ঢাকা, সোমবার, ১১ আগস্ট ২০২৫ ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২
 
শিরোনাম

ছাত্র আন্দোলনে রক্ত দিয়েও ন্যায়বিচার পাচ্ছে না জাতীয় পার্টি: জিএম কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক
১৭ অক্টোবর, ২০২৪ ১৯:১
নিজস্ব প্রতিবেদক
ছাত্র আন্দোলনে রক্ত দিয়েও ন্যায়বিচার পাচ্ছে না জাতীয় পার্টি: জিএম কাদের

ডেস্ক রিপোর্ট: জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জাতীয় পার্টি সর্বতোভাবে সমর্থন দিয়ে আন্দোলনে সক্রিয় ছিল। এ কারণে আমাদের দলের নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে রংপুরে মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তার হয়ে হাজতবাস করেছে তারা।

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্যদের সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

জিএম কাদের বলেন, গত ১ জুলাই ছাত্ররা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন শুরু করলে, আমি ৩ জুলাই সংসদে তখনকার প্রধানমন্ত্রীর সামনে ছাত্র আন্দোলনে সমর্থন দিয়ে বক্তৃতা করেছি। বক্তৃতায় আমি বলেছি, ছাত্রদের এই আন্দোলন যৌক্তিক। চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংবিধান পরিপন্থি।

তিনি আরও বলেন, রাজনীতিবিদদের মধ্যে সবার আগে রংপুরে গিয়ে শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করেছি আমি। তার মা-বাবাকে সান্ত্বনা দিয়েছি। দুঃখের বিষয় হচ্ছে, ছাত্র আন্দোলনের সাফল্য নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। একটি চক্র জাতীয় পার্টিকে ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষের দল হিসেবে চিহ্নিত করতে অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এই অন্যায় মেনে নেওয়া হবে না।

বৈষম্যবিরোধী ন্যায়বিচার ভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনের সংগ্রামে অংশ নিয়েও জাতীয় পার্টি ন্যায়বিচার পাচ্ছে না বলে দাবি করেন জিএম কাদের।

তিনি বলেন, মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের সঙ্গে অবিচার করা হচ্ছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা রক্ত দিয়েছে, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির বিরুদ্ধে প্রয়োজনে রক্ত দিয়ে এর প্রতিবাদ করা হবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়েও জাতীয় পার্টি বৈষম্যের শিকার।

জিএম কাদের আরও বলেন, ২০১৪ ও ২০২৪ সালে নির্বাচনে যেতে বাধ্য হয়েছে জাতীয় পার্টি। আর ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপিসহ দেশের সব রাজনৈতিক দলই অংশ নিয়েছিল। আবার, ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নিলেও উপজেলা পরিষদ ও মেয়র নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল বিএনপি। আওয়ামী লীগের নির্বাচন ব্যবস্থায় অংশ নেওয়ার কারণে কাউকে স্বৈরাচারের দোসর বলা উচিত নয়।

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    ৪৩, ৪৪, ৪৫ ও ৪৬তম বিসিএস বাতিলের দাবি বিএনপির

    নিজস্ব প্রতিবেদক
    ১৭ অক্টোবর, ২০২৪ ১৫:২০
    নিজস্ব প্রতিবেদক
    ৪৩, ৪৪, ৪৫ ও ৪৬তম বিসিএস বাতিলের দাবি বিএনপির

    ডেস্ক রিপোর্ট: আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে হওয়া চারটি বিসিএস পরীক্ষা সব প্রক্রিয়া বাতিলের দাবি করেছে বিএনপি। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ দাবি করেছেন, ৪৩তম বিসিএসে দুই হাজার ৬৪ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের সুপারিশ বাতিলসহ ৪৪, ৪৫ ও ৪৬তম বিসিএস পরীক্ষার সব প্রক্রিয়া বাতিল করতে হবে।

    আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।

    তার দাবি, পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) কর্তৃক সম্পূর্ণ দলীয় বিবেচনায় বিসিএস ৪৩তম ব্যাচের সুপারিশকৃত ২০৬৪ জন প্রার্থীকে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার বিসিএসের বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

    ৪৩তম বিসিএসের ঢালাও নিয়োগদানের মাধ্যমে সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের প্রশাসনের উচ্চতর পদসমূহে পুনর্বাসন করার চেষ্টা চলছে। এই অন্তর্ঘাতমূলক সিদ্ধান্ত জাতীয় স্বার্থ ও নিরাপত্তার পরিপন্থি এবং কিছুতেই গ্রহণযোগ্য নয়। সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, আমরা জানতে পেরেছি হাসিনা সরকারের সময় আবেদনকৃত ৪৪তম বিসিএসের যে ৯ হাজার জনকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য ডাকা হয়েছিল, তার মধ্যে ৩ হাজার জনের পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। ৪৫তম বিসিএসের লিখিত উত্তরপত্রের মূল্যায়ন প্রায় শেষপর্যায়ে। অপরদিকে ৪৬ বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে তিন মাস পূর্বে।

    তিনি এই তিনটি পরীক্ষার সব প্রক্রিয়া বাতিলের দাবি জানিয়ে বলেন, আমরা দাবি করছি, রাষ্ট্রীয় প্রশাসনে প্রবেশে ফ্যাসিবাদি আওয়ামী গোষ্ঠীর এবং সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের ক্যাডার বাহিনীকে নিবৃত্ত করার লক্ষ্যে এই তিনটি বিসিএসের নিয়োগ প্রক্রিয়াসমূহ পুরোপুরি বাতিল করা হোক।

    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      শেখ রাসেলের জন্মদিন পালনের আহ্বান আ.লীগের

      নিজস্ব প্রতিবেদক
      ১৭ অক্টোবর, ২০২৪ ১৪:১৫
      নিজস্ব প্রতিবেদক
      শেখ রাসেলের জন্মদিন পালনের আহ্বান আ.লীগের

      ডেস্ক রিপোর্ট: শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষ্যে কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানিয়েছে আওয়ামী লীগ। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সায়েম খানের পাঠানো এক বিবৃতি এ আহ্বান জানানো হয়।

      এতে বলা হয়, শহীদ শেখ রাসেল আজ বাংলাদেশের শিশু-কিশোর, তরুণ, শুভবুদ্ধি-বোধসম্পন্ন মানুষের কাছে পরম আদরের নাম। অবহেলিত, পশ্চাৎপদ, অধিকার বঞ্চিত শিশুদের আলোকিত জীবন গড়ার প্রতীক হয়ে গ্রাম-গঞ্জ-শহর তথা বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ জনপদ-লোকালয়ে শেখ রাসেল আজ এক মানবিক সত্তায় পরিণত হয়েছে। মানবিক চেতনাসম্পন্ন সকল মানুষ শেখ রাসেলের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের শোককে হৃদয়ে ধারণ করে বাংলার প্রতিটি শিশু-কিশোর তরুণের মুখে হাসি ফোটাতে আজ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

      আরও বলা হয়, আজ এমন এক সময়ে শহীদ শেখ রাসেলের জন্মদিন সমাগত যখন সমগ্র বাংলাদেশ অবরুদ্ধ। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যাকাণ্ডের পর খুনি-ঘাতক চক্র রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে এই হত্যাকাণ্ডের বিচার রোধে ইনডেমনিটি দেয়। ঠিক একইভাবে আজ দেশে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে কোটা সংস্কার আন্দোলনের আড়ালে সুপরিকল্পিত নীলনকশা বাস্তবায়নের সময় ও পরে পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ নির্বিচারে গণহত্যা সংঘটনকারীদের দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছে। পুনরায় দেশকে বিচারহীনতার সংস্কৃতির দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও প্রগতিশীল মতাদর্শ ধারণের কারণে একটি জনগোষ্ঠীকে বাছ-বিচারহীনভাবে রাজনৈতিকভাবে হয়রানির অপসংস্কৃতি পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করা হচ্ছে।

      বিবৃতিতে বলা হয়, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের গণহারে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। যা কোনো মানবিক বোধসম্পন্ন মানুষের কাছে প্রত্যাশিত নয়। দেশের বিবেকবান সকল মানুষের প্রত্যাশা, সুশাসন প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রের সর্বস্তরে সকল নাগরিকের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। শহীদ রাসেলের নিষ্পাপ ও নিষ্কলুষ মুখাবয়ব সকল মানুষের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার অনবরত সংগ্রামে পথচলার অনুপ্রেরণা।

      বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আগামী ১৮ অক্টোবর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের শুভ জন্মদিন ও ‘শেখ রাসেল দিবস’ উপলক্ষ্যে যথাযথ মর্যাদায় ও ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশে তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের পাশাপাশি তার আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মিলাদ কর্মসূচি পালনের জন্য দেশব্যাপী আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসমূহের নেতা-কর্মী, সমর্থক ও সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানানো যাচ্ছে।

      প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য

        ‘দুধ দিয়ে গোসল করে আওয়ামী লীগ ছেড়ে দিন’

        নিজস্ব প্রতিবেদক
        ১৭ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:৫৬
        নিজস্ব প্রতিবেদক
        ‘দুধ দিয়ে গোসল করে আওয়ামী লীগ ছেড়ে দিন’

        স্বৈরাচারী করে কোনো সরকার টিকে থাকতে পারে না। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন তার প্রমাণ। তাই হাসিনার পালানোর পরও যেসব আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দেশে আছেন- তারা দুধ দিয়ে গোসল করে তওবা করে আওয়ামী লীগ ছেড়ে দিন। কারণ নেতাকর্মীদের বিপদে ফেলে আওয়ামী লীগের পালানোর ইতিহাস পুরোনো। ৫ আগস্ট নেতাকর্মীদের বিপদে ফেলে যে নেত্রী পালিয়ে যায়, তার জন্য কান্নাকাটি করে লাভ কি? বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন।

        বুধবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার নজরপুর ইউনিয়নের কর্মীসভায় প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

        বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে আওয়ামী লীগ আর রাজনিতি করতে পারবে না। ইতিমধ্যেই আওয়ামী লীগকে ১০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করতে প্রস্তাব এসেছে। তাছাড়া গণহত্যাকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার নৈতিকতা হারিয়েছে। বাংলাদেশের জনগণ চায় দ্রুত নির্বাচন, কারণ দেশের জনগণ দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে তাদের নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে নাই। তাই দেশের জনগণ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে কাছে একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন চায়। নয়তো ষড়যন্ত্রকারীরা পুনরায় মাথাচারা দিয়ে অশুভ শক্তি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসতে পারে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

        খায়রুল কবির খোকন বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালো রাতে পাক বাহিনীরা যখন নিরস্ত্র বাঙালির ওপর হামলা করেছিল, তখন ৩২ নাম্বারে বসে শেখ মুজিবও সেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করে পাকিস্তানে পালিয়ে গেছেন। তাদের পালানোর আর বিএনপির বিজয়ের ইতিহাস রয়েছে। আওয়ামী লীগের দোষররা যদি পুনরায় বাংলাদেশে আসতে চায় বাঙ্গালিরা তা শক্ত হাতে প্রতিহত করবে।

        প্রাসঙ্গিক
          মন্তব্য

          আপনাকে অজ্ঞ বলতে বাধ্য করবেন না: নাহিদকে সোহেল রানা

          নিজস্ব প্রতিবেদক
          ১৬ অক্টোবর, ২০২৪ ১৮:৪৪
          নিজস্ব প্রতিবেদক
          আপনাকে অজ্ঞ বলতে বাধ্য করবেন না: নাহিদকে সোহেল রানা

          ডেস্ক রিপোর্ট: আওয়ামী লীগের দলীয় দিবসকে জাতীয় দিবস হিসেবে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে মন্তব্য করে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, শেখ মুজিবুর রহমান অবশ্যই জাতির জনক না। বুধবার (১৬ অক্টোবর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা নাহিদ এ মন্তব্য করেন।

          এমন মন্তব্য গণমাধ্যমে শোনার সঙ্গে সঙ্গেই নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক ও মুক্তিযোদ্ধা মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা।

          বুধবার তিনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, ‘ভাই নাহিদ, যখন আপনাদের জন্মই হয়নি সেই সময়ের দেশ এবং নেতাদের নিয়ে কথা বলা আপনার জন্য বেমানান। আপনাকে অজ্ঞ বলতে বাধ্য করবেন না।’

          সেই পোস্টের কমেন্ট বক্সে মঞ্চ নাটকের নন্দিত অভিনেত্রী ও নির্দেশক নূনা আফরোজ মন্তব্য করেছেন, ‘এদেশের মাটিতে জন্ম নিয়ে কীভাবে ৭১, মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলতে পারে! তারা আসলে কারা?’

          নূনা আফরোজ ছাড়াও অল্প সময়ে ওই পোস্টে একশ’র বেশি মন্তব্য এসেছে। বেশিরভাগই সোহেল রানার কথার সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন, ভিন্ন মতও রয়েছে বেশকিছু।

          প্রসঙ্গত, আজকের ওই সংবাদ সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুকে আওয়ামী লীগ বিতর্কিত করেছে। তাকে আপনারা ‘জাতির পিতা’ মনে করেন কি না? এমন প্রশ্নে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দল হিসেবে ফ্যাসিস্টভাবে ক্ষমতায় ছিল। মানুষের ভোটাধিকার হরণ ও গুম-খুন করে এবং গণহত্যা করে তারা ক্ষমতায় ছিল। কাজেই কারা তাকে জাতির পিতা বলল, তারা কোন দিবসকে জাতীয় দিবস ঘোষণা করল, নতুন বাংলাদেশে সেটার ধারাবাহিকতা থাকবে না। আমরা বাংলাদেশকে নতুনভাবে গঠন করতে চাচ্ছি। ফলে ইতিহাসের প্রতি আমাদের নতুন দৃষ্টিভঙ্গি আনতে হবে।’

          জাতীয় দিবসের তালিকা থেকে ৭ মার্চকে বাদ দেওয়ার প্রসঙ্গে নাহিদ বলেন, ‘৭ মার্চ গুরুত্বপূর্ণ, তবে জাতীয় দিবস হওয়ার মতো না। আওয়ামী লীগ অনেক দিবসকে নষ্ট করে ফেলেছে।’

          ৭ মার্চ নিশ্চিহ্ন করা হচ্ছে না জানিয়ে নাহিদ বলেন, ‘শেখ মুজিবুর রহমান অবশ্যই জাতির জনক না। এই ভূখণ্ডে অনেকেরই ভূমিকা রয়েছে, লড়াই রয়েছে। ইতিহাসের বহুমূখীতা রয়েছে। আওয়ামী লীগ মাওলানা ভাসানীর অবদানকে অস্বীকার করেছে। তাই এখন সময় এসেছে সবার ভূমিকা স্মরণ করার।’

          ৫ আগস্টকে প্রাধান্য দিয়ে একটি জাতীয় দিবস প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে বলে জানিয়ে নাহিদ বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের গুরুত্ব হিসেবে কোনো কোনো দিবস প্রতিষ্ঠিত করা হতে পারে। আপাতত ৫ আগস্টকে প্রাধান্য দিয়ে একটি জাতীয় দিবস প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। নতুন বাংলাদেশে অনেক সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। চাইলেই আমলাতন্ত্র পুরো বাতিল করা যাবে না। প্রশাসনকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। অভিযোগ যে কারও বিরুদ্ধেই হতে পারে। তাই গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছে সরকার। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাজ সবার কথাকে গুরুত্ব দেওয়া। জনগণের সমর্থন নিয়েই কাজ করছে সরকার।’

          এদিকে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসসহ আট জাতীয় দিবস বাতিল করছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বুধবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

          প্রাসঙ্গিক
            মন্তব্য
            সর্বশেষ সংবাদ
              সর্বাধিক পঠিত