শিক্ষার্থীদের টিকা দিতে জন্মনিবন্ধনের শর্ত শিথিল

১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকার আওতায় আনতে জন্মনিবন্ধন করার শর্ত শিথিল করেছে সরকার।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ২০০১ সালের পর জন্ম নেওয়া শিশুর জন্ম নিবন্ধনের করার ক্ষেত্রে পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন নম্বর দিতে হবে না।
শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) রেজিস্ট্রার জেনারেল কার্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. ওসমান ভুইয়ার সই করা অফিস আদেশ থেকে এ তথ্য জানা যায়।
অফিস আদেশে বলা হয়, সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কোডিড-১৯ এর ভ্যাকসিন প্রদানের জন্য জন্মনিবন্ধন আবশ্যক। ২০০১ সালের পর জন্ম নেওয়া শিশুর জন্মনিবন্ধনের ক্ষেত্রে BDRIS Software এ পিতা-মাতার জন্মনিবন্ধন নম্বর দেওয়ার নিয়ম আছে। ছাত্র-ছাত্রীদের কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন প্রদান ও সুরক্ষা আ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধনের জন্য পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন ছাড়া শিক্ষার্থীদের জন্ম নিবন্ধন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আরও বলা হয়, ১২-১৮ বছর বয়সী ছাত্র-ছাত্রীদের কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন প্রদানের জন্য সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন সম্পাদন করার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানের দেওয়া সনদের ভিত্তিতে প্রয়োজনে পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন ছাড়া ন্যূনতম সময়ে নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করা হলো।
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে টিকা ছাড়া ১২ বছর বয়সী কোনো শিক্ষার্থী স্কুলে যেতে পারবে না বলে সিন্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
করোনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হলেও পাঠদান বন্ধ হয়নি: প্রধানমন্ত্রী

করোনাভাইরাসের কারণে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেলেও শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়নি। অনলাইনে এবং টেলিভিশনের পাঠদান চালু ছিল বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠনের তৃতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া এক ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহামারির কারণে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ বন্ধ রাখতে হয়েছিল। তবে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়নি। অনলাইনে এবং স্কুল পর্যায়ের জন্য টেলিভিশনের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, মহামারির প্রকোপ কিছুটা হ্রাস পাওয়ায় ইতোমধ্যে পরীক্ষা কার্যক্রম সম্পন্ন করে ভর্তি প্রক্রিয়া চলছে। বছরের প্রথম দিনেই নতুন বই বিতরণ শুরু হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত প্রায় ২ কোটি ৩০ লাখ শিক্ষার্থীর মধ্যে ২ হাজার ৯৫৮ কোটি টাকার বৃত্তি-উপবৃত্তি বিতরণ করা হয়েছে। ২০২১ সালে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট্রের আওতায় স্নাতক ও সমমানের শ্রেণির আরও ২ লাখ ১০ হাজার ৪৯ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রায় ১১১ কোটি বিতরণ করা হয়।
শিক্ষা কার্যক্রমে বর্তমান সরকারের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, দেশের ৭ হাজার ৬২৪টি এমপিওভুক্ত মাদ্রাসায় ১ লাখ ৪৮ হাজার ৬১ জন শিক্ষক-কর্মচারিকে প্রতিমাসে ২৭৬ কোটি টাকা বেতন ভাতা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ২০২০ সালে নতুন করে ৪৯৯টি মাদ্রাসা এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। ১ হাজার ৫১৯টি এবতেদায়ী মাদ্রাসার ৪ হাজার ৫২৯ জন শিক্ষককে ত্রৈমাসিক ৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা অনুদান দেওয়া হচ্ছে। দাওয়ারে হাদিস পর্যায়কে মাস্টার্স সমমান দেওয়া হয়েছে। সারাদেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ এবং ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে।
পরিস্থিতির অবনতি হলে অনলাইনে ক্লাস: শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, করোনা ও ওমিক্রনের বিষয়ে আমাদের ঝুঁকি নেয়া ঠিক হবে না। টিকা নেয়ার কর্মসূচি জোরদার করার পাশাপাশি যারা টিকা নেয়নি তাদের টিকার আওতায় আনতে হবে। করোনা পরিস্থিতির অবনতি হলে ছাত্র-ছাত্রীদের অনলাইনে ক্লাস নেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) বিকেলে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের বাহাদুরপুর রোভার পল্লীতে বাংলাদেশ রোভার স্কাউট অঞ্চলের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত প্রতিভা অন্বেষণ ও আন্ত:ইউনিট বিতর্ক প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দীপু মনি বলেন, স্কাউটিং ভালো মানুষ হতে শেখায়। তাই জীবনে একবার হলেও স্কাউটিংয়ে অংশগ্রহণ করা উচিত।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ রোভার স্কাউট অঞ্চলের সভাপতি ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান।
এতে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ স্কাউটের প্রধান জাতীয় কমিশনার ও দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার (তদন্ত) ড. মো. মোজাম্মেল হক খান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. গিয়াস উদ্দিন মিয়া, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এসএম তরিকুল ইসলাম, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. আতাউল্লাহ মণ্ডল, রোভার স্কাউট অঞ্চলের সহ-সভাপতি ও মুজিব শতবর্ষ উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর এম এ বারী, রোভার অঞ্চলের সম্পাদক একেএম সেলিম চৌধুরী, রোভার কামরুল হোসেনসহ প্রমুখ।
গবেষণা হয় না দেশের ২৭ বিশ্ববিদ্যালয়ে

দেশের ২৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা কাজের জন্য কোনো বরাদ্দ ছিল না। এসব উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গবেষণা কার্যক্রম ছাড়াই উচ্চতর ডিগ্রির সনদ বিতরণ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের ৪৭তম প্রতিবেদনে এমন চিত্র উঠে এসেছে।
এতে করে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা দূরের কথা, এক ধরনের সনদ বিক্রি করা হচ্ছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যুগে এখনও মুখস্থ বিদ্যার ওপর নির্ভর করে ডিগ্রি প্রদান করায় শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বাড়ছে। এ অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা কার্যক্রম বাড়াতে হলে বরাদ্দ ও পলিসি নির্ধারণ করার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
ইউজিসির সর্বশেষ (২০২০ সালের) প্রতিবেদনে দেখা গেছে, দেশে বর্তমানে ৬৪টি সরকারি ও ১০৭ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। তার মধ্যে ২৭টি সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা বাবদ কোনো ধরনের অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়নি।
এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে রয়েছে- সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটি, দ্যা পিপলস ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়, ফার্স্ট ক্যাপিট্যাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, জেড এইচ সিকদার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যাল, ব্রিটানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ বেঙ্গল ইন্ট্যারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, রণদা প্রসাদ সাহা বিশ্ববিদ্যালয়, গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, দি ইন্ট্যারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্স, রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয় (কুষ্টিয়া), সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয়, রূপায়ন এ কে এম শামসুজ্জোহা বিশ্ববিদ্যালয়, আনোয়ার খান মডার্ন ইউনিভার্সিটি, জেড এম আর এফ ইউনিভার্সিটি অব ম্যানেজমেন্ট সায়েন্স, আহসানিয়া মিশন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা খান বাহাদুর আহসান উল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়, শাহ মখদুম ম্যানেজম্যান্ট ইউনিভার্সিটি (রাজশাহী), ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি (বরিশাল), ইন্ট্যারন্যাশনাল স্টান্ডার্ড ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব ব্রাক্ষণবাড়িয়া, ইউনিভার্সিটি অব স্কিল এনরিচম্যান অ্যান্ড টেকনোলজি, মাইক্রোল্যান্ড ইউনির্ভাসিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি এবং আর টি এম আল কবির টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি।
এসব প্রতিষ্ঠানের একাধিক নীতিনির্ধারকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে। কোনোটার শিক্ষার্থী কম, অল্প কয়েকটি অনুষদ চালু থাকায় গবেষণা কাজের জন্য বরাদ্দ রাখা সম্ভব হয়নি। অবার অনেকগুলো নতুন বিশ্ববিদ্যালয় চালু হওয়ায় গবেষণা বাবদ তাদের কোনো ধরনের বরাদ্দ রাখা সম্ভব হয়নি।
জানতে চাইলে ইউজিসির সদস্য (গবেষণা সহায়ক ও প্রকাশনা বিভাগ) প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, একজন শিক্ষার্থীর উচ্চশিক্ষার সনদ পেতে গবেষণার সঙ্গে সর্ম্পক নেই, তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা থাকতে হবে। গবেষণা ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় চলবে সেটি কাম্য নয়। তারা যাতে বেশি বেশি গবেষণা কাজ করে সে জন্য তাগাদা দেওয়া হচ্ছে। এ বাবদ বরাদ্দ বাড়াতেও সরকারকে আহ্বান জানানো হয়েছে।
তিনি বলেন, অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বরাদ্দ পায় না বলে গবেষণা কাজ করতে আগ্রহী হয় না। এ খাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজ তহবিল তৈরি করতে হবে। দেশের ইন্ডাস্ট্রিগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। শুধু সরকারি বরাদ্দনির্ভর থাকলে হবে না। কারণ বিশ্ববিদ্যালয় একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। সেটিকে মাথায় রেখে গবেষণার জন্য ফান্ড তৈরির আহ্বান জানান প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন।
তিনি আরও বলেন, নতুন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মূলত গবেষণা বরাদ্দ ছিল না। তদের পর্যাপ্ত ফান্ড না থাকায় এ জন্য অর্থ বরাদ্দ দিতে পারেনি। সরকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দিয়ে কয়েকটি পদে জনবল নিয়োগ দিয়ে থাকে। গবেষণার জন্য তেমন বরাদ্দ দেয় না। তারপরও কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা ধরনের গবেষণা কার্যক্রমে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চাইতেও এগিয়ে রয়েছে। তারা দেশি-বিদেশি অর্থ আনতে সক্ষম হচ্ছে। শুধু সরকারি বরাদ্দের উপর নির্ভর না করে সেদিকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
এদিকে বিভিন্ন সময়ে কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে সনদ বিক্রির অভিযোগ পাওয়া যায়। সেখানে শিক্ষার্থীরা ভর্তি হয়ে বা ভর্তি না হলেও অনেকে অর্থ ব্যয় করে সনদ কেনার সুযোগ পাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সে কারণে অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না।
জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মোহাম্মদ তারেক আহসান বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আসলে টিচিং নাকি গবেষণা করবে সেটি নির্ণয় করতে হবে। টিচিং হলে একটি কোর্স সম্পন্ন করে সার্টিফিকেট দেওয়া কাজ হয়ে থাকে। আর গবেষণা বা রিসার্চ ইউনিভার্সিটি হলে বড় অংশ জুড়ে গবেষণা করতে হয়। আমাদের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিকুলাম-সিলেবাসে সেটি দেখা যায় না।
তিনি বলেন, গবেষণা করতে হলে একটি বড় ধরনের ফান্ড প্রয়োজন হবে। সেটি সবসময় অবহেলিত। পলিসি তৈরির প্রক্রিয়াটা আসলে পারসেপশন বেইজড, এভিডেন্স বেইজড না। ইউনিভার্সিটির সঙ্গে পলিসি তৈরির প্রক্রিয়ার সংযোগ অনেক দরকার। আমরা সবসময় সরকারের কাছে গবেষণা ফান্ড পাবো তা কিন্ত নয়। অন্যান্য দেশের মতো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে তহবিল তৈরি করতে হবে। সে জন্য শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যুক্ত থাকতে হবে। তাহলে আর ফান্ডের সংকট হবে না। এটা করলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণা সংস্কৃতি তৈরি হবে।
অধ্যাপক মোহাম্মদ তারেক আহসান আরও বলেন, গবেষণা সংস্কৃতি তৈরি না হলে ফান্ডের সংকট কাটবে না। শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি শিক্ষকদের আগ্রহ তৈরি করতে হবে। শুধু অর্থ দিয়ে তা হবে না। যে উৎস থেকে অর্থ আসছে সেগুলোকেও আমরা কতটুকু কাজে লাগাতে সক্ষম হয়েছি সেটিও ভেবে দেখতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের নিয়োগ, পদায়নে বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত জার্নালে প্রচার করতে হবে। তাহলে শিক্ষকরা নিজেকে প্রমোট করতে এ দিকে গুরুত্ব দেবেন। এ ধরনের একটি পলিসি প্রণয়ন করা প্রয়োজন। নতুবা শুধু সার্টিফিকেট (সনদ) বিতরণ হবে। শিক্ষার্থীদের কাছে ফি নিয়ে ক্লাস ও থিওরি পড়িয়ে শেষ করা হবে। সেখান থেকে বের হয়ে আসা জরুরি বলেও মনে করেন এ গবেষক।
ঢাবি’র শতবর্ষ বৃত্তি পেলেন কলা অনুষদের ১৫২ শিক্ষার্থী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদভুক্ত বিভিন্ন বিভাগের ১৫২ জন মেধাবী শিক্ষার্থী পেয়েছেন শতবর্ষ বৃত্তি। বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) সকালে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে তাদের হাতে বৃত্তির চেক তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘ঢাবি ক্যাম্পাস দূষণমুক্ত ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার ক্ষেত্রে মেধাবী শিক্ষার্থীদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। টেকসই উন্নয়ন অর্জনে অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠন করা প্রয়োজন।’
আর্থিক সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে ঢাবি’র অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের আওতায় আনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন উপাচার্য। এজন্য শিক্ষক ও সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবু মো. দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাবি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক ড. রেজওয়ানা চৌধুরী, অধ্যাপক ড. আশা ইসলাম নাঈমসহ অনেকে।
মন্তব্য