ঢাকা, বুধবার, ২০ আগস্ট ২০২৫ ৫ ভাদ্র ১৪৩২
 
শিরোনাম

নিপুন এখন যবিপ্রবি শিক্ষার্থী

নিজস্ব প্রতিবেদক
২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৪:২৬
নিজস্ব প্রতিবেদক
নিপুন এখন যবিপ্রবি শিক্ষার্থী

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেনের বিশেষ নির্দেশে শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান (পিইএসএস) বিভাগে ভর্তির সুযোগ পেলেন নিপুন বিশ্বাস। তিনি এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য বিজ্ঞান অনুষদ ভুক্ত শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের গর্বিত শিক্ষার্থী।

ভর্তির জন্য যথাসময়ে উপস্থিত হতেও না পারলেও মানবিক দিক ও নিপুনের পারিবারিক অবস্থা বিবেচনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে উপাচার্যের উপর অর্পিত ক্ষমতাবলে তাকে ভর্তির ব্যবস্থা করা হয়।

গতকাল মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমিটির জরুরি সভায় নিপুন বিশ্বাসের ভর্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। পরে রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মো. আব্দুর রশিদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এদিকে, আজ বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) নিপুন ভর্তির সকল ধাপ সম্পন্ন করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মো. আব্দুর রশিদ জানান, ভর্তির সকল ধাপ সম্পন্ন! নিপুণ বিশ্বাস এখন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য বিজ্ঞান অনুষদ ভুক্ত শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের গর্বিত শিক্ষার্থী। তাকে অভিনন্দন।

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ‘ইউনিক আইডি’ হচ্ছে

    নিজস্ব প্রতিবেদক
    ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৪:১২
    নিজস্ব প্রতিবেদক
    বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ‘ইউনিক আইডি’ হচ্ছে

    দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের ‘ইউনিক আইডি’ হচ্ছে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা শিক্ষাজীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একটি পরিচিতি নম্বর পাবেন। এতে শিক্ষার্থীদের ভর্তিসহ যাবতীয় তথ্য সংরক্ষিত থাকবে।

    এ বিষয়ে আজ মঙ্গলবার ইউজিসিতে আয়োজিত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউজিসির চেয়ারম্যান কাজী শহীদুল্লাহ এসব কথা বলেন।

    বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান কাজী শহীদুল্লাহ দ্রুত সময়ের মধ্যে ‘ইউনিক আইডি’ করতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি বলেন, এর ফলে দেশ-বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ ও চাকরি ক্ষেত্রে সনদ যাচাইয়ে শিক্ষার্থীদের কোনো ধরনের সমস্যায় পড়তে হবে না।

    বর্তমানে সারা দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে ১০৮টি। এগুলোতে মোট শিক্ষার্থী তিন লাখের বেশি।

    কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্যে ইউজিসির সদস্য বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, ১৬ ডিজিটের ‘ইউনিক আইডি’তে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষার্থীর সব তথ্য সংরক্ষিত থাকবে। প্রতারণা থেকে শিক্ষার্থীদের রক্ষা করা এবং সনদ যাচাই নিশ্চিত করতে ইউজিসি এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এ ছাড়া বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুমোদিত আসনের বিপরীতে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা জানার পাশাপাশি জাল সনদধারীদের চিহ্নিত করাও সহজ হবে। শিক্ষার্থীরা সহজে ‘ক্রেডিট ট্রান্সফার’ করতে পারবেন এবং সনদের আন্তর্জাতিকীকরণ ও গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে।

    কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ইউজিসির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের পরিচালক মো. ওমর ফারুখ, দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর রেজিস্ট্রার, হেড অব আইটিসহ ইউজিসি–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      ঢাবিতে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের দাবিতে আমরণ অনশনের হুমকি

      নিজস্ব প্রতিবেদক
      ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৪:৮
      নিজস্ব প্রতিবেদক
      ঢাবিতে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের দাবিতে আমরণ অনশনের হুমকি

      ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভর্তি পরীক্ষায় দ্বিতীয়বার অংশগ্রহণের সুযোগ দাবি করেছে এইচএসসি-২০২০ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। আগামী ৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এই দাবি মানা না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে প্রতিবাদ সমাবেশ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা। দাবি না মানলে প্রয়োজনে আমরণ অনশনেও বসা হবে বলেও জানান তারা। আজ বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে আয়োজিত ‘ঢাবিতে সেকেন্ড টাইম চাই’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ দাবি জানান তারা।

      সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এইচএসসি-২০২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. রাফি হাছান বলেন, পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি দেশেই শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্নাতক পর্যায়ে ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের একাধিকবার অংশগ্রহণের সুযোগ রয়েছে। এই সুযোগের মধ্য দিয়ে ভর্তি পরীক্ষার উন্মুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়। তাই আমাদের দেশের শীর্ষস্থানীয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একের অধিক ভর্তি পরীক্ষায় বসার সুযোগ না দেওয়ার বিষয়টি শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক।

      তিনি বলেন, প্রাচ্যের অক্সফোর্ড বলা হলেও ঢাবিতে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয় না। যেখানে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে শুধু দ্বিতীয়বার নয়, একাধিকবার স্নাতক শিক্ষা গ্রহণের জন্য ভর্তির সুযোগ দেওয়া হয়। আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতের আইআইটিতে ৩/৪ বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়। তাদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একাধিকবার ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। তাহলে আমাদের দেশে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হবে না কেন?

      রাফি বলেন, শিক্ষামন্ত্রী দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়ার পক্ষে তার ব্যক্তিগত মতামত দিয়েছেন। সুতরাং আমরাও মনে করি, ঢাবি প্রশাসনের দ্বিতীয়বার ভর্তির সুযোগ বন্ধের কারণগুলো বর্তমান প্রেক্ষাপটে ভিত্তিহীন। দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ বন্ধ রাখার কারণে দেশের অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী ছোটবেলা থেকে লালন করা স্বপ্নের ঢাবিতে ভর্তির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অনেক চেষ্টা-পরিশ্রম করা সত্ত্বেও হেরে যাওয়া শিক্ষার্থীরা আর কোনো সুযোগ না পাওয়ায় হতাশায় ভেঙে পড়েছে। অনেকেই আত্মহত্যার মতো মহাপাপের পথ বেছে নিয়েছে। যদি দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ থাকতো, তাহলে অনেক শিক্ষার্থীই এ পথ বেছে নিতো না। সুতরাং মানবিক দিক বিচার করে হলেও দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া উচিত।

      একই ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. সংগ্রাম বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। এই দাবি না মানলে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি আমরা সমাবেশ করব।

      “এরপরও যদি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের প্রতি সদয় না হয়, আমরা আমরণ অনশনে যাবো। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে না পারলে আমাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। সবাই প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সামর্থ্য রাখে না। আমরা আশা করি আমাদের দাবি পূরণ হবে।”

      এ সময় দেশের অন্য যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষা দেওয়া যায় না, সেগুলোতেও দ্বিতীয়বার সুযোগ দেওয়ার দাবি জানানো হয়। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতির সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তারা।

      সংবাদ সম্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন একই ব্যাচের শিক্ষার্থী নজরুল ইসলাম নিলয়, সানি আলম, ঋতু আক্তার এবং মাহমুদুল হাছান খান।

      প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য

        বাড়তে পারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি

        নিজস্ব প্রতিবেদক
        ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ২১:৫০
        নিজস্ব প্রতিবেদক
        বাড়তে পারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি

        করোনা সংক্রমণ বাড়ায় বন্ধ রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সশরীরে পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে আগের মতো এবারও ধাপে ধাপে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়তে পারে।

        শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সরকার করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। পরিস্থিতি উন্নতি না হলে আগের মতো এবারও ধাপে ধাপে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়বে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে নির্ধারণ করা হবে ছুটি। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হবে।

        মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, করোনা সংক্রমণের হার ২৮ শতাংশ ছাড়ানোর সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়। গতকালও এই হার ছিলো ২৯ দশমিক ৭৭ শতাংশ। সংক্রমণের হার গত সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা কমেছে। তবে করোনা সংক্রমণের হার এখনো নিরাপদ জায়গায় না আসায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সম্ভাবনা কম। আরও ৭-১৪দিন ছুটি বাড়তে পারে।

        অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সমালোচনা করছেন। তারা বলছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়া সবই স্বাভাবিকভাবে চলছে। কোনো কিছুই বন্ধ হচ্ছে না। দেড় বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা অনেক পিছিয়ে গেছে। অনলাইন পাঠে সে ক্ষতি পুষিয়ে ওঠা সম্ভব না। অচিরেই তারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবি জানান।

        এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, গত দুইদিন ধরে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে সরকারের ওপর চাপ রয়েছে। শিক্ষার্থীদের টিকাদান কর্মসূচিও প্রায় শেষের দিকে। করোনা সংক্রমণ আরও কিছুটা কমলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেয়া হতে পারে। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।

        শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকও বলেছেন, করোনা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে কবে নাগাদ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেয়া হবে। পরামর্শক কমিটির সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তবে শিক্ষার্থীদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে চান না বলে জানান তিনি।

        শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও সংক্রমণ বেড়েই যাচ্ছে। এখনো এ সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখি। একইসঙ্গে দেশে মৃত্যুর সংখ্যাটাও বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা আমাদের জানিয়েছেন, এ ঊর্ধ্বগতিটা আরও কিছুদিন থাকবে। তাদের পক্ষ থেকে আরও দুই সপ্তাহ এ ঊর্ধ্বগতি থাকবে বলে জানানো হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সরকার এ গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছে। করোনা পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সশরীরে পাঠদান কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত নেবো।

        প্রাসঙ্গিক
          মন্তব্য

          বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইউনিক আইডি দ্রুত বাস্তবায়নে ইউজিসির নির্দেশনা

          নিজস্ব প্রতিবেদক
          ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ২১:৪৩
          নিজস্ব প্রতিবেদক
          বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইউনিক আইডি দ্রুত বাস্তবায়নে ইউজিসির নির্দেশনা

          দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে শিক্ষার্থীদের জন্য ‘ইউনিক আইডি’দ্রুত বাস্তবায়নের নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। ইউজিসি আয়োজিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি তৈরি সংক্রান্ত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ আজ (মঙ্গলবার) এ নির্দেশনা দেন।

          কর্মশালায় তিনি বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি তৈরি একটি সময়োপযোগী ও গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। ইউনিক আইডিকে শিক্ষার্থীবান্ধব উদ্যোগ হিসেবে আখ্যায়িত করে ইউজিসি চেয়ারম্যান বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে তা দ্রুত বাস্তবয়নের আহবান জানান।

          প্রফেসর কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, ইউনিক আইডি তৈরির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা জীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একটি পরিচিতি নম্বর পাবেন। এতে শিক্ষার্থীদের ভর্তিসহ যাবতীয় তথ্য সংরক্ষিত থাকবে। ফলে দেশ-বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ ও চাকরি ক্ষেত্রে সনদ যাচাইয়ে শিক্ষার্থীদের কোন ধরনের সমস্যায় পড়তে হবে না।

          ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ- এর সভাপতিত্বে কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য দেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের পরিচালক মোঃ ওমর ফারুখ। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের সহকারী পরিচালক শাহনাজ সুলতানার সঞ্চালনায় কর্মশালায় দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, হেড অব আইটি ও ইউনিক পরিচিতি নম্বরের ফোকাল পার্সনরা অংশ নেন। কর্মশালায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. শরীফুল ইসলাম ইউনিক আইডির বিস্তারিত বিষয় তুলে ধরেন।

          সভাপতির বক্তব্যে ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, ১৬ ডিজিটের ইউনিক আইডিতে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষার্থীর সব তথ্য সংরক্ষিত থাকবে। প্রতারণার হাত থেকে শিক্ষার্থীদের রক্ষা করা এবং সনদ যাচাই নিশ্চিত করতে ইউজিসি এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এর ফলে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুমোদিত আসনের বিপরীতে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীর সংখ্যা জানার পাশাপাশি জাল সনদধারীদের চিহ্নিত করা সহজ হবে। এ উদ্যোগের ফলে শিক্ষার্থীরা সহজে ক্রেডিট ট্রান্সফার করতে পারবে এবং সনদের আন্তর্জাতিকীকরণ ও গ্রহণযোগ্যতা বৃ্দ্ধি পাবে এবং অন্য কোন দেশ কর্তৃক বাংলাদেশের কোন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়কে কালো তালিকাভুক্ত করা বন্ধ হবে।

          তিনি আরও বলেন, ইউনিক আইডির ফলে শিক্ষার্থীদের সকল তথ্য মূল সার্ভারের পাশাপাশি ইউজিসি সার্ভারে এবং ব্যাকআপ সার্ভারে সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে। ফলে কোন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে গেলে কিংবা দুর্যোগের কারণে কোন একটি সার্ভারে ক্রুটি দেখা দিলেও তথ্য সুরক্ষিত থাকবে এবং শিক্ষার্থীদের সনদ যাচাইয়ে কোন সমস্যা হবে না।

          প্রাসঙ্গিক
            মন্তব্য
            সর্বশেষ সংবাদ
              সর্বাধিক পঠিত