ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫ ৪ ভাদ্র ১৪৩২
 
শিরোনাম

শিক্ষামন্ত্রীকে এবার হেলিকপ্টারে সিলেটে যাওয়ার আহ্বান আনু মুহাম্মদের

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৪ জানুয়ারি, ২০২২ ২১:৫৯
নিজস্ব প্রতিবেদক
শিক্ষামন্ত্রীকে এবার হেলিকপ্টারে সিলেটে যাওয়ার আহ্বান আনু মুহাম্মদের

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হেলিকপ্টারে সেখানে যেতে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির প্রতি আহ্বান জানালেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। তিনি বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসার বিষয়টি ঝুলিয়ে রেখেছেন। আমরা যে সময়ে রাজধানীর এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যানজটের কারণে যেতে পারব না, মন্ত্রীর সুযোগ রয়েছে তার চেয়ে কম সময়ে প্রয়োজনে হেলিকপ্টারে করে সিলেটে যাওয়ার।’

আজ সোমবার সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন করেন বিভিন্ন সরকারি–বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। দুপুর ১২টায় শুরু হয়ে বেলা ৩টা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে কর্মসূচিটি পালন করা হয়। কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ এসব কথা বলেন।

এর আগে গতকাল রোববার শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনিকে ডাবল মাস্ক পরে সিলেটে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন সাংসদ কাজী ফিরোজ রশীদ।

অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, সিলেটে গিয়ে কথা বলা নিয়ে দীর্ঘসূত্রতায় সরকারের আরেকটি উদ্দেশ্য, শিক্ষার্থীরা যেন ক্লান্ত হয়ে পড়েন। আর তাঁরা অধৈর্য হয়ে কোনো কিছু করে বসলে, তা কেন্দ্র করে সরকার তাঁদের দমন করবে। কিন্তু সরকার তরুণদের চেনে না।

আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘শাহজালালের উপাচার্যের পদত্যাগের বিষয়ে অন্যান্য উপাচার্য পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যদি বিষয়টি সঠিক হয়ে থাকে, তাহলে সেটি আমাদের জন্য ভালো খবর। সরকারের উচিত হবে, উপাচার্যেরা পদত্যাগ করার পরপর একটি তদন্ত কমিটি করা। তদন্তের মাধ্যমে তাঁরা কী করেছেন, তা জনগণের সামনে তুলে ধরতে হবে।’

আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘আমরা এসেছি শিক্ষকসমাজকে বড় কলঙ্ক থেকে বাঁচাতে। ব্যক্তিস্বার্থ রক্ষায় সিলেটে যে ঘটনা ঘটেছে, তা এখন গোটা শিক্ষকসমাজের সম্মান রক্ষায় চ্যালেঞ্জ হয়ে পড়েছে। এর মূল কারণ, কীভাবে উপাচার্য নিয়োগ হচ্ছে, তা আমরা সবাই জানি।’ তিনি বলেন, যাঁরা সরকারের প্রতি আনুগত্য দেখাতে পারবেন, তাঁদের যোগ্যতা তত বেশি। সরকারের স্থানীয় প্রতিনিধি হিসেবে ছাত্রসংগঠনের পৃষ্ঠপোষকতা করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়া এখন উপাচার্যের কাজ।

অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, এসব উপাচার্যের পড়াশোনা, পরীক্ষা নেওয়া, খাতা দেখা, গবেষণা—কোনো কিছুতে সময় নেই। কিন্তু সারা দিন বিভিন্ন দপ্তরে দপ্তরে গিয়ে ঘোরাঘুরি করতে করতে যখন মেরুদণ্ড বিলুপ্ত হয়, তারপর তাঁরা উপাচার্য হচ্ছেন। আশঙ্কার বিষয় হচ্ছে, দেশে ৫০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন দুই শতাধিক ব্যক্তি রয়েছেন।

আনু মুহাম্মদ বলেছেন, সিলেটে সাধারণ ছাত্রীদের যৌক্তিক আন্দোলন ছিল, তাঁরা হলে ভালো খাবার পাচ্ছেন না। বিষয়টি উপস্থাপন করা হলে প্রশাসনের খুশি হওয়া উচিত ছিল যে শিক্ষার্থীরা এসব বিষয় তুলে ধরেছেন। কিন্তু প্রশাসন তাঁদের পুলিশ দ্বারা নির্যাতন করেছে। একটা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যকে ঘেরাও সাধারণ বিষয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ অভিভাবক তিনি। তাঁর কাছেই তো দাবি জানানো হবে। কিন্তু তাঁদের নির্যাতন করা মানায় না।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সাঈদ ফেরদৌস বলেন, ‘নতজানু হওয়ার প্রবণতা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। সিলেটের শিক্ষার্থীরা স্ফুলিঙ্গের মতো জ্বলে উঠেছেন। তাঁদের পেছনে মানুষের নৈতিক সমর্থন রয়েছে। আমাদের প্রয়োজন রয়েছে তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সামিনা লুৎফা বলেন, উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের এখনই পদত্যাগ করা উচিত। তিনি এই পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন।

কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের তানজিম উদ্দিন, নৃবিজ্ঞান বিভাগের জোবাইদা নাসরিন, অর্থনীতি বিভাগের রুশাদ ফরিদি, ইংরেজি বিভাগের তাসনীম সিরাজ মাহবুব, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের কাজলী সেহরীন প্রমুখ। অনশন কর্মসূচিতে আলোচনা অংশের সঞ্চালনা করেন অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন বিভাগের শিক্ষক মোশাহিদা সুলতানা।

কর্মসূচির আয়োজন করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক। এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাবেক সহসভাপতি নুরুল হকের নেতৃত্বে তাঁর সংগঠন গণ অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে বেলা দুইটার দিকে বাংলাদেশ ছাত্র জোট, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সমন্বয়ে প্রগতিশীল ছাত্র জোট ব্যানারে একটি বিক্ষোভ মিছিল এসে কর্মসূচিতে সংহতি জানায়। সংগঠনগুলোর পক্ষে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন একটি লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান।

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    সচিবালয়ে পাস বন্ধ, গেটে দর্শনার্থীরা

    নিজস্ব প্রতিবেদক
    ২৪ জানুয়ারি, ২০২২ ১৫:১৪
    নিজস্ব প্রতিবেদক
    সচিবালয়ে পাস বন্ধ, গেটে দর্শনার্থীরা

    করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সচিবালয়ে দর্শনার্থী প্রবেশ বন্ধ রাখা রয়েছে। সোমবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে।

    সচিবালয়ের মূল ফটকে দেখা গেছে, সচিবালয়ে এক ও দুই নম্বর গেটের মধ্যবর্তী দর্শনার্থী প্রবেশের স্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বসে আছেন। সচিবালয়ে অফিস নেই এমন কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না অভ্যর্থনা কক্ষের বিভিন্ন স্থানে। পাশেই লেখা, ‘কোভিড-১৯ এর প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সচিবালয়ে প্রবেশের সব ধরনের পাস বন্ধ। আদেশক্রমে কর্তৃপক্ষ’।

    সরকারি নির্দেশনার কথা না জেনেই অনেক দর্শনার্থী এসেছেন। তাদের সচিবালয়ের আশপাশে ঘুরতে দেখা গেছে।

    বোরহান কবির হোসেন নামের এসেছেন উত্তরা থেকে। তিনি বলেন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে যাওয়ার জন্য এসেছিলাম। এসে শুনি পাস বন্ধ। তাই চলে যাচ্ছি।

    গেটে দায়িত্ব পালনরত একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, সোমবার সকাল থেকে কোনো দর্শনার্থীকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। তবে আজকে যাদের করোনার টিকা দেওয়ার ডেট আছে, এসএমএস দেখে তাদের আগের প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে।

    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশ করতে দেবে না শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা

      নিজস্ব প্রতিবেদক
      ২৪ জানুয়ারি, ২০২২ ১৫:১০
      নিজস্ব প্রতিবেদক
      ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশ করতে দেবে না শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা

      বহিরাগতদের ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেবে না সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। কাউকে ক্যাম্পাসে ঢুকতে হলে অবশ্যই পরিচয়পত্র প্রদর্শন করতে হবে।

      সোমবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে এই ঘোষণা দেন শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা।

      শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের আন্দোলন অহিংস। বহিরাগত কেউ এসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করুক সেটা তারা চান না। এ জন্য দুপুর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক ও শাহ পরান হল সংলগ্ন অন্য একটি গেটে চেকপোস্ট বসিয়েছেন তারা।

      সংবাদ সম্মেলনে মহাইমিনুল বাশার রাজ জানান, হাসপাতালে যেসব আন্দোলনরত শিক্ষার্থী চিকিৎসাধীন আছেন তাদের কেউ এখনো অনশন ভাঙ্গেনি। মাহিন শারিয়ার রাতুল নামের এক শিক্ষার্থীর শরীরে এপেন্ডিসাইটস এর জন্য অস্ত্রোপচার হয়েছে। তবুও সে অনশন ভাঙ্গেনি। বরং হাসপাতাল থেকে দেওয়া খাবার অসুস্থ শিক্ষার্থীরা না খাওয়ায় ওই সব খাবার অন্য শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে এনে পথশিশুদের মধ্যে বিতরণ করছেন।

      এর আগে বুধবার বিকেলে শাবিপ্রবি ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদের পদত্যাগের দাবিতে অনশন শুরু করেন ২৩ জন শিক্ষার্থী। পরে আন্দোলনে যোগ দেন আরো ৫ শিক্ষার্থী। কিন্তু শরীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ায় ২০ শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে ৮ জন শিক্ষার্থী অনশন করে যাচ্ছেন।

      এদিকে রোববার রাত সাড়ে ৭টায় ভিসির বাস ভবনের বিদ্যুৎ ও গ্যাস লাইন বিচ্ছিন্ন করার পরপরই উত্তপ্ত হয়ে উঠে ক্যাম্পাস। রাত সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চ থেকে প্রায় সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে একটি মশাল মিছিল বের হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার একই স্থানে এসে শেষ হয়। রাত ১০টার দিকে একই স্থানে ভিসি ফরিদ উদ্দিন আহমদের কুশপুত্তলিকা দাহ করে শিক্ষার্থীরা।

      প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য

        ব্যাংকও চলবে অর্ধেক জনবল নিয়ে

        নিজস্ব প্রতিবেদক
        ২৪ জানুয়ারি, ২০২২ ১৪:৫৮
        নিজস্ব প্রতিবেদক
        ব্যাংকও চলবে অর্ধেক জনবল নিয়ে

        করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিসগুলোর মতো ব্যাংকও অর্ধেক কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়ে পরিচালনা করতে হবে। এই সিদ্ধান্ত সোমবার (২৪ জানুয়ারি) থেকে বাস্তবায়ন শুরু হয়ে চলবে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

        আজ সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক মো. আনোয়ারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সার্কুলারের মাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়েছে। সার্কুলারে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসজনিত রোগ কভিড-১৯-এর বিস্তার রোধকল্পে আরোপিত বিধি-নিষেধের প্রেক্ষিতে ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনের বিষয়ে নির্দেশনা জারি করা হলো।

        নির্দেশনাগুলো হলো- স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক রোস্টারিংয়ের মাধ্যমে অর্ধেক সংখ্যক কর্মকর্তা/কর্মচারী নিয়ে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। তবে আবশ্যকীয় ব্যাংকিং সেবা অব্যাহত রাখার নিমিত্তে প্রয়োজনের নিরিখে স্বীয় বিবেচনায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবে; অন্যান্য কর্মকর্তা/কর্মচারীগণ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করবেন এবং দাপ্তরিক কার্যক্রম ভার্চুয়ালি সম্পন্ন করবেন; ব্যাংকে আগত সেবাগ্রহীতাদের আবশ্যিকভাবে মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত নির্দেশাবলী কঠোরভাবে পরিপালন করতে হবে।

        এর আগে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আজ সোমবার থেকে সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, বেসরকারি অফিস অর্ধেক জনবল দিয়ে চালাতে হবে। ব্যাংক-বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে।

        প্রাসঙ্গিক
          মন্তব্য

          ‘সম্পূর্ণ সিলেবাসেই মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা’

          নিজস্ব প্রতিবেদক
          ২৪ জানুয়ারি, ২০২২ ১৪:৫৪
          নিজস্ব প্রতিবেদক
          ‘সম্পূর্ণ সিলেবাসেই মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা’

          স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. আবু ইউসুফ ফকির বলেছেন, ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষা সম্পূর্ণ সিলেবাসেই হবে। সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে হবে না। মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের সাথে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।

          এর আগে, ১৭ জানুয়ারি ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে সভা করে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর। সভায় মেডিকেল কলেজের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগের নিয়মেই আয়োজনের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। শিগগিরই এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের কথা রয়েছে।

          ওই সভায় স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. সাইফুল ইসলাম বাদল সভাপতিত্ব করেন। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এ এইচএম এনায়েত হোসেন, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. আবু ইউসুফ ফকির, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা ও জনশক্তি উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. এ কে এম আহসান হাবীব উপস্থিত ছিলেন।

          সভায় পরীক্ষা আয়োজক কমিটির এক সদস্য সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার বিষয়টি উত্থাপন করে। কিন্তু বাকী সদস্যের এর বিপক্ষে মত দেন। ফলে সভায় আগের নিয়মেই ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

          অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. আবু ইউসুফ ফকির বলেন, সভায় সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের বিষয়টি তোলা হয়েছিল। তবে সেটিতে কেউ রাজি নন। তাই ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা সম্পূর্ণ সিলেবাসের আলোকেই অনুষ্ঠিত হবে। সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে ভর্তি পরীক্ষা হবে না।

          প্রসঙ্গত, করোনা মহামারীর মধ্যে গত বছরের ২ এপ্রিল সারাদেশে একযোগে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সেবার ৩৭টি সরকারি মেডিকেলে ৪ হাজার ৩৫০টি আসনের বিপরীতে ১ লাখ ২২ হাজার ৮৭৪ জন ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের আবেদন করেছিলেন। পরীক্ষায় উপস্থিত ছিলেন ১ লাখ ১৬ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী। ভর্তি পরীক্ষার একদিন পর ৪ এপ্রিল ফল প্রকাশ করা হয়। এতে পাস করেন ৪৮ হাজার ৪৮ হাজার ৯৭৫ জন।

          প্রাসঙ্গিক
            মন্তব্য
            সর্বশেষ সংবাদ
              সর্বাধিক পঠিত