স্থানীয় সরকারের দাপ্তরিক কার্যক্রম নগর ভবনে: আসিফ মাহমুদ

ডেস্ক রিপোর্ট: ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান কার্যালয়ের (নগর ভবন) শূন্য কক্ষগুলোয় আগামীকাল রবিবার থেকে স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
আজ শনিবার এ কথা জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। রাজধানীর হেয়াররোডে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার বাসভবনে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
আসিফ মাহমুদ বলেন, দাপ্তরিক কার্যক্রম একদিনের জন্যও বন্ধ রাখা হবে না। মন্ত্রণালয়ের চলমান জনবান্ধব উন্নয়ন কার্যক্রমকে ব্যাহত করা এবং বিগত ফ্যাসিস্ট আমলের দুর্নীতির তথ্য লোপাট করার ষড়যন্ত্রকে বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবে না। আগের চেয়ে আরও দৃঢ় চিত্তে মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমকে গতিশীল করতে সব কর্মকর্তার প্রতি নির্দেশনা দেন তিনি।
প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে গত বুধবার গভীর রাতের আগুনে পাঁচটি মন্ত্রণালয়ের কার্যালয়, নথিপত্র, কম্পিউটার ও আসবাব পুড়ে গেছে। এর মধ্যে স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগও রয়েছে।
আগুনে পুড়ে যাওয়া অন্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো হলো : সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। এসব মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের নথিপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে কম্পিউটার ও আসবাব। দেয়াল ও মেঝেতেও বড় ক্ষতি হয়েছে। এরপর সিদ্ধান্ত হয় মন্ত্রণালয়গুলোর অধীনস্থ দপ্তরগুলোর কার্যালয়ে অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য পুড়ে যাওয়া মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম শুরু করা হবে।
টোল প্লাজায় দাঁড়ানো যানবাহনে ধাক্কা, সেই বাসচালক গ্রেপ্তার

ডেস্ক রিপোর্ট: ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় একই পরিবারের ৪ জনসহ মোট ৬ জন নিহতের ঘটনায় দায়ী ঘাতক বাসচালক মোহাম্মদ নুরুদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
শুক্রবার রাতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে আজ শনিবার র্যাবের গণমাধ্যম শাখা থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে গতকাল ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় টোল দেওয়ার সময় একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেখানে অপেক্ষমাণ যানবাহনকে চাপা দিলে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হন। আহতদের ঢাকা মিটফোর্ড হাসপাতালে নেওয়ার পথে এবং হাসপাতালে নেওয়ার পরে একই পরিবারের চার জনসহ ৬ জনের মৃত্যু হয়।
মইনুদ্দিন-ফখরুদ্দিনের মতো জালে পড়বেন না : ড. ইউনূসকে ফারুক

ডেস্ক রিপোর্ট: বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, সংস্কারের নামে নির্বাচন বিলম্বিত করে মইনুদ্দিন-ফখরুদ্দিনের মতো আর একটা জালে যেন আপনি না পড়েন।
আজ শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে তৃণমূল নাগরিক আন্দোলন আয়োজিত ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসরদের দেশবিরোধী চক্রান্তের প্রতিবাদে এবং অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবিতে এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
ফারুক বলেন, যারা দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল, যারা আয়নাঘরে নিয়ে নির্যাতন করেছে, হারুন-বিপ্লব যারা ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে থামানোর জন্য হত্যা করেছে তাদের এখনো কেন গ্রেপ্তার করা হয়নি?
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্য জয়নুল আবদীন বলেন, আপনাদের দায়িত্ব অনেক। কারও কথা শুনে দায় আপনাদের ঘাড়ে নেবেন না। ফ্যাসিবাদ সরকারের দোসরদের যদি না সরান শুধু আগুন নয় আরও ষড়যন্ত্র, খেলা খেলতে পারে তারা। তাই এদের সরাতে হবে। নির্বাচনের ম্যাপ আপনাকে দিতে হবে। নির্বাচিত প্রতিনিধি ছাড়া সংস্কার সম্পূর্ণ হবে না। সংস্কারের নামে নির্বাচন বিলম্বিত করে মইনুদ্দিন-ফখরুদ্দিনের মতো আর একটা জালে যেন আপনি না পড়েন।
সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, মইনুদ্দিন-ফখরুদ্দিন বিদেশে বসে শেখ হাসিনার সাথে চুক্তি করে ২০০৮ সালের নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনে। বিএনপিকে কয়েকটা আসন দেয়। আরও অনেক কথা রয়েছে সব বলব। ড. ইউনূস সাহেব এই কথাগুলো সংসদে বলার জন্য অতি দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করেন।
তিনি বলেন, আমরা ২০১৮, ২০১৪, ২০২৪ সালের মতো নির্বাচন চাই না। আমাদের নেতা তারেক রহমান বলেছেন এমন নির্বাচন চাই যে নির্বাচনে মৃত ব্যক্তিরা ভোট দেবে না। রাতে ভোট হবে না। যার ভোট সে দিবে। পছন্দমতো প্রার্থীকে বিজয়ী করবে। এমন নির্বাচন চাই যে নির্বাচনে ১৫২ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবে না।
বর্তমান সরকারকে অনুরোধ জানিয়ে বিরোধীদলের সাবেক এই চিফ হুইপ বলেন, সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হলে, জনগণকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে হলে, অনতিবিলম্বে জনগণের প্রতিনিধির হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের ব্যবস্থা করুন। নির্বাচনের তারিখ ঠিক করুন। নির্বাচন দিন।
নিউইয়র্কে দুই গ্র্যান্ডমাস্টারকে হারিয়ে বাংলাদেশের মননের চমক

ডেস্ক রিপোর্ট: নিউইয়র্কে চলছে ওয়ার্ল্ড র্যাপিড দাবা চ্যাম্পিয়নশিপ। যেখানে খেলছেন বিশ্বের শীর্ষ দাবাড়ুরা। প্রথমবারের মতো এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ। সেখানে দুই গ্র্যান্ডমাস্টারকে হারিয়ে চমক দেখিয়েছেন ওপেন বিভাগে বাংলাদেশের জাতীয় চ্যাম্পিয়ন মনন রেজা।
প্রতিযোগিতায় ৯ ম্যাচে সাড়ে তিন পয়েন্ট পেয়েছেন মনন। আর বাংলাদেশের নারী বিভাগে চ্যাম্পিয়ন নোশিন আনজুম পেয়েছেন আট ম্যাচে আড়াই পয়েন্ট।
বৃহস্পতিবার পঞ্চম রাউন্ডে অস্ট্রিয়ার গ্র্যান্ডমাস্টার হোরভাথ ডোমিনিককে হারান মনন। এরপর শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) নবম রাউন্ডে জার্মানির গ্র্যান্ডমাস্টার ডেনিস ওয়াগনারকে হারিয়েছেন আন্তর্জাতিক মাস্টার মনন। ১৮০ জন দাবাড়ুর মধ্যে ১৫১ নম্বরে আছেন তিনি।
অন্যদিকে নারী বিভাগে ১১০ জনের মধ্যে ১০১-এ আছেন নোশিন। ওয়ার্ল্ড র্যাপিড দাবা শেষ হচ্ছে আজ। এরপর একই ভেন্যুতে শুরু হবে ব্লিটস।
র্যাপিড দাবায় ম্যাচের দৈর্ঘ্য ১৫ মিনিট। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় রাউন্ডে যথাক্রমে রাশিয়ার গ্র্যান্ডমাস্টার নেস্টেরভ এরসেনি, চিনের আন্তর্জাতিক মাস্টার লোউ ইয়িপিং ও ডেনমার্কের গ্র্যান্ডমাস্টার এন্ডারসেন ম্যাডসের কাছে হেরে যান মনন। তবে চতুর্থ রাউন্ডে জিম্বাবুয়ের আন্তর্জাতিক মাস্টার ইউরাজায়েভ মাকোটো রোডওয়েলের সঙ্গে ড্র করেন তিনি।
অন্যদিকে নোশিন প্রথম, দ্বিতীয়, ও তৃতীয় রাউন্ডে যথাক্রমে যুক্তরাষ্ট্রের নারী গ্র্যান্ডমাস্টার ইউয়ি জেনিফার, কাজাখস্তানের মহিলা গ্র্যান্ডমাস্টার বালাবায়েভা জেনিয়া ও কাজাখস্তানের মহিলা ফিদে মাস্টার নুরগালিয়েভা জারিনার কাছে হেরে যান। তবে চতুর্থ রাউন্ডে উগান্ডার নাইসাঙ্গা শিবা ভ্যালেন্টাইনকে হারিয়ে দেন তিনি।
অনির্বাচিত সরকারের হাতে দিনের পর দিন দেশ চালাতে দিতে পারি না: ফখরুল

ডেস্ক রিপোর্ট: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সংস্কারের জন্য নির্বাচন বন্ধ হয়ে থাকতে পারে না। আর সংস্কারের কারণে একটা অনির্বাচিত সরকারের হাতে দিনের পর দিন দেশ চালাতে দিতে পারি না।
শনিবার ( ২৮ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। ‘চব্বিশের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের চেতনায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে ষড়যন্ত্র প্রতিহত করা’ শীর্ষক সভার আয়োজন করে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) একাংশ।
মির্জা ফখরুল বলেন, সংস্কার কোনও নতুন ধারা নয়। কেউ যদি দাবি করে যে আমরাই প্রথম সংস্কার নিয়ে আসছি, তাহলে এটা ভুল। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। প্রতি মুহূর্তেই সংস্কার হচ্ছে। সংস্কারের ধারা চলতে থাকবে। সে জন্য তো নির্বাচন বন্ধ হয়ে থাকতে পারে না। দিনের পর দিন একটি অনির্বাচিত সরকারের হাতে আমরা তো দেশ পরিচালনা করতে দিতে পারি না। সে জন্যই আমরা তাড়াতাড়ি নির্বাচন চাই।
তিনি বলেন, আমাদের সম্পর্কে একটা ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হয়, সেটা হলো- বিএনপি নাকি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য তাড়াতাড়ি নির্বাচন চাচ্ছে। কিন্তু, ক্ষমতায় তো আমরা আগেও ছিলাম। দুই-তিনবার ছিলাম। আল্লাহ চাইলে আবার ক্ষমতায় আসবো। ক্ষমতার জন্য আমরা রাজনীতি করি না।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সংস্কার প্রক্রিয়া প্রথম শুরু করেছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। একদলীয় শাসনব্যবস্থা বাকশাল কায়েম করেছিল আওয়ামী লীগ। সেখান থেকে জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র বের করে এনেছেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আপনি ছয়টি কমিশন করেছেন। সেই কমিশনগুলো কাজ করছে। কিন্তু এই কমিশনগুলো কাদের সঙ্গে কাজ করছে। তারা কয়জন পণ্ডিত ব্যক্তিকে নিয়ে এসেছেন। আমরা তাদের শ্রদ্ধা করি। কিন্তু, জনগণ কী চায়, আপনারা জনগণের কাছে যান, তারা কী চায় সেটা জানুন।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, আমরা বলেছি আপনারা সংস্কার করুন, আমাদের কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু যে বিষয়টা নিয়ে বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় সমস্যা তৈরি হয়েছে, সেটি হলো অস্থিরতা। একটি নির্বাচিত সরকার থাকলে এই সমস্যা অনেক কমে যাবে। কারণ, নির্বাচিত সরকারের শক্তিটা অন্যরকম। জনগণ তার পেছনে থাকে। এই কথাটা আমাদের সব সময় মনে রাখতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা সংস্কার চাই। আমরা সংস্কার সবচেয়ে বেশি চাই। কিন্তু, দীর্ঘকাল অনির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা থাকা উচিত নয়। আজ সংকট বেড়েই চলেছে। সবচেয়ে বড় সংকট সাধারণ মানুষের। সব কিছুর দাম এমনভাবে বেড়েছে, সাধারণ মানুষের জীবন এখন অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। এটার দিকে তাদের (অন্তর্বর্তী সরকার) কোনও খেয়ালই নেই।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, আপনারা হচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকার। আপনারা সংস্কার করতে চাইলে সংস্কার করবেন। সেইসঙ্গে একটা নির্বাচন করবেন, যে নির্বাচনটা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। এটাই হচ্ছে প্রধান কাজ। নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলো আপনাদের (অন্তর্বর্তী সরকার) প্রতিপক্ষ নয়। রাজনৈতিক দলগুলো আপনাদের সহযোগিতা করছে।
মন্তব্য