ঢাকা, সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫ ৩ ভাদ্র ১৪৩২
 
শিরোনাম

বাগেরহাটে টাকা দিতে না পেরে পেট্রোল পাম্পে প্রেমিকাকে বন্ধক

নিজস্ব প্রতিবেদক
১ জুলাই, ২০২৪ ০:৩
নিজস্ব প্রতিবেদক
বাগেরহাটে টাকা দিতে না পেরে পেট্রোল পাম্পে প্রেমিকাকে বন্ধক

ফিলিং স্টেশন থেকে পেট্রোল নিয়ে টাকা দিতে না পেরে প্রেমিকাকে জিম্মায় রেখে পালিয়েছেন বাগেরহাটের রামপালে নাজমুল ইসলাম সজিব নামের এক যুবক।

শনিবার (২৯ জুন) দুপুরে ওই স্কুল ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে রামপাল থানায় প্রেমিকের অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত সজিব উপজেলার গাববুনিয়া গ্রামের মো. শহিদুল ইসলামের ছেলে।

জানা গেছে, বুধবার (২৬ জুন) স্কুলে যায় সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই কিশোরী। ওই দিন দুপুরে প্রেমিক নাজমুল ইসলাম সজিবের সঙ্গে বিদ্যালয়ের সামনে থেকে মোটরসাইকেলে বেড়াতে যান। এরপর তারা ভাগা বাজার এলাকায় আসলে মোটরসাইকেলের জ্বালানি শেষে হয়ে গেলে সজীব স্থানীয় একটি ফিলিং স্টেশনে গিয়ে মোটরসাইকেলে পেট্রোল নেন। কিন্তু টাকা না থাকায় প্রেমিকাকে জিম্মায় রেখে টাকা আনার কথা বলে চলে আসেন। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হলেও ওই কিশোরী বাড়িতে না ফেরায় তার বাবা স্কুলে খোঁজ নেন। পরে খুঁজতে গিয়ে ফিলিং স্টেশন থেকে তাকে উদ্ধার করেন।

বিষয়টি নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হলে কিশোরীর বাবাকে মারধর করে সজিবের পরিবার। এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে গাববুনিয়া গ্রামের মো. শহিদুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান, নাজমুল ইসলাম সজীব, মল্লিক মনিরুল ইসলাম, ফয়সাল মল্লিকদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন।

রামপাল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোমেন দাশ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    বৌ বাচ্চা নিয়ে খাবো কি! কিস্তির টাকা পরিশোধ না হতেই চুরি হয়ে গেলো অটোভ্যান

    নিজস্ব প্রতিবেদক
    ৩০ জুন, ২০২৪ ২১:৩১
    নিজস্ব প্রতিবেদক
    বৌ বাচ্চা নিয়ে খাবো কি! কিস্তির টাকা পরিশোধ না হতেই চুরি হয়ে গেলো অটোভ্যান

    বেরোবি প্রতিনিধিঃ এখন আমি কি করবো? কি করে কিস্তির টাকা পরিশোধ করবো..? বৌ বাচ্চা নিয়ে খাবো কি। আমার তো শেষ সম্বলটুকুও শেষ হয়ে গেলো। এইভাবে বিলোপ করে   বলতেছিলেন অটোভ্যান চালক  হেলাল (২৬)।

    উপার্জনের একমাত্র অবলম্বন অটোভ্যানটি চুরি হওয়ায় ঘোরেনি ভ্যানের চাকা আর সেই সঙ্গে আর ঘুরছে না জীবনের চাকাও। ভ্যান হারিয়ে পাগল প্রায় হয়ে পড়েছেন চালক মো. হেলাল হোসেন (২৬)। তার বাড়ি খানসামা উপজেলার আঙ্গারপাড়া ইউনিয়নের ছাতিয়ান গড়  গ্রামের বাসিন্দা অটোভ্যান চালক মিজানুর রহমানের ছেলে হেলাল হোসেন। স্বামী-স্ত্রী দুজনের সংসার চলে ভ্যানের চাকায়। এখন কোথায় যাবেন, কী করবেন, কী খাবেন—এই ভেবে তাঁর কাটছে দিনরাত।

    রবিবার (৩০ জুন)  দুপুরে তার বাড়ি গিয়ে  দেখা যায়, জরাজীর্ন একটি টিনশেড ঘরের বিছানায় বসে আছেন হেলাল ও তাঁর স্ত্রী লাকী । তাঁদের চোখেমুখে হতাশার ছাপ। পাশেই পড়ে আছে ভ্যানের চার্জার। এনজিও থেকে ৭০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে অটোভ্যানটি কিনেছিলেন হেলাল হোসেন।

    জানা যায়, গত ২৯ জুন (শুক্রবার) রাতে প্রতিদিনের ন্যায় বাড়ির বারান্দায় শিকল ও তালা লাগিয়ে অটোভ্যান চার্জ দিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। সকালে উঠে ভ্যান না পেয়ে চিৎকার দিতে থাকে। পরে স্থানীয় লোকজন আসে।

    ভুক্তভোগী হেলাল হোসেন বলেন, আমি দুই মাস আগে আশা সমিতির টাকায় এই ভ্যানগাড়ী কিনে স্ত্রী আর ২ ছেলেকে নিয়ে দু'বেলা দু'মুটো ডাল ভাত খেয়ে কিস্তি চালিয়ে যাচ্ছিলাম। সব শেষ করে দিলো চোরের দল।

    এখন আমি কি করবো? কি করে কিস্তির টাকা পরিশোধ করবো..? বৌ বাচ্চা নিয়ে খাবো কি। আমার তো শেষ সম্বলটুকুও শেষ হয়ে গেলো। তাই সমাজের বিত্তবানদের কাছে একটা অনুরোধ আমাকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিবেন।

    স্থানীয়রা জানায়, হেলাল হোসেন একজন দরিদ্র দিনমজুর। সংসারের জীবিকা নির্বাহের জন্য দুই মাস আগে একটি বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) থেকে ৭০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে অটোভ্যানটি কিনেছিলেন। ভ্যান চালিয়ে যা আয় হয়, তা দিয়ে ৪ জনের সংসার চালিয়ে ঋণের কিস্তির টাকা দেন। একমাত্র অটোভ্যানই তার সম্বল। কিন্তু অটোভ্যানটি চুরি হওয়ায় তার শেষ সম্বল আর নাই। আয়ের পথ বন্ধ হয়ে নিরুপায় হয়ে পড়েছে।

    এ সময় কান্নাজড়িত কণ্ঠে হেলালের স্ত্রী লাকী বলেন, ‘ওই অটোভ্যানই ছিল আমাদের সব। ভ্যান চালিয়েই প্রতিদিন চাল-ডাল কিনত। এখন সেই ভ্যান নাই.. খাব কী? আর লোন (ঋণ) দেব কী করে...।’

    ইউপি সদস্য তমিজ উদ্দিন বলেন, অটোভ্যান চালক হেলাল অতি দরিদ্র। তার উপর পরিবারের সদস্যরা নির্ভর করে। তার ভ্যান চুরি হওয়ায় সে নি:স্ব হয়ে পড়লো।

    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      সোমবার থেকে মেট্রোরেলের টিকিটে বসছে ভ্যাট

      নিজস্ব প্রতিবেদক
      ৩০ জুন, ২০২৪ ২০:৩৭
      নিজস্ব প্রতিবেদক
      সোমবার থেকে মেট্রোরেলের টিকিটে বসছে ভ্যাট

      মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর সোমবার (১ জুলাই) থেকে ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট বসতে যাচ্ছে। মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর বর্তমানে ভ্যাট মওকুফ রয়েছে, যার সময়সীমা আজ (৩০ জুন) শেষ হবে।

      ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর থেকে ওই সুবিধা দিয়ে আসছিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। কিন্তু এই জুনের পরে ওই ভ্যাট অব্যাহতির সুবিধা বাতিল করছে প্রতিষ্ঠানটি। এ কারণে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে ১ জুলাই থেকে মেট্রোরেল সেবার ওপর প্রযোজ্য ভ্যাট কর্তন ও রাষ্ট্রীয় কোষাগারের জমা প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করে ঢাকা দক্ষিণ এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট।

      ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর পাঠানো চিঠি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

      ঢাকা দক্ষিণ এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনার শওকত আলী সাদীর সই করা চিঠিতে বলা হয়েছে, মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ শেষ হবে আগামী ৩০ জুন। এনবিআর ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত মেট্রোরেল সেবার ক্ষেত্রে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট অব্যাহতি প্রদান করে। পরবর্তী সময়ে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি পুনরায় আলোচনা হলেও মূল্য সংযোজন কর অব্যাহতি প্রদানে অপারগতা জ্ঞাপন করে এনবিআর।

      এ পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে মেট্রোরেল সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর আদায় করতে প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা পরিপালন যেমন-১৫ শতাংশ মূসকসহ টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করে মূসক আদায় এবং রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা প্রদান করার বিষয়ে প্রস্তুতি সম্পর্কে বিভাগীয় দপ্তরকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করা হয় চিঠিতে।

      ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর দেশের প্রথম মেট্রোরেল উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর পর্যায়ক্রমে মেট্রোরেল চলাচল মতিঝিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়। মেট্রোরেলের যাত্রীদের কোনো ক্লাস বা শ্রেণিবিন্যাস নেই। সব যাত্রী একই ভাড়ায় নির্ধারিত গন্তব্যে আসা-যাওয়া করতে পারেন।

      এছাড়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তিন ফুট উচ্চতার শিশুরা বিনা ভাড়ায় এবং বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিরা ১০ থেকে ১৫ শতাংশ ডিসকাউন্টে মেট্রোরেলে ভ্রমণ করতে পারেন। কিন্তু, সবার জন্য মেট্রোরেল ও মেট্রোরেলের যাত্রীদের কোনো ক্লাস বা শ্রেণিবিন্যাস না থাকায় মেট্রোরেলের সেবার ওপর এই মুহূর্তে কোনো ধরনের মূসক বা ভ্যাট প্রযোজ্য ছিল না এতদিন।

      প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য

        ময়মনসিংহে ১০ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার, প্রভাষককে অব্যাহতি

        নিজস্ব প্রতিবেদক
        ৩০ জুন, ২০২৪ ১৮:৪৮
        নিজস্ব প্রতিবেদক
        ময়মনসিংহে ১০ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার,  প্রভাষককে অব্যাহতি

        নিজস্ব প্রতিবেদক: ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় এইচএসসি পরীক্ষা চলাকালে অসদুপায় অবলম্বন করার দায়ে ১০ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া তাদের সহযোগিতা করার অপরাধে মো. সাদিকুর রহমান নামে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রভাষককে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

        রোববার (৩০ জুন) সকাল সোয়া ১০টার দিকে উপজেলার মাহমুদপুর সায়েরা সাফায়েত স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষা চলাকালে এই ঘটনা ঘটে।

        উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আলিনূর খান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনে সহযোগিতা করার অপরাধে প্রভাষক সাদিকুর রহমানকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি এবং উপজেলার মেজর ভিটা এলাকার মর্নিং সান স্কুল অ্যান্ড কলেজের ১০ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

        জানা যায়, ময়মনসিংহ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে চার জেলার ৯৯টি কেন্দ্রে এ বছর ২৯৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৭৮ হাজার ৩৯৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছেন, যা গতবারের চেয়ে ১১ হাজার ৯৭৫ জন বেশি। এবার ময়মনসিংহ জেলার ২৯ হাজার ৬৮২ জন, জামালপুরের ১২ হাজার ৩৪৬ জন, নেত্রকোণার ১০ হাজার ৬৬৬ জন ও শেরপুরের ৬ হাজার ৪৩২ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করছেন। এর আগে আজ সকাল ১০টায় কঠোর নিরাপত্তায় পরীক্ষা শুরু হয়।

        প্রাসঙ্গিক
          মন্তব্য

          দুই হাত নেই, পা দিয়ে লিখে আলিম পরীক্ষা দিচ্ছে রাসেল

          নিজস্ব প্রতিবেদক
          ৩০ জুন, ২০২৪ ১৫:৩৪
          নিজস্ব প্রতিবেদক
          দুই হাত নেই, পা দিয়ে লিখে আলিম পরীক্ষা দিচ্ছে রাসেল

          দুই হাত নেই, নেই ডান পাও। বাঁ পা থাকলেও তা স্বাভাবিক আকারের চেয়ে অনেক ছোট। শারীরিক সক্ষমতার দিক দিয়ে পিছিয়ে থাকলেও লেখাপড়ার প্রতি প্রবল আগ্রহ রাসেলের। তাই তো পায়ের আঙুলের ফাঁকে কলম গুঁজে এবার আলিম পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন রাসেল মৃধা।

          রোববার (৩০ জুন) নাটোর আল মাদ্রাসাতুল জামহুরিয়া কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে আলিম পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে সে।

          জানা গেছে, এর আগে ২০২২ সালে রাসেল একইভাবে দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৩.৮৮ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়। এরপর তার আত্মবিশ্বাস আরও বেড়ে যায়।

          রাসেল নাটোরের সিংড়া পৌর শহরের শোলাকুড়া মহল্লার দিনমজুর আব্দুর রহিম মৃধার ছেলে ও শোলাকুড়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার ছাত্র।

          প্রাসঙ্গিক
            মন্তব্য
            সর্বশেষ সংবাদ
              সর্বাধিক পঠিত