ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫ ৪ ভাদ্র ১৪৩২
 
শিরোনাম

রাবির সি ইউনিটের পরীক্ষা শেষ, প্রশ্নপত্র ‘মানসম্মত’

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৫ জুলাই, ২০২২ ১৮:৪৯
নিজস্ব প্রতিবেদক
রাবির সি ইউনিটের পরীক্ষা শেষ, প্রশ্নপত্র ‘মানসম্মত’

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে ২০২১-২২ সেশনের ভর্তিযুদ্ধ। সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া এ পরীক্ষা চলে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত। তবে পরীক্ষায় প্রশ্নের ধরন স্বাভাবিক ছিল বলে কথা জানিয়েছেন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। সোমবার (২৫ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের সি ইউনিটের চার শিফটে পরীক্ষা শেষে এসব কথা জানান তারা।

এবিষয়ে সি ইউনিটের প্রথম শিফটে পরীক্ষার্থী মোশারফ বলেন, সকাল ৯টা থেকে প্রথম শিফটের পরীক্ষা শুর হয়। প্রথমে প্রশ্ন কঠিন হওয়া নিয়ে অনেক চিন্তিত ছিলাম, তবে পরীক্ষা দিতে গিয়ে সেই সমস্যা হয়নি। প্রশ্নে কোন অংশের সহজ- কোন অংশে কঠিন দুটোই ছিল।

দ্বিতীয় শিফটের পরীক্ষার্থী সীঁথি সাহা বলেন, দ্বিতীয় শিফটের কিছু প্রশ্ন কঠিন, কিছু খুবই সহজ ছিল। সবমিলিয়ে মোটামুটি স্বাভাবিক প্রশ্ন হয়েছে বলা যায়। এছাড়াই একাধিক শিক্ষার্থী একই কথা বলছেন।

তৃতীয় শিফটের মিরাজুল বলেন, প্রশ্ন মোটামুটি সহজই হয়েছে। তবে পদার্থ বিজ্ঞান প্রশ্ন একটু কঠিন হয়েছে। আবার জীব ও গনিত অনেকটা সহজ হয়েছে।

একই শিফটে পরীক্ষা দেয়া তামান্না বলেন, গনিত ও রসায়ন প্রশ্ন অনেকটা সহজ ছিল। তবে জীব ও পদার্থ বিজ্ঞান একটু কঠিন ছিল। সব মিলে মানসম্মত প্রশ্নই ছিল।

চতুর্থ শিফটের আব্দুল্লাহ বলেন, এই শিফটে গনিত ও পদার্থ অনেকটা কঠিন ছিল। জীব ও রসায়ন তুলনামূলক কম কঠিন। তাছাড়া সব মিলে ভালো।

একই। শিফটের নাবিল বলেন, গনিতটা একটু কঠিন ছিল। তাছাড়া বাকিগুলো ভালো। আশা করি, ভালো কিছু হবে।

তাছাড়া সি ইউনিটের সব শিফটের প্রায় শিক্ষার্থীর মতামত থেকে জানা গেছে, একটু কঠিন, একটু সহজ এভাবেই বিভিন্ন অংশের প্রশ্নের ধরন ছিল। তবে সব মিলে প্রশ্নে গুনগত মান ভালোই ছিল বলে জানান তারা।

তবে সি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় সাদামাটা মানের প্রশ্নপত্র নিয়ে সমালোচনা করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকে শিক্ষার্থী বলছেন, ভর্তি পরীক্ষার ফরমে বেশি টাকা নিলেও প্রশ্নপত্র হয় সাদামাটা। ক্ষুদ্র অক্ষরে লেখা থাকে প্রশ্ন। অন্যদিকে প্রশ্নপত্রের উপর নেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ও লোগো। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার এমন প্রশ্নপত্র হওয়ায় সমালোচনা করেছেন তারা।

এবিষয়ে বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক শাহেদ জামান বলেন, প্রশ্নের মানসম্মত ধরন ঠিক রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয়েছে। তাছাড়া প্রতিবারের মতো এবারো প্রশ্নপত্র করা হয়েছে। কোন বারই প্রশ্নে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম কিংবা লোগো থাকে না। তাছাড়া সব অংশ মিলে চার পৃষ্ঠার প্রশ্নপত্র হয়েছে। লেখার ফ্রন্ট আর একটু বড় করলে আরো বেশি পৃষ্ঠা দরকার হতো বলে জানান এ ডীন।

২০২১-২২ সেশনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আজ শেষ হয়েছে। এ ইউিটের ভর্তি পরীক্ষা ২৬ জুলাই এবং বি ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা হবে ২৭ জুলাই।

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    পরীক্ষামূলক চালু হচ্ছে দুই বছরের প্রাক্‌-প্রাথমিক শিক্ষা, ভর্তি চার পেরোলেই

    নিজস্ব প্রতিবেদক
    ২৫ জুলাই, ২০২২ ১২:৭
    নিজস্ব প্রতিবেদক
    পরীক্ষামূলক চালু হচ্ছে দুই বছরের প্রাক্‌-প্রাথমিক শিক্ষা, ভর্তি চার পেরোলেই

    দেশের প্রাক্‌-প্রাথমিক শিক্ষা দুই বছর মেয়াদি করার সিদ্ধান্ত অবশেষে বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। এ জন্য এই স্তরের নতুন শিক্ষাক্রমের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম সমন্বয় কমিটি (এনসিসিসি)। আগামী বছর প্রাথমিক স্তরের ৩ হাজার ২১৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরীক্ষামূলকভাবে দুই বছর মেয়াদি প্রাক্‌-প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম চালু হবে। এরপর ২০২৪ সালে তা সারা দেশের সব প্রাথমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চালুর পরিকল্পনা আছে।

    জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) এক সদস্য এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এক পরিচালক প্রথম আলোকে এসব তথ্য জানান। বর্তমানে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোয় পাঁচ বছরের বেশি বয়সী শিশুরা এক বছর মেয়াদি প্রাক্‌-প্রাথমিক স্তরে পড়াশোনা করে প্রথম শ্রেণিতে যায়। দুই বছরের শিক্ষাক্রম বাস্তবায়িত হলে শিশুর বয়স চার বছরের বেশি হলেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাবে এবং ছয় বছর বয়স পর্যন্ত প্রাক্‌-প্রাথমিক স্তরে পড়বে।

    প্রাথমিক শিক্ষা প্রশাসন ও এনসিটিবি সূত্র জানায়, ২০২০ সালেই প্রাক্‌-প্রাথমিক শিক্ষাকে দুই বছর মেয়াদি করার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছিল। তখন প্রাথমিক শিক্ষা প্রশাসন থেকে বলা হয়েছিল, প্রথম দফায় ২০২১ সালে আড়াই হাজারের মতো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ব্যবস্থা চালু হবে। পরে সুযোগ-সুবিধা বাড়িয়ে তিন থেকে চার বছরের মধ্যে পর্যায়ক্রমে সব বিদ্যালয়ে তা চালু হবে।

    এনসিটিবির সদস্য (শিক্ষাক্রম) এ কে এম রিয়াজুল হাসান বলেন, চার বছরের বেশি বয়সী শিশুদের জন্য প্রাক্‌-প্রাথমিক শিক্ষাক্রম গত মাসে এনসিসিসির সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এখন এর আলোকে শিখনসামগ্রী তৈরি করা হবে। জানা গেছে, গত ২২ জুন অনুষ্ঠিত ওই সভায় সিদ্ধান্ত হয়, পরীক্ষামূলকভাবে চালুর পর এ শিক্ষাক্রম পুনঃপর্যালোচনা করা হবে।

    প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের করা ২০২১ সালের বার্ষিক প্রাথমিক বিদ্যালয় শুমারির তথ্য বলছে, দেশে সরকারি-বেসরকারি সংস্থা পরিচালিত বিদ্যালয়, কিন্ডারগার্টেনসহ সব মিলিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে ১ লাখ ৩৩ হাজার ২টি। এর মধ্যে কিন্ডারগার্টেনগুলোয় কম বয়সী শিশুদের ভর্তি করা হয়। তবে ৬৫ হাজারের বেশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঁচ বছরের বেশি বয়সী শিশুদের এক বছর মেয়াদি প্রাক্‌-প্রাথমিকে এবং ছয় বছরের বেশি বয়সী শিশুদের প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি করা হয়।

    দুই বছরের প্রাক্‌-প্রাথমিক শিক্ষা প্রসঙ্গে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধূরী বলেন, ‘এটি আগেই হওয়া উচিত ছিল। তবে দেরিতে হলেও হচ্ছে, এ জন্য সাধুবাদ জানাই। কিন্তু এটি যেন কেবল অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং পরীক্ষানির্ভর ও পুথিগত শিক্ষার বিষয় না হয়।’

    নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে পিছিয়ে প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে বড় রকমের পরিবর্তন এনে প্রাক্‌-প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত যে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে, তাতে এখনো পিছিয়ে আছে প্রাথমিক শিক্ষা প্রশাসন। মাধ্যমিক স্তরের ষষ্ঠ শ্রেণিতে গত ফেব্রুয়ারিতে নতুন শিক্ষাক্রম পরীক্ষামূলকভাবে বাস্তবায়ন শুরু হলেও প্রাথমিকে এখনো তা শুরু হয়নি।

    এনসিটিবির সূত্রমতে, আগামী আগস্টের শেষ দিকে কিংবা সেপ্টেম্বরে প্রথম শ্রেণিতে ৬৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ শিক্ষাক্রম পরীক্ষামূলকভাবে চালু হতে পারে। তবে প্রশ্ন উঠেছে, বছরের আট মাস চলে যাওয়ার পর তা চালু হলে সেটি শিক্ষার্থীদের জন্য কতটা ফলপ্রসূ হবে। এ ছাড়া এখন প্রথম শ্রেণিতে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা পুরোনো শিক্ষাক্রমের বই পড়ছে। এ অবস্থায় শিক্ষাবর্ষের আট মাসের মাথায় নতুন শিক্ষাক্রমে পড়াশোনা করলে সেটি তাদের ওপর চাপ বাড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    অবশ্য এ কে এম রিয়াজুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, পরীক্ষামূলকভাবে চালু হলেও পুরো বইয়ের বিষয়বস্তু শিক্ষার্থীদের পড়ানো হবে না। শিক্ষাবর্ষের শেষের চার মাসের উপযোগী বিষয়বস্তু পড়ানো হবে। এ ছাড়া প্রথম শ্রেণিতে প্রথম আট মাসের বিষয়বস্তুর সঙ্গে শেষের চার মাসের বিষয়বস্তুর অনেক মিল আছে। এখানে পড়ানোর ধরন ও মূল্যায়নে পরিবর্তন হবে। সেটি করবেন শিক্ষক। এ কারণে অসুবিধা হবে না।

    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      ‘সি’ ইউনিট দিয়ে রাবির ভর্তিযুদ্ধ শুরু

      নিজস্ব প্রতিবেদক
      ২৫ জুলাই, ২০২২ ১১:৪৭
      নিজস্ব প্রতিবেদক
      ‘সি’ ইউনিট দিয়ে রাবির ভর্তিযুদ্ধ শুরু

      রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের বিজ্ঞান বিভাগের ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। আজ সোমবার (২৫ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে এক ঘণ্টা চলবে এ পরীক্ষা।

      চার শিফটের ভর্তি পরীক্ষা শেষ হবে বিকাল ৫টায়। তবে এ বছর ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শন করতে যাবে না বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

      ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার মধ্য দিয়েই শুরু হচ্ছে এবারের ভর্তিযুদ্ধ। এ বছর ইউনিটটিতে এক হাজার ৫৯৪টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ৬৭ হাজার ২৩৭ জন ভর্তিচ্ছু৷ সেই হিসেবে প্রতিটি আসনের বিপরীতে লড়বে ৪২ জন ভর্তিচ্ছু।

      গত বছরের মতো এবারও ‘সি’ ইউনিটে ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষায় ৮০ নম্বরের এমসিকিউ নেওয়া হবে। থাকবে না কোনো লিখিত পরীক্ষা। ৮০ টি এমসিকিউ পরীক্ষার জন্য সময় থাকবে এক ঘণ্টা। এ পরীক্ষায় প্রাপ্ত ফলাফলের সঙ্গে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমানের ফলাফলের (জিপিএ) ওপর কোনো নম্বর যোগ করে হবে না।

      মঙ্গলবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কলা অনুষদভুক্ত ‘এ’ ইউনিট ও ২৭ জুলাই ব্যবসায় বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে শেষ হবে রাবির ভর্তি পরীক্ষা।

      এবার প্রত্যেক ইউনিটে চারটি শিফটে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি পরীক্ষায় বিশেষ কোটাসহ আসন সংখ্যা চার হাজার ৬৪১টি। এ আসনের বিপরীতে এক লাখ ৭৮ হাজার ২৬৮টি চূড়ান্ত আবেদন জমা হয়েছে। এর মধ্যে ‘এ’ ইউনিটে ৬৭ হাজার ২৩৭টি, ‘বি’ ইউনিটে ৩৮ হাজার ৬২১টি এবং ‘সি’ ইউনিটে ৭২ হাজার ৪১০টি চূড়ান্ত আবেদন সম্পন্ন হয়। এবার একক আবেদনকারীর সংখ্যা এক লাখ ৫০ হাজার ৪২৯ জন।

      প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য

        প্যানেল নিয়োগ: শিক্ষামন্ত্রীর সাথে আলোচনা করবে এনটিআরসিএ

        নিজস্ব প্রতিবেদক
        ২৪ জুলাই, ২০২২ ১২:০
        নিজস্ব প্রতিবেদক
        প্যানেল নিয়োগ: শিক্ষামন্ত্রীর সাথে আলোচনা করবে এনটিআরসিএ

        বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্যানেলের মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে গত ৫০ দিন ধরে শাহবাগে অনশন করছেন নিবন্ধনধারীরা। চাকরিপ্রার্থীদের এই দাবি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সাথে আলোচনা করবে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)।

        সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্যানেলের দাবিতে আন্দোলনকারীদের তিনদফা দাবি সম্পর্তে জেনেছে এনটিআরসিএ। সংস্থাটির নিয়োগ পরিপত্রে প্যানেলের মাধ্যমে নিয়োগের কথা উল্লেখ না থাকায় এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না এনটিআরসিএ। মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে চাকরিপ্রার্থীদের দাবি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সাথে আলোচনা করতে চায় এনটিআরসিএ।

        এনটিআরসিএ বলছে, গত ৫০ দিন ধরে বিভিন্ন নিবন্ধনের সনদধারীরা শাহবাগে অনশন করছে। বিষয়টি তাদের নাড়া দিয়েছে। সেজন্য প্যানেলের বিষয়টি নিয়ে তারা শিক্ষামন্ত্রীর সাথে আলোচনায় বসতে চান। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পেলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

        নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনটিআরসিএ’র এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা রবিবার (২৪ জুলাই) সকালে বলেন, প্যানেলের দাবিতে আন্দোলনরতদের দাবির বিষয়টি বিভিন্ন ভাবে আমরা জেনেছি। এ বিষয়ে আমরা শিক্ষামন্ত্রীর সাথে আলোচনা করব।

        প্যানেল নিয়োগের সুযোগ আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, আমাদের নিয়োগের পরিপত্রে প্যানেল করে নিয়োগের বিষয়ে কিছু বলা নেই। মন্ত্রণালয় থেকে কোনো নির্দেশনা না আসলে এ বিষয়ে আমাদের কিছু করার থাকবে না।

        প্রাসঙ্গিক
          মন্তব্য

          বিদেশ সফরে যাবেন ৪২ কর্মকর্তা

          নিজস্ব প্রতিবেদক
          ২৪ জুলাই, ২০২২ ১১:৫৪
          নিজস্ব প্রতিবেদক
          বিদেশ সফরে যাবেন ৪২ কর্মকর্তা

          বিদেশ সফরে বাড়ানো হচ্ছে চিকিৎসক, নার্স ও প্রকল্পসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের তালিকা। মূল অনুমোদিত প্রকল্পে ৩২ জনের ব্যবস্থা থাকলেও প্রথম সংশোধনীতে ১০ জন বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ৪২ জনে। এতে বাড়ছে খরচও। প্রথমদিকে ধরা হয়েছিল ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এখন ৪৫ লাখ টাকা বাড়িয়ে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২ কোটি ২৫ লাখ টাকা। সেই সঙ্গে অনেক ক্ষেত্রে আসে অতিরিক্ত ব্যয় প্রস্তাবও। ‘সরকারি কর্মচারী হাসপাতালকে ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে উন্নীতকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পে এমন প্রস্তাব করা হয়েছে। এদিকে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে বিরাজ করছে ধীরগতি। প্রকল্পের প্রথম সংশোধনী প্রস্তাব নিয়ে সোমবার অনুষ্ঠিত হবে প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা। ওই সভায় নানা বিষয় নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে যাচ্ছেন প্রকল্প কর্মকর্তারা। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।

          এ প্রসঙ্গে কথা হয় পিইসি সভার সভাপতি পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) মামুন-আল-রশীদের সঙ্গে। শনিবার তিনি বলেন, বৈঠকে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়েই দেখা হবে। কি কারণে তারা বিদেশ প্রশিক্ষণের ব্যয় ও সংখ্যা বাড়িয়েছে। অযাচিত কোনো ব্যয় অনুমোদন দেওয়া হবে না। অন্যান্য ব্যয়ের ক্ষেত্রেও পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করে দেখা হবে। প্রকল্পসংশ্লিষ্টদের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হবে। রেট শিডিউল ও সমজাতীয় প্রকল্পের চেয়ে যদি বেশি ব্যয় ধরা হয় এর কারণ জানতে চাওয়া হবে।

          সূত্র জানায়, মূল প্রকল্প অনুমোদনের সময় সংশ্লিষ্টদের বৈদেশিক প্রশিক্ষণ বা শিক্ষা সফরের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছিল ৮০ লাখ টাকা। এক্ষেত্রে অংশগ্রহণকারীর কথা বলা হয়েছিল ১০ জন। এখন প্রথম সংশোধনীতে এসে এই সংখ্যা বাড়িয়ে ১৫ জন এবং ব্যয় বাড়িয়ে করা হয়েছে ৯৬ লাখ টাকা। এছাড়া চিকিৎসক ও নার্সদের বিদেশে প্রফেশনাল ট্রেনিং ও মেডিকেল যন্ত্রপাতি পরিচালনাবিষয়ক বৈদেশিক প্রশিক্ষণ বা শিক্ষা সফরের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এক্ষেত্রে মূল প্রকল্পে বরাদ্দ রাখা হয় ১ কোটি টাকা। অংশগ্রহণকারী ধরা হয়েছিল ২২ জন। কিন্তু এখন এই সফরে ৫ জন বাড়িয়ে করা হয়েছে ২৭ জন এবং ব্যয় বেড়ে হয়েছে ১ কোটি ২৯ লাখ টাকা। এ বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে পিইসি সভায় প্রশ্নের মুখোমুখি হবে সংশ্লিষ্টরা।

          এছাড়া প্রকল্পটি ঢাকায় বাস্তবায়ন হচ্ছে এবং প্রকল্প অফিসও ঢাকায় সেক্ষেত্রে ভ্রমণ ব্যয় হিসাবে ৫ লাখ টাকা প্রস্তাবের যৌক্তিকতা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হবে সভায়। প্রকল্পটির আরও যেসব ব্যয় নিয়ে প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে সেগুলো হলো-নতুন অঙ্গ হিসাবে বিভাগ ও জেলা পর্যায়ে ৮ দিনব্যাপী সেমিনার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। প্রতিটির ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা করে। অংশগ্রহণকারী ৪৫ জন উল্লেখ করা হয়েছে। দেশব্যাপী এ সেমিনারের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হবে। নতুন অঙ্গ হিসাবে কম্পিউটার মেরামত ও সংরক্ষণ বাবদ ৪ লাখ টাকা, যন্ত্রপাতি মেরামতের জন্য ৫ লাখ টাকার প্রস্তাব রয়েছে। এক্ষেত্রে নতুন ৬টি কম্পিউটার মেরামতের প্রয়েজনীয়তা জানতে চাওয়া হবে। নতুন অঙ্গ হিসাবে ২টি গাড়ি ভাড়া বাবদ ২ বছরে ৭৫ লাখ টাকার প্রস্তাব আছে। এতে মাসিক ভাড়া বাবদ ১ লাখ ৫৬ হাজার টাকার প্রয়োজনীয়তা জানতে চাওয়া হবে। এ ব্যয় যৌক্তিক পর্যায়ে কমানো উচিত বলে মনে করছে পরিকল্পনা কমিশন। প্রতিটি টেলিফোন সেটের দাম ধরা হয়েছে ৪৫ হাজার টাকা এবং স্ক্যানার ১৫ হাজার টাকা করে যা অধিক বলে প্রতীয়মান হয়েছে।

          প্রকল্প প্রস্তাবে বেশকিছু ব্যয় অর্থ বিভাগের পরিপত্রে নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি ধরা হয়েছে। এগুলো হলো-মাইক্রোবাস ক্রয়ে পরিপত্রে আছে ৪০ লাখ টাকা, কিন্তু প্রকল্পের সংশোধিত প্রস্তাবে ধরা হয়েছে ৭৫ লাখ টাকা। অ্যাম্বুলেন্স পরিপত্রে ৪৪ লাখ টাকা, প্রস্তাব করা হয়েছে ৭০ লাখ টাকা। ডাবল কেবিন পিকআপ পরিপত্রে ৪৬ লাখ টাকা, প্রস্তাব করা হয়েছে ৬০ লাখ টাকা। আরও বিভিন্ন ক্ষেত্রে পিডব্লিউডির রেট শিডিউল ২০১৮ এবং সমজাতীয় অন্য প্রকল্পের চেয়ে বেশি ব্যয় ধরা হয়েছে।

          সূত্র জানায়, ‘সরকারি কর্মচারী হাসপাতালকে ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে উন্নীতকরণ’ প্রকল্পটির মূল ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩৭৯ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। এখন প্রথম সংশোধনীতে এসে ৪৯ কোটি টাকা বাড়িয়ে মোট ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছে ৪২৯ কোটি টাকা। এক্ষেত্রে ব্যয় বাড়ছে ১২ দশমিক ৯১ শতাংশ। এদিকে মূল অনুমোদনের সময় ২০১৯ সালের মার্চ থেকে ২০২১ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়নের লক্ষ্য ছিল। পরে ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়া মেয়াদ দুই বছর বাড়িয়ে করা হয় ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত। এখন প্রথম সংশোধনীতে এক বছর বাড়িয়ে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। শুরু থেকে গত বছরের জুন পর্যন্ত প্রকল্পটির ক্রমপুঞ্জিত ব্যয় হয়েছে ৩৮ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। আর্থিক অগ্রগতি দাঁড়িয়েছে মাত্র ৯ শতাংশ। এছাড়া বাস্তব অগ্রগতি হয়েছে ২৪ শতাংশ। রাজধানীর দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ফুলবাড়িয়ায় প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে।

          প্রাসঙ্গিক
            মন্তব্য
            সর্বশেষ সংবাদ
              সর্বাধিক পঠিত