ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫ ৪ ভাদ্র ১৪৩২
 
শিরোনাম

শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ফের ছাত্রীদের সড়ক অবরোধ, ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন

নিজস্ব প্রতিবেদক
১৬ জানুয়ারি, ২০২২ ১৫:১৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ফের ছাত্রীদের সড়ক অবরোধ, ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের ছাত্রীদের তিন দফা দাবি আদায়ে চলমান কর্মসূচিতে হামলার প্রতিবাদে আন্দোলনরত ছাত্রীরা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। আজ রোববার সকাল পৌনে নয়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে অবস্থান নিয়ে ছাত্রীরা আগের দিনের মতো ফের সড়ক অবরোধ করে নতুন এই কর্মসূচির কথা জানান। এ সময় সংহতি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীরাও আন্দোলনে যোগ দেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ ও সহকারী প্রাধ্যক্ষদের পদত্যাগ, হলের যাবতীয় অব্যবস্থাপনা দূর করে সুস্থ ও স্বাভাবিক পরিবেশ নিশ্চিত এবং ছাত্রীবান্ধব ও দায়িত্বশীল প্রাধ্যক্ষ কমিটি নিয়োগের দাবিতে গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে আন্দোলন করেন ছাত্রীরা।

আজ সকাল পৌনে নয়টার দিকে অর্ধশতাধিক ছাত্রী গোলচত্বরে এসে অবস্থান নেন। এ সময় তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ প্রধান রাস্তা ‘কিলো সড়ক’ অবরোধ করে তিন দফা দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। প্রাধ্যক্ষ ও সহকারী প্রাধ্যক্ষদের পদত্যাগ চেয়ে প্ল্যাকার্ড হাতে অনেক ছাত্রী অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন। আন্দোলনরত ছাত্রীদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু সাধারণ শিক্ষার্থী ও বামপন্থী ছাত্রসংগঠনের প্রতিনিধিদের একাত্মতা প্রকাশ করে কর্মসূচিতে যোগ দিতে দেখা গেছে। এরও আগে গতকাল শনিবার রাত ১২টার দিকে আন্দোলনের সঙ্গে নৈতিকভাবে একাত্মতা প্রকাশ এবং শিক্ষার্থী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে সংগঠনের ফেসবুক পেজে বিবৃতি দিয়েছে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।

অবরোধ শুরুর পর থেকে সকাল সাড়ে নয়টা পর্যন্ত সিলেট শহর ও শহরতলির বিভিন্ন স্থান থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকার সময় নয়টি বাস ছাত্রীরা কিলো সড়কে আটকে দেন। একই সময়ে শিক্ষকদের ব্যক্তিগত গাড়িও শিক্ষার্থীরা ভেতরে ঢুকতে দেননি। সড়ক অবরোধ করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা নানা স্লোগান দিচ্ছিলেন। এর মধ্যে ‘প্রক্টরের উপস্থিতিতে হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই, ‘হামলা করে আন্দোলন, বন্ধ করা যাবে না’, ‘সাস্টিয়ান সাস্টিয়ান, এক হও লড়াই করো’, ‘ছাত্রলীগের হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘তিন দফা তিন দাবি, মানতে হবে মেনে নাও’, ‘প্রভোস্ট বডির পদত্যাগ, করতে হবে করতে হবে’ উল্লেখযোগ্য।

কয়েক ছাত্রী কাছে অভিযোগ করেছেন, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দমাতে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা উদ্দেশ্যমূলকভাবে গতকাল সন্ধ্যায় হামলার ঘটনা ঘটিয়েছেন। এতে অনেকে আহতও হয়েছেন। তিন দফা দাবি আদায় না হলে ছাত্রীরা আন্দোলন থেকে সরবেন না।

চতুর্থ দিনের মতো ছাত্রীদের আন্দোলনে নামার বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গতকালও দেখা করে কর্মসূচি থেকে সরে আসার অনুরোধ করেছি। এর আগে উপাচার্য স্যার আন্দোলনরত ছাত্রীদের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করে প্রাধ্যক্ষ কমিটির পদত্যাগের বিষয়টি ছাড়া সব কটি দাবি এক মাসের মধ্যে সমাধানের আশ্বাসও দিয়েছেন। কিন্তু ছাত্রীরা বলছেন, পুরো প্রাধ্যক্ষ কমিটির পদত্যাগ করতে হবে। আসলে খুঁজে খুঁজে সব ম্যাডামকে এনে অনুরোধ করে করে হলগুলো পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁরা নিজেদের সংসার-কাজ ফেলে আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনও করছেন। এখন প্রাধ্যক্ষ কমিটি যদি বাদ দিতে হয়, তাহলে কাদের দিয়ে কমিটি করব? আমরা ছাত্রীদের বলেছি, ছাত্র-শিক্ষকের যে সম্পর্কের জায়গা, তাতে যদি তোমরা কষ্ট পেয়ে থাকো, দেখবে সেটা আন্তরিকতার মধ্য দিয়েই কেটে যাবে। আর বাকি সমস্যাগুলো তো দ্রুততার সঙ্গেই সমাধান করা হচ্ছে।’

মো. আনোয়ারুল ইসলাম আরও বলেন, ‘অমিক্রন নিয়ে আতঙ্ক আছে। এভাবে ছাত্রীরা সমাবেশ করলে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কা আছে। এ কারণে ছাত্রীদের হলে ফিরে যাওয়ার জন্য আবারও অনুরোধ জানাচ্ছি।’

গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের শতাধিক ছাত্রী প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদ ওরফে লিজার বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ তুলে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন। পরে উপাচার্য গত শুক্রবার দুপুরে ছাত্রীদের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব দিলে দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে বিক্ষোভ স্থগিত করে তাঁরা হলে ফেরেন। এরপর গত শুক্রবার দুপুর ১২টা থেকে আন্দোলনরত ছাত্রীদের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে উপাচার্য বৈঠক করেন।

বৈঠকে ছাত্রীদের প্রতিনিধিদল উপাচার্যের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ উত্থাপন করে তিন দফা দাবি তুলে ধরে। এরপর শুক্রবার বিকেলে বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলে ভারপ্রাপ্ত প্রাধ্যক্ষ নিয়োগ দেয় কর্তৃপক্ষ। তখন উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেছিলেন, প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদ অসুস্থতার কারণে ছুটিতে থাকায় হলে ভারপ্রাপ্ত প্রাধ্যক্ষ হিসেবে আরেকজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আর ছাত্রীদের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। তাঁদের সমস্যাগুলো সমাধান করা হবে।

তবে উপাচার্যের সঙ্গে ওই বৈঠক ফলপ্রসূ হয়নি জানিয়ে আবার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন ছাত্রীরা। পরে শুক্রবার বিকেল চারটার দিকে ছাত্রীরা সংবাদ সম্মেলন করে দাবি মানতে গতকাল সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিলেন। গতকাল বিকেল সোয়া পাঁচটা থেকে ছাত্রীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। সন্ধ্যা সাতটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা জহির উদ্দীন আহমেদ ও প্রক্টর আলমগীর কবিরের সামনেই ছাত্রীদের কর্মসূচিতে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা হামলা চালান বলে অভিযোগ ওঠে। এরপর গতকাল রাত দেড়টা পর্যন্ত ছাত্রীরা গোলচত্বরে অবস্থান নিয়ে তিন দফা দাবিতে স্লোগান দেন।

এ সময় ছাত্রীরা ক্যাম্পাসে মশাল মিছিলও করেন। রাত দেড়টার দিকে ছাত্রীরা হলে ফেরেন। এর আগে তাঁরা জানান, হামলার প্রতিবাদে আজ থেকে আন্দোলনরত ছাত্রীরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের পাশাপাশি সকাল আটটা থেকে গোলচত্বরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন।

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    সুইডেনের উপসালা বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তির আবেদন শেষ কাল

    নিজস্ব প্রতিবেদক
    ১৬ জানুয়ারি, ২০২২ ১৫:৭
    নিজস্ব প্রতিবেদক
    সুইডেনের উপসালা বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তির আবেদন শেষ কাল

    সুইডেনের সবচেয়ে প্রাচীন উপসালা বিশ্ববিদ্যালয় ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামে বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি ঘোষণা করেছে। এই প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য কাল সোমবারের মধ্যেই অনলাইনে আবেদন করতে হবে। কিং কার্ল গুস্তাফ স্কলারশিপ নামের এই প্রোগ্রামের আওতায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরাও অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

    ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও সুইজারল্যান্ডের বাইরের দেশের শিক্ষার্থীদের এই বৃত্তি দেওয়া হবে। এর আওতায় টিউশন ফি সম্পূর্ণ মওকুফ করা হবে। তবে আবাসন ও দৈনন্দিন খরচ নিজে বহন করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে যেকোনো বিষয় নিয়ে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করা যাবে। যেসব বিষয়ে স্নাতকোত্তর করা যাবে তা এই লিংক থেকে জেনে নিতে হবে। উপসালা বিশ্ববিদ্যালয়ে এই মাস্টার্স প্রোগ্রাম আগামী ২৯ আগস্ট শুরু হবে।

    সুযোগ-সুবিধা

    এই বৃত্তির আওতায় টিউশন ফি একদম ফ্রি

    যেকোনো বিষয় নিয়ে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করা যাবে

    আবেদনের যোগ্যতা

    আবেদনকারীদের বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, আজারবাইজান, কঙ্গো, হন্ডুরাস, মালি, ফিলিপাইন, সোমালিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া বা ইয়েমেনের নাগরিক হতে হবে।

    এই বৃত্তি আর্থিকভাবে অসচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থীদের দেওয়া হয়। তাই আর্থিক অসচ্ছলতার বিবরণ দিতে হবে।

    উপসালা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য এই কিং কার্ল গুস্তাফ স্কলারশিপ দেওয়া হবে।

    মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তির নির্দিষ্ট সময়ের আগেই অনলাইনে আবেদন করতে হবে।

    আবেদন ফি ও অন্য সব নথিপত্র ভর্তির নির্দিষ্ট সময়ের আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ে জমা দিতে হবে।

    আবেদনের প্রক্রিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য ১৭ জানুয়ারির মধ্যে অনলাইনে এই ওয়েবসাইটে আবেদন করতে হবে। ভর্তি ফি ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাঠানোর শেষ তারিখ আগামী ১ ফেব্রুয়ারি। মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তির আবেদনের পর ১৮ জানুয়ারি থেকে ১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বৃত্তির জন্য অনলাইনে আবেদনপত্র জমা দিতে হবে।

    আবেদনের আগে এই ওয়েবসাইট থেকে আবেদন প্রক্রিয়া সঠিকভাবে জেনে আবেদন করতে হবে। বৃত্তিসংক্রান্ত তথ্য এই লিংক থেকে জানা যাবে। এ ছাড়া বৃত্তিসংক্রান্ত তথ্যের জন্য uitiongrants@uadm.uu.se ঠিকানায় ই–মেইল করা যাবে।

    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      একাদশে ভর্তির আবেদনের সময় বাড়ল দুই দিন

      নিজস্ব প্রতিবেদক
      ১৬ জানুয়ারি, ২০২২ ১৪:৪৮
      নিজস্ব প্রতিবেদক
      একাদশে ভর্তির আবেদনের সময় বাড়ল দুই দিন

      একাদশ/সমমান শ্রেণিতে ভর্তির আবেদনের সময় আগামীকাল সোমবার (১৭ জানুয়ারি) রাত ১১:৫৯ মিনিট পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে। এর আগে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত আবেদনের সময় দেওয়া হয়েছিল।

      এ ছাড়া আগামী ২ মার্চ থেকে একাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু হবে। আগামী শিক্ষাবর্ষেও একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে আগের মতোই এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে। ভর্তির জন্য কোনো পরীক্ষা দিতে হবে না।

      শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের ওয়েবসাইটে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ করা হয়। ওই নীতিমালায় এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

      অনলাইনে আবেদনের পর তিন ধাপে মেধা তালিকা প্রকাশ করা হবে। এর আগে এসএমএসেও আবেদন নেওয়া হতো। এবার ভর্তির ওয়েবসাইট xiclassadmission.gov.bd-তে প্রবেশ করতে হবে। সেখানে শিক্ষার্থীরা সর্বনিম্ন পাঁচটি ও সর্বোচ্চ ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্বাচন করবে।

      ২০১৯ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে যারা এসএসসি পাস করেছে তারা আবেদন করতে পারবে। তবে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএসসি পাস করা শিক্ষার্থীরা ২২ বছর বয়সেও আবেদন করতে পারবে। আর যেসব শিক্ষার্থী এসএসসি ও দাখিলের ফল পুনঃ নিরীক্ষার আবেদন করবে, তারা ১৫ জানুয়ারির মধ্যে আবেদন করলেও ফল পরিবর্তনকারীরা ২২ ও ২৩ জানুয়ারি আবেদন করতে পারবে। ২৪ জানুয়ারি পছন্দক্রম পরিবর্তনের সুযোগ দেওয়া হবে। আর ২৯ জানুয়ারি প্রথম দফায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করা হবে।

      এতে আরো বলা হয়, ৩০ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীদের সিলেকশন নিশ্চয়ন করতে হবে। সিলেকশন নিশ্চয়ন না করলে তাকে পুনরায় ফিসহ আবেদন করতে হবে। ৭ ও ৮ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় পর্যায়ের আবেদন নেওয়া হবে। পছন্দক্রম অনুযায়ী প্রথম মাইগ্রেশনের ফল এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের আবেদনের ফল প্রকাশ করা হবে ১০ ফেব্রুয়ারি।

      ১১-১২ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের সিলেকশন নিশ্চয়ন করতে হবে। এ সময়ের মধ্যে সিলেকশন নিশ্চয়ন না করলে আবেদন বাতিল হবে। ১৩ ফেব্রুয়ারি তৃতীয় পর্যায়ের আবেদন নিয়ে পছন্দক্রম অনুযায়ী দ্বিতীয় মাইগ্রেশনের ফল এবং তৃতীয় পর্যায়ের আবেদনের ফল প্রকাশ করা হবে ১৫ ফেব্রুয়ারি। ১৬ ও ১৭ ফেব্রুয়ারি তৃতীয় পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের সিলেকশন নিশ্চয়ন করতে হবে। এ সময়ের মধ্যে সিলেকশন নিশ্চয়ন না করলে আবেদন বাতিল হবে।

      আবেদন ও নির্বাচন পর্ব শেষে ১৯ থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা হবে। এবার আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫০ টাকা। নীতিমালায় ঢাকা ও জেলা পর্যায়ে বাংলা ও ইংরেজি ভার্সনে ভর্তি ফিসহ সব ব্যয় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।

      সে অনুযায়ী, ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার ক্ষেত্রে বাংলা ও ইংরেজি ভার্সনে ৫ হাজার টাকা, ঢাকা মহানগরের বাইরে ৩ হাজার, জেলা পর্যায়ে ২ হাজার আর উপজেলা ও মফস্বলে ১ হাজার ৫০০ টাকা আদায় করা যাবে। নির্ধারিত ফির বেশি অর্থ আদায় করা যাবে না। এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সেশনচার্জ ও ভর্তি ফি গ্রহণ করা যাবে। উন্নয়ন ফি আদায় করা যাবে না।

      সরকারি তথ্য অনুযায়ী, সারা দেশে একাদশ শ্রেণিতে লেখাপড়া হয় এমন কলেজ ও মাদরাসা আছে ৮৮৬৪টি। অন্যদিকে সরকারি ও বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট আছে সাড়ে ৫০০। কলেজ ও মাদরাসায় আসন আছে ২৪ লাখ ৪০ হাজার ২৪৯টি। আর পলিটেকনিকে আছে ১ লাখ ৬৯ হাজার। সব মিলিয়ে এ স্তরে আসনসংখ্যা ২৬ লাখ ৯ হাজার ২৪৯টি।

      বিপরীত দিকে এসএসসি, দাখিল এবং এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনালে মোট পাস করেছে ২০ লাখ ৯৬ হাজার ৫৪৬ জন। এর মধ্যে এসএসসিতে ১৬ লাখ ৮৬ হাজার ২১১ জন, দাখিলে ২ লাখ ৭২ হাজার ৭২২ জন আর কারিগরি শাখা থেকে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৬১৩ জন পাস করেছে।

      প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য

        হল বন্ধ করতে চায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো

        নিজস্ব প্রতিবেদক
        ১৬ জানুয়ারি, ২০২২ ১২:১০
        নিজস্ব প্রতিবেদক
        হল বন্ধ করতে চায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো

        চলমান করোনাভাইরাসের মধ্যে আবাসিক হল বন্ধ করতে চায় দেশের অধিকাংশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। তবে কারিগরি কমিটি কিংবা শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে কোনো নির্দেশনা না আসায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না কর্তৃপক্ষ।

        সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনায় বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় সশরীরে ক্লাস বন্ধ ঘোষণা করেছে। বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও অনলাইনে ক্লাসের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। ইতোমধ্যে বুয়েটের ২৪ শিক্ষার্থী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া হলে অবস্থানকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীও আক্রান্ত হয়েছেন। এই অবস্থায় দ্রুত আবাসিক হলগুলো বন্ধে সরকারের হস্তক্ষেপ চাইছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।

        একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সাথে কথা বলে জানা গেছে, করোনার এই ঊর্ধ্বগামীতার মধ্যে শিক্ষার্থীদের আবাসিক হলে রাখতে চান না তারা। এতে শিক্ষার্থীসহ শিক্ষক-কর্মকর্তাদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার বড় ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। আবাসিক হলগুলোতে গাদাগাদি করে শিক্ষার্থীরা থাকেন। এতে একজন সংক্রমিত হলে অন্যদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই অবস্থায় ঝুঁকি নিতে চান না তারা।

        তারা বলছেন, করোনা সংক্রমণের হার ৫ শতাংশে নামার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে এখন সংক্রমণের হার প্রায় ১৫ শতাংশ। তবুও হল বন্ধের বিষয়ে কোনো নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে না। শিক্ষার্থীরা হলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললেও হলের বাহিরে অবস্থানের সময় তাদের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত হচ্ছে না। এই অবস্থায় হলে থাকা তাদের জন্য নিরাপদ নয়।

        নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, করোনার কারণে আমাদের শিক্ষকরা এখন সশরীরে ক্লাস নিতে চাচ্ছেন না। আমরা অনলাইনে ক্লাস নিতে চাই। এছাড়া আবাসিক হলগুলোও বন্ধ করতে চাই। তবে কারিগরি পরামর্শক কমিটি কিংবা শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে কোনো নির্দেশনা না আসায় এ বিষয়ে ঘোষণা দিতে পারছি না।

        এদিকে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সশরীরে ক্লাস বন্ধ ঘোষণা করেছে। এমনকি সশরীরে পরীক্ষা গ্রহণও স্থগিত রাখা হয়েছে। তবে অনলাইনে নিয়মিত পাঠদান চলছে।

        জানতে চাইলে বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেন, আমাদের আবাসিক হলে অবস্থানরত ২৪ শিক্ষার্থী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের গাড়ি ভাড়া করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। তবে এদের কারণে অন্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

        তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা আবাসিক হল বন্ধের বিষয়টি জাতীয় বিষয়। এখানে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সিদ্ধান্তের বিষয় আছে। তাদের কাছ থেকে সবুজ সংকেত পেলে আমরা আবাসিক হল বন্ধ করে দেব।

        শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া বলেন, বিষয়টি নিয়ে কারিগরি পরামর্শক কমিটি, মন্ত্রণালয় কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন থেকে নির্দেশনা না আসলে হেল বন্ধ করা হবে। আমরা সব রকম পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত আছি।

        প্রসঙ্গত, করোনা ভাইরাসের কারণে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর কয়েক দফায় ছুটি বাড়ানো হয়। দীর্ঘ দেড় বছরেরও বেশি সময় পর ২০২১ সালের ১২ সেপ্টেম্বর স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়া হয়। তবে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

        প্রাসঙ্গিক
          মন্তব্য

          রোমানিয়ান সরকারের বৃত্তি

          নিজস্ব প্রতিবেদক
          ১৬ জানুয়ারি, ২০২২ ১২:৬
          নিজস্ব প্রতিবেদক
          রোমানিয়ান সরকারের বৃত্তি

          ইউরোপের ১২তম বৃহত্তম রাষ্ট্র রোমানিয়া। বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিকভাবে সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল দেশ এটি। অর্থনীতির পাশাপাশি শিক্ষার দিক থেকেও দেশটি দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। নিজেদের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদেরও নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে রোমানিয়া সরকার।

          এ বছর স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডিতে ফুল ফ্রি স্কলারশিপ দিচ্ছে রোমানিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। প্রতিবছর বাংলাদেশসহ ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত নয়, এমন দেশগুলোর নাগরিকদের জন্য এই বৃত্তি দেওয়া হয়ে থাকে। ‘রোমানিয়া গভর্নমেন্ট স্কলারশিপ’-এর আওতায় শিক্ষার্থীদের জন্য থাকছে নানা রকম সুযোগ-সুবিধা। এই স্কলারশিপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা রোমানিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় মেডিসিন ও ফার্মেসি ছাড়া প্রায় সব বিষয়ে অধ্যয়ন করার সুযোগ পাবেন। রোমানিয়ার কিছু উল্লেখযোগ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে রয়েছে ইউনিভার্সিটি অব বুখারেস্ট, বুখারেস্ট ইউনিভার্সিটি অব ইকোনমিক স্টাডিজ, বাবেস-বলিয়াই ইউনিভার্সিটি, আলেকজান্দ্রা আইওয়ান কুজা ইউনিভার্সিটি, ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি অব তিমিশোআরা, ইউনিভার্সিটি পলিটেকনিক অব বুখারেস্ট, টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি অব ঘিওরঘি আসাচি ইয়াস ইত্যাদি। তবে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীদের রোমানিয়ান ভাষায় পড়াশোনা করতে হবে। শুধু পিএইচডিতে ইংরেজি ভাষায় শিক্ষার্থীরা অধ্যয়ন করতে পারবেন। প্রতিটি দেশ থেকে ৮৫ জনকে এই বৃত্তি দেওয়া হবে।

          সুযোগ-সুবিধা

          সম্পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ করা হবে। ডরমিটরিতে বিনা মূল্যে আবাসনের ব্যবস্থা। মাসিক উপবৃত্তি হিসেবে প্রতি মাসে স্নাতকের শিক্ষার্থীদের ৬৫ ইউরো করে দেওয়া হবে। স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীদের প্রতি মাসে ৭৫ ইউরো দেওয়া হবে। পিএইচডির শিক্ষার্থীদের প্রতি মাসে ৮৫ ইউরো দেওয়া হবে। আবেদনের যোগ্যতা

          ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যরাষ্ট্রগুলো ছাড়া সব দেশের আবেদনকারীরা আবেদন করতে পারবেন। আবেদনকারীদের অবশ্যই একটি স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে তাঁদের বর্তমান একাডেমিক নথি জমা দিতে হবে। স্নাতকের জন্য উচ্চমাধ্যমিকে ভালো ফলধারী হতে হবে। স্নাতকোত্তরের জন্য স্নাতকে ভালো ফলধারী হতে হবে। পিএইচডির জন্য স্নাতকোত্তরে ভালো ফলধারী হতে হবে। রোমানিয়ান ভাষায় প্রয়োজনীয় সাবলীলতা নেই এমন শিক্ষার্থীদের জন্য রোমানিয়ান ভাষা কোর্সের প্রয়োজন হবে।

          প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

          জীবনবৃত্তান্ত। স্কলারশিপের অ্যাপ্লিকেশন ফরম। যে ইউনিভার্সিটিতে পড়তে আগ্রহী, সেই ইউনিভার্সিটির আবেদন ফরম। যাবতীয় শিক্ষা সনদ ও ট্রান্সক্রিপ্টের কপি। জন্মনিবন্ধন বা বার্থ সার্টিফিকেটের কপি। পাসপোর্টের বায়োগ্রাফিক্যাল পেজ এবং সেই সঙ্গে প্রথম তিন পৃষ্ঠা। মেডিকেল সার্টিফিকেট। ইউরো পাস ফরম্যাটের সিভি। দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি। আবেদনকারীর দেশের কূটনৈতিক মিশন দ্বারা জারি করা একটি সরকারি চিঠি। আবেদনের প্রক্রিয়া অনলাইনে আবেদন করতে হবে। প্রার্থীদের ‘স্টাডি ইন রোমানিয়া’ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অনলাইন আবেদন জমা দিতে হবে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশে রোমানিয়ার কোনো দূতাবাস নেই। যার কারণে বৃত্তির আবেদন থেকে শুরু করে ভিসা পর্যন্ত যাবতীয় কাজ দিল্লিতে অবস্থিত রোমানিয়ার দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। যাবতীয় একাডেমিক ডকুমেন্ট দিল্লিতে রোমানিয়ার দূতাবাস থেকে সত্যায়িত করতে হবে। দিল্লি দূতাবাস থেকে কোনো একাডেমিক ডকুমেন্ট সত্যায়িত করতে হলে প্রথমে সেগুলোকে আমাদের শিক্ষা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক সত্যায়িত হতে হবে। অনেক সময় নোটারির প্রয়োজন হতে পারে।

          আবেদনের শেষ সময়: ১৫ মার্চ, ২০২২

          ইপেপারে দেখুন:  https://therisingcampus.com/wp-content/uploads/2022/01/867d83e30f21e7d055818f8e34e4e73d.pdf

          প্রাসঙ্গিক
            মন্তব্য
            সর্বশেষ সংবাদ
              সর্বাধিক পঠিত