ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট ২০২৫ ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২
 
শিরোনাম

শনিবার সারাদেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি বৈঠক

নিজস্ব প্রতিবেদক
১২ জুলাই, ২০২৪ ১৮:৫৪
নিজস্ব প্রতিবেদক
শনিবার সারাদেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি বৈঠক

কোটা সংস্কার আন্দোলনে ঘোষিত এক দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আগামীকাল শনিবার সারাদেশে সংগঠনটির সমন্বয়কদের নিয়ে অনলাইন-অফলাইনে প্রতিনিধি বৈঠক করা হবে।

শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকেল সোয়া ৬টায় রাজধানীর শাহবাগে গতকালের বাংলা ব্লকেডে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার।

কর্মসূচি অনুযায়ী আগামীকাল সারাদিন দেশব্যাপী প্রতিনিধি বৈঠক করবে সংগঠনটি। একই সঙ্গে পূর্বে ঘোষিত ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের কর্মসূচিও চলমান থাকবে। পরবর্তীতে বিকেল ৬টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে সংবাদ সম্মেলন করবেন তারা।

আবু বাকের মজুমদার বলেন, গতকাল আন্দোলনে কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, শেকৃবিসহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের ভাইবোনদের ওপর পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে, টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করেছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের সভাপতি আমাদের সমন্বয়ককে চড় থাপ্পড় মেরেছে৷ আমরা এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমি সমন্বয়কদের অভয় দিয়ে বলতে চাই, কেউ যদি আমাদের ওপর হামলা চালায় তাহলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক প্রতিরোধ গড়ে তুলব।

তিনি বলেন, গতকাল কুমিল্লায় এক সাংবাদিক বন্ধুর উপর পুলিশ হামলা করেছে। তাছাড়া গতকাল কিছু অছাত্র-কুছাত্রদের দিয়ে ঢাবি ক্যাম্পাস ভরে রাখা হয়েছিল। পরে শাহবাগে কিছু কুচক্রী মহল তাদের দিয়ে আমাদের আন্দোলনকে বিতর্কিত করতে সাংবাদিকদের উপর হামলা করেছে। সাংবাদিকরা গত ৫ জুন থেকে নিরলসভাবে আমাদের দাবির পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। আমরা এই হামলার নিন্দা জানাই এবং জড়িতদের শাস্তির দাবি জানাই।

এর আগে বিকেল সোয়া ৪টায় ঢাবির কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে এই বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষিণ করে বিকেল সোয়া ৫টায় শাহবাগে জড়ো হন।

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    চুয়েট-রুয়েট-কুয়েটের ভর্তি প্রক্রিয়া স্থগিত

    নিজস্ব প্রতিবেদক
    ১২ জুলাই, ২০২৪ ১২:৩৬
    নিজস্ব প্রতিবেদক
    চুয়েট-রুয়েট-কুয়েটের ভর্তি প্রক্রিয়া স্থগিত

    চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট), রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি প্রক্রিয়া ও ওরিয়েন্টেশন স্থগিত করা হয়েছে।

    ভর্তি প্রক্রিয়া ও ওরিয়েন্টেশনের নতুন তারিখ পরবর্তীতে ঘোষণা করা হবে বলে ভর্তি-সংক্রান্ত ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে।

    ঘোষণায় বলা হয়েছে, অনিবার্য কারণে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের জন্য চুয়েট, কুয়েট ও রুয়েটে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন ক্লাস স্থগিত করা হয়েছে।

    এ ছাড়াও, ১৪ ও ১৫ জুলাই নির্ধারিত ভর্তি প্রক্রিয়ার চতুর্থ ধাপও অনিবার্য কারণে স্থগিত করা হয়েছে।

    নতুন ভর্তির তারিখ শিক্ষার্থীদের এসএমএস ও ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।

    শুরুতে চতুর্থ ধাপের ভর্তি প্রক্রিয়া ৩ ও ৪ জুলাই হওয়ার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে ১৪ ও ১৫ জুলাই করা হয়েছিল।

    আর এই তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওরিয়েন্টেশন হওয়ার কথা ছিল ৩১ জুলাই।

    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      কুবি প্রশাসনকে অবাঞ্চিত ঘোষণা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের

      নিজস্ব প্রতিবেদক
      ১২ জুলাই, ২০২৪ ০:৩৪
      নিজস্ব প্রতিবেদক
      কুবি প্রশাসনকে অবাঞ্চিত ঘোষণা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের

      কুবি প্রতিনিধি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) প্রশাসনকে অবাঞ্চিত ঘোষণা এবং একই সাথে প্রক্টরের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

      বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এ ঘোষণা দেন।

      তাদের দাবি, প্রশাসন এবং প্রক্টরের ইন্ধনের কারণেই পুলিশ ক্যাম্পাসে গিয়ে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করার সাহস পেয়েছে। এ কারণেই তাঁরা প্রশাসনকে অবাঞ্চিত ঘোষণা ও প্রক্টরের অপসারণ দাবি করেন।

      আন্দোলনে লাবিবা ইসলাম বলেন, আমরা এখন থেকে প্রশাসনকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করলাম। পাশাপাশি প্রক্টরের অপসারণ চাই।

      এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, এখানে আমার কোন ইন্ধন নেই। হামলার ব্যাপারে আমি কিছু জানিনা। আমার কনসার্নেও ছিল না।

      এর আগে দুপুর ২টায় প্রক্টরের উপস্থিতিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করে পুলিশ। এরপর আন্দোলন আরও তীব্র হয় এবং ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

      প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য

        কোটা বিরোধী আন্দোলনে সহিংসতায় অ্যামনেস্টির উদ্বেগ

        নিজস্ব প্রতিবেদক
        ১১ জুলাই, ২০২৪ ২২:৪০
        নিজস্ব প্রতিবেদক
        কোটা বিরোধী আন্দোলনে সহিংসতায় অ্যামনেস্টির উদ্বেগ

        কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের দমন-পীড়নে শিক্ষার্থীসহ অন্তত ২০ জন আহত হওয়ার খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।

        যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক এই মানবাধিকার সংস্থার দক্ষিণ এশিয়া শাখা বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে উদ্বেগ জানিয়েছে।

        ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল দক্ষিণ এশিয়া বলেছে, বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই প্রতিবাদ করার অধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে হবে। পাশাপাশি শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের নিরাপত্তা ও অপ্রয়োজনীয় এবং অতিরিক্ত শক্তির ব্যবহার বন্ধ করারও আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

        আন্তর্জাতিক এই মানবাধিকার সংস্থা বলেছে, আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় ও নিজস্ব সংবিধান অনুযায়ী শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতার অধিকারের প্রতি বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

        বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর ভবনের সামনের সড়কে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

        এ সময় পুলিশ ফাঁকা গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে সাংবাদিকসহ ১০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহত শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহতদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা গুরুতর। ক্যাম্পাসে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

        সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি চলাকালে আজ দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষের খবর গেছে। কুমিল্লা ও ঢাকার আগারগাঁওয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।

        এর আগে, কোটা পদ্ধতি নিয়ে সংশ্লিষ্ট আদালত রায় দেওয়ায় কেউ জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেয় পুলিশ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, কোটাবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা তাদের সীমা অতিক্রম করছেন। তিনি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ বন্ধ করে আদালতে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানান।

        প্রাসঙ্গিক
          মন্তব্য

          নির্ধারিত সময় পার হলেও প্রকাশিত হয়নি ৭ কলেজের ২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের বিষয় মনোনয়নের ফলাফল

          নিজস্ব প্রতিবেদক
          ১১ জুলাই, ২০২৪ ২২:২০
          নিজস্ব প্রতিবেদক
          নির্ধারিত সময় পার হলেও প্রকাশিত হয়নি ৭ কলেজের ২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের বিষয় মনোনয়নের ফলাফল

          ঢাকা কলেজ প্রতিনিধিঃ ঢাবির কর্মবিরতিতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে সাত কলেজে ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থীরা।নির্ধারিত সময় পার হয়ে গেলেও ২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থীদের বিষয় মনোনয়নের প্রথম মেধাতালিকা এখনো প্রকাশ করতে পারে নাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ।

          গত ২৯ মে ঢাবি অধিভুক্ত সাত কলেজের বিষয় মনোনয়ন কার্যক্রম শুরু হয় যা শেষ হয় গত ২৩ জুন।২৬ জুনের মধ্যে প্রথম মেধাতালিকা প্রকাশ করার কথা থাকলেও ৩ বার তারিখ পরিবর্তন করার পরও প্রকাশ করা হয় নাই।এর ফলে রেজাল্টের অপেক্ষারত শিক্ষার্থীরা উৎকন্ঠার মধ্যে দিয়ে দিন পার করছে।

          রেজাল্টের অপেক্ষারত শিক্ষার্থীদের একজন,রাকিব বলেন,"কোথাও চান্স না পাওয়ায় আগে থেকেই হতাশায় ভুগছিলাম শেষ ভরসা ছিল সাত কলেজে। রেজাল্টের এই গড়িমসিতে দিনদিন হতাশা বেড়ে যাচ্ছে।এটা আমাদের মনের উপর একটা চাপ সৃষ্টি করছে।ঢাবির উচিত যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রেজাল্ট প্রকাশ করা"

          অপেক্ষমান আরেক শিক্ষার্থী রাবেয়া বলেন,"খুবই তিক্ত অভিজ্ঞতা পোষন‌‌ করছি। মনের অবস্থা খুবই খারাপ। অপেক্ষা করতেছি কখন রেজাল্ট টা দিবে। আব্বু আম্মু বাসার ‌সবাই বলছে কবে দিবে রেজাল্টটা । অপেক্ষা করতে করতে এখন খুব ‌ বিরক্ত আমি। সব বন্ধুরা ভর্তি হইছে । আর‌ এই জায়গায় আমি বিষয়ের ফলাফল ‌জানিনা কোনটা আসছে বা কবে দিবে। "

          আব্দুল আহাদ বলেন,"মানসিক ভাবে কিছুটা খারাপ লাগতেছে।অনেক আগ্রহ নিয়ে আছি।বিষয়টা দুশ্চিন্তার কারণ হচ্ছে।"

          আরো এক শিক্ষার্থী বলেন, ''দেশের সব পাব্লিক, প্রাইভেট, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিনে সকল কলেজে ক্লাস শুরু হয়ে গেছে এবং কিছু ফ্রেন্ড বললো তাদের নাকি পরীক্ষার রুটিন ও দিয়ে দিসে আর এইদিকে আমাদের সাব্জেক্ট চয়েস এর রেজাল্ট ই দিচ্ছে না।শিক্ষকদের কর্মবিরতির জন্য আমাদের কত টা সময় নষ্ট হচ্ছে সেটা তোহ সবাই বুঝতে পারছে।তাই আমাদের কথা ভেবে হলেও যতদ্রুত সম্ভব রেজাল্ট প্রকাশ করা হোক।"

          রেজাল্টের অপেক্ষায় থাকা প্রত্যেকটা শিক্ষার্থীর মানসিক অবস্থাই এখন প্রায় একই রকম।এদিকে ঠিক কবে নাগাদ রেজাল্ট প্রকাশ হতে পারে এই ব্যাপারে ঢাবি থেকে এখন পর্যন্ত কোন রকম কোনো নোটিশ দেওয়া হয় নাই।ফলে সকল শিক্ষার্থীরা অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।তাই সকল শিক্ষার্থীর দাবী যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিষয় মনোনয়নের রেজাল্ট প্রকাশ করে ভর্তি কার্যক্রম শুরু করা।

          শাওন মিরাজ/

          প্রাসঙ্গিক
            মন্তব্য
            সর্বশেষ সংবাদ
              সর্বাধিক পঠিত