ঢাকা, সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫ ৩ ভাদ্র ১৪৩২
 
শিরোনাম

জাবিতে 'যৌন নির্যাতন সংক্রান্ত অভিযোগ কমিটি'র নিজস্ব কক্ষ উদ্বোধন

নিজস্ব প্রতিবেদক
৪ জানুয়ারি, ২০২৩ ২১:৫৯
নিজস্ব প্রতিবেদক
জাবিতে 'যৌন নির্যাতন সংক্রান্ত অভিযোগ কমিটি'র নিজস্ব কক্ষ উদ্বোধন

জাবি প্রতিনিধিঃ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের 'যৌন নির্যাতন সংক্রান্ত অভিযোগ কমিটি' (Complaint Cell) এর নিজস্ব অফিস কক্ষ উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার (৪ জানুয়ারি) সকাল দশটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে আয়োজিত এক সভায় অভিযোগ সেলের এই কক্ষ উদ্বোধন করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন রেজিস্ট্রার ভবনের দোতলার একটি অংশকে যৌন নিপীড়ন সংক্রান্ত অভিযোগ সেলের অফিস কক্ষ হিসেবে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. আবু তাহের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তাঁর বক্তব্যে নিপীড়ন ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে শিক্ষা গ্রহণ পরিবার থেকে শুরু করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, কর্ম প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে সর্বত্র নারী-পুরুষ বা ছেলে-মেয়ের মধ্যে পারস্পরিক সম্মান ও সহমর্মিতা প্রদর্শন করা হলে নিপীড়ন ও নির্যাতন মুক্ত সমাজ গঠন সম্ভব।

এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের যৌন নিপিড়ন সম্পর্কে সচেতন করতে নিয়মিত সভা-সমাবেশ, রাউন্ড টেবিল বৈঠক আয়োজনের নির্দেশ দেন। তিনি বলেন কোনটি যৌন নিপীড়ন আর কোনটি যৌন নিপীড়ন নয় তা স্পষ্ট জানতে হবে। কোনটি প্রক্টর অফিসের এখতিয়ারে আর কোনটি কমপ্লেইন্ট সেলে আসার মত তা সম্পর্কে সকলকে অবগত হওয়ার আহবান জানান।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ও সেলের সাবেক আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. রাশেদা আখতার বলেন, ২০০৯ সালে একটি আন্দোলনের ফলে হাইকোর্টের নির্দেশ আসে সকল বিশ্ববিদ্যালয় ও অফিসগুলোতে সেল প্রতিষ্ঠা করার। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১০ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেল প্রতিষ্ঠা হয়েছে। আমি নিজেও এই সেলের প্রধান হিসেবে দায়িত্বপালন করেছি। বস্তুনিষ্ঠভাবে কাজ করতে গেলে যারা এই সেলে কাজ করেন তারা অনেকের অপ্রিয় হয়ে ওঠেন। সেসময় আমাদের কোন নির্দিষ্ট অফিস-কক্ষ ছিল না। কখনো শিক্ষকদের ব্যক্তিগত রুমে, কখনো সিনেট হলে কাজ করতে হত। নিজস্ব ফটোকপি মেশিন না থাকায় রাত ২ টার সময় ঘুম থেকে ডেকে তুলে কাজ করার অভিজ্ঞতাও রয়েছে আমাদের। তবে, আমি এটা বলতে পারি আমার একবছরের আহ্বায়ককালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের কাজে কোন হস্তক্ষেপ করেনি। এখন শুধু নারী নির্যাতন নয়, পুরুষ নির্যাতনও সমানহারে বাড়ছে, কিন্তু এগুলো সেভাবে সামনে আসছে না। মনে রাখতে হবে, যৌন নিপীড়ন সেল শুধু নারী নির্যাতন নয়, পুরুষ নির্যাতনকেও সমানভাবে গুরুত্ব দেয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: নূরুল আলম। তিনি বলেন, কোর্ট থেকে নির্দেশনা আসার পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েই সর্বপ্রথম কমপ্লেইন্ট সেল গঠিত হয়। সরকার রাজনীতি বিভাগের শিক্ষক খুরশিদা বেগমকে আহবায়ক করে প্রথম সেই সেল গঠন করা হয়েছিল। সেক্সুয়্যাল হ্যারেজমেন্ট সম্পর্কে সর্বপ্রথম শিক্ষার্থীদের সচেতন করতে হবে। আমরা এই ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতি পালন করছি। আমার অফিসে নির্দেশনা দেয়া আছে, আমি যত জরুরি মিটিংয়েই থাকি না কেন, যৌন নিপীড়নের কোন অভিযোগ দিলে তা যেন তৎক্ষনাৎ অবগত করানো হয়। এ সংক্রান্ত ফাইল সাইন করাতে যেন দেরি না হয়।

তিনি আরও জানান, সেল গঠনের পর এ পর্যন্ত মোট ২৭ টি অভিযোগ এসেছে। এর মধ্যে ২৩টি অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন কর্তৃপক্ষ বরাবর পেশ করা হয়েছে। ৪ টি অভিযোগের তদন্ত প্রক্রিয়াধীন আছে। এর মধ্যে ১৮ টি অভিযোগে শাস্তির সুপারিশ করা হয়েছে, ১৭টি অভিযোগের শাস্তি কার্যকর করা হয়েছে, একটি অভিযোগ সিন্ডিকেট থেকে পুনরায় সেক্সুয়াল হ্যারেজমেন্ট কমিটিতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি কেসগুলো সেক্সুয়াল হ্যারেজমেন্টের মধ্যে পরে না বলে কমিটি জানিয়েছে। অর্থাৎ এ থেকে বোঝা যায় যে, এই সেল নিপুণতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক শেখ মো: মনজুরুল হক, আইন অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন তাপস কুমার দাস, যৌন নির্যাতন সংক্রান্ত অভিযোগ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. জেবউননেছা, যৌন নির্যাতন সংক্রান্ত অভিযোগ কমিটির বহি:স্থ সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. জোবাইদা নাসরিন, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের উপ- পরিচালক মৌলি আজাদ প্রমুখ।

উল্লেখ্য, গত বছরের জানুয়ারীর ৩ তারিখে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) যৌন নিপীড়ন সংক্রান্ত অভিযোগ সেল পুনর্গঠন করা হয়। যৌন নির্যাতন, যৌনতা বিষয়ক হয়রানি ইত্যাদি বিষয়ে অভিযোগ দায়েরের জন্য হাইকোর্টের নির্দেশনার আলোকে পুনর্গঠিত কমিটির সভাপতি হন লোক-প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. জেবউননেছা। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- আইন ও বিচার বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তাপস কুমার দাস, পাবলিক হেল্থ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব জেবুন্নেছা জেবা, বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক ইশিতা আখতার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. সাবিতা রিজওয়ানা রহমান ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. জোবাইদা নাসরীন। এছাড়া সদস্য সচিব হিসেবে আছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (সাধারণ প্রশাসন) শাহনাজ হোসেন।

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    সেরা লেখক পুরস্কার পেলেন শাহরিয়ার নাসের

    নিজস্ব প্রতিবেদক
    ৪ জানুয়ারি, ২০২৩ ১৮:১২
    নিজস্ব প্রতিবেদক
    সেরা লেখক পুরস্কার পেলেন শাহরিয়ার নাসের

    নোবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ কাতার বিশ্বকাপ নিয়ে আয়োজিত ‘বিশ্বকাপের গল্প’ প্রতিযোগিতায় সেরা লেখক হিসেবে পুরস্কার পেয়েছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও চ্যানেল 24 অনলাইনের নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি শাহরিয়ার নাসের। ইতোমধ্যে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে। এ সময় পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ।

    বুধবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে টাইমস মিডিয়া ভবনে চ্যানেল-24 মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠান হয়।

    এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ। এ ছাড়া বিশেষ অতিথি ছিলেন এসিআই ফার্টিলাইজার পরিচালক কৃষিবিদ বশির আহমেদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চ্যানেল-২৪ এর নির্বাহী পরিচালক তালাত মামুন, স্পোর্টস এডিটর দিলু খন্দকার, ডিজিটাল মিডিয়ার প্রধান মো. রাজীব খান, চ্যানেল-24 অনলাইন ইনচার্জ খন্দকার মাজহারুল প্রমুখ।

    অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেন, এমন সুন্দর আয়োজনের জন্য চ্যানেল-২৪ কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ। এই আসরে তাদের অনন্য আয়োজনের মাধ্যমে বিশ্বকাপ ফুটবলের অনেক অজানা গল্প জানার সুযোগ পেয়েছেন খেলাপ্রেমীরা।

    তিনি আরও বলেন, এই পুরস্কার আমাদের জাতীয় জীবনে এবং আগামী দিনে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে দীক্ষা, তা বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখবে। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুন্দরভাবে জীবন সাজাতে এই আয়োজন সহায়ক হবে।

    বিশ্বকাপ ফুটবল আসরের পুরো সময় চ্যানেল-24 ডিজিটাল মিডিয়ার পাঠকরা খেলা সম্পর্কে তাদের লেখা পাঠান। সেসব লেখা বাছাই করে প্রতিষ্ঠানটির অনলাইনে প্রকাশ করা হয়। পরে বিশ্বকাপের আসর শেষে পাঠকদের মধ্য থেকে লটারির মাধ্যমে নির্বাচন করা হয় ১০ জন বিজয়ী।

    ‘বিশ্বকাপের গল্প’ প্রতিযোগিতার বিজয়ীরা হলেন আবু হানিফ,( জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়), মো. গোলাম মোস্তফা (দুঃখু) স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, গাজী আনিস (ঢাকা), নবাব হোসেন (জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়), ফায়জার মোহাম্মাদ শাওলিন (জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়) ও শাহজাদা সেলিম রেজা (মানিকগঞ্জ)। শামিম (ফেনি সরকারি কলেজ), শাহরিয়ার নাসের (নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়) সহ আরো দুইজন।

    উল্লেখ্য, ‘বিশ্বকাপের গল্প’ প্রতিযোগিতায় স্পনসর ছিল এসিআই ফার্টিলাইজার ও রকমারি ডটকম।

    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      কুবিতে ছাত্রলীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষকী উদযাপন

      নিজস্ব প্রতিবেদক
      ৪ জানুয়ারি, ২০২৩ ১৭:১৫
      নিজস্ব প্রতিবেদক
      কুবিতে ছাত্রলীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষকী উদযাপন

      হেদায়েতুল ইসলাম , কুবি প্রতিনিধি: বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, র‌্যালি, সমাবেশসহ বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে।

      আজ বুধবার (৪ জানুয়ারি) সকাল ১০ টায় বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ ও সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম মাজেদের নেতৃত্বে আনন্দ র‌্যালী, কেক কাটা, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসটি পালন করেন শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।

      এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. দুলাল চন্দ্র নন্দী, সাবেক রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের, আইকিউএসির পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রশিদুল ইসলাম শেখ, সাবেক প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. কাজী মোহাম্মদ কামালউদ্দিন, প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী, ছাত্র পরামর্শক ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মোহা. হাবিবুর রহমান, নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরাণী হলের প্রাধ্যক্ষ মো. জিল্লুর রহমান, সহকারী প্রক্টর অমিত দত্ত, শারমিন সুলতানা ও অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আবু তাহেরসহ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

      প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য

        চলে গেলেন অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল, শোকাহত ইবি পরিবার

        নিজস্ব প্রতিবেদক
        ৪ জানুয়ারি, ২০২৩ ১২:১৮
        নিজস্ব প্রতিবেদক
        চলে গেলেন অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল, শোকাহত ইবি পরিবার

        ইবি প্রতিনিধি : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দাওয়াহ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক (অবসরপ্রাপ্ত) ড. মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল পরলোকগমন করেছেন (ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি বনি আমিনের সম্মানিত পিতা।

        মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) রাত ৮টার দিকে নিজ বাসভবনে বার্ধক্যজনিত কারণে ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৭৮ বছর।

        বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও থিওলজি অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের সাবেক ডিন’সহ বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন। তিনি একাধারে আরবি, ফারসি, উর্দু এবং ইংরেজি ভাষায় পাণ্ডিত্যের অধিকারী ছিলেন।

        এছাড়া বাংলাদেশে ইসলামিক স্টাডিজ ডিসিপ্লিনের মধ্যে তিনি একমাত্র শিক্ষাবিদ যার পিএইচডি থিসিস ইউজিসি কর্তৃক পুরস্কার প্রদানের জন্য গৃহীত হয়। তার অনবদ্য রচনার জন্য বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) কর্তৃক পুরস্কার প্রাপ্ত হন।

        বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার একজন প্রবীণ ও প্রজ্ঞাবান শিক্ষাবিদকে হারিয়ে শোক প্রকাশ করেছেন শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষ। তার মৃত্যুতে শোকবার্তা জানিয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ।

        মরহুম অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মোস্তফা কামালের জানাযার নামাজ বুধবার (৪ জানুয়ারি) বাদ জোহর কুষ্টিয়া ডি সি কোর্টের ঈদগাহে অনুষ্ঠিত হবে এবং পৌর গোরস্থানে দাফন সম্পন্ন হবে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।

        প্রাসঙ্গিক
          মন্তব্য

          দ. এশিয়ায় বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষা খাতে সবচেয়ে বেশি নির্ভরশীল

          নিজস্ব প্রতিবেদক
          ৪ জানুয়ারি, ২০২৩ ১১:২৪
          নিজস্ব প্রতিবেদক
          দ. এশিয়ায় বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষা খাতে সবচেয়ে বেশি নির্ভরশীল

          দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বেসরকারি শিক্ষা খাতে সবচেয়ে বেশি নির্ভরশীল দেশ বাংলাদেশ। এর মধ্যে মাধ্যমিক শিক্ষার জন্য শিক্ষর্থীদের ৯৪ শতাংশ এবং প্রাক প্রাথমিক শিক্ষার ৫৫ শতাংশ শিক্ষর্থীকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নির্ভর করতে হয়।

          দক্ষিণ এশিয়ায় অবস্থিত দেশগুলোর বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের তুলনামূলক পরিসংখ্যানে ঠিক এমন চিত্র উঠে এসেছে।

          মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘ইউনেস্কোর গ্লোবাল এডুকেশন মনিটরিং রিপোর্ট ২০২২’ শীর্ষক এক প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর শিক্ষা ব্যবস্থার পরিসংখ্যানের ওপর ভিত্তি করে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। এতে সার্বিক সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে ব্র্যাক।

          প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রাক প্রাথমিক শিক্ষায় সর্বোচ্চ বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শ্রীলঙ্কায় ৮০ শতাংশ, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বাংলাদেশে ৫৫ শতাংশ। প্রাথমিকে সর্বোচ্চ ভারতে ৪৫ শতাংশ আর বাংলাদেশে ২৪ শতাংশ। মাধ্যমিকে বাংলাদেশের বেসরকারি বিদ্যালয়ে সর্বাধিক সংখ্যক শিক্ষার্থী ৯৪ শতাংশ, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভারতে ৫১ শতাংশ এবং উচ্চ শিক্ষায় সর্বোচ্চ ভারতে ৫৭ শতাংশ আর বাংলাদেশে এই হার ৩৬ শতাংশ। গড়ে সবচেয়ে বেশি বেসরকারি খাতে নির্ভরতা বাংলাদেশের।

          প্রাসঙ্গিক
            মন্তব্য
            সর্বশেষ সংবাদ
              সর্বাধিক পঠিত