কৃষি গুচ্ছের রেজাল্ট চ্যালেঞ্জের ফল সোমবার

দেশের আটটি কৃষি গুচ্ছের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার ফল পুনর্নিরীক্ষার আবেদন গ্রহণ শেষ হয়েছে। আগামী সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রেজাল্ট চ্যালেঞ্জের ফল প্রকাশিত হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের কৃষি গুচ্ছের ফল প্রকাশিত হয়। ফল প্রকাশের পর থেকেই রেজাল্ট নিয়ে অভিযোগ দায়ের ভর্তিচ্ছুদের একটি অংশ। এর প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীদের ফল পুনর্নিরীক্ষার সুযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটি।
ওই সূত্র আরও জানায়, ফল পুনর্নিরীক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের স্বশরীরে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব বরাবর আবেদন করতে হয়েছে। আবেদনের সময় ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র এবং এক হাজার টাকা ফি জমা দিতে হয়েছে। মঙ্গলবার বিকাল ৫টায় আবেদনগ্রহণ শেষ হয়েছে। প্রায় সারে চার শতাধিক শিক্ষার্থী ফল চ্যালেঞ্জ করেছেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব এবং শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার শেখ রেজাউল করিম বলেন, ফল পুনর্নিরীক্ষার আবেদন গ্রহণ শেষ হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর আবেদনকৃত শিক্ষার্থীদের ফল জানিয়ে দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, গত ১০ সেপ্টেম্বর সারা দেশে একযোগে কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের আবেদন করেছিলেন ৭৯ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী। তবে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন ৬৫ হাজার ৩৫৪ জন। ভর্তি পরীক্ষায় পাস করেছেন ৩৩ হাজার ৯৮৫ জন। পাসের হার ৫২ শতাংশ।
ক্লাস-পরীক্ষায় বাধা নেই জবির ‘সেই ১০ শিক্ষার্থীর’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১ শিক্ষার্থীকে গত ২৫ মার্চ রাজধানীর গেন্ডারিয়া থানার ধুপখোলা এলাকার একটি মেস থেকে অভিযান চালিয়ে আটক করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। শিবির সন্দেহে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র বিরোধী অভিযোগ এনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় ৯০ তম সিন্ডিকেট সভায় তাদের ওপর থেকে সেই বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করা হয়। এ আদেশ প্রত্যাহার করার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে তারা আগের মতো স্বাভাবিকভাবে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবে বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে জবির প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, তারা যেহেতু জামিনে রয়েছে, তাই তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। শিবির সন্দেহে আটক হওয়া জবির শিক্ষার্থী ছিলেন ১১ জন। তাদের মধ্যে ১০ জন ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নিতে অনুমতির জন্য আবেদন করেন। একজন যেহেতু আবেদন করেননি, তাই তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু তারা জামিনে আছে, আর তারা সবাই আমাদের শিক্ষার্থী, সেই বিবেচনায় আমরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আর আদালতে তাদের বিরুদ্ধে এখনো অভিযোগ প্রমাণ হয়নি, তাই এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।
বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার হওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন- রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ইব্রাহিম আলী, মেহেদী হাসান ও মো. ওবায়দুল ইসলাম, ইতিহাস বিভাগের ইসরাফিল হোসেন, লোক প্রশাসন বিভাগের মো. মেহেদী হাসান (মাহদী), হিসাববিজ্ঞান বিভাগের মো. রওসন উল ফেরদৌস ও মো. শাহিন ইসলাম, বাংলা বিভাগের শ্রাবণ ইসলাম রাহাত, ব্যবস্থাপনা বিভাগের মো. ফাহাদ হোসেন এবং মনোবিজ্ঞান বিভাগের আব্দুর রহমান অলি।
এদিকে বাকি শিক্ষার্থী সঙ্গীত বিভাগের আল-মামুন রিপন তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের আবেদন করতে বিলম্ব করায় ওই ১০ জনের সঙ্গে তার বিষয়টি বিবেচনা করা যায়নি বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ‘সি’ ইউনিটের ষষ্ঠ মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের প্রথম ভর্তির বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্সেস অনুষদভুক্ত ‘সি’ ইউনিটের ষষ্ঠ মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি সংক্রান্ত ওয়েবসাইট থেকে এ তালিকা দেখতে পারছেন ভর্তিচ্ছুরা।
মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডীন ও ১ম বর্ষ ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ ‘সি’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা কমিটির চীফ কো-অর্ডিনেটর প্রফেসর ড. মো. সাহেদ জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এদিকে এক বিজ্ঞপ্তিতেও বিষয়টি জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিজ্ঞান, কৃষি, প্রকৌশল, জীববিজ্ঞান, ভূ-বিজ্ঞান, ফিশারীজ, ভেটেরিনারী এন্ড এনিমেল সায়েন্সেস অনুষদ এর ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের ১ম বর্ষ বি.এসসি. (সম্মান)/বি.ফার্ম (সম্মান)/বি.এসসি. এজি. ডি.ভি.এম./বি.এসসি. ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ও পছন্দক্রম জমাদানকারী প্রার্থীদের মধ্য থেকে শূন্য আসনের ভিত্তিতে ৬ষ্ঠ নির্বাচন ও অপেক্ষমান তালিকা প্রকাশ করা হল। নির্বাচিত ভর্তিচ্ছুদের আগামী ২৫-০৯-২০২২ এবং ২৬-০৯-২০২২ সকাল ১১:০০টা থেকে দুপুর ১:৩০টার মধ্যে নিচে বর্ণিত পদ্ধতিতে ভর্তি প্রক্রিয়ার প্রাথমিক কাজ সম্পন্ন করে কাগজপত্র যাচাইয়ের জন্য কনফারেন্স রুম, বিজ্ঞান অনুষদ, কক্ষ নং ৪০১. কুদরাত-এ-খুদা একাডেমিক ভবনে উপস্থিত হতে হবে।
এতে আরও বলা হয়, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভর্তি হতে না পারলে সি-ইউনিটে তাদের প্রার্থিতা বাতিল বলে গণ্য হবে এবং সি-ইউনিটের অন্য কোন বিভাগেও ভর্তির সুযোগ থাকবে না। শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের ভর্তি প্রক্রিয়া এর সমান্তরালে চলবে এবং এর জন্য পৃথক নোটিশ চলমান থাকবে। ভর্তি সংক্রান্ত কোন সমস্যার জন্য অফিস চলাকালীন সময়ে (সকাল ৮টা- বিকাল ৩টা) বিজ্ঞান অনুষদে যোগাযোগ করা যেতে পারে (ফোন: ০৭২১৭১১১১৫, ০১৩০৩২১০৩৩৬)। অনলাইন ভর্তি ফরম পূরণ সংক্রান্ত কারিগরি সমস্যার জন্য হেল্পলাইন ০১৭০৩-৮৯৯৯৭৩।
উল্লেখ্য যে, পরবর্তীতে আসন শূন্য হওয়া সাপেক্ষে শুধুমাত্র ভর্তি হওয়া ছাত্র-ছাত্রীদের বিভাগ পছন্দের ক্রম অনুসারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিভাগ পরিবর্তন করা হবে। এজন্য প্রার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে হবে না নোটিশে জানতে পারবে। অনলাইন ভর্তির ওয়েবপেজে লগ-ইন করে অটো মাইগ্রেশন পুরোপুরি বন্ধ (Stop automigration) অথবা এক বা একাধিক বিভাগে ট্রান্সফার বন্ধ করতে অণ্ট-আউট (Opt-out) করা যাবে। পরবর্তী নির্বাচনের সময় বিবেচিত হওয়ার জন্য ২৬-০৯-২০২২ নুপুর ২:০০টার পূর্বে এটি করতে হবে। এ ছাড়াও শূন্য আসনের জন্য অপেক্ষমান তালিকা থেকে নিম্নের সম্ভাব্য সময়সূচী অনুযায়ী মেধা ও পছন্দক্রম অনুসারে ভর্তির জন্য নির্বাচিতদের তালিকা প্রকাশ করা হবে।
চাকরি না পেয়ে’ লাইভে একাডেমিক সনদ ছিঁড়লেন যুবক

☰ নীলফামারীর যুবক বাদশা মিয়া। স্নাতক শেষ করেই অভাবের সংসারের হাল ধরতে সরকারি ও বেসরকারি চাকরির চেষ্টা করেছেন। কিন্তু দীর্ঘ সময়েও মেলেনি চাকরি। এদিকে সরকারি চাকরিরও বয়স শেষ হয়ে গেছে। এ হতাশায় সব একাডেমিক সনদপত্র ছিঁড়ে ফেলেন তিনি।
সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক লাইভে নিজের শিক্ষা জীবনে অর্জিত সব একাডেমিক সনদপত্রগুলো ছিঁড়ে ফেলেন তিনি।
লাইভে বাদশা বলেন, ‘আসলে আমার ভাগ্যটাই খারাপ! কত মানুষ ভুয়া সার্টিফিকেট বানিয়ে চাকরি করছে। আর আমি এত সার্টিফিকেট নিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরেও একটা সরকারি বা বেসরকারি চাকরি জোটাতে পারিনি। সনদপত্র অনুযায়ী চাকরির বয়স শেষ, এখন এগুলো রেখে লাভ কী? বয়স থাকতেই তো চাকরি জোটাতে পারিনি।’
ওই লাইভে বাদশা আরও বলেন, ‘আমার বাবা খেয়ে না খেয়ে আমাকে পড়াশোনা করিয়েছেন। বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা-মা ও ছোট ভাই-বোনদের মুখের দিকে তাকাতে পারি না। বর্তমান সমাজে সবচেয়ে অসহায় মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের শিক্ষিত ছেলেরা। এরা না পারে চাকরি জোটাতে, আবার অর্থের অভাবে ব্যবসা বাণিজ্য করতে।’
বাদশার সেই ফেসবুক লাইভে তার পরিচিত-অপরিচিত অনেকেই মন্তব্য করেছেন। অনেকেই বাদশার এমন কাজের বিরোধিতা করেছেন, আবার অনেকেই দিয়েছেন সান্ত্বনা। শুধু বাদশাই নন এমন হতাশা দেশের কোটি যুবকের বলেও মন্তব্য করেছেন অনেকে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাদশা মিয়া উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ সুন্দর খাতা গ্রামের বাসিন্দা মহুবার রহমানের ছেলে। পরিবারের ছয় ভাই-বোনের মধ্যে বড় তিনি। তাদের পরিবারের একমাত্র উপার্জনের ব্যক্তি অসহায় বাবা মহুবার রহমান।
বাদশা পাঙ্গা চৌপতি আব্দুল মজিদ দাখিল মাদরাসা থেকে ২০০৭ সালে জিপিএ ৩.৯২ পেয়ে বিজ্ঞান বিভাগে দাখিল, ২০০৯ সালে সোনাখুলি মুন্সিপাড়া কামিল মাদরাসা থেকে জিপিএ ৪.০৮ পেয়ে বিজ্ঞান বিভাগে আলিম এবং ২০১৪ সালে নীলফামারী সরকারি কলেজ থেকে পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন। তবে অর্থের অভাবে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করতে পারেননি বাদশা।
বাদশার বাবা মহুবার রহমান বলেন, ‘বাদশা তো মেলাদিন থেকে চাকরি খুঁজে পায় না। পরিবারেও অভাব। রাগ করে কাউকে না জানিয়ে এটা করছে। এ নিয়ে আমি নিজেও বোঝাইছি। ছেলে মানুষ করে ফেলছে কী করবেন আর।’
মানবতা ফাউন্ডেশনের ডিমলা শাখার সভাপতি আবু সাঈদ সিয়াম জাগো নিউজকে বলেন, ‘বাদশা ভাই হতাশা থেকেই করেছেন। আমরা কয়েকটি সেচ্ছাসেবী সংগঠন আজ মিটিং করবো ঠিক করেছি৷ তার পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবো।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বেলায়েত হোসেন বলেন, আমরা তো একটি সরকারি চাকরির ব্যবস্থা করতে পারবো না। আমরা যুব উন্নয়নের বিভিন্ন প্রশিক্ষণের আওতায় তাকে নিয়ে আসবো। যাতে সে উদ্যোক্তা হতে পারে। যাতে সে চাকরির পেছনে না ছুটে নিজেই একজন সফল উদ্যোক্তা হয়ে উঠতে পারে। আগামী যেকোনো বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের আওতায় আমরা তাকে অবশ্যই আনবো।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও ট্রেজারারদের বিদেশ যাওয়ার পূর্বে ইউজিসির অনুমোদন নিতে হবে।

সকল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি কার্যালয় স্মারক প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। এতে জানানো হয়েছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও ট্রেজারারদের বিদেশ যাওয়ার পূর্বে ইউজিসির অনুমোদন নিতে হবে।
ইউজিসির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের পরিচালক মো. ওমর ফারুখ স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে আরও বলা হয়, পরবর্তীতে বিদেশ থেকে ফিরে কাজে যোগ দিয়ে তা লিখিত ভাবে ইউজিসিকে জানাতে হবে। ইতোমধ্যে স্মারকটি সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারকে পাঠানো হয়েছে।
দেশের পাবলিক ও বেসরকারি—সব বিশ্ববিদ্যালয়েরই উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও ট্রেজারার নিয়োগ দেন আচার্য বা রাষ্ট্রপতি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে আচার্যের সাচিবিক দায়িত্ব পালন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সে কারণে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও ট্রেজারার নিয়োগের আদেশ মন্ত্রণালয়টির মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে জারি করা হয়।
আচার্য বা রাষ্ট্রপতি সকল বিশ্ববিদ্যালয়েরই উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও ট্রেজারার নিয়োগ দেন। আচার্যের সাচিবিক দায়িত্ব পালন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও ট্রেজারাররা বিদেশ যাওয়ার পূর্বে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি অফিস আদেশ (জিও) নেন। তবে বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে তেমন কোনো নির্দেশনা নেই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও ট্রেজারারদের।
ইউজিসির এমন নতুন নির্দেশনায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ কর্তাব্যক্তিদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। এ ব্যাপারে কথা বলেছেন বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও ট্রেজারার । তবে তাদের কেউই নাম উল্লেখ্য করতে রাজি হননি। তারা জানিয়েছেন, বিদেশ গমনে অনুমোদন প্রসঙ্গে আচার্য কতৃক এই নির্দেশনা আসা উচিত। একজন উপাচার্যের মন্তব্য ছিল এমন, ইউজিসি প্রদত্ত নির্দেশনা আমাদের জন্য অসম্মানজনক। কমিশন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়, সব প্রতিষ্ঠানকেই আমরা সম্মান করি। তবে ইউজিসি আচার্যের কার্যালয়ে সুপারিশ পাঠাতে পারত। পরবর্তীতে আচার্য চাইলে এমন নির্দেশনা জারি করতেন।
কমিশন সূত্রে জানা গেছে, দেশের কিছু কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও ট্রেজারারের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে বিদেশে অবস্থানরত ও সেখানে পূর্ণকালীন চাকরি করছেন এমন ব্যক্তিকে নামেমাত্র নিয়োগ দেয়া হয়েছে। যারা অল্প সময়ের জন্য দেশে এসে মন্ত্রণালয় এবং কমিশনে দেখাসাক্ষাৎ করে অথবা সমাবর্তনে যোগ দিয়ে আবার বিদেশে ফিরে যান। এমন বিভিন্ন ঘটনা সামনে আসায় উক্ত নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
উচ্চশিক্ষার মান নিশ্চিতে আইনে দেয়া ক্ষমতাবলেই এমন নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেন ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ। গণমাধ্যমকে তিনি জানান, কিছু বিশ্ববিদ্যালয় বিদেশে অবস্থানরত ও সেখানে পূর্ণকালীন চাকরিরত ব্যক্তিকে এসব গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। কেউ কেউ সংশ্লিষ্ট দেশের নাগরিকও। তাই কমিশন এসব বিষয়টি পর্যবেক্ষণে রাখার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে এমন নির্দেশনা দিয়েছে। আইন অনুযায়ী উচ্চশিক্ষার মান নিশ্চিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এমন নির্দেশনার এখতিয়ার কমিশনের রয়েছে।
মন্তব্য