দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে : বাণিজ্য উপদেষ্টা

ডেস্ক রিপোর্ট: দেশীয় শিল্পের বিকাশে সরকার কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে। এতে ব্যবসায়ীদের কনফিডেন্স বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদের রিজার্ভও বাড়ছে, দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বিকালে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক বিশেষ পর্যালোচনা সভায় একথা বলেন তিনি।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, তিনমাসের মধ্যে সব কিছু করা সম্ভব না। তবে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আজ হোক, কাল হোক রাষ্ট্র ক্ষমতায় রাজনৈতিক সরকার আসবে। আমরা যতটুকু সময় আছি দেশের জন্য কাজ করে যাবো।
তিনি বলেন, খাদ্য, জ্বালানি, সার ও কীটনাশক খাতকে সরকার অগ্রাধিকার দিচ্ছে। এ সকল খাতে প্রাইভেট সেক্টরের জন্য সরকারের সহযোগিতা থাকবে। আমরা প্রাইভেট সেক্টরকে ডেভেলপ করার চেষ্টা করছি।
ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ সরকারের দেশীয় শিল্পের বিকাশে গৃহীত পদক্ষেপের প্রশংসা করেন। তারা প্রাইভেট সেক্টরের সার্বিক উন্নয়নে ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার চালু, ওষুধ, চামড়া, গার্মেন্টস ও অন্যান্য শিল্পের সঙ্গে সম্পর্কিত পণ্য আমদানিতে ডিউটি ট্যাক্স কমানোসহ নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত এর আহ্বান জানান।
দেশের ৬ সরকারি মেডিক্যালের নাম পরিবর্তন

ডেস্ক রিপোর্ট: দেশের ছয়টি সরকারি মেডিক্যাল কলেজের নাম পরিবর্তন করে সংশ্লিষ্ট জেলার নামে নামকরণ করা হয়েছে।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব ডা. সারোয়ার বারী স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানা গেছে।
যে ছয়টি কলেজের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে, সেগুলো হলো– ১. শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজ, জামালপুর; ২. শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজ, টাঙ্গাইল; ৩. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ, ফরিদপুর; ৪. কর্ণেল মালেক মেডিক্যাল কলেজ, মানিকগঞ্জ; ৫. আব্দুল মালেক উকিল মেডিক্যাল কলেজ, নোয়াখালী এবং ৬. এম. আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ, দিনাজপুর।
এসব মেডিক্যাল কলেজের নাম পরিবর্তন করে যথাক্রমে জামালপুর মেডিক্যাল কলেজ, টাঙ্গাইল মেডিক্যাল কলেজ, ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ, মানিকগঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ, নোয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ, দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ নামে নামকরণ করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, জারিকৃত আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
সাবেক প্রতিমন্ত্রী শহিদুজ্জমান ৪ দিনের রিমান্ডে

ডেস্ক রিপোর্ট: গুলি করে বিএনপির কর্মী মকবুলকে হত্যার অভিযোগে পল্টন মডেল থানায় করা মামলায় সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহিদুজ্জামান সরকারের চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়েছে। এরপর তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার উপপরিদর্শক নাজমুল হাচান তার ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন।
এসময় আসামিপক্ষ রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমান তার জামিন নামঞ্জুর করে চারদিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
এর আগে গতকাল বুধবার রাতে ঢাকার উত্তরা এলাকার একটি বাড়ি থেকে সাবেক এই প্রতিমন্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়।
২০২২ সালের ১০ ডিসেম্বর তৎকালীন সরকারের পতনে এক দফা দাবি আদায়ের কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি। এর আগে ৭ ডিসেম্বর ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ, মেহেদী হাসান ও বিপ্লব কুমার বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে অভিযান ও ভাঙচুর চালায়। কার্যালয়ের পাশে থাকা হাজার হাজার নেতাকর্মীর ওপর হামলা চালায়। এতে মকবুল হোসেন নামে এক কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
এ ঘটনায় গত ৩০ সেপ্টেম্বর মাহফুজুর রহমান বাদী হয়ে শেখ হাসিনাসহ ২৫৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ মামলায় এজাহারনামীয় ৫৩ নম্বর আসামি হলেন শহিদুজ্জামান সরকার।
অন্য বিষয়ে নয়, ফোকাস নির্বাচনের দিকে রাখুন: সরকারকে ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্দেশে বলেছেন যে, তার প্রতি মানুষের ভালোবাসা ও সম্মান যেন নষ্ট না হয় সেদিকে তিনি যেন সজাগ দৃষ্টি রাখেন।
তিনি বলেন, সরকারের নেতৃত্বে যিনি আছেন তিনি সারা পৃথিবীতে সমাদৃত। ড. ইউনূসের কাছে বলতে চাই বাংলাদেশের মানুষ আপনাকে ভালোবাসে। সম্মান দিয়েছে, দেবে ও দিতে চায়। আপনার এই জায়গা যেন নষ্ট না হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখবেন, ঢাকায় এক আলোচনা সভায় বক্তৃতাকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বৃহস্পতিরবার রাজধানীর নয়াপল্টন কার্যালয়ে দলের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব সরকারের উদ্দেশে আরও বলেন, অন্য বিষয়ে নজর না দিয়ে ফোকাসটা ওই দিকে করবেন- ইলেকশন। এটার কোনো বিকল্প নেই। রাষ্ট্র হিসেবে টিকে থাকতে হলে, জাতি হিসেবে এগিয়ে যেতে হলে সবার অংশগ্রহণে একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে হবে। সে কারণেই এতো প্রাণ গেছে। এতো মানুষ দীর্ঘকাল সংগ্রাম করেছে, কারাগারে গেছে।
অন্তর্বর্তী সরকার একদম কিছু করেনি (নির্বাচনের বিষয়ে) সেটিও সঠিক নয় বলেই মনে করেন তিনি।
তিনি বলেন, সর্বশেষ একটা সার্চ কমিটি গঠন করেছে। আমাদের প্রত্যাশা ছিল সার্চ কমিটি গঠনের আগে দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবেন। তারপরেও এটাকে আমরা বড় সমস্যা মনে করছি না। দ্রুত নির্বাচন কমিশন হোক। এরপর দ্রুততার সঙ্গে তাদের যে কাজ নির্বাচন করা সেটি তারা করুক।
যেকোনো নির্বাচনের আগে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হবে : উপদেষ্টা নাহিদ

অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ছাত্রদের তাদের রাজনৈতিক অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে আমাদের সর্বপ্রথম কর্তব্য। আমি মনে করি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সর্বপ্রথম বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন আয়োজন করবে, যেকোনো জাতীয় বা অন্য কোনো নির্বাচনের আগে।
বুধবার দুপুরে প্রেস ইন্সটিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআইবি) অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের অনুদান চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, ছাত্ররা দেশের ভালো চায় এবং দেশকে পুনর্গঠন করতে চায়। এজন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সহায়তা তারা কামনা করছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র রাজনীতি সংস্কার দাবি প্রবলভাবে উঠেছে। কিন্তু কোনো রাজনৈতিক দলই সেটি অ্যাড্রেস করছে না। জাতীয় নির্বাচনের কথা রাজনৈতিক দলগুলো যতবার বলেছে, ছাত্র সংসদ নির্বাচনের কথা তারা একবারের জন্যও বলেনি। ছাত্রদের কথা কিন্তু অবশ্যই মনে রাখতে হবে। তাদের সর্বোচ্চ প্রায়োরিটি দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, নতুন বাংলাদেশে আমাদের চেয়ে তরুণ, সেই তরুণদের বড় একটা ভূমিকা থাকতে হবে। আমাদের কর্মসংস্থানের কথা চিন্তা করতে হবে। কর্মসংস্থানের জন্যই কিন্তু এই আন্দোলনটা শুরু হয়েছে। ফলে আমাদের আন্দোলনের যে ডায়নামাইট ছিল, সেটা যাতে ভুলে না যাই। আন্দোলনটা কিন্তু ছাত্ররা শুরু করেছিল, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শুরু করেছিল। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিয়ে আমাদের ভাবনা কী, রাজনৈতিক দলগুলোর ভাবনা কী; সেই কথা কিন্তু কেউ বলছে না। ছাত্ররা নেতৃত্ব দিয়েছে, রক্ত দিয়েছে। অথচ সেদিন পত্রিকা দেখলাম একটি রাজনৈতিক দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেছেন, ছাত্রদের সঙ্গে কেন আলোচনা করতে হবে, সরকার আমাদের ডাকুক। ফলে এই ধরনের বক্তব্য খুবই দুঃখজনক।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবা ফারজানা, প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক (ডিজি) ফারুক ওয়াসিফ, তথ্য অধিদপ্তরের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা নিজামুল কবীর, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আবদুল্লাহ ও সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্যরা প্রমুখ।
মন্তব্য