জাবিতে দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক মাইম উৎসব শুরু আজ

জাবি প্রতিনিধিঃ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘রঙ্গন মাইম একাডেমি’র আয়োজনে ১৭ ও ১৮ মার্চ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক মূকাভিনয় উৎসব। দেশি-বিদেশি ২১ টি মাইম দলের অংশগ্রহণে দুই দিনব্যাপী এই উৎসবে থাকছে স্ট্রিট মাইম, সেমিনার, মূকাভিনয় কর্মশালা, উন্মুক্ত আলোচনা, একক ও দলগত মূকাভিনয় সহ আরো নানা আয়োজন।
১৭ মার্চ, শনিবার বিকাল ৪ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন কলা ভবন সংলগ্ন মৃৎমঞ্চ থেকে এক র্যালির মাধ্যমে শুরু হবে উৎসব। র্যালির উদ্বোধন করবেন কলা ও মানবিকী অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মোজাম্মেল হক।
এরপর সন্ধ্যা ৬টায় জহির রায়হান মিলনায়তনে থিয়েটার হলে ট উৎসবের উদ্বোধন করা হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নূরুল আলম। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক শেখ মনজুরুল হক, নাট্যকার ও গবেষক অধ্যাপক ড. রতন সিদ্দিকী, টিভি ও চলচ্চিত্র অভিনেতা এবং বিশিষ্ট মূকাভিনেতা শুভাশীষ ভৌমিক ও বাংলাদেশ মূকাভিনয় ফেডারেশানের সেক্রেটারী জেনারেল ধীমান সাহা জুয়েল। সন্ধ্যা ৭ টায় নৃত্য পরিবেশনা করবেন আকাশ সরকার ও তার দল। সন্ধ্যা সাতটা ১০ মিনিট থেকে মূকাভিনয় পরিবেশন করবে আমন্ত্রিত দেশ বিদেশের মূকাভিনয় দলসমুহ।
উৎসবের দ্বিতীয় দিন ১৮ মার্চ, শনিবার সকাল ১১টায় মূকাভিনয় বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের সেট ডিজাইন কক্ষে। সেমিনারে ‘বাঙলা মূকাভিনয়ের মুক্তি কোন পথে?’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন স্বপ্নদলের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান সম্পাদক জাহিদ রিপন। সেমিনারে আলোচনা রাখবেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্বদ্যিালয়ের নাট্যকলা ও পরিবেশনাবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক আল জাবির, পশ্চিমবঙ্গের অসিত আচার্য্য, জলপাইগুড়ি উজ্জীবন মাইম থিয়েটারের প্রিয়াংকা মন্ডল, বাংলাদেশ মূকাভিনয় ফেডারেশানের সেক্রেটারী জেনারেল ধীমান সাহা জুয়েল, প্যান্টোমাইম মুভমেন্টের রিজোয়ান রাজন। সেমিনারে সভাপতিত্ব করবেন অধ্যাপক ড. ইস্রাফিল আহমেদ।
বেলা ৩ টায় নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের আফসার আহমদ থিয়েটার ল্যাবে থাকছে মূকাভিনয় বিষয়ক কর্মশালা। কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসেবে থাকবেন জলপাইগুড়ি উজ্জীবন মাইম থিয়েটারের প্রিয়াংকা মন্ডল, অসিত আচার্য্য ও রিজোয়ান রাজন। এরপর সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চে সন্ধ্যা ৭টা থেকে নৃত্য পরিবেশনা করবেন আকাশ সরকার ও তার দল। সন্ধ্যা ৭টা থেকে মূকাভিনয় পরিবেশন করবে আমন্ত্রিত দেশ বিদেশের মূকাভিনয় দলসমুহ।
রঙ্গন মাইম একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও বাংলাদেশ মূকাভিনয় ফেডারেশানের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ইস্রাফিল আহমেদের সমাপনী বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এই উৎসবের।
উৎসবের বিষয়ে রঙ্গন মাইম একাডেমির পরিচালক অধ্যাপক ড. ইস্রাফিল জানান, ‘মোট ২১ টি দলের অংশগ্রহণে এই মূকাভিনয় উৎসবের আয়োজনটি করা হয়েছে, যার মধ্যে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে ৩টি দল অংশগ্রহণ করছেন। মূল অনুষ্ঠানের পাশাপাশি দুইদিন ব্যাপি এই আয়োজনে প্রতিদিন ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্পটে উন্মুক্ত স্ট্রীট মাইম শো এর ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রথমবারের মত আন্তর্জাতিক এই মূকাভিনয় উৎসব আয়োজনের অভিজ্ঞতা থেকে সিদ্ধান্ত নিতে পারব যে পরবর্তীতে এ ধরণের আয়োজন অব্যাহত রাখা যায় কি না। সবার সহযোগিতা পেলে আমরা প্রতিবছর এ ধরণের আয়োজন চালিয়ে যেতে চাই।’
দুইদিনব্যাপি এই আয়োজনে অংশগ্রহণকারী মূকাভিনয় দলগুলো হল জলপাইগুড়ি উজ্জীবন মাইম থিয়েটার, পশ্চিমবঙ্গ; লিটল ড্রামা অর্গানাইজেশন, ত্রিপুরা, ভারত; অঙ্গ কল্পনা, উত্তর ২৪ পরগনা, পশ্চিমবঙ্গ; জলছবি মাইম থিয়েটার, কিশোরগঞ্জ; ঢাকা ইউনিভার্সিটি মাইম অ্যাকশন; শ্রুতি মাইম থিয়েটার, নারায়নগঞ্জ; থিয়েটার সার্কেল মাইম, মুন্সীগঞ্জ; মুক্তমঞ্চ নির্বাক দল, গাজীপুর; মাইম ফেইস, নারায়নগঞ্জ; মাগুরা মাইম থিয়েটার; নাট্যতরী, দ্য মামার্স, মুক্ত বিহঙ্গ, রংপুর; মিরর মাইম, ঢাকা ; মাইম ট্রুপ, চট্টগ্রাম; মনন মাইম থিয়েটার, দেওয়ান মামুন, চট্টগ্রাম; সাইলেন্ট থিয়েটার, চট্টগ্রাম; প্যান্টোমাইম মুভমেন্ট, চট্টগ্রাম; রঙ্গন মাইম একাডেমি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।
বিনোদপুরে খুলেছে দোকানপাট, নেই ক্রেতা সমাগম, যাচ্ছেন না শিক্ষার্থীরা

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষের ছয় দিন পর স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে বিনোদপুর বাজার। ধীরে ধীরে খুলতে শুরু করেছে দোকানপাট। কিন্তু নেই ক্রেতা সমাগম। শুক্রবার (১৭ মার্চ) সকালে বিনোদপুর বাজারে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় সংঘর্ষে এতদিন বিনোদপুর বাজারের সব দোকানপাট বন্ধ ছিল। আশপাশে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ছিল। সংঘর্ষের ছয়দিন পর বিনোদপুর বাজারের ব্যবসায়ীরা তাদের পুড়ে যাওয়া ও ভেঙে যাওয়া দোকানপাট মেরামতের পর খুলেছেন। কিন্তু সেখানে যাচ্ছে না শিক্ষার্থীরা। বাজারের ওপর দিয়ে চলে যাওয়া ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক আছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭টি হলের বেশিরভাগ শিক্ষার্থী বিনোদপুরে বাজারে কেনাকাটা করে থাকেন। তবে সংঘর্ষের দিন থেকে তারা বিনোদপুরে বাজারে যাচ্ছেন না। অনেকেই বিনোদপুর বাজারকে বয়কটের ঘোষণা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারে পোস্ট করেছেন। তারা কেনাকাটার জন্য বেছে নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরের স্টেশন বাজার। অনেক শিক্ষার্থী আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে কাঁচাবাজার বসানোর চিন্তাভাবনা করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিনোদপুর বাজারে প্রায় দুশতাধিক দোকান আছে। এর মধ্যে বাজারের অলিগলিতে এখনো অনেক দোকান বন্ধ। খোলা দোকানগুলোর মধ্যে অধিকাংশই সবজি, মাছ ও মুরগির। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিনোদপুর বাজারে যাচ্ছেন না। ফলে বেচাকেনা নেই দোকানিদের।
বিনোদপুর বাজারের উত্তর পাশে মো. বাদশাহ ও আলাউদ্দিন নামের দুই ব্যক্তি খাঁচায় কিছু মুরগি নিয়ে বসেন। বাদশাহ বলেন, সকাল থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সাত-আটটি মুরগি বিক্রি করতে পেরেছি। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থী আসেননি। যারা কিনেছেন তারা সবাই বিনোদপুর এলাকার বাসিন্দা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজার সমিতির সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করছি। তাদের সঙ্গে আমাদের ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আলোচনার মাধ্যমেই এটাকে সমাধান করতে হবে। শিক্ষার্থীরাই এ বাজারের প্রাণ। তাদের সঙ্গে আমাদের আগের সম্পর্ক ফিরে আসুক এটাই প্রত্যাশা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. সুলতান- উল-ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। ক্লাসের পাশাপাশি পরীক্ষাও চলছে। শিক্ষার্থীরা একাডেমিক কাজে মন দিচ্ছেন। পাশাপাশি দাপ্তরিক কাজও চলছে।
বিনোদপুর বাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সম্পর্কের উন্নয়নের বিষয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে স্থানীয় মেস মালিকদের সঙ্গে বসেছি আমরা। সেখানে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে কথা হয়েছে। তারা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ভালো আচরণের নিশ্চয়তা দিয়েছেন। সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়ে বিনোদপুরের ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও আলোচনায় বসার কথা আছে। দ্রুতই এ সমস্যার সমাধান হবে বলে।
উল্লখ্য, গত ১১ মার্চ সন্ধ্যায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে বাসচালকের তর্কাতর্কির জেরে নগরের বিনোদপুর বাজারে সংঘর্ষের সূত্রপাত। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও লোকজন এ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
ইবিতে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস পালিত

মোস্তাক মোর্শেদ, ইবি : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩ তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস পালিত হয়েছে।
শুক্রবার সকাল ১০টায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে প্রশাসন ভবন চত্বর থেকে আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়।
শোভাযাত্রাটি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের নেতৃত্বে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলি প্রদক্ষিণ শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি ভাস্কর্য ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব’ ম্যুরালের পাদদেশে এসে শেষ হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি ভাস্কর্যে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া।
এছাড়াও পরে পর্যায়ক্রমে শিক্ষক সমিতি, শাপলা ফোরাম, কর্মকর্তা সমিতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, বিভিন্ন বিভাগ, সাংবাদিক সংগঠন, শাখা ছাত্রলীগসহ রাজনৈতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন স্মৃতি ভাস্কর্যে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন।
পরে সকাল সাড়ে ১১টায় ক্যাম্পাসের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে দিবসটি উপলক্ষে অনুষ্ঠিত চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এসময় জাতির পিতার জন্মদিন উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে কেক কাটা হয়। একই সাথে বঙ্গবন্ধুর রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া মোনাজাত করা হয়।
এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা।
এছাড়াও বাদজুম্মাহ বঙ্গবন্ধুর রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
জাবিতে আন্তঃহল বিতর্ক প্রতিযোগিতা শুরু

জাবি প্রতিনিধিঃ 'যুগান্তরের পদধ্বনি, বাজুক প্রাণে তোমার আমার’ স্লোগানকে ধারণ করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) কেন্দ্রীয় বিতর্ক সংগঠন ‘জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি ডিবেট অর্গানাইজেশন-জেইউডিও’ এর আয়োজনে শুরু হতে যাচ্ছে ১৬ তম আন্তঃহল বিতর্ক প্রতিযোগিতা।
আজ শুক্রবার (১৭ মার্চ) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে দিনব্যাপী প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে চলবে পরদিন ১৮ মার্চ পর্যন্ত৷
আয়োজকরা জানান, আগামীকাল ১৭ মার্চ আন্তঃহল বিতর্ক প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে পরদিন ১৮ মার্চ পর্যন্ত চলবে৷ বাংলা এশিয়ান সংসদীয় পদ্ধতির এ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় ১৭টি হলের বিতর্ক দলগুলো অংশ নিবে৷ এছাড়া প্রথমবারের মতো আন্তঃহল পর্যায়ে ইংরেজি ব্রিটিশ সংসদীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা আয়োজিত হবে। পাশাপাশি বারোয়ারী বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে সকল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।
পরবর্তীতে ১৯ মার্চ (রবিবার) জহির রায়হান অডিটোরিয়ামে প্রতিযোগিতার ফাইনাল ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এবারের আয়োজন শেষ হবে। আন্তঃহল বিতর্ক প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জাবি ভিসি অধ্যাপক ড. মো: নূরুল আলম। প্রতিযোগিতায় ক্যাম্পাসের প্রতিটি হল থেকে একটি করে দল অংশগ্রহণ করতে পারবে। এছাড়াও একই দিনে সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চে নবীনবরণের মাধ্যমে এবারের আয়োজনের সমাপ্তি হবে।
আয়োজনের ব্যাপারে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক তাপসী দে প্রাপ্তি বলেন, বিতর্ককে মাধ্যমে একটি যুক্তিবাদী সমাজ গঠনে জেইউডিও বদ্ধপরিকর। সারা বছরই বিভিন্ন প্রতিযোগিতা আয়োজনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একটি উৎসবমুখর পরিবেশ বজায় রাখার খ্যাতি জেইউডিও-র বহুদিনের। এরই ধারাবাহিকতায় আমাদের এই আয়োজন।
সভাপতি নূর আহম্মদ হোসেন বিন্দু বলেন, ব্যক্তিগত পর্যায়ে যুক্তিচর্চা ছড়িয়ে দেওয়ার মাধামে জেইউডিও সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রতি দায়বন্ধ, চিন্তাশীল এবং যোগ্য নাগরিক তৈরি করার ক্ষেত্রেও ভূমিকা রাখতে চায়। এছাড়াও সংগঠন হিসেবে জেইউডিও এর বিশেষত্বের জায়গাটি হলো দক্ষতার সাথে নবীন বিতার্কিক তৈরি করা, যা সংগঠনটি তার প্রতিষ্ঠালগ্ন সময় থেকেই অত্যন্ত সফলভাবে করে আসছে। এবারের আয়োজনে এশিয়ান সংসদীয় পদ্ধতির বাংলা বিতর্কে জাবির ১৭ টি হল অংশগ্রহণ করবে। বাংলা ছাড়াও প্রথমবারের মতো এবছর ব্রিটিশ সংসদীয় পদ্ধতিতে ইংরেজি বির্তক অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে, গত ১৩ মার্চ (সোমবার) নবীনবরণ ও বিতর্ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়৷ এবারের কর্মশালায় ৫১ তম আবর্তনের (প্রথম বর্ষ) বিভিন্ন বিভাগের প্রায় ৪০০ জন নবীন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, নবীন বিতার্কিক তৈরি ও বিতর্ক চর্চায় দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছে জেইউডিও। সারা বছরই বিভিন্ন প্রতিযোগিতা আয়োজনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিতর্কচর্চা অব্যাহত রেখেছে সংগঠনটি।
বাকৃবিতে বঙ্গবন্ধুর ১০৩তম জন্মবার্ষিকী পালিত

বাকৃবি প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩ জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস পালিত হয়েছে।
শুক্রবার (১৭ মার্চ) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি চত্বরে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান।
এ সময় জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি ও ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. খান মো. সাইফুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে এবং শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এর সঞ্চালনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এসময় প্রক্টর, সহযোগী ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা, জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির সদস্য-সচিবসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন দৃঢ়চেতা ও রাজনীতি সচেতন। তিনি ছিলেন দূরদৃষ্টি সম্পন্ন ও প্রখর স্মৃতিশক্তির অধিকারী। স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন তা বাস্তবায়নের জন্য আমাদের নতুন প্রজন্মকে সোনার মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। শৈশব থেকেই তাদের সৎ গুণাবলীর উন্মেষ ঘটাতে হবে, বঙ্গবন্ধুর দেশ প্রেমের চেতনায় নতুন প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষে শিশু কিশোর কাউন্সিল শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন মিলনায়তনে সকাল সাড়ে ৯টায় ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ সম্পর্কিত নির্ধারিত কবিতা আবৃত্তি, ছড়া এবং গান পরিবেশনার আয়োজন করেছে। দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল মসজিদ ও ধর্মীয় উপাসনালয়ে বঙ্গবন্ধুর আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও প্রার্থনা করা হবে।
মন্তব্য