ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট ২০২৫ ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২
 
শিরোনাম

জাবিতে রোববার থেকে সশরীর ক্লাস বন্ধ, বহিরাগত প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

নিজস্ব প্রতিবেদক
৭ জানুয়ারি, ২০২২ ১৩:৪৭
নিজস্ব প্রতিবেদক
জাবিতে রোববার থেকে সশরীর ক্লাস বন্ধ, বহিরাগত প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

দেশে করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে আগামী রোববার থেকে সশরীর ক্লাস বন্ধ ও বহিরাগত প্রবেশে নিষেধাজ্ঞাসহ বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে সশরীর চলমান পরীক্ষা, ব্যবহারিক ক্লাস ও দাপ্তরিক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব বিধিনিষেধের কথা উল্লেখ করা হয়। প্রশাসনিক সূত্র জানায়, গত বুধবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী রোববার থেকে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরনের ক্লাস অনলাইনে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলো। তবে স্বল্পসংখ্যক শিক্ষার্থী নিয়ে একাধিক গ্রুপ করে ব্যবহারিক ক্লাস ও একাধিক কক্ষে চলমান পরীক্ষা সশরীর নেওয়া যাবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সরকার নির্ধারিত ফি দিয়ে করোনা শনাক্তের পরীক্ষা করাতে পারবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমোদনের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে করোনা শনাক্তের অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করার যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তা বিস্তৃত করা হবে। যেসব শিক্ষার্থী করোনার টিকা নিতে না পারায় হলে আসতে পারছেন না, তাঁরাও একইভাবে কোভিড-১৯ পরীক্ষা করিয়ে ওই পরীক্ষার ফলাফল জমা দিয়ে হলে আসতে পারবেন।

হল বন্ধের কোনো সিদ্ধান্ত এখন পর্যন্ত নেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন রহিমা কানিজ। তাঁর সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে আপাতত চারজন শিক্ষার্থীর জন্য আইসোলেশনের ব্যবস্থা রাখা হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ক্যাম্পাসে বহিরাগত প্রবেশ করা যাবে না। বিশ্ববিদ্যালয়কে পিকনিক স্পট ও মিলনমেলার স্থান হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। রেজিস্ট্রারকে না জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোনো অনুষ্ঠান করা যাবে না। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ক্যাম্পাসে সব ধরনের সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হলো।

করোনায় বন্ধ থাকার পর গত বছরের ১১ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো খুলে দেওয়া হয়। এরপর গত ২১ অক্টোবর থেকে শুরু হয় সশরীর ক্লাস ও পরীক্ষা।

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    রাবির প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের নতুন আহ্বায়ক নির্বাচিত

    নিজস্ব প্রতিবেদক
    ৭ জানুয়ারি, ২০২২ ১৩:৪৫
    নিজস্ব প্রতিবেদক
    রাবির প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের নতুন আহ্বায়ক নির্বাচিত

    রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের স্টিয়ারিং কমিটির আহ্বায়ক পদে নির্বাচিত হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এম খলিলুর রহমান খান। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল নয়টা থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবেরী ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। পরে বিকেলে ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে।

    এ নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, নির্বাচনে প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের ৫৫১ জন সদস্য ভোট দিয়েছেন। এর মধ্যে ২৫৫ ভোট পেয়ে আহ্বায়ক পদে বিজয়ী হয়েছেন অধ্যাপক এম খলিলুর রহমান খান। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের বর্তমান স্টিয়ারিং কমিটির কো-কনভেনর তারিকুল হাসান ২২১ ভোট পেয়েছেন।

    এর আগে গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের স্টিয়ারিং কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে তৎকালীন উপাচার্য আবদুস সোবহান–সমর্থিত প্যানেল আহ্বায়কসহ চারটি সদস্যপদে জয় লাভ করে। বাকি ১৬ সদস্যপদে জয় পায় ‘দুর্নীতিবিরোধী শিক্ষকবৃন্দ’।

    তবে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে গত ১৩ নভেম্বর অধ্যাপক হাবিবুর রহমান আহ্বায়কের পদ থেকে অব্যাহতি নেন। এতে আহ্বায়কের পদটি শূন্য হয়ে যায়। যার পরিপ্রেক্ষিতে আহ্বায়ক পদে আবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      কুয়েটে ক্লাসে ফিরবেন শিক্ষকেরা, সরেছেন ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবি থেকে

      নিজস্ব প্রতিবেদক
      ৭ জানুয়ারি, ২০২২ ১৩:৪৩
      নিজস্ব প্রতিবেদক
      কুয়েটে ক্লাসে ফিরবেন শিক্ষকেরা, সরেছেন ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবি থেকে

      খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) লালন শাহ হলের প্রাধ্যক্ষ মো. সেলিম হোসেনের (৩৮) মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। তবে আজ বৃহস্পতিবার শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় ক্লাসে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শিক্ষকেরা। আর ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের যে দাবি তাঁদের ছিল, সেই অবস্থান থেকেও তাঁরা সরে এসেছেন।

      সভায় সমিতির পক্ষ থেকে শিক্ষকদের এক দিনের বেতনসহ কুয়েট শিক্ষক সমিতির তহবিল থেকে সর্বমোট ১০ লাখ টাকার একটি স্থায়ী আমানত অধ্যাপক সেলিমের একমাত্র মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌসের নামে কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ওই মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দেওয়া ৪৪ শিক্ষার্থীর শাস্তি বহাল রাখার জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানানো হয়।

      আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাকক্ষে শিক্ষক সমিতির ওই সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল বুধবার অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্তের বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য এ সভা ডাকা হয়। পাশাপাশি অধ্যাপক সেলিমের পরিবারকে সহায়তা করার বিষয়টিও সভার আলোচ্যসূচিতে ছিল।

      সভায় উপস্থিত শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অধ্যাপক সেলিম হোসেনের স্ত্রী সাবিনা খাতুনকে তাঁর শিক্ষাগত যোগত্যা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি স্থায়ী চাকরি দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে সভায়। এর পাশাপাশি ওই ঘটনার বিচারপ্রক্রিয়া দ্রুত শুরু করা এবং অধ্যাপক সেলিমের পরিবারকে প্রাপ্য অর্থনৈতিক সুবিধার অতিরিক্ত আরও এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ বাবদ দেওয়ার দাবি জানানো হয়। তবে শিক্ষক সমিতি ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের যে দাবি তুলেছিল, সেই দাবি থেকে এখন তারা সরে এসেছে।

      কুয়েট শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রতীক চন্দ্র বিশ্বাস প্রথম আলোকে বলেন, সাধারণ সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, এখন থেকে আগের মতোই বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষক যথারীতি একাডেমিক কার্যক্রমসহ সব ধরনের দায়িত্ব পালন করবেন। ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের বলেছে, ছাত্ররাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত নিয়মগুলো কঠোরভাবে অনুসরণ করা হবে। আমরা এই বিষয় সভাকে জানিয়েছি। শিক্ষকেরা এখন ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিতে আর নেই।’

      গত ১ ডিসেম্বর সাধারণ সভা করে প্রকৃত অপরাধীদের বিচারের আওতায় এনে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার না করা পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল শিক্ষক সমিতি। পাশাপাশি ক্যাম্পাস ছাত্ররাজনীতিমুক্ত করাসহ পাঁচ দফা দাবি ছিল সমিতির। ওই সময়ে কিছু শিক্ষার্থীর মানসিক নিপীড়নের ফলে সেলিম হোসেনের মৃত্যু হয়েছে, অভিযোগ তুলে বিচারের দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন শিক্ষকেরা।

      এদিকে গতকাল বুধবার কুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ানসহ চার শিক্ষার্থীকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করেছে ছাত্রশৃঙ্খলা কমিটি। এ ছাড়া আরও ৪০ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন শাস্তি দেওয়া হয়েছে। ওই শিক্ষার্থীরা সবাই ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী। গত ৩০ নভেম্বর ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের অধ্যাপক ও লালন শাহ হলের প্রাধ্যক্ষ সেলিম হোসেন ক্যাম্পাসের কাছের ভাড়া বাসায় মারা যান। ওই শিক্ষকের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় ও হল ছুটি ঘোষণা করা হয়। সেই ছুটি দুই দফা বাড়ানোর পর ৭ জানুয়ারি হল খোলা এবং ৯ জানুয়ারি ক্লাস শুরুর ঘোষণা দিয়েছে প্রশাসন।

      প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য

        করোনা বাড়ছে, ঝুঁকি নেয়ার সুযোগ নেই

        নিজস্ব প্রতিবেদক
        ৬ জানুয়ারি, ২০২২ ২০:৪০
        নিজস্ব প্রতিবেদক
        করোনা বাড়ছে, ঝুঁকি নেয়ার সুযোগ নেই

        শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, করোনা সংক্রমণের হার বাড়ছে। আমাদের দেশে সংক্রমণের হার কম থাকলেও এখন বাড়তির দিকে। বিশ্বব্যাপী অনেকগুলো দেশ, একবারে অনেক উন্নত দেশও করোনায় পর্যুদস্ত অবস্থা। আমাদের ঝুঁকি নেবার কোনো সুযোগ নেই। আমরা টিকা দেবার ব্যবস্থা করেছি এবং সেই টিকা দেয়া চলছে। সেটাকে আরও বেগবান করতে হবে। সেজন্য সরকারও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

        বৃহস্পতিবার বিকেলে গাজীপুরের বাহাদুরপুর রোভার স্কাউট প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নে জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

        শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আশা করি এখন যেভাবে টিকাদান কর্মসূচি চলছে, তাতে খুব শিগগিরই আমাদের ১২ বছর বয়সী যারা রয়েছে তাদের বেশিরভাগই টিকা পেয়ে যাবে। আশা করছি যত দ্রুত সম্ভব সকলেই টিকার আওতায় গিয়ে ক্লাসে ফিরে আসবে। তবে তাদের অনলাইন ও টেলিভিশনে ক্লাসে অংশগ্রহণের সুযোগও চলমান আছে।

        দীপু মনি আরও বলেন, আমাদের ঝুঁকি নেবার কোন সুযোগ নেই। শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং শিক্ষকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি আমাদের গুরুত্বের সঙ্গে ভাবতেই হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট অফিস নিয়মিতভাবে এ বিষয়টি দেখাশুনা করছে। এখন আমাদের শিক্ষক/শিক্ষার্থী অনেক সচেতন। এখন যেহেতু সংক্রমণ বাড়ছে, তাই আমাদের মধ্যে এ বিষয়ে আরও সচেতনতা বাড়াতে হবে। যদিও মাঝখানে আমরা একটু ঢিলেমি দিয়েছি। কিন্তু এখন সেটির আর সুযোগ নেই।

        জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে রোভার স্কাউটসদের প্রতিভা অন্বেষণ আন্তঃইউনিট বিতর্ক প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ স্কাউটের প্রধান জাতীয় কমিশনার ও দুর্নীতি দমনের কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক খান, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলাম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্বিবদ্যালয়ে উপাচার্য অধ্যাপক গিয়াসউদ্দিন মিয়া, টঙ্গী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. রফিকুল ইসলামসহ স্কাউটসের কর্মকতারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

        প্রাসঙ্গিক
          মন্তব্য

          বিএনপি গণতন্ত্র হত্যাকারী হিসেবে চিহ্নিত: তথ্যমন্ত্রী

          নিজস্ব প্রতিবেদক
          ৬ জানুয়ারি, ২০২২ ২০:৩১
          নিজস্ব প্রতিবেদক
          বিএনপি গণতন্ত্র হত্যাকারী হিসেবে চিহ্নিত: তথ্যমন্ত্রী

          বিএনপি হচ্ছে গণতন্ত্র হত্যাকারী হিসেবে চিহ্নিত বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

          তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান বন্দুকের নল উঁচিয়ে মানুষের লাশের ওপর দিয়ে ক্ষমতা দখল করেছিলেন।

          মানুষের লাশের ওপর দিয়ে ক্ষমতায় টিকে ছিলেন। বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

          সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি গণতন্ত্র হত্যা করতে চেয়েছিল। কারণ তারা ভোটকেন্দ্রে আগুন জ্বালিয়েছিল, পাঁচশ’ ভোটকেন্দ্র জ্বালিয়ে দিয়েছিল। পাঁচশ’ ভোটকেন্দ্র জ্বালানোর সঙ্গে সঙ্গে কোমলমতি শিশুদের বিনামূল্যে বই বিতরণের জন্য যে বই সংরক্ষিত ছিল তা জ্বালিয়ে দিয়েছিল। আসলে ওইদিন তারা গণতন্ত্র হত্যা করতে চেয়েছিল, যাতে নির্বাচন না হয়। নির্বাচন না হওয়ার মাধ্যমে দেশে একটি গণতন্ত্রহীন পরিবেশ সৃষ্টি হয় বা অন্য কিছু ঘটে। সেই চেষ্টা করেছিল বিএনপি, কিন্তু তারা সফল হয়নি।

          খালেদা জিয়ার কিছু হলে সরকারের সবাইকে হত্যার আসামি করে বিচার করা হবে বিএনপির মহাসচিবের এমন বক্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, খালেদা জিয়া বিএনপি ও তার পরিবারের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছে। খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের যদি হানি হয় তাহলে বিএনপি নেতারাই আসামি হবেন।

          বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে তারা রাষ্ট্রপতির সংলাপে অংশ নেবে না, বিষয়টি সরকার কীভাবে দেখছে? এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান বলেন, রাষ্ট্রপতির সংলাপের জন্য বিএনপিকে যে আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে সেটা তারা গ্রহণ করেছে। চিঠিটি তারা গ্রহণ করেছেন সেটি ভালো দিক। আমি আশা করবো বিএনপি সংলাপে অংশ নেবে। সংলাপে অংশ গ্রহণ করে তাদের যে আপত্তি কিম্বা সংলাপ প্রক্রিয়া নিয়ে তাদের যে প্রশ্ন সেগুলো সেখানে বলে আসতে পারেন। তাহলেই সেটি একটি গণতান্ত্রিক দলের আচরণ হবে।

          সমাবেশে মহাসচিবের সামনে বিএনপি নেতাকর্মীদের মারামারি বিষয়ে ড. হাছান বলেন, লজ্জাষ্কর বিষয় যে মহাসচিবের সামনে মারামারি হয়। তাদের মহাসচিবের সামনে মারামারি হয় এবং বাকবিতণ্ডা হয়। সেই বাকবিতণ্ডা থামানোর জন্য মহাসচিবকে আবার চিল্লাচিল্লি করতে হয়। এটি বিএনপির জন্য সত্যিই লজ্জার। যারা নিজেদের শৃঙ্খলা রাখতে পারে না, একটি সমাবেশের শৃঙ্খলা রাখতে পারে না, সমাবেশ করতে গিয়ে নিজেরা মারামারি করে, তারা দেশটা কীভাবে চালাবে সরকারে গেলে সেটি বিবেচ্য বিষয়।

          স্থানীয় সরকার নির্বাচনের সহিংসতার বিষয়ে ড. হাছান বলেন, আওয়ামী লীগের বাহিরেও বিভিন্ন দলীয় ঘরনার সঙ্গে যুক্ত লোকজন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। অবশ্যই নির্বাচনে হানাহানি সেটা দুঃখজনক, কিন্তু স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বাংলাদেশে সবসময় এ ধরনের হানাহানি হয়ে এসেছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের পশ্চিম বাংলায় যখন স্থানীয় সরকার নির্বাচন হয় তখনও ব্যাপক হানাহানি হয়। তবে কোনো হানাহানিই কাম্য নয়।

          প্রাসঙ্গিক
            মন্তব্য
            সর্বশেষ সংবাদ
              সর্বাধিক পঠিত