ঢাকা, সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫ ৩ ভাদ্র ১৪৩২
 
শিরোনাম

প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলি প্রক্রিয়া চালু করতে লিগ্যাল নোটিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৮ মার্চ, ২০২২ ১৫:৪৮
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলি প্রক্রিয়া চালু করতে লিগ্যাল নোটিশ

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষকদের শূন্যপদের বিপরীতে এক প্রতিষ্ঠান থেকে অন্য প্রতিষ্ঠানে বদলির প্রক্রিয়া চালুর জন্য লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

লিগ্যাল নোটিশে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ (ডিজি) ৭৫ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।

বদলির দাবিতে এক শিক্ষকের পক্ষে সোমবার (২৮ মার্চ) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সিদ্দিক উল্লাহ মিয়া এ নোটিশ পাঠিয়েছেন।

এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ্ মিয়া বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকা বদলির জন্য 'সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বদলি নির্দেশিকা (সংশোধিত)-২০১৯' প্রণয়ন করে। ওই নির্দেশিকার ধারা ১.১ এ সাধারণভাবে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের প্রতি শিক্ষা বছরের জানুয়ারি-মার্চ মাসে মধ্যে একই উপজেলা/থানা, আন্তঃউপজেলা/থানা, আন্তঃজেলা, আন্তঃবিভাগ ও যেকোনো উপজেলা/জেলা থেকে সিটি করপোরেশনে বদলি করার কথা উল্লেখ থাকলেও ২০১৯ সালের পর সারাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বদলি কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সরাদেশের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। বিশেষ করে নারী শিক্ষিকারা দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। যদিও সরকারি অন্যান্য দপ্তরে যথারীতি বদলি কার্যক্রম চালু রয়েছে।

লিগ্যাল নোটিশ হাতে পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হবে বলেও জানান আইনজীবী।

এদিকে রমজান মাসের ছুটি পুর্নবহাল রাখার দাবি জানিয়েছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। প্রাথমিকের শিক্ষকদের সংগঠন বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি থেকে এ দাবি জানানো হয়। গতকাল সংগঠনটির একটি ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। সেখানে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, শীঘ্রই ছুটির বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর তারা আবেদন করা হবে।

সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রত্যেক জেলা কমিটি নিজ নিজ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও প্রত্যেক উপজেলা কমিটি নিজ নিজ উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে আবেদন জমা দেবেন।

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    সব বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যান থাকতে হবে: শিক্ষামন্ত্রী

    নিজস্ব প্রতিবেদক
    ২৮ মার্চ, ২০২২ ১৫:৪৫
    নিজস্ব প্রতিবেদক
    সব বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যান থাকতে হবে: শিক্ষামন্ত্রী

    শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, শুধু ছাত্র ভর্তি নয়, প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যান থাকতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়কে জানতে হবে আগামীতে নিজেকে কোন বিশেষ অবস্থানে দেখতে চায়। ধারণক্ষমতা অনুযায়ী যেন শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়, ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত ভর্তি করিয়ে আবাসন, খাবার, ক্লাসরুম সংকট যেন না হয়, এসব নিয়ে ভাবতে হবে।

    সোমবার (২৮ মার্চ) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২২ উপলক্ষে শিক্ষক সমিতি আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু: বাংলাদেশ জাতিরাষ্ট্র সৃষ্টির মহানায়ক’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

    শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা শুধু সংখ্যার দিকে তাকাবো না, আমাদের ভারসাম্যতার দিকেও দৃষ্টি দিতে হবে। শিক্ষকদের ফিজিক্যাল মাস্টারপ্ল্যানের চেয়ে একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যানের ওপর গুরুত্ব দেয়া উচিত। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস যাতে সুন্দরভাবে দ্রুত সময়ের মধ্যে গড়ে তোলা যায় সে সম্পর্কে সরকার সচেষ্ট রয়েছে এবং তাঁর সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

    জবি শিক্ষক সমিতি আয়োজিত অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে চিনবার, জানবার এবং বুঝবার একটা বড় প্রয়োজন আমাদের জন্যে আছে। বঙ্গবন্ধুকে জানলে আমরা এ ভূখণ্ডকে জানবো, আমরা এ ভূখণ্ডের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা, স্বপ্নের কথা জানবো। আমরা সেই অতীতের উপর ভিত্তি করে, বর্তমানে দাঁড়িয়ে, কোন ভবিষ্যত তৈরি করতে চাই, তার একটা স্পষ্ট দিকনির্দেশনা পাবো, সেজন্যে বঙ্গবন্ধুকে জানা খুব জরুরি।

    মন্ত্রী আরও বলেন, ষড়যন্ত্র এখনো চলছে, একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী, পঁচাত্তরের হত্যাকারী, ২০০১ থেকে ২০০৬-এর হত্যা, নির্যাতনকারী, গ্রেনেড হামলাকারী, ২০১৩-১৪ এর অগ্নিসন্ত্রাসী ওই একই অপশক্তি আমাদের বিরুদ্ধে, দেশের বিরুদ্ধে, স্বাধীনতা-উন্নয়নের বিরুদ্ধে, আমাদের এগিয়ে যাওয়ার বিরুদ্ধে এখনো ষড়যন্ত্র করছে। এদের বিরুদ্ধে আমাদের সজাগ থাকতে হবে।

    জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক এবং ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান এবং স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মো. লুৎফর রহমান।

    অনুষ্ঠানে উপচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, সীমিত সুযোগ-সুবিধা থাকা স্বত্ত্বেও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা থেমে নেই। এমনকি করোনা মহামারী চলাকালীন সময়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাকার্যক্রম বন্ধ ছিল না।

    এসময় শিক্ষক সমিতির পক্ষে সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মো. লুৎফর রহমান অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়েও ‘বঙ্গবন্ধু স্কলারশিপ’ চালু করা ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নকে ত্বরাণ্বিত করার জোর দাবি জানান।

    আলোচনা সভায় বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট, প্রক্টর, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি অন্যান্য সদস্যবৃন্দ, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক প্রতিনিধি এবং কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      র‌্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা গর্হিত কাজ: প্রধানমন্ত্রী

      নিজস্ব প্রতিবেদক
      ২৮ মার্চ, ২০২২ ১৩:৪২
      নিজস্ব প্রতিবেদক
      র‌্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা গর্হিত কাজ: প্রধানমন্ত্রী

      র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞাকে গর্হিত কাজ বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলছেন, তারা নিজেদের দেশে স্বীকৃত খুনিদের স্থান দেয়, আর বিনা অপরাধে আমাদের দেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়।

      র‌্যাব ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। র‌্যাবের সদর দফতরে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

      বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কেউ অপরাধে জড়ালে সরকারের পক্ষ থেকে শাস্তির বিধান নিশ্চিত করা হয় জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্ভাগ্যের বিষয় হচ্ছে— যারা আমাদের বিনা কারণে, বিনা দোষে র‌্যাবের কয়েকজন সদস্যের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, তাদের দেশে কিন্তু এ ধরনের অপরাধ করলে, কোনও বাহিনীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে না।

      প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি স্পষ্ট বলি, আমেরিকায় কিন্তু… আপনারা দেখেছেন, সেখানে বাচ্চা ছেলে, পকেটে হাত দিয়েছে, তাকে গুলি করে মারলো। রাস্তায় ফেলে পা দিয়ে গলা চেপে ধরে (জর্জ ফ্লয়েড) মেরে ফেলে দিলো। সেখানে কিন্তু এই ধরনের অপরাধ কেউ করলে..., অর্থাৎ আইনশৃঙ্খলা রক্ষার নামে কেউ অপরাধ করলেও শাস্তি দেওয়া হয় না। কিন্তু পৃথিবীতে বাংলাদেশ একমাত্র দেশ, এখানে কেউ অপরাধ করলে, আমরা শাস্তির বিধান করি।’

      তিনি বলেন, ‘দুর্ভাগ্যের বিষয়, যারা এই ধরনের অভিযান করে সাফল্য অর্জন করেছে— যেমন হলি আর্টিজানের ঘটনা, মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আমরা সেটা উদ্ধার করি। জলদস্যু, বনদস্যু বা মাদক, বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে সাফল্য। আমি জানি না, আমাদের এই সাফল্যগুলোতে এদের কোনও দুঃখ পেয়েছে কিনা তা বলতে পারি না। কিন্তু বাংলাদেশ যে এই ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করেছে— এটাই হলো সত্য। সেক্ষেত্রে এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারি করা অত্যন্ত গর্হিত কাজ বলে আমি মনে করি।’

      দেশের কিছু মানুষ বিদেশে বসে অপপ্রচার চালাচ্ছে জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, ‘সব থেকে দুঃখজনক হলো— আমাদের দেশের কিছু মানুষ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অপপ্রচার চালায়। আর যারা বিদেশে বসে অপপ্রচার চালাচ্ছে, তারা কিন্তু অপরাধী। তারা কোনও না কোনও দোষে হয়তো চাকরি হারিয়েছে বা দেশ ছেড়েছে।’

      আমেরিকা যুদ্ধাপরাধী ও বঙ্গবন্ধুর স্বীকৃত খুনিকে স্থান দিয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সেখানে যুদ্ধাপরাধীদেরও যেমন স্থান হয়েছে, জাতির পিতার আত্মস্বীকৃত খুনিও কিন্তু আমেরিকায় বসবাস করে। তাকে তারা ওখানকার নাগরিক করে নিয়েছে। আমরা বার বার বার তাদের রিকোয়েস্ট করছি, অনুরোধ করছি। প্রেসিডেন্টের কাছে চিঠি দিচ্ছি, একের পর এক প্রেসিডেন্ট আসছে, আমরা তাদের কাছে ধরনা দিয়ে যাচ্ছি। জাস্টিজ ডিপার্টমেন্টে আমরা আহ্বান করছি, এরা অপরাধী, শিশু ও নারী হত্যাকারী, খুনি। ১৫ আগস্ট হত্যা করেছে। তাদের আমাদের দেশে ফেরত দিতে হবে। তারা অপরাধীদের রক্ষা করে, তাদের দেশে স্থান দেয়। আর বিনা অপরাধে আমাদের দেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়। এটা যাদের চরিত্র, তাদের বিষয়ে আর কী বলবো!’

      র‌্যাব সদস্যদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ ও জাতির উন্নয়নে আপনাদের অবদান অপরিসীম। কারণ দেশের আইনশৃঙ্খলা যদি সুস্থির না থাকে। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মুক্ত না থাকে। তাহলে দেশের উন্নয়ন করা সম্ভব হয় না। আজকে সকলের প্রচেষ্টায় দেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছি বলেই বাংলাদেশ উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।

      প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে কোনও বিনিয়োগের জন্য পূর্বশর্তই হচ্ছে— সেখানে যেন জঙ্গিবাদ না থাকে, সন্ত্রাস না থাকে এবং কোনোরকম অপরাধ না থাকে; সেই দিকে লক্ষ্য রেখেই কিন্তু বিনিয়োগ হয়। বিনিয়োগের পূর্ব শর্ত হচ্ছে সুশৃঙ্খল সামাজিক ব্যবস্থা। সেটাই আমাদের দেশে আমরা প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছি। এক্ষেত্রে র‌্যাবের বিরাট ভূমিকা রয়েছে। আমাদের এই অবস্থাটা অব্যাহত রাখতে হবে। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। যেন জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ হিসাবে গড়তে পারি।

      আইন কানুন মেনে, জনগণের সেবক হিসাবে অর্পিত দায়িত্ব র‌্যাব সদস্যরা যথাযথভাবে পালন করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।

      অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, র‌্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন আইজিপি বেনজীর আহমেদ প্রমুখ।

      প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য

        ১৮ রমজান পর্যন্ত চলবে ইবির ক্লাস-পরীক্ষা

        নিজস্ব প্রতিবেদক
        ২৮ মার্চ, ২০২২ ১৩:৩০
        নিজস্ব প্রতিবেদক
        ১৮ রমজান পর্যন্ত চলবে ইবির ক্লাস-পরীক্ষা

        ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ক্লাস-পরীক্ষাসমূহ আগামী ২০ এপ্রিল (১৮ রমজান) পর্যন্ত চলবে। তবে বিভাগ চাইলে এই সময়ের পরেও শুধু পরীক্ষা নিতে পারবেন। আজ সোমবার (২৮ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মু. আতাউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

        তিনি জানান, ‘আগামী ২০ এপ্রিল পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় খোলা থাকবে এবং ক্লাস-পরীক্ষা চলবে। তবে বিভাগ চাইলে এই তারিখের পরেও শুধুমাত্র পরীক্ষাসমূহ নিতে পারবেন।’

        আজ দুপুরে জনসংযোগ দফতর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্ততে বলা হয়, ‘রমজান মাসে অফিস ও একাডেমিক সময়সূচীর পরিবর্তন করা হয়েছে। অফিসসমূহ সকাল ৯টা হতে দুপুর ৩টা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। দুপুর ১টা ১৫ মিনিট হতে দেড়টা পর্যন্ত যোহরের নামাজের জন্য কর্মবিরতি থাকবে।’

        বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আবদুস সালাম নবীনবরণ অনুষ্ঠানে জানিয়েছিলেন, নবীন শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ বিভাগগুলো বরণ করে নিয়েছে এবং ক্লাস শুরু হয়েছে। তাদের কেন্দ্রীয়ভাবে ঈদের পরে বরণ করে নেওয়া হবে। সেশনজট কামাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

        প্রাসঙ্গিক
          মন্তব্য

          ঢাবির সান্ধ্যকোর্সের ভর্তিতে পাস নম্বর ৪০

          নিজস্ব প্রতিবেদক
          ২৮ মার্চ, ২০২২ ১৩:২৭
          নিজস্ব প্রতিবেদক
          ঢাবির সান্ধ্যকোর্সের ভর্তিতে পাস নম্বর ৪০

          ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন নামে চালু হচ্ছে সান্ধ্যকোর্স। এখন থেকে কোর্সটি পরিচিত হবে ‘প্রফেশনাল ও এক্সিকিউটিভ মাস্টার্স প্রোগ্রাম নামে।’ সমালোচনার মুখে প্রায় দুই বছর ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ ছিলো এই কোর্সের। সেসময় সান্ধ্যকোর্স থাকবে কিনা সেটি নিয়ে যাচাই-বাছাই করতে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করেছিলো বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে এই কোর্সের জন্য নতুন নীতিমালার অনুমোদন দেয় সিন্ডিকেট।

          নীতিমালা অনুযায়ী, প্রফেশনাল ও এক্সিকিউটিভ মাস্টার্স প্রোগ্রামে শিক্ষার্থী ভর্তিতে পরীক্ষা হবে। ভর্তি পরীক্ষায় ন্যূনতম ৪০ নম্বর পেতে হবে ভর্তিচ্ছুদের। শিক্ষাজীবনের কোনো পরীক্ষায় তৃতীয় শ্রেণি থাকা যাবে না, জিপিএ বা সিজিপিএর ক্ষেত্রে ২ দশমিক ৫-এর নিচে থাকতে পারবে না। এসব নতুন নিয়ম মেনে শিক্ষার্থী-ভর্তি করতে হবে। অনুমোদন ছাড়া এ ধরনের প্রোগ্রাম পরিচালনা করা যাবে না। তবে প্রত্যেক বিভাগ এ ধরনের সর্বোচ্চ একটি কোর্স চালু করতে পারবে।

          এ বিষয়ে কমিটির প্রধান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, নতুন নীতিমালার আলোকে পরিচালিত হবে প্রফেশনাল ও এক্সিকিউটিভ মাস্টার্স প্রোগ্রাম। কোনো বিভাগ প্রোগ্রামটি শুরু করার আগে একাডেমিক কাউন্সিলে অনুমোদন করে নেবেন। যেসব বিভাগ একাধিক প্রোগ্রাম চালু রেখেছে তাদের নতুন করে আবেদন করতে। তারা কোন প্রোগ্রামটি চালু রাখতে চান সেটি একাডেমিক কাউন্সিলে উত্থাপন করতে হবে। একাডেমিক কাউন্সিল অনুমোদন দিলে তবেই তারা শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে পারবেন।

          ২০০২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদে প্রথম সান্ধ্যকোর্স চালু করা হয়। শিক্ষকদের অতিরিক্ত আয়ের সুযোগ থাকায় অল্প দিনেই সান্ধ্যকোর্স বেশ জনপ্রিয়তা পায়। দুই দশকের কম সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ৩৫টি বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে ৬৯টি সান্ধ্যকোর্স চালু করা হয়।

          তীব্র সমালোচনার মুখে ২০২০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় সান্ধ্য কোর্সসহ অনিয়মিত সব ধরনের কোর্সে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তির কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। এ ছাড়া সান্ধ্য কোর্স পরিচালনার জন্য সময়োপযোগী বিধিমালা প্রণয়নে কমিটিও করা হয়েছিল। গত ২১ মার্চ একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় কমিটির তৈরি বিধিমালা উপস্থাপন করা হয়। সিন্ডিকেটের সভায় বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ‘জাতীয় চাহিদা বিবেচনায় নীতিমালার আলোকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রফেশনাল বা এক্সিকিউটিভ মাস্টার্স প্রোগ্রাম চালু করতে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।’

          প্রাসঙ্গিক
            মন্তব্য
            সর্বশেষ সংবাদ
              সর্বাধিক পঠিত