টোলপ্লাজায় ৬ জন নি-হতের ঘটনায় বাস মালিক গ্রেপ্তার

ডেস্ক রিপোর্ট: ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় প্রাইভেট কার ও মোটরসাইকেলের ৬ আরোহী নিহতের ঘটনায় বাসের মালিক ডাব্লিউ ব্যাপারিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাকে মাদারীপুরের শীবচর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি ড. আ ক ম আকতারুজ্জামান বসুনিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বাসটি দুর্ঘটনার আগের দিন গ্যারেজ থেকে বের করা হয়। কিন্তু ফিটনেস ছিল না। আর নেশাখোর ও মেয়াদোত্তীর্ণ লাইসেন্সধারী চালক দিয়ে পরিবহনটি চালানো হয়।
এ ছাড়া হাসাড়া হাইওয়ে থানায় শনিবার নিহতের স্বজনের দায়ের করা মামলায় বাস ওই মালিককেও আসামি করা হয়েছে। তাই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ঘটনায় গত ২৭ ডিসেম্বর রাতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে বাসচালক নুরুন্নবীসহ ২ জনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব ও হাইওয়ে পুলিশ।
এর আগে, শুক্রবার রাতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে বাসচালক মোহাম্মদ নুর উদ্দিনকে আটক করা হয়। এদিন বেলা ১১টার দিকে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের কুচিয়াপাড়া এলাকার টোল প্লাজায় বাসের ধাক্কায় দাঁড়িয়ে থাকা মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাসে থাকা ৬ জন নিহত হন।
ভাতা বাড়ানোর দাবিতে শাহবাগে অবরোধে প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসকরা

ডেস্ক রিপোর্ট: ভাতা বাড়ানোর দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে সড়ক অবরোধ করেছেন বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনসের (বিসিপিএস) এফসিপিএস প্রথম পর্ব পাস করা অবৈতনিক প্রশিক্ষণার্থীরা।
রোববার বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন তারা। এ সময় ‘ঐক্য ঐক্য, চিকিৎসকদের ঐক্য’ ‘চিকিৎসকদের দাবি মানতে হবে, মেনে নাও’, ‘২৪ এর বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘দাবি মোদের একটাই ৫০ হাজার ভাতা চাই’, ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
এর আগে এফসিপিএস প্রথম পর্ব পাস করা প্রশিক্ষণার্থীদের মাসিক পারিতোষিক ২৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা করা হয়। তবে এতেও নারাজ প্রশিক্ষণার্থীরা।
গত মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রবিধি অনুবিভাগের উপসচিব সৈয়দ আলী বিন হাসান সই এক প্রজ্ঞাপনে ভাতা বাড়ানোর বিষয়টি জানানো হয়।
ওইদিনই শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা তাদের মাসিক ভাতা পাঁচ হাজার টাকা বৃদ্ধির বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাখ্যান করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। এরপর ভাতা ৫০ হাজার টাকায় উন্নীত করার দাবি জানান এবং দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন।
‘কোন সাহসে হাসিনার গ্রাফিতি মোছে, প্রক্টরকে পদত্যাগ করতে হবে’

ডেস্ক রিপোর্ট: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্য সংলগ্ন মেট্রোরেলের পিলারে শেখ হাসিনার ব্যঙ্গ গ্রাফিতি গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতায় মুছে ফেলার চেষ্টা করেছে সিটি করপোরেশন কর্মীরা। এ ঘটনায় তীব্র সমালোচনা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে টিএসসি এলাকায় এ ঘটনার পর তিনি তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘প্রক্টররে পদত্যাগ করতে হবে। এনএসআই এর প্রেসক্রিপশন নাকি র এর প্রেসক্রিপশন এসব আমি চিনি না। কোন সাহসে হাসিনার গ্রাফিতি মুছে?!’
জানা যায়, গভীর রাতে টিএসসি সংলগ্ন মেট্রোরেলের পিলারে শেখ মুজিব ও হাসিনার ব্যঙ্গাত্বক গ্রাফিতি ক্রেন নিয়ে মুছতে আসে সিটি করপোরেশনের কিছু লোক। হাসিনার গ্রাফিতির মাথা পর্যন্ত মুছে ফেললেও মুজিবের পুরোটাই মুছে ফেলা হয়েছে। হাসিনার গ্রাফিতি মুছে ফেলা অবস্থায় শিক্ষার্থীরা এসে বাধা দিলে তারা এটি বন্ধ করতে বাধ্য হয়।
এরপর শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করতে থাকেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমদ এ ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেন এবং একটি অফিসিয়াল বিবৃতি দিয়ে দুঃখপ্রকাশের কথা জানান। একই সঙ্গে হাসিনার মুছে যাওয়া অংশে শিক্ষার্থীদের শেখ হাসিনার বিকৃত ছবি আঁকতে বলেন এবং ঘৃণা স্তম্ভটিকে অফিসিয়ালি স্বীকৃতি দেবেন বলে উল্লেখ করেন।
পরবর্তী সময় হাসিনার মুছে যাওয়া গ্রাফিতির অংশে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার শিক্ষার্থীরা হাসিনার আরেকটি ব্যঙ্গাত্মক কার্টুন আঁকেন।
শেখ হাসিনার পতনের আগেই ৩ আগস্ট মেট্রোরেলের পিলারে থাকা হাসিনার এই গ্রাফিতিতে কালি মেখে দেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। সেদিন ও পরদিন বিক্ষোভ চলাকালীন প্রায় সারাদিনই এর মধ্যে জুতা নিক্ষেপ করতে থাকে আপামর জনতা।
৪৭তম বিসিএসের আবেদন শুরু

ডেস্ক রিপোর্ট: ৪৭তম বিসিএসের আবেদন শুরু হয়েছে। সকাল ১০টা ৩০ মিনিট থেকে অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, চলবে ৩১ জানুয়ারি রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত।
এর আগে এক দফা আবেদন স্থগিতের পর নতুন এ তারিখ ঘোষণা করে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। বড় পরিবর্তন নিয়ে এবারের আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে।
পিএসসি সূত্রে জানা যায়, ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষা থেকে আবেদন ফি ও মৌখিক পরীক্ষার নম্বর কমানো হয়েছে। এ বিসিএসে মৌখিক পরীক্ষার নম্বর ২০০ থেকে কমিয়ে ১০০ করা হয়েছে। আবেদন ফি ৭০০ টাকার পরিবর্তে ২০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীভুক্ত প্রার্থী, প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীদের জন্য আবেদন ফি ধরা হয় ৫০ টাকা।
গত ২৬ ডিসেম্বর নতুন এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। নতুন বিজ্ঞপ্তির তথ্যমতে, ২৯ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে এ বিসিএসের আবেদন, চলবে আগামী বছরের ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত। এবার প্রথমবারের মতো আবেদনের বয়সসীমা থাকছে ৩২ বছর।
৪৭তম বিসিএসে আবেদনের জন্য ১ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে সব ক্ষেত্রে প্রার্থীর বয়স ২১ থেকে ৩২ বছরের মধ্যে হতে হবে। বয়স কম বা বেশি হলে আবেদনপত্র গ্রহণযোগ্য হবে না।
এর আগে ৯ ডিসেম্বর পিএসসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষা-২০২৪ এর অনলাইন আবেদন ১০ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় শুরু এবং ৩১ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও অনিবার্য কারণে স্থগিত করা হয়েছে।
জানা গেছে, সরকার চাকরিতে আবেদন ফি কমানোর ঘোষণা দিলেও আবেদনের (১০ ডিসেম্বর) আগে প্রজ্ঞাপন হয়নি। পরে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এরপর ৪৭তম বিসিএসের আবেদনের কার্যক্রম শুরু হচ্ছে।
গত ১১ ডিসেম্বর সরকার চাকরিতে আবেদন ফি কমানোর প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ফলে আবেদনে জটিলতা কেটে গেছে।
বিজ্ঞপ্তির তথ্যানুযায়ী, ৪৭তম বিসিএসে ক্যাডার পদের সংখ্যা তিন হাজার ৪৮৭। নন-ক্যাডার পদের সংখ্যা ২০১। এ বিসিএস থেকে মোট তিন হাজার ৬৮৮ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। এতে কিছু নতুন পদ যুক্ত হয়েছে।
কী হতে চলেছে ৩১ ডিসেম্বর?

কমরেডস, ৩১ ডিসেম্বর! এখন না হলে কখনোই নয়। এমন একটি পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঝড় তুলেছে।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রায় একই ধরনের পোস্ট দিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ, জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসিরউদ্দিন পাটওয়ারী, সদস্যসচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, সমন্বয়ক রিফাত রশীদ, তারিকুল ইসলামসহ আরো অনেকেই।
শনিবার যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ তার পোস্টে লিখেছেন, ‘কমরেডস, নাউ ওর নেভার।
‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ লিখেছেন, ‘কমরেডস, ৩১ ডিসেম্বর! নাউ ওর নেভার।’ জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলম লিখেছেন, ‘৩১ ডিসেম্বর! শহীদ মিনার বিকেল ৩টা। এখনই সময়, বাংলাদেশের জন্য...।’
আর জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটওয়ারী তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘অল আয়েজ ওন শহীদ মিনার, ৩১ ডিসেম্বর, সময় বিকেল ৩টা।
‘সমন্বয়ক রিফাত রশীদ লিখেছেন, ‘অল আয়েজ ওন ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪। নাউ ওর নেভার।’
এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে লেখা হয়েছে, ‘৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ বিপ্লবীরা প্রস্তুত তো?’
এ ছাড়া গত জুলাই আগস্টে ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া সমন্বয়কদের অনেককেই একই ধরনের পোস্ট দিতে দেখা গেছে।
আসলে ৩১ ডিসেম্বর কী ঘটতে যাচ্ছে দেশে? কিসের ইঙ্গিত দিলেন সরকারের উপদেষ্টা এবং ছাত্রনেতারা? পোস্টদাতারা স্পষ্ট করে এ বিষয়ে কিছুই জানাননি।
তবে কেউ কেউ ধারণা করছেন, ওই দিন শহীদ মিনার থেকে আত্মপ্রকাশ করতে পারে ছাত্রদের নেতৃত্বে পৃথক দুটি রাজনৈতিক দল।
জানা যায়, ৩১ ডিসেম্বর বিকাল ৩টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে শেখ হাসিনা সরকারকে উৎখাত প্রক্রিয়ার নানা ঘটনাবলি নিয়ে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণা দেবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা।
উমামা ফাতেমা বলেন, শেখ হাসিনার স্বৈরাচারি আমল থেকে কেন জুলাই বিপ্লবের রূপ নিলো, কীভাবে নিলো, ৯ দফা থেকে ১ দফায় আমাদের কেন আসতে হলো, ছাত্র-জনতার আকাঙ্ক্ষা কীরূপ ছিলো এসকল সামগ্রিক বিষয় নিয়ে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণা দিবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
মন্তব্য