‘এবার আওয়াজ তুলুন’ স্লোগানে
জয়পুরহাটে দুদকের গণশুনানি ১১ই আগস্ট

দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনগণকে সম্পৃক্ত করে প্রতিরোধ ও প্রতিকার নিশ্চিত করতে জয়পুরহাটে আয়োজন করা হচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উন্মুক্ত গণশুনানি।
আগামী ১১ই আগস্ট জয়পুরহাট সদর জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে এ গণশুনানি অনুষ্ঠিত হবে ।
গণশুনানিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার (অনুসন্ধান) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাফিজ আহসান ফরিদদ।
গণশুনানির মূল স্লোগান ‘এবার আওয়াজ তুলুন’, যার মাধ্যমে সাধারণ মানুষ সরাসরি দুদকের কাছে দুর্নীতির অভিযোগ জানাতে পারবেন এবং তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিকার পাওয়ার সুযোগও পাবেন।
দুদক জানিয়েছে, এই ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগের মাধ্যমে সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানসহ ব্যাংক ও আর্থিক খাতে বিদ্যমান অনিয়ম, দুর্নীতি ও হয়রানির বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। সাধারণ মানুষ সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারবেন এবং তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিকার পাওয়ার সুযোগও থাকবে।
গণশুনানিতে যেসব বিষয়ে অভিযোগ করা যাবে:
- ঘুষ গ্রহণ ও দাবি;
- ক্ষমতার অপব্যবহা ;
- সরকারি সম্পদ ও অর্থ আত্মসাৎ;
- অবৈধ সম্পদ অর্জন;
- অর্থপাচার।
ব্যক্তিগতভাবে কেউ যদি এসব দুর্নীতির শিকার হন বা প্রত্যক্ষদর্শী হন, তাহলে গণশুনানিতে অভিযোগ জানাতে পারবেন। কমিশন জানিয়েছে, প্রাপ্ত অভিযোগসমূহ প্রয়োজনীয় তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
গণশুনানিতে অংশগ্রহণকারীদের আগামী ১০ আগস্টের মধ্যে অভিযোগ দাখিল করতে হবে। এ লক্ষ্যে জয়পুরহাট শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে দুদকের পক্ষ থেকে স্থাপন করা হয়েছে অভিযোগ গ্রহণ বুথ।
গণশুনানির আয়োজন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, নওগাঁ। সহযোগিতায় রয়েছে জয়পুরহাট জেলা প্রশাসন ও জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি, জয়পুরহাট।
দুদক মনে করছে, সরকারি সেবা প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হলে জনগণকে সম্পৃক্ত করাই সবচেয়ে কার্যকর পন্থা। গণশুনানির মতো উদ্যোগ জনগণের কাছে রাষ্ট্রের জবাবদিহিতা বাড়ায় এবং আইনের শাসনের প্রতি আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখে।
‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই কোনো একক প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব নয়— এটি জনগণের সম্মিলিত দায়িত্ব’, এমনটাই জানিয়েছেন কমিশনের শীর্ষ কর্মকর্তারা।
স্থানীয় বাসিন্দা, নাগরিক সমাজ এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিরা এই উদ্যোগকে সময়োপযোগী এবং কার্যকর হিসেবে দেখছেন। তাঁদের আশা— অভিযোগ শুধু শোনা নয়, সেসবের দ্রুত নিষ্পত্তিও হবে। এক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করবে দুদক।
অভিযোগ সংক্রান্ত তথ্য বা বিস্তারিত জানার জন্য যোগাযোগ করা যাবে নিচের নম্বরগুলোতে:
০১৭১৯-৩৬০৩২১, ০১৭৯৮-৩৮১৮২৯, ০১৫১৫-৬৪৯৫৯৫, ০১৭১৮-৬৭৬৬৫০, ০১৭১২-৫৮৩৩০০ ও ০২-৫৮১১৪৭০৩২।
যোগাযোগের ঠিকানা: উপপরিচালক, দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, নওগাঁ। ফোন: ০২-৫৮১১৪৭০৩২, ই-মেইল: dd.ido.naogaon@acc.org.bd
ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ দেওয়ার দাবি পাকিস্তানের

ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে পাকিস্তান। সেইসঙ্গে গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে ইসলামাবাদ। জাতিসংঘে অনুষ্ঠিত ‘ফিলিস্তিন প্রশ্নের শান্তিপূর্ণ সমাধান ও দ্বি-রাষ্ট্র ভিত্তিক সমাধান বাস্তবায়ন’ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে এ দাবি জানান পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। খবর জিও নিউজের।
ইসহাক দার বলেন, ‘ফিলিস্তিনে সহিংসতা, খাদ্য সহায়তা আটকে রাখা এবং হাসপাতাল, শরণার্থী শিবিরে সাহায্য প্রার্থীদের হামলা আন্তর্জাতিক আইন ও মানবিক নীতিমালার সকল সীমা অতিক্রম করেছে।’ তিনি দৃঢ় ভাষায় বলেন, ‘এই সম্মিলিত শাস্তি বন্ধ করতে হবে এখনই।’
দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলনের সহ-আয়োজক ছিল সৌদি আরব ও ফ্রান্স। সম্মেলনে ইসহাক দার ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়ার বিষয়ে ফ্রান্সের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান।
তিনি বলেন, 'গাজা এখন আন্তর্জাতিক আইন ও মানবিক নীতির কবরস্থান হয়ে উঠেছে। ৫৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু, নিহত হয়েছেন-এটি আন্তর্জাতিক মানবিক আইন এবং আন্তর্জাতিক আদালতের বাধ্যতামূলক সিদ্ধান্ত লঙ্ঘনের জঘন্য উদাহরণ।’
ইসহাক দার বলেন, ‘পাকিস্তান শুধু রাজনৈতিক বিবৃতি নয়, বরং ফিলিস্তিনের প্রাতিষ্ঠানিক ও মানবসম্পদ উন্নয়নে বাস্তব সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত।' তিনি জানান, পাকিস্তান জনপ্রশাসন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সেবাদানে ফিলিস্তিনকে কারিগরি সহায়তা দিতে প্রস্তুত এবং ওআইসি ও আরব পরিকল্পনার আওতায় সংস্থাগুলো গঠন ও রক্ষা ব্যবস্থায় অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক।
এদিকে, জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস সম্মেলনের উদ্বোধনে বলেন, ‘গাজার ধ্বংসযজ্ঞ সহ্য করার মতো নয়। এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে- দ্বি-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান ছাড়া বিকল্প নেই।’ ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জঁ-নোয়েল ব্যারো বলেন, 'যুদ্ধ থামাতে হবে-কিন্তু সেটাই শেষ নয়। এরপর প্রয়োজন টেকসই রাজনৈতিক সমাধান। একমাত্র দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানই ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলিদের বৈধ আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পারে।'
ভুয়া র্যাব পরিচয়ে ডাকাতি, ফরিদপুরে গ্রেফতার ৫

ফরিদপুরের নগরকান্দায় ভুয়া র্যাব পরিচয়ে ডাকাতির সময় পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। আজ মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে প্রেস ব্রিফিং করেন র্যাব-১০-এর অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান।
তিনি বলেন, আসামিরা র্যাব পরিচয়ে ডাকাতি করে আসছিল। সম্প্রতি ফরিদপুরের নগরকান্দার মহাসড়কে একটি বাসের গতিরোধ করে দুইজনকে মাইক্রোবাসে তুলে নেওয়ার ঘটনায় র্যাব তৎক্ষণাৎ অভিযান চালিয়ে তাদের ধাওয়া করে এবং গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
অতিরিক্ত ডিআইজি আরও জানান, গ্রেফতার পাঁচজনই আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক ডাকাতি ও হত্যা মামলার অভিযোগ রয়েছে। জেলহাজতে বসেও তারা ডাকাতির পরিকল্পনা করে এবং জামিনে বের হয়ে পুনরায় ডাকাতির সঙ্গে যুক্ত হয়।
তিনি আরও বলেন, র্যাব পরিচয়ে কেউ অভিযান চালানোর সময় সাধারণ জনগণকে আরও বেশি সতর্ক থাকতে হবে।
দুর্নীতি-অনিয়ম ঠেকিয়ে স্বচ্ছতার দৃষ্টান্ত রেখে গেলেন ইউএনও রুলি বিশ্বাস

খুলনার কয়রা উপজেলার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে গতিশীলতা আনতে, প্রশাসনে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং দুর্নীতি-অনিয়ম ঠেকাতে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখে গেলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুলি বিশ্বাস। সততা, নিষ্ঠা ও জনসেবায় আত্মনিয়োগের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে সম্প্রতি তিনি অন্যত্র বদলি হয়েছেন। তাঁর এই বদলি কয়রাবাসীর মাঝে রেখে গেছে প্রশংসা, কৃতজ্ঞতা ও কিছুটা হতাশাও, কারণ অনেকে মনে করেন, এই দক্ষ ও সৎ কর্মকর্তার প্রয়োজন ছিল আরও কিছুদিন।
রুলি বিশ্বাসের দায়িত্বকালে কয়রায় প্রকল্প বাস্তবায়নের ধরন বদলে যায়। প্রশাসনিক উৎসাহ, সময়মতো নজরদারি এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কারণে প্রকল্পগুলোতে আসে স্বচ্ছতা। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে কয়রার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ও রাজস্ব উন্নয়ন সহায়তা প্রকল্পে মোট বরাদ্দ ছিল এক কোটি ৮৩ লাখ ৪১ হাজার টাকা। এই অর্থে ৫৭টি উন্নয়ন স্কিম বাস্তবায়নের পরিকল্পনা নেওয়া হয়, যার মধ্যে ছিল বিদ্যালয়ের সংস্কার, রাস্তা উন্নয়ন, পুল নির্মাণ, কৃষি সহায়তা ও বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজ।
প্রকল্পগুলোর কোনোটি দরপত্রের মাধ্যমে, কোনোটি কোটেশনের ভিত্তিতে আবার কিছু প্রকল্প বাস্তবায়ন হয় পিআইসি অর্থাৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির মাধ্যমে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই ইউএনও রুলি বিশ্বাস সরাসরি যুক্ত ছিলেন পরিকল্পনা ও তদারকিতে। কোথাও সামান্য অনিয়ম বা গাফিলতির প্রমাণ পেলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
একজন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘আমাদের বিদ্যালয়ের নতুন বেঞ্চ ও পাঠ্য উপকরণ যেভাবে এসেছে, সেটি সঠিক সময়ে ও মানসম্মতভাবে এসেছে। কোনো তদবির করতে হয়নি। ইউএনও ম্যাডাম নিজেই সব তদারকি করেছেন।’
নারী উন্নয়ন, শিশু সুরক্ষা, সামাজিক নিরাপত্তা ও শিক্ষাসহ বিভিন্ন খাতে বরাদ্দকৃত সরকারি সহায়তা যেন নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা মহলের হাতে সীমাবদ্ধ না থাকে, সেটি নিশ্চিত করেছেন রুলি বিশ্বাস। নারীদের জন্য বিতরণকৃত সেলাই মেশিন, দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য স্কুলব্যাগ, খেলাধুলার সামগ্রী কিংবা বিশেষ প্রণোদনা—সবই নির্দিষ্ট তালিকা অনুযায়ী প্রকৃত উপকারভোগীর হাতে পৌঁছেছে।
উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত পদসমূহ দীর্ঘদিন শূন্য থাকার পরও তিনি প্রশাসনিক ভারসাম্য ধরে রেখেছেন দক্ষ হাতে। অনেক সময় জনপ্রতিনিধিদের অনুপস্থিতিতে প্রশাসনিক শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ে। কিন্তু রুলি বিশ্বাস নিজেই নেতৃত্ব দিয়েছেন বিভিন্ন সভা, পরিদর্শন ও প্রকল্প বাস্তবায়নে। জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করে গেছেন, আবার তাঁদের অনুপস্থিতিতেও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে কোনো ব্যাঘাত ঘটেনি।
মহারাজপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মাওঃ মাছুদুর রহমান বলেন, ‘তিনি ছিলেন কঠোর, কিন্তু মানবিক। কোথাও পক্ষপাতিত্ব ছিল না। সবার সঙ্গে সমান আচরণ করতেন। সরকারি টাকায় যেন অপচয় না হয়, সেই বিষয়টি সব সময় নজরে রাখতেন।’
রুলি বিশ্বাসের বদলির খবরে অনেকেই বিস্মিত হয়েছেন। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক সবাই তাঁর দায়িত্বপালনের প্রশংসা করেছেন। অনেকেই মনে করেন, এমন সৎ, যোগ্য এবং দায়িত্বশীল কর্মকর্তার আরও কিছুদিন কয়রায় থাকা দরকার ছিল।
স্থানীয় সাংবাদিক আবির হোসেন বলেন, ‘মাঠপর্যায়ের অনেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা কেবল অফিসকেন্দ্রিক থাকেন। কিন্তু রুলি বিশ্বাস মাঠে ছিলেন। নিজে গিয়ে কাজ দেখেছেন। মানুষের কথা শুনেছেন। এমন কর্মকর্তাই আদর্শ।’
তাঁর বদলি সত্ত্বেও কয়রার মানুষ আশা করছেন, ভবিষ্যতেও তিনি উচ্চপর্যায়ে থেকে সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করে যাবেন। কারণ একটি উন্নয়নশীল অঞ্চলের অগ্রগতির জন্য প্রয়োজন এমনই সৎ, মানবিক ও দূরদর্শী নেতৃত্ব।
রুলি বিশ্বাস যেমন প্রশাসনিক দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন, তেমনি জনসেবার এক মানবিক চেহারাও। বিশেষ কোনো শ্রেণি নয়, সমগ্র জনগণের কল্যাণকে অগ্রাধিকার দিয়েই তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর কাজ অনেকের কাছে হয়ে উঠেছে অনুপ্রেরণার উৎস। কয়রাবাসী মনে করেন, রুলি বিশ্বাসের মতো কর্মকর্তারাই বদলে দিতে পারেন দেশের মাঠপর্যায়ের প্রশাসন ও উন্নয়নের চিত্র।
ইসরায়েলির কান ছিঁড়ে ফেললেন এক সিরীয়

সিরীয় এক নাগরিকের হামলায় ইসরায়েলি পর্যটক আহত হয়েছেন। ওই ইসরায়েলি পর্যটকের কান ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে সিরীয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটে গ্রিসের অ্যাথেন্সিয়ান রিভেরার বলিভার সৈকতে।
সম্প্রতি স্ত্রীকে নিয়ে গ্রিসে বেড়াতে গিয়েছিলেন ইসরায়েলি পর্যটক স্টাভ বেন-সুসান। সৈকতে অবস্থানকালে এক ব্যক্তি তাদের ভিডিও করতে থাকেন এবং ফ্রি ফিলিস্তিন, ইসরায়েল নিপাত যাকসহ নানা স্লোগান দিতে থাকেন।
বিরূপ পরিস্থিতিতে ওই ব্যক্তি তাদের দিকে বালু ছুড়ে মারলে বেন-সুসান তাকে ধাক্কা দেন। পরে নিরাপত্তা কর্মীরা এসে উভয় পক্ষকে আলাদা করে দেন এবং সিরীয় ব্যক্তিকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
বেন-সুসানের দাবি, এ ঘটনার এক ঘণ্টা পর যখন তিনি ও তার স্ত্রী বাথরুম থেকে বের হচ্ছিলেন, তখন ওই সিরীয় ব্যক্তি আবার ফিরে এসে তার স্ত্রীর দিকে হামলার চেষ্টা করেন। বাধা দিতে গেলে ওই ব্যক্তি তার কানের একটি অংশ ছিঁড়ে ফেলেন। চ্যানেল-১২ এর বরাতে এই তথ্য জানিয়েছে টাইমস অব ইসরায়েল।
ঘটনার পর গ্রিস পুলিশ ইসরায়েলি পর্যটককেই কিছু সময়ের জন্য হেফাজতে নেয়, কারণ তিনি সিরীয় নাগরিককে উদ্দেশ করে বর্ণবৈষম্যমূলক মন্তব্য করেছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। ঘটনাটি ঘিরে স্থানীয় পর্যটকদের মাঝে আতঙ্ক দেখা দেয়।
মন্তব্য