যুবলীগ থেকে বহিষ্কৃত কিনা জানেন না সম্রাট

যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট বলেছেন, আমি বহিষ্কৃত কি না জানি না। রাজনীতি নিয়ে আমার কোনো ভাবনা নেই, আমি সবসময় শেখ হাসিনার কর্মী ছিলাম, কর্মী হিসেবেই কাজ করে যাবো।
শুক্রবার বিকেলে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে গিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এ কথা বলেন তিনি।
শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে তিনি ৩২ নম্বরে যান। তবে দুপুরের পর থেকেই হাজারো নেতাকর্মী ওই এলাকায় জড়ো হওয়ায় যানজট সৃষ্টি হয়।
যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাফর আহমেদ রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক মাকসুদুর রহমানসহ নগরের বিভিন্ন ওয়ার্ডের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
নেতাকর্মীরা সেখানে 'শেখ হাসিনা ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই', 'শেখ হাসিনা এগিয়ে চলো, আমরা আছি তোমার সাথে', 'পঁচাত্তরের খুনীরা, হুঁশিয়ার সাবধান' ইত্যাদি স্লোগান দেন।
জামিনে মুক্ত হয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল ছাড়েন ক্যাসিনোকাণ্ডে আলোচিত এই সাবেক যুবলীগ নেতা। কারাবন্দি অবস্থাতেও দীর্ঘদিন বিএসএমএমইউতে ছিলেন সম্রাট। সোমবার জামিনে মুক্ত হলেও চিতিৎসার জন্য বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনি হাসপাতালেই ছিলেন।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের যুব সংগঠনটির ঢাকা মহানগরের দক্ষিণ শাখার সাবেক সভাপতি সম্রাট ২০১৯ সালে গ্রেপ্তার হন। এরপর তার বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা হয়। চলমান চারটি মামলায় জামিন হলে ৩১ মাস পর মুক্তি মেলে সম্রাটের। কিন্তু ১৮ মে হাই কোর্ট অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় তার জামিন আদেশ বাতিল করে দেয়, ফলে ফের বন্দিজীবন শুরু হয়।
পরে জজ আদালত এ মামলায় সম্রাটকে ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিলে আবারও তার মুক্তি মেলে।
ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় অন্যদের মধ্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সহসভাপতি সোহরাব হোসেন স্বপন, সরোয়ার হোসেন মনা, হারুনুর রশিদ, নাজমুল হোসেন টুটুল, কামাল উদ্দিন খান, মহসিন মাহমুদ, মজিব মহসিন পিয়াস, আলী আকবর বাবুল, মুরসালিন আহমেদ, খোরশেদ আলম মাসুদ; যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাফর আহমেদ রানা, ওমর ফারুক, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বকুল, মোহাম্মদ মাকসুদুর রহমান, ইব্রাহিম খলিল মারুফ, উত্তর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাহাদাত হোসেন সেলিম, দক্ষিণের শিল্প ও বানিজ্য সম্পাদক ওমর শরীফ পলাশ, আইন সম্পাদক শাহনাজ পারভীন হীরা, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম আকতার, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক গোফরান গাজী, ধর্ম সম্পাদক আবুল কাশেম উপস্থিত ছিলেন।
সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে আওয়ামী লীগ

আগামী ১৭ আগস্ট সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে আওয়ামী লীগ। ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সংঘটিত দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে এই কর্মসূচি পালন করবে দলটি।
দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অপপ্রচার-গুজবের মাধ্যমে দেশবিরোধী অপশক্তি বিএনপি ও তার দোসদের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টির উস্কানির প্রতিবাদে এই কর্মসূচি পালিত হবে।
দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এক বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের জেলা-মহানগর, উপজেলা, থানা, পৌর ও ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত সকল নেতাকর্মীকে এই কর্মসূচি পালনের সাংগঠনিক নির্দেশনা দিয়েছেন।
২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে দেশব্যাপী পাঁচ শতাধিক জায়গায় সিরিজ বোমা হামলা চালানো হয়। এরপর থেকে দিনটি সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদ দিবস হিসেবে পালন করে আসছে আওয়ামী লীগ।
আ.লীগের পালানোর ইতিহাস নেই: কাদের

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আপনারা (বিএনপি) প্রতিদিনই সরকারের পতন দেখতে পাচ্ছেন। প্রতিদিনই বলেন, সরকার পালিয়ে যাবে। কোথায় পালাব? আওয়ামী লীগের পালানোর ইতিহাস নেই, প্রয়োজনে জেলে যাব। আওয়ামী লীগ মাঠে নামলে বিএনপির আন্দোলন কর্পূরের মতো উবে যাবে।
বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির সঙ্গে সহযোগী সংগঠনের জরুরি সভায় বৃহস্পতিবার তিনি এসব কথা বলেন। তার সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম ও আফজাল হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা ফরিদুন্নাহার লাইলী, বিপ্লব বড়ুয়া, সুজিত রায় নন্দী, আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।
ওবায়দুল কাদেরের সূচনা বক্তব্যের পর রুদ্ধদ্বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ ও বাহাউদ্দিন নাছিম, মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান বক্তব্য দেন।
বিএনপিকে উদ্দেশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, পালাবার দল আপনারা। আপনাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কোথায়? জরুরি সরকারের কাছে মুচলেকা দিয়ে এখান থেকে পালিয়ে গেছেন। এখন আওয়ামী লীগের পালানোর কথা বলছেন। এ সময় দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, আপনারা সবাই প্রস্তুত আছেন? আছেন মাঠে? খেলা হবে, মোকাবিলা হবে।
জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিরোধী দলগুলোর কর্মসূচি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটা তো গণতন্ত্রের বিষয়। আমরা তাদের বাধা দেব কেন? তবে তারা যদি এ আন্দোলনে সহিংসতার উপাদান যুক্ত করে, আগুন-সন্ত্রাস নিয়ে মাঠে নামে আমরা কি নীরব হয়ে বসে থাকব? আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কি আঙুল চুষবে? প্রতিরোধ করতে হবে। প্রতিবাদ করতে হবে। রাজপথে মোকাবিলা হবে।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটকে নির্বাচনি জোট হিসাবে আখ্যায়িত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটি কৌশলগত জোট। এখানে আদর্শের কোনো বিষয় নেই। জোটের শরিকদের দলীয় কর্মসূচি দেওয়ার অধিকার আছে। তারা করতে চাইলে করবে।
এ সময় ওবায়দুল কাদের জানান, সিরিজ বোমা হামলা দিবসে ১৭ আগস্ট বিকাল ৪টায় তারা রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন চত্বরে সবাই মিলিত হবেন। কিছুক্ষণ সমাবেশ করার পর মিছিল সহকারে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ পর্যন্ত যাবেন। এ কর্মসূচি জেলা, উপজেলা, থানা ও ইউনিয়নেও পালন করা হবে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে আসছেন সোহেল তাজ

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে আসছেন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ও স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম নেতা তাজউদ্দীন আহমদের পুত্র তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ।
বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) সন্ধ্যা সাতটা আট মিনিটে তাজউদ্দীন আহমদের বড় মেয়ে শারমিন আহমদ রিপি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, ‘আল্লাহ সর্বজ্ঞ, আল্লাহ সর্ব শক্তিমান। TANJIM AHMAD (Sohel Taj), in all probability, is set to assume leadership in party hierarchy in the upcoming councils of Bangladesh Awami League. বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আসন্ন কাউন্সিল অধিবেশনে তানজিম আহমদ (সোহেল তাজ) দলীয় নেতৃত্বে আসছেন ইনশা'আল্লাহ । জয় বাংলা! জয় বঙ্গবন্ধু! জয়তু শেখ হাসিনা!! বাংলাদেশ চিরিজীবি হোক।’
সোহেল তাজ ১৯৭০ সালের ৫ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ এবং সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীনের সর্বকনিষ্ঠ সন্তান তিনি।
তিনি সেন্ট ফ্রান্সিস জেভিয়ার্স গ্রিন হেরাল্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে পড়াশুনা করেন এবং পরে ব্রিটিশ কাউন্সিল থেকে 'ও' লেভেল সম্পন্ন করেন। এছাড়াও তিনি আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাচেলর অব বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন ডিগ্রি ও ২০০৮ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের গর্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি সম্পন্ন করেন।
বিএনপির হুমকি-ধমকি শুনে জনগণ এখন হাসে : কাদের

বিএনপি নেতাদের প্রতিদিন অভিন্ন বক্তব্য, হুমকি-ধমকি শুনতে শুনতে জনগণ এখন হাসে বলেও মনে করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে আসা না আসা যেকোনো দলের নিজস্ব সিদ্ধান্তের ব্যাপার, কিন্তু নির্বাচন হতে না দেওয়ার আস্ফালন করে লাভ নেই। যতই বাধা আসুক সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ’
আজ মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) সকালে ওবায়দুল কাদের তাঁর বাসভবনে ব্রিফিংকালে বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে একথা বলেন।
সরকার নাকি আন্দোলনে ভীত, বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্য কমেডি ক্লাবের জন্য যুৎসই হতে পারে কিন্তু দেশের বাস্তবতার সঙ্গে কোনো মিল নেই এমন মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেশে কোথায় তাদের আন্দোলন? কোথায় তাদের উত্তাপ? জনগণ তো কিছু দেখছে না। ’
তিনি আরও বলেন, ‘একবার শুনি রাজপথ দখলে নিবে, আবার শুনি সরকারকে টেনে নামাবে, কখনো শুনি নির্বাচন হতে দিবে না। আসলে বিএনপির সক্ষমতা কতটুকু তা আমাদের জানা আছে। ’
বৈশ্বিক সংকটের নেতিবাচক প্রভাবের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি সরবরাহে অস্থিতিশীলতা ও মূল্যের অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, এ সংকট কোনো দেশের নয়, এ সংকট সারা বিশ্বের।
মন্ত্রী বলেন, এ বাস্তবতা অনুধান না করে বিএনপি ও তার দোসররা শুধু বাংলাদেশ সরকারকে দায়ী করছেন।
বিএনপি নেতাদের কথায় কথায় দুর্নীতি আর লুটপাটের কথা বলা বিষয়ে ওবায়দুল কাদের তাদের উদ্দেশে বলেন, অন্ধকারে ঢিল না ছুঁড়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ দিয়ে বলুন, কোথায়,কারা, কে দুর্নীতি করছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দুর্নীতির প্রশ্নে শেখ হাসিনা সরকারের শূন্য সহিষ্ণুতা নীতির কোনো নড়চড় হয়নি।
জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে পরিবহন ভাড়া সমন্বয় করা হয়েছে কিন্তু কোনো কোনো পরিবহন বাড়তি ভাড়া আদায় করছে এ প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, পরিবহন মালিক শ্রমিকরা সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকছেন। তাদের সঙ্গে বৈঠক করে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা বাস্তবে প্রয়োগ করবেন।
মন্ত্রী বলেন, যারা সমন্বয়কৃত ভাড়ার বেশি আদায়ের চেষ্টা করছেন আমাদের মনিটরিং এর আওতায় তারা রয়েছেন। তাই আবারো তাদের সহযোগিতা চাচ্ছি, অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের পরিবহনে যারা পরিকল্পিত ভাবে ধর্ষণ ও ডাকাতির মত ঘটনা ঘটায় তাদের গণশত্রু আখ্যায়িত করে বলেন, তারা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করছে। এদের কঠোর হস্তে দমন করতে হবে।
মন্তব্য