সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন, সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান

জনপ্রিয় তারকাদের অংশগ্রহণে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির এবারের নির্বাচন বাড়তি মাত্রা যোগ করেছে। সাধারণ মানুষেরও আগ্রহের কেন্দ্রে চলে আসে এবারের নির্বাচন। তারকাদের একনজর দেখার জন্য এফডিসির প্রধান ফটকে সকাল থেকেই ছিল ভিড়। ভিড় গিয়ে ঠেকে এফডিসির সামনের উড়ালসড়কের কাছে। বিভিন্ন বয়সী নারী–পুরুষকে দেখা যায় এফডিসির সামনে দিনভর দাঁড়িয়ে থাকতে। একেকটা গাড়ি ঢোকে আর বের হয়—অমনি সাধারণ দর্শকের চিৎকার, দেখ দেখ কোন নায়ক–নায়িকা যায়। সারাদিনের এমন উৎসবমুখর পরিবেশের পর জানা গেল বিজয়ীদের নাম। শুক্রবার সারা দিন নির্বাচন এবং রাত সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ভোট গণনা শেষে এগিয়ে থেকে আগামী দুই বছরের জন্য সভাপতি হিসেবে ইলিয়াস কাঞ্চন ,সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জায়েদ খান নির্বাচিত হয়েছেন।
ভোর ৫টা ৫০ মিনিটে আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করা হয়। ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা শহীদুল হারুন। ইলিয়াস কাঞ্চন ও জায়েদ খান ভোট পেয়েছেন যথাক্রমে ১৯১ টি ও ১৭৬ টি। তাঁদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সভাপতি পদে মিশা সওদাগর ১৪৮টি ভোট পেয়েছেন। আর নিপুন ১৬৩ টি ভোট।
এ ছাড়া অন্যান্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন সহ-সভাপতি পদে ডিপজল ও রুবেল, সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে সাইমন সাদিক জয়ী হয়েছেন। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে জয়ী হয়েছেন অভিনেত্রী শাহানূর৷ সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে মামনুন ইমন জয়ী হয়েছেন৷ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন জয় চৌধুরী। দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন আরমান।
এছাড়া কার্যকরী সদস্য পদে জয়ী হয়েছেন মিশা-জায়েদ প্যানেল থেকে অঞ্জনা, রোজিনা, অরুণা বিশ্বাস, সুচরিতা, আলীরাজ, মৌসুমী, চুন্নু আর কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেলের ফেরদৌস, কেয়া, জেসমিন ও অমিত হাসান।
শিল্পী সমিতির এবারের নির্বাচন নিয়ে ছিল শঙ্কাও। তাই কয়েক স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা ছিল এ নির্বাচন ঘিরে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাইরে নির্বাচনের দিন প্রথম এফডিসিতে পা রাখেন চিত্রনায়ক সাইমন সাদিক। আস্তে আস্তে তারকাদের আনাগোনায় মুখর হতে থাকে বিএফডিসির আঙিনা। তবে এবারের নির্বাচনে প্রার্থী এবং তারকা ভোটাররা মিস করেছেন তাঁদের অনেক তারকা বন্ধু, সহকর্মী ও প্রিয়জনদের। কেউ ছিলেন দেশের বাইরে, কেউবা দেশে থাকলেও করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ভোট দিতে আসেননি। অন্যদিকে ডলি জহুরের মতো অভিনয়শিল্পী জানালেন, শিল্পী সমিতির ভোট দিতেই তিনি দেশের বাইরে থেকে এসেছেন।
ডলি জহুর ভোট দিতে এসেছিলেন শর্মিলী আহমেদ ও দিলারা জামানকে নিয়ে। এবারের নির্বাচনে ভোট দিতে এসেছিলেন জ্যেষ্ঠ অভিনয়শিল্পী মিরানা জামানও। দিনব্যাপী এফডিসিতে অনুষ্ঠেয় চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ভোট ঘিরে ছিল চাপা উত্তেজনা, পাল্টাপাল্টি অভিযোগ এবং উৎসব আর উৎকণ্ঠাও। শেষ পর্যন্ত কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সুন্দরভাবে ভোট গ্রহণ শেষ।
বছরের অন্যান্য সময়ে চলচ্চিত্রের যেসব তারকাকে এফডিসিতে আসতে দেখা যায় না, তাঁরাও এদিনটায় একবার আসেন। দীর্ঘদিন যেসব শিল্পীর সঙ্গে দেখা হয় না, তাঁদের সঙ্গে আড্ডা দেন। কথা বলেন। ভালো–মন্দ জানার চেষ্টা করেন। চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ভোটদানের এই দিনে তেমনই এক উপলক্ষ তৈরি হওয়াতে দেখা হয় মঞ্চ-টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র অভিনয়শিল্পী জাহিদ হাসানের সঙ্গে চিত্রনায়ক ফেরদৌসের।
ভোটদানের জন্য এফডিসিতে ঢোকার সময় জাহিদ হাসানের গাড়ি দেখতে পেয়ে ফেরদৌস সামনে এসে দাঁড়ান এবং কথা বলেন। জাহিদের উদ্দেশে ফেরদৌস বলেন, ‘ভাই ভোট নয়, জাহিদ ভাই আমাকে ভালোবাসা দেবেন। এটুকু ছোট ভাই হিসেবে আপনার কাছে আমার চাওয়া।’ এ সময় জাহিদ হাসান হাসতে হাসতে ফেরদৌসকে বলেন, ‘ছোট ভাই, তোমাদের জন্য আমার ভালোবাসা কোনো দিন ফুরাবে না। এ ভালোবাসা চলবে, চলতেই থাকবে।’
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির এবারের নির্বাচনে ভোটের কয়েক দিন আগে থেকে ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুণ ও মিশা জায়েদ প্যানেলের মধ্যে যে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল, ভোটের দিন সেই উত্তেজনা অনেক কম ছিল। তবে নিয়ম ভাঙার অভিযোগে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্যানেলের মধ্যে ছিল পাল্টাপাল্টি অভিযোগ। দুপুরের বিরতির আগে হঠাৎ নিপুণ তাঁর বিরোধী প্যানেলের জায়েদ খানের বিরুদ্ধে টাকা দিয়ে ভোট সংগ্রহের অভিযোগ করেন। এরপর জায়েদও জানান, নিপুণের প্যানেলের একজন প্রার্থী টাকা দিয়ে ভোট সংগ্রহ করছেন। তবে সেই সময় কিছুটা উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। নিপুণ বিষয়টি একাধিকবার নির্বাচন কমিশনের নজরে আনলে তারা লোক পাঠিয়ে সেখান থেকে দুই প্যানেলের প্রার্থীদের সরিয়ে দেন।
অন্যান্য বারের চেয়ে এবারের নির্বাচন ছিল অনেকটাই ব্যতিক্রম। ভেতরে প্রবেশ ছিল বেশ কড়াকড়ি। এ কারণে এফিডিসির বাইরে যতটা না জটলা ছিল, তার চেয়ে বেশ জটলামুক্ত ছিল ভেতরের পরিবেশ। এ কারণে তারকা শিল্পীরা অনেকটাই নির্বিঘ্নে ভোট দিয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ভোটকেন্দ্র থেকে বেরিয়ে চিত্রনায়িকা বুবলী বলেন, ‘ভালো লেগেছে। স্বাচ্ছন্দ্যে ভোট দিলাম। প্রার্থীদের মধ্যে বেশ টান টান উত্তেজনা দেখা গেছে।’
বিকেলের দিকে মান্না ডিজিটাল কমপ্লেক্সে বসে ভোটের পরিবেশ নিয়ে নায়ক আলমগীর বলেন, ‘সুন্দর পরিবেশে ভোট হয়েছে। এটি ভালো দিক।’ ভোট দিতে এসেছিলেন আনোয়ারা, জাহিদ হাসান, আসাদুজ্জামান নূর, নূতন, শহীদুজ্জামান সেলিম, আমিন খান, অপু বিশ্বাস, বিদ্যা সিনহা মিম, ববি, বাপ্পী, মুক্তি, সিমলা, দীঘি প্রমুখ।
সকাল ৯টায় ভোট গ্রহণ শুরু হলেও ১১টা পর্যন্ত ঢিলেঢালা ভোট চলে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়তে থাকে। এফিডিসির বাগান ও ১ নম্বর ফ্লোরের পাশের রাস্তা দিয়ে লাইন ধরে শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে গিয়ে ভোট দেন ভোটার। সকাল ৯টায় ভোট শুরু হয়ে শেষ হয় বিকেল পাঁচটার পর। ৪২৮ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দেন ৩৬৫ জন ভোটার।
উপাচার্য ফরিদের ক্যাম্পাস ত্যাগ না করা পর্যন্ত আন্দোলনের ঘোষণা

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদ ক্যাম্পাস ত্যাগ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আলপনা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে প্রতিবাদী কর্মসূচি অব্যাহত রাখা হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) বিকাল ৪টায় শিক্ষার্থীদের পক্ষে প্রেস ব্রিফিং করে মোহাইমিনুল বাশার রাজ ও সামিউল এহসান শাফিন এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে তারা জানান, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশি হামলায় আহত ও অনশনরত শিক্ষার্থীদের ব্যয়ভার গ্রহণ করেছেন। এজন্য আমরা তাঁকে ধন্যবাদ জানাই। গুরুতর আহত সজল কুন্ডকে ঢাকায় নিয়ে উন্নত চিকিৎসারও দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।’
এ সময় তারা বলেন, ‘মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী সিলেটে এসে আমাদের সাথে কথা বলার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এটিকে আমরা সাধুবাদ জানাই। উনি যেকোন সময় আসলে আমরা তাঁকে সাদরে গ্রহণ করব এবং আমাদের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করব।’
উপাচার্যের পদত্যাগ দাবির আন্দোলন প্রসঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী মোহাইমিনুল বাশার বলেন, ‘উপাচার্য ক্যাম্পাস ত্যাগ করা পর্যন্ত প্রতিদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, রোড পেইন্টিংয়ের মাধ্যমে আন্দোলন চালিয়ে যাব। আমরা আমাদের আন্দোলনের ভাষা পরিবর্তন করেছি। সাংস্কৃতিক মাধ্যমে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কর্মসূচি নিয়েছি।’ তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদ ক্যাম্পাস ত্যাগ করার আগ পর্যন্ত ক্যাম্পাসে অবস্থান করে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন শিক্ষার্থীরা।
এক দশক রাজনীতি করেও ছাত্রদলে পদহীন ওরা

প্রথমবারের মতো কমিটি পূর্ণাঙ্গ না করেই মেয়াদ শেষ করেছে ছাত্রদলের বর্তমান কমিটি। ফলে দীর্ঘদিন রাজনীতি করার পরও অনেক নেতাকর্মী রয়েছেন পদহীন। কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার দাবিতে পদপ্রত্যাশীরা অনশনসহ নানা কর্মসূচিও পালন করেছেন। সর্বশেষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে শক্ত অবস্থান নিয়েছেন তারা। কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছাড়া কমিটির অন্য কাউকে মধুর ক্যান্টিনে বসতে দিচ্ছেন না পদপ্রত্যাশীরা। অভিযোগ উঠেছে, পদ আঁকড়ে ধরে রাখতেই কমিটি পূর্ণাঙ্গ করছেন না ছাত্রদলের শীর্ষ দুই নেতা।
২০১৯ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর কাউন্সিলরদের ভোটের মাধ্যমে সভাপতি হিসেবে ছাত্রদলের দায়িত্ব পান ফজলুর রহমান খোকন ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন ইকবাল হোসেন শ্যামল। পরে ২১ ডিসেম্বর ৬০ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করে ছাত্রদল। গত ১৫ জানুয়ারির মধ্যে কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার কথা দিয়েছিলেন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। ৩০০ জনের মতো পদপ্রত্যাশী জীবনবৃত্তান্তও জমা দিয়েছিলেন।
পদপ্রত্যাশী নেতাকর্মীরা জানান, দীর্ঘদিন রাজনীতি করেও বিরোধী দলের রাজনীতিতে পদহীন থাকা অনেক কষ্টের। একদিকে মামলা, পুলিশের হয়রানি অন্যদিকে নিজের কোনো পদ না থাকায় বাড়িতেও মুখ দেখাতে পারছি না। নিয়মিত দলের কর্মসূচিগুলোতে অংশ নিচ্ছি। মিছিল-মিটিং করে যাচ্ছি। সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক শুধু বারবার আশ্বাসই দিয়ে যাচ্ছেন। বলেছেন, ১৫ জানুয়ারির মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন ইউনিট কমিটি দিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটি পূর্ণাঙ্গ করবেন। কিন্তু এখনো পূর্ণাঙ্গ কমিটির কোনো প্রক্রিয়াই দেখছি না।
পদপ্রত্যাশীরা আরও জানান, দীর্ঘদিন রাজনীতি করার পর কমিটিতে স্থান না পাওয়ায় অনেক নেতাকর্মী হতাশ হয়ে পড়েছেন। রাজনীতি বিমুখ হচ্ছেন তারা। এতে দল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০৪-২০০৫ সেশনের আবু তাহের গত বিশ্ববিদ্যালয় কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। বর্তমানে তিনি ছাত্রদলের কোনো পদে নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০৫-২০০৬ সেশনের খায়রুল আলম সুজন। একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০৬-২০০৭ সেশনের রোকনুজ্জামান রোকন। ২০০৭-২০০৮ সেশনের আনোয়ার পরভেজ। বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরু থেকে ছাত্রদলের রাজনীতিতে যুক্ত থাকলেও এখন পর্যন্ত সংগঠনের কোনো পদ পাননি তারা। প্রায় ১৪/১৬ বছর রাজনীতি করছেন তারা। গত বিশ্ববিদ্যালয় কমিটিতে যুগ্ম সাধারণ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন শেখ আল ফয়সাল ও ঝলক মিয়া। ১নং সহ সাধারণ সম্পাদক ছিলেন মো. মুতাছিম বিল্লাহ। দীর্ঘদিন ধরে তারাও ছাত্রদলের কোনো পদে নাই। বিভিন্ন ইউনিট মিলিয়ে এমন আরও অন্তত ২৫০ থেকে ৩০০ জন নেতাকর্মী দীর্ঘদিন রাজনীতি করেও বর্তমানে পদহীন আছেন। এদের মধ্যে বেশির ভাগই নিজ নিজ ইউনিটের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।
পদপ্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এম এম মূছা, আসাদুজ্জামান আসাদ, মো, রেজোয়ান আহমেদ, দিপু পাটোয়ারী, জাহাঙ্গীর আলম, শাহ আলম, ওয়াসিম খান মুক্ত, ইব্রাহীম খলিল ফিরোজ, গাজী হারুনুজ্জামান, সাঈদ আহমেদ, তৌহিদুল ইসলাম, জুবায়ের আহমেদ, সরকার সোহেল, মনজুরুল রিয়াদ, শফিকুল ইসলাম, সাকির আহমেদ, নাজমুল হোসেন, ইমরান আলী সরকার, আবদুস সাত্তার রনি, নাদির শাহ পাটোয়ারী, মিঠুন চক্রবর্তী, সালেহ আদনান, শরীফুল ইসলাম, ওমর সানি, মুস্তাফিজুর রহমান ফরহাদ, মাহফুজ, জিএম ফখরুল ইসলাম, মহাসিন ভূইয়া।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সুরুজ মণ্ডল, আসাদুজ্জামান আসলাম, মিল্লাত ভুইয়া, সুজন মোল্লা, আতাউর রহমান বুলেট, মো. আলী হাওলাদার, নাজমুল ইসলাম হাবীব, আবুল খায়ের ফরাজী, সালাউদ্দিন আহমেদ, সানোয়ার হোসেন মিঠু, জুলকার নাইন, ইব্রাহীম কবির মিঠু, আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বল, সাইফুল ইসলাম সিয়াম, জাকিরুদ্দিন আবীর, রুহুল আমিন টুটুল, শামীম হোসেন, ঢাকা কলেজের সাহাদাত সোহাগ, মাহী বিশ্বাস, সাইফুল ইসলাম তুহিন, আলীজা মিজান, আনিস, জহির হাসান মোহন, মামুন দেওয়ান, মুধা মাসুদ, আসিক আহমেদ, মারজান, ইসলামুল হক চঞ্চল, রাসেল মোল্লা। কবি নজরুল কলেজের আরিফুর রহমান আরিফ, মো. মিলন হাওলাদার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু আহমেদ, সোহান, শাহরিয়ার হক মজুমদার (শিমুল), তিতুমীর কলেজের আবুল হাসান চৌধুরী, মনিরুল ইসলাম পিন্টু, রিয়াজ হোসেন, জিয়া, রকি সোহেল, হাফীজুল্লাহ হীরা, মো. রুহুল আমীন, রেজওয়ানুল হক সবুজ, জাহাঙ্গীর আলম জীবন, বুলবুল হোসেন, মো. জহিরুল ইসলাম, খান মামুন, নাসরিন রহমান পপি, রফিকুল ইসলাম রফিক, আল আমিন, সাজ্জাদুল হানিফ সাজ্জাদ, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের নাজমুল, নিশাত, আকন মামুন, এ এম সুমন, ঢাকা মহানগর উত্তর তানভীর আল হাদী, হিমেল আল ইমরান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আবদুস সালাম হিমেল, ঢাকা মহানগর পূর্ব জসিমউদ্দিন সরদার জীবন, আসাদুজ্জামান আশা, ঢাকা মহানগর পশ্চিম এর ইব্রাহীম খলিল, সম্রাট খান। এছাড়া তাহসান রেজা, মাকসুদুর রহমান সুমিত, শাকিল চৌধুরী, খোরশেদ আলম রকি প্রমুখ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন পদপ্রত্যাশী জানান, বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আগের কমিটির মতো দীর্ঘদিন পদে থাকতে চায়। যার কারণে তারা কমিটি পূর্ণাঙ্গ করছেন না। এভাবে দীর্ঘদিন ঢাকার ইউনিটগুলো কখনোই কমিটিহীন ছিলো না।
তারা আরও বলেন, কিছু হলেই ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দোহাই দেন তারা। বেশ কয়েকটা ঘটনায় ধরাও পড়েছেন তারা। বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের ওপর আমাদের আস্থা নেই। তারা আরও জানান, দলের ক্ষতির কথা চিন্তা করে আমরা কঠোর কোনো কর্মসূচি দিচ্ছি না। বাধ্য হলে তখন আমাদের করার কিছুই থাকবে না। অবিলম্বে কমিটি পূর্ণাঙ্গ করে কেন্দ্রীয় কমিটির সম্মেলনও চাই আমরা। একই সঙ্গে তারা আরও বলেন, গতবারের ঢাউস কমিটি চাই না আমরা। ২৫০ থেকে ৩০০ এর মধ্যে কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করারও দাবি জানান তারা।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পদপ্রত্যাশী বলেন, চাকরি কেন্দ্রিক ক্যারিয়ার পেছনে ফেলে আদর্শকে ভালোবেসে সংগঠন করছি। কিন্তু দীর্ঘদিন সংগঠন করার পরও গুটি কয়েক মানুষের ব্যক্তিস্বার্থের বলি হয়ে আমরা আজ পদ ছাড়া ঘুরচ্ছি।
এ বিষয়ে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল বলেন, কমিটি প্রস্তুত আছে। খুব দ্রুত প্রকাশ করা হবে।
পুলিশকে বিশ্বমানের করতে চাই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘পুলিশ সত্যিকারের জনগণের পুলিশ হয়ে উঠছে। তারা সব সময়ই জনগণের পাশে থাকে। করোনাকালে পুলিশ যেভাবে জনগণকে সেবা দিয়েছে, তা সত্যিই অভূতপূর্ব। পুলিশকে বিশ্বমানের করতে চাই। এজন্য যা যা করা দরকার, আমরা তা-ই করছি।’
রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়াম বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) রাতে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাগণের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
জঙ্গি দমনে বাংলাদেশ পুলিশ রোল মডেলে পরিণত হয়েছে, দাবি করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘পুলিশের আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলে দেশ জঙ্গিমুক্ত হয়েছে। পুলিশের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট, অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটসহ (এটিইউ) বিভিন্ন বিশেষায়িত ইউনিট করা হয়েছে। পুলিশের জন্য যখন যেটা প্রয়োজন আমরা সেটাই করে যাচ্ছি। পুলিশ স্টাফ কলেজকে বিশ্বমানের করা হয়েছে। পুলিশ সদস্যরা বর্তমানে যেভাবে কাজ করছেন ভবিষ্যতেও সেভাবেই দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে আরও সফলতার সঙ্গে কাজ করবেন।’
তিনি বলেন, ‘পুলিশ কর্মকর্তারা বেশকিছু যৌক্তিক দাবি উত্থাপন করেছেন। কিছু অসঙ্গতির কথা তুলে ধরেছেন। আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে যেসব দাবি-দাওয়া পূরণ করতে পারব, সেগুলো অচিরেই পূরণ করা হবে। যেসব দাবি-দাওয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শের প্রয়োজন, সেগুলো নিয়ে আমরা তার সঙ্গে কথা বলব। পুলিশের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য তাদের একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রয়োজন। পুলিশ বাহিনীকে আমরা ঢেলে সাজিয়েছি। নতুন নতুন ইউনিট সৃজন করেছি, জনবল বৃদ্ধি করেছি। বর্তমান সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যেসব ইউনিট প্রয়োজন ছিল, সেগুলো আমরা প্রতিষ্ঠা করেছি।’
পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন। মতবিনিময় সভায় অতিরিক্ত আইজিপি, ঢাকাস্থ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধান, সব মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি ও পুলিশ সুপাররা উপস্থিত ছিলেন।
স্কুল খোলা রাখার আহ্বান ইউনিসেফের

করোনা যেন শিশুদের পড়াশোনাকে আর ব্যাহত করতে না পারে সেজন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়ে সরকারগুলোর প্রতি স্কুল খোলা রাখার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশুদের উন্নতি ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিশেষ সংস্থা ইউনিসেফ।
শুক্রবার ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েটা ফোর এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান। করোনার ‘ওমিক্রন’ ধরনটি ছড়িয়ে পড়ায় স্কুল পুরোপুরি বা আংশিক বন্ধ থাকার কারণে বর্তমানে বিশ্বে প্রায় ৬১ কোটি ৬০ লাখ শিশু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান তিনি।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, সংকটময় পরিস্থিতিতে সবসময় কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়। কোভিড-১৯ মহামারি বিশ্বজুড়ে শিক্ষা ব্যবস্থায় যে নজিরবিহীন চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে তা আমরা স্বীকার করি। তবে এক্ষেত্রে ঝুঁকি খুবই বেশি। শিশুদের স্কুলে রাখার জন্য সম্মিলিতভাবে আমাদের পক্ষে সম্ভব সবকিছু করতে হবে।
হেনরিয়েটা ফোর বলেন, অগ্রাধিকার প্রাপ্য জনগোষ্ঠীকে পুরোপুরি সুরক্ষিত করার পর এবং টিকার যথেষ্ট প্রাপ্তি নিশ্চিত হলে ইউনিসেফ শিশুদের টিকাদানকে সমর্থন করে। সশরীরে স্কুলে যাওয়ার জন্য টিকাদানকে পূর্বশর্ত করবেন না।
কারণ হিসেবে তিনি বলেন, কোভিড-১৯ টিকা প্রাপ্তি সাপেক্ষে সশরীরে স্কুলে যাওয়ার শর্ত আরোপ করলে তা শিশুদের শিক্ষাগ্রহণের সুযোগ না পাওয়া এবং ক্রমবর্ধমান বৈষম্যের শিকার হওয়ার ঝুঁকিতে ফেলে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সুপারিশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ইউনিসেফ শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের টিকাদান ছাড়াই স্কুলগুলো খোলা রাখার এবং কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণ কৌশল যাতে পড়াশোনা ও সামাজিক জীবনের অন্যান্য দিকগুলোতে শিশুদের অংশগ্রহণকে সহজতর করে তা নিশ্চিত করার সুপারিশ করে।
মন্তব্য