘটনায় রিপন রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৮ এপ্রিল, ২০২৫ ১৬:৫৬
নিজস্ব প্রতিবেদক
ফ্ল্যাট থেকে ১৮ লাখ টাকার মালামাল চুরির ঘটনায় রিপন রিমান্ডে

তালা ভেঙে ফ্ল্যাট থেকে ১৮ লাখ টাকার মালামাল চুরির ঘটনায় রাজধানীর যাত্রবাড়ী থানার মামলায় গ্রেপ্তার মো. জহিরুল ইসলাম রিপনের (৪০) একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজার আদালত এ আদেশ দেন। সোমবার (২৮ এপ্রিল) আদালতে যাত্রাবাড়ী থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখা সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে।

জানা যায়, গত রোববার আসামিকে আদালতে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ। আসামিপক্ষ থেকে রিমান্ডের বিরোধিতা করে জামিন চাওয়া হয়। শুনানি শেষে আদালত একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে, ২০২৫ সালের ২১ এপ্রিল বিউটি আক্তার রীনা বাদী হয়ে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, আসামি মো. জহিরুল ইসলাম রিপন ও আমার ফ্ল্যাটের মালিক মো. আলমগীরের মধ্যে দীর্ঘ দিন আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। এ ঘটনার জের ধরে গত বছরের ২৫ মার্চ আমার (বিউটি) ফ্ল্যাটের মূল দরজার কেচি-গেট কেটে ফেলে রিপনসহ বাকি আসামিরা। সেসময় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় ভয়ে আমি আত্মীয়ের বাসায় বসবাস করতে থাকি। পরবর্তীতে প্রায় এক বছর পর গত ৩ এপ্রিল আমি ফ্লাটে আসি। এরপর দেখতে পাই ফ্লাটের দরজায় আমার লাগানো তালা নেই। অন্য একটি তালা লাগানো।

ফ্ল্যাট থেকে ১৮ লাখ টাকার মালামাল চুরির ঘটনায় রিপন রিমান্ডে
যুগান্তর সম্পাদকের মানহানি মামলায় মুচলেকায় জামিন বাসস এমডির
বাসার দারোয়ানসহ কয়েকজনকে ডেকে জানতে পারি, আসামি রিপনসহ তার সঙ্গের আসামিরা ফ্ল্যাটের তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে ব্ল্যাক কালারের ২ লাখ ২০ হাজার টাকার একটি ডাবল ডোর ফ্রিজ, ৫৫ হাহার টাকার ১টি সাদা রঙের ডিপ ফ্রিজ, ৫৫ হাজার টাকার টিভি, ৮০ হাজার টাকা একটি ক্যামেরা, ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা মূল্যের ২টি কাঠ কালারের সেগুন কাঠের বক্স খাট, আলমারি, আলমারিতে থাকা দেড় লাখ টাকা, ওয়ারড্রপ, সোফাসেট, ডাইনিং টেবিলসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র মিলে মোট ১৮ লাখ ৯১ হাজার ৩৭০ টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে গেছে।

রিপনসহ মোশাররফ হোসেন রায়হান ও শাওন ফ্ল্যাটে থাকা উল্লিখিত এসব মালামাল চুরি করে নিয়ে যায় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। মামলায় এই তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। এদিকে আসামি রিপন এ মামলা ছাড়াও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যায় শেখ হাসিনার সঙ্গে আরও ৪ মামলার আসামি।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

অভিনেত্রী শাওন ও এডিসি নাজমুল সহ ১০ জনের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৩ এপ্রিল, ২০২৫ ১৯:৪২
নিজস্ব প্রতিবেদক
অভিনেত্রী শাওন ও এডিসি নাজমুল সহ ১০ জনের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

সৎ মা নিশি ইসলামের দায়ের করা মামলায় জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও গায়িকা মেহের আফরোজ শাওনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) আদালত সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

একই মামলায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের (সিটিটিসি) সাবেক অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) নাজমুলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। 

এর আগে মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ছানাউল্ল্যাহ মামলাটির শুনানি শেষে তাদের বিরুদ্ধে এ আদেশ দেন।

ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গত ১৩ মার্চ মামলাটি দায়ের করেন নিশি ইসলাম। ওইদিন বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আদালত ১২ জন আসামিকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেন এবং ২২ এপ্রিল শুনানির দিন ধার্য করেন। 

আসামিরা হলেন-ইঞ্জিনিয়ার মো. আলী, মেহের আফরোজ শাওন, তার ভাই মাহিন আফরোজ শিঞ্জন, সেঁজুতি, সাব্বির, সাবেক এডিসি নাজমুল, সুব্রত দাস, মাইনুল হোসেন, সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ, পুলিশ পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া, উপ-পরিদর্শক শাহ আলম এবং মোখলেছুর রহমান মিল্টন।

সোমবার (২২ এপ্রিল) পুলিশ পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া ও উপ-পরিদর্শক শাহ আলম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন এবং আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। বাকি ১০ জন আসামি আদালতে হাজির না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

মামলার বিবরণে বাদী নিশি ইসলাম অভিযোগ করেন, ২০২৪ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ইঞ্জিনিয়ার মো. আলী প্রতারণা করে এবং পূর্বের বিয়ের তথ্য গোপন রেখে তাকে বিয়ে করেন। পরে আলীর পূর্বের স্ত্রী ও সন্তানদের অস্তিত্ব টের পান তিনি। এরপর ২৮ ফ্রেব্রুয়ারি শাওনের বোন শিঞ্জন ও তার স্বামী সাব্বির বাদীর বাড়িতে গিয়ে বিয়ের সম্পর্ক গোপন রাখার হুমকি দেন। এরপর ৪ মার্চ আসামি মো. আলী নিজের অসুস্থতার কথা জানিয়ে বাদীকে গুলশানের বাসায় যাওয়ার জন্য বলেন। তখন তার আগের স্ত্রীকে দেখে আসামির প্রতারণার বিষয়টি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পান। এসময় অন্যান্য আসামিরা তাকে ঘর থেকে বের করে দেন। 

পরদিন আবারও শাওন ও এডিসি নাজমুলসহ অন্য আসামিরা বাদীর বাড়িতে ঢুকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেওয়ার চেষ্টা করেন। স্বাক্ষর দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় শাওন তাকে বেধড়ক মারধর করেন। এতে তিনি অজ্ঞান হয়ে গেলে আসামিরা পালিয়ে যান। এরপর ওই বছরের ২৪ এপ্রিল বাদীকে ডিবির অফিসে ডেকে নেন ডিবি পরিদর্শক শাহ জালাল। সেখানেও শাওনসহ অন্যান্য আসামিরা মারধর করেন। এসময় ডিবি প্রধান হারুন বাড্ডা থানার ওসিকে বাদীর বিরুদ্ধে মামলা নিতে বলেন। পরে মাদক ব্যবসায়ী সাজিয়ে মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

মন্তব্য
সর্বশেষ সংবাদ
    সর্বাধিক পঠিত