পাবিপ্রবির নতুন উপাচার্য ড. হাফিজা

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) নতুন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন প্রফেসর ড. হাফিজা খাতুন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল এবং পরিবেশ বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ছিলেন।
মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) শিক্ষা মন্ত্রণালযয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এতে স্বাক্ষর করেছেন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মাে. মাসুম আহমেদ।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর-এর অনুমােদনক্রমে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০১ এর ১০(১) ধারা অনুসারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালযয়ের ভূগােল এবং পরিবেশ বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুনকে নিম্নোক্ত শর্তে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর ভাইস চ্যান্সেলর পদে নিয়ােগ করা হলো।
নিয়োগের শর্তগুলো হলো- (ক)ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে এ নিয়ােগের মেয়াদ তাঁর যােগদানের তারিখ হতে ৪ (চার) বছর হবে। (খ) তিনি তাঁর অবসর গ্রহণের অব্যবহিতপূর্বে যে বেতনভাতা প্রাপ্য ছিলেন, তার সমপরিমাণ বেতনভাতা প্রাপ্য হবেন। (গ) তিনি বিধি অনুযায়ী পদসংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভােগ করবেন। (ঘ)তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন। (ঙ)মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর প্রয়ােজন মনে করলে যে কোনাে সময় এ নিয়ােগ বাতিল করতে পারবেন।
গুচ্ছে কেন্দ্রীয়ভাবে শিক্ষার্থী ভর্তিসহ ইউজিসির ৪ সুপারিশ

গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে কেন্দ্রীয়ভাবে শিক্ষার্থী ভর্তি করানোসহ চারটি সুপারিশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। এই সুপারিশগুলো বাস্তবায়নে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আহবান জানানো হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার ইউজিসি ভবনে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সভায় এই সুপারিশ করা হয়। সুপারিশগুলো মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) লিখিত আকারে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কাছে পাঠানো হয়েছে।
সুপারিশমালায় স্বাক্ষর করেছেন ইউজিসি চেয়ারম্যান (রুটিন দায়িত্ব) প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম, ইউজিসি সদস্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর, ইউজিসি সদস্য (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়) প্রফেসর বিশ্বজিত চন্দ, প্রফেসর ড. আবু তাহের, ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ জমিনুর রহমান।
ইউজিসির পাঠানো সুপারিশমালায় বলা হয়েছে, গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থী একবারই ভর্তি হবে। অটো মাইগ্রেশনের মাধ্যমে বিষয় ও বিশ্ববিদ্যালয় পরিবর্তন হলেও পুনরায় ভর্তির প্রয়ােজন পড়বে না। একজন শিক্ষার্থী একবারই ভর্তি সংক্রান্ত ফি প্রদান করবে।
শিক্ষার্থীদের ভর্তি প্রক্রিয়া কেন্দ্রীয়ভাবে সম্পন্ন করতে হবে। ছাত্রছাত্রীদের মেধা অনুযায়ী পছন্দের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় ও বিষয় নির্ধারন করতে হবে। ভর্তি শুরু ও শেষ এবং মাইগ্রেশনের সময়সীমাও কেন্দ্রীয়ভাবে নির্ধারণ করতে হবে। এছাড়া গত বছরে যে সকল বিভাগে আসন খালি রয়েছে, সে সকল বিভাগে আসন সংখ্যা হ্রাস করার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলে আলােচনা করে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার পরামর্শ দেয়া হয়।
১৬তম শিক্ষক নিবন্ধনের সনদ সাদা কাগজের চেয়েও মূল্যহীন

দীর্ঘ তিন বছরের অধিক সময় অপেক্ষার পর শিক্ষক নিবন্ধনের সনদ পেয়েও চাকরির আবেদন করতে না পারায় এই সনদকে সাদা কাগজের চেয়েও মূলহীন বলে আখ্যা দিয়েছেন ১৬তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা।
সম্প্রতি দ্রুত সময়ের মধ্যে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির দাবিতে সারাদেশের জেলা প্রশাসক ও জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর জমা দেওয়া স্মারকলিপিতে এই মন্তব্য করেন প্রার্থীরা।
স্মারকলিপিতে প্রার্থীরা জানান, প্রিলি থেকে শুরু করে ভাইভা শেষ করতে ৩ বছরের অধিক সময় লেগেছে। এর কারণে প্রতিদিনই কারো না কারো চাকরির নির্ধারিত বয়স অতিক্রম হচ্ছে। চাকরির আবেদন করতে না পেরে এনটিআরসিএ কর্তৃক দেওয়া ১৬তম শিক্ষক নিবন্ধনের সার্টিফিকেটটি সাদা কাগজের চেয়েও মূল্যহীন হয়ে যাচ্ছে। দিন যত যাচ্ছে আমরা ততই অসহায় হয়ে যাচ্ছি।
তারা জানান, দ্রুত চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির দাবিতে গত ৬ ফেব্রুয়ারি আমরা অনশন করেছিলাম। এর প্রেক্ষিতে সেসময় এনটিআরসিএ’র বর্তমান চেয়ারম্যান এপ্রিল মাসে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবেন বলে মৌখিকভাবে কথা দিয়েছিলেন। বিধায় চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রত্যাশী ফোরাম অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছিল। তবে বর্তমান চেয়ারম্যানের সেই আশ্বাসও বাস্তবায়ন হয়নি।
১৬তমদের ৩টি বছর অতিবাহিত হওয়ায় বর্তমানে অনেকের বয়স ৩৫ বছর অতিক্রম হয়ে গেছে। আবার অনেকের ৩৫ বছর হতে অল্প কিছুদিন বাকি। দিন যত যাচ্ছে যােগ্যতাসম্পন্ন হবু শিক্ষকরা ততই আবেদনের সুযােগ হারাচ্ছেন। ১৬তমদের মতো আর কোন ব্যাচকে দীর্ঘ ৩টি বছর এনটিআরসিএ কর্তৃক সময় নষ্ট করতে হয়নি। যথাসময়ে প্রিলি, লিখিত এবং ভাইভার রেজাল্ট প্রকাশ করা হলে নিয়ােগ বিজ্ঞপ্তির জন্য আমাদের আরও দুই বছর সময় অবশিষ্ট থাকত। সেক্ষেত্রে গণবিজ্ঞপ্তি একটু বিলম্ব হলেও বয়সের কারণে শিক্ষকদের ঝড়ে যেতে হতাে না। চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি না হলে আমাদের শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন চিরকাল স্বপ্নই থেকে যাবে। এই অবস্থায় আমাদের অপূরণীয় ক্ষতি রক্ষার্থে দ্রুত সময়ের মধ্যে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের কোনো বিকল্প নেই।
প্রসঙ্গত, ১৬তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছিল ২০১৯ সালের ২৩মে। একই বছরের ৩০ আগস্ট প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হয়। ওই বছরই লিখিত পরীক্ষা হয়। এরপর দীর্ঘ এক বছর পর ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর ভাইবা পরীক্ষা শুরু হয়। ১৬তম নিবন্ধনের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশিত হয় ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর।
নিবন্ধিত প্রার্থীদের অভিযোগ, দীর্ঘ কালক্ষেপনের মধ্য দিয়ে ১৬তমরা ৩য় গণবিজ্ঞপ্তির সুযােগ হারায়। এনটিআরসিএ’র সাবেক চেয়ারম্যান এবং সচিব ১৬তমদের ক্ষতি বিবেচনায় মুজিব শতবর্ষে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তবে সেই আশ্বাসের বাস্তবায়ন হয়নি।
২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষা এপ্রিলে, জুনে এইচএসসি

চলতি বছরের মতো সংক্ষিপ্ত সিলেবাসেই ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের এসএসসি ও সমমান এবং এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। আজ মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘২০২৩ সালের এসএসসি ও সমমান এবং এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার সিলেবাস’ সংক্রান্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, সাধারণত এসএসসি, দাখিল ও সমমান পরীক্ষা ফেব্রুয়ারি মাসে এবং এইচএসসি, আলিম ও সমমান পরীক্ষা এপ্রিল মাসে অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু ২০২৩ সালের এসএসসি, দাখিল ও সমমান পরীক্ষা এপ্রিল মাসে এবং এইচএসসি, আলিম ও সমমান পরীক্ষা জুন মাসে অনুষ্ঠিত হবে। তবে এসএসসি ও সমমান এবং এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় সকল বিষয়ের পূর্ণ নম্বরে এবং পূর্ণ সময়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বর্তমানে দশম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা ২০২৩ সালে এসএসসি, দাখিল ও সমমান পরীক্ষায় এবং একাদশ শ্রেণিতে অধ্যয়নরতরা এইচএসসি, আলিম ও সমমান পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ২০২৩ সালের এসএসসি, দাখিল ও সমমান পরীক্ষার্থীরা নবম শ্রেণিতে ২০২১ সালের ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সরাসরি শ্রেণি কার্যক্রমে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়নি। ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে ওমিক্রনের প্রভাব শুরু হওয়ার আগে চলতি বছর ১৪ মার্চ পর্যন্ত সপ্তাহে দু'দিন করে সরাসরি ক্লাশ করার সুযোগ পেয়েছে তারা। এর মধ্যে ২০ জানুয়ারি থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ওমিক্রনের সংক্রমণে আবারও প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল।
তিনি জানান, গেল ১৫ মার্চ থেকে তারা সরাসরি শ্রেণি কার্যক্রমে সপ্তাহে ছয় দিন করে অংশগ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে। আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত সরাসরি শ্রেণি কার্যক্রম অব্যাহত থাকলে এই নবম ও দশম শ্রেণিতে মিলে সর্বমোট ১৬২ কর্মদিবস শ্রেণি কার্যক্রমে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। যেখানে স্বাভাবিক অবস্থায় তারা ৩১৬ কর্মদিবস ক্লাস করার কথা। তাছাড়াও এই শিক্ষার্থীরা ২০২০ সালে ৮ম শ্রেণিতে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষাতেও অংশ নিতে পারেনি। এমনকি নবম শ্রেণির পরীক্ষাও দিতে পারেনি।
এসব দিক বিবেচনায় ২০২৩ সালের এসএসসি, দাখিল ও সমমান পরীক্ষা ২০২২ সালের পরীক্ষার জন্য ঘোষিত সিলেবাস অনুসারেই অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।
তিনি এসময় আরও উল্লেখ করেন, যদিও এই পুরো সময়টায় তারা টেলিভিশনের ক্লাসে এবং অনলাইন ক্লাসে অংশগ্রহণ করেছে, অ্যাসাইনমেন্ট করেছে। এসব ক্লাস এবং অ্যাসাইনমেন্টগুলো ২০২২-এর পরীক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত ১৫০ কর্মদিবসের পরিমার্জিত পাঠ্যসূচি অনুসারেই পরিচালিত হয়েছে।
অন্যদিকে ২০২৩ সালে এইচএসসির পরীক্ষার্থীদের বিষয়ে ডা. দীপু মনি বলেন, এই শিক্ষার্থীরা ২০২১ সালের ১ জুলাই থেকে একাদশ শ্রেণিতে ক্লাস করার কথা ছিল। কিন্তু তারা ক্লাস শুরু করতে পেরেছে চলতি বছরের ২ মার্চ থেকে। অর্থাৎ তারা ৮ মাস ক্লাস করার সুযোগই পায়নি বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।
তিনি বলেন, আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত তাদের স্বাভাবিক শ্রেণি কার্যক্রম অব্যাহত থাকলে তারা সর্বমোট ২০০ কর্মদিবস শ্রেণি কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারবে। স্বাভাবিক অবস্থায় ৩৩০ কর্মদিবস শ্রেণি কার্যক্রম হতো। এই পরীক্ষার্থীরা ২০২১ সালের এসএসসি, দাখিল ও সমমানের সংক্ষিপ্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হয়েছে। এ অবস্থায় ২০২৩ সালের এইচএসসি, আলিম ও সমমান পরীক্ষা ২০২২ সালের পরীক্ষার জন্য নির্ধারিত ১৮০ কর্মদিবসের পাঠ্যসূচি অনুসারে অনুষ্ঠিত হবে।
প্রাথমিকের ২য় ধাপের পরীক্ষা ২০ মে, তৃতীয় ধাপ ৩ জুন

পর্যাপ্ত পরীক্ষাকেন্দ্র প্রস্তুত করা সম্ভব না হওয়ায় সারাদেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা তিন ধাপে আয়োজন করা হচ্ছে। প্রথম ধাপে ২২ এপ্রিল, দ্বিতীয় ধাপে ২০ মে এবং তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা নেওয়া হবে আগামী ৩ জুন।
এদিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার কেন্দ্রে কড়া নিরাপত্তা থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে আরও জানানো হয় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রতিটি কেন্দ্রে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। পরীক্ষাকেন্দ্রের শৃঙ্খলা বজায় রাখা ও প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সভাশেষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, কড়া নিরাপত্তার মধ্যে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার আয়োজন করা হবে। সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খল পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠান ও প্রশ্নফাঁস রোধে পুলিশ, র্যাব, আনসার ও সাদা পোশাকধারী পুলিশ নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত থাকবে। এর সঙ্গে প্রতিটি কেন্দ্রে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবে। কোনো ধরনের অপরাধ সংঘটনের চেষ্টা হলে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সচিব বলেন, প্রাথমিকে নিয়োগ পরীক্ষা ঘিরে প্রতিটি কেন্দ্রের পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টদের মধ্যে বৈঠক হয়েছে। তারা নানা বিষয়ে আমাদের পরামর্শ দিয়েছেন। সবাই স্ব স্ব অবস্থান থেকে সুষ্ঠুভাবে নিয়োগ পরীক্ষা আয়োজনে দায়িত্ব পালন করবেন।
অন্যদিকে শুরুতে ঢাকায় কেন্দ্রীয়ভাবে পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত থাকলেও পরে জেলা পর্যায়ে পরীক্ষা নেয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত করে মন্ত্রণালয়। তবে উপজেলার বাইরে কেন্দ্র দেয়া যাবে না বলে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারদের জানিয়ে দেয় মন্ত্রণালয়। সে হিসেবে জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারদের কাছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে কেন্দ্রের ধারণ ক্ষমতা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। তাদের পাঠানো তথ্যের ওপর ভিত্তি করেই প্রধম ধাপের ২২টি জেলায় এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পরের ধাপগুলোও চূড়ান্ত করা হবে।
মন্তব্য