শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে সুবর্ণজয়ন্তীর কর্নার স্থাপনের নির্দেশ

দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে সুবর্ণজয়ন্তীর কর্নার স্থাপন করার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। বুধবার (৯ মার্চ) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে।
অফিস আদেশে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ২০২১ সালের ১৪ নভেম্বর এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের ২০২১ সালের ২৫ নভেম্বরের নির্দেশনা অনুযায়ী, দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে সুবর্ণজয়ন্তীর কর্নার স্থাপন করার ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হলো।
অফিস আদেশে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের সব পরিচালক, সরকারি ও বেসরকারি কলেজের সব অধ্যক্ষ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের সব উপ-পরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষার সব অঞ্চলের উপ-পরিচালক, সব জেলা শিক্ষা অফিসার, সরকারি ও বেসরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সব প্রধান শিক্ষক, উপজেলা ও থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশে আমিরাতের বড় মাপের বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংযুক্ত আরব আমিরাতের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের প্রতি বাংলাদেশের বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাই-টেক পার্কে বিশেষ করে তৈরি পোশাক, চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, খাদ্যপণ্য এবং আইসিটি ও আইটিইএস (আইটি সংশ্লিষ্ট সার্ভিসেস) খাতে বড় ধরনের বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) তিনি বলেন, ‘আমাদের অর্থনৈতিক বাজার এখন উন্নত বেসরকারি ইকুইটি ও ফিন-টেক সমাধান দিতে প্রস্তুত রয়েছে। প্রায় বারো বছর আগে আমরা যে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলাম, এখন তা বাস্তবে পরিণত হয়েছে। আমি এজন্য আপনাদের আমাদের অংশীদার হওয়ার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী সংযুক্ত আরব আমিরাতে তার অবস্থানস্থলের ভার্চুয়াল মিটিং রুম থেকে বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের ব্যবসায়ী সম্প্রদায় আয়োজিত এক যৌথ ব্যবসা পরিষদে (জেবিসি) বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন।
বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি বিনিয়োগ-বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে তার সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের সবাইকে নিশ্চয়তা দিচ্ছি যে; বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি আকর্ষণীয় সুযোগ লাভের দেশ।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ নগরায়ন, শিল্পায়ন এবং ব্যক্তির সাথে শাসন, উদ্ভাবন ও বাজার ব্যবস্থার মধ্যে ক্রমবর্ধমান টেলি-যোগাযোগে দ্রুতই এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, বিশ্ব-বাজারের সাথে আমাদের উৎপাদন উপকরণসমূহকে যুক্ত করা। এছাড়াও বাংলাদেশের ১৬ কোটি ৮০ লাখ মানুষের বিশাল অভ্যন্তরীণ বাজার তো আছেই। আমাদের জনগণ যুবক, উদ্যমী ও উচ্চাভিলাষী।’ তিনি বলেন, কৃষিতে তার সরকারের ব্যাপক ও নানা ধরনের উদ্ভাবন, কৃষি-সম্প্রসারণ, উৎপাদন বৃদ্ধি এবং রেমিটেন্সের কারণে বাংলাদেশের শ্রমাশ্রয়ী আয় অনেক দেশের তুলনায় দ্রুত বেড়ে যাচ্ছে।
পরে, দুদেশের মধ্যে জয়েন্ট বিজনেস কাউন্সিল প্রতিষ্ঠার জন্য এফবিসিসিআই এবং ইউএই চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে একটি সমঝোতা স্বারক সাক্ষরিত হয়। এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট জসিম উদ্দিন এবং আবু ধাবি চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ মোহামেদ আল মাজরাউই নিজ নিজ পক্ষে স্বারকে স্বাক্ষর করেন।
অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী, প্রধানমন্ত্রী বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, ইউএই’র বৈদেশিক বাণিজ্যমন্ত্রী ড. থানি বিন আহমেদ আল জিওদি, এফবিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট জসিম উদ্দিন, আবুধাবি চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ মোহামেদ আল মাজরাউই’ও বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশ একটি চমৎকার ভূ-কৌশলগত অবস্থান এবং সকল প্রধান আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক জাহাজ রুটের সাথে সরাসরি যুক্ত।’
তিনি বলেন, ‘আমরা জনবহুল ও ক্রমবর্ধমান দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও পূর্ব-এশিয়া অঞ্চলের মিলনস্থলে রয়েছি। আমাদের একটি বিশাল অভ্যন্তরীণ বাজার তো রয়েছেই। পাশাপাশি আমাদের নিকটবর্তী অনেক দৃশ্যত সম্ভাবনাময় বাজার রয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, এসব সুবিধা বাংলাদেশকে বিনিয়োগকারীদের জন্য আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছে এবং আমাদের দেশ এই অঞ্চলের ভবিষ্যৎ পণ্য উৎপাদন ও অর্থনৈতিক কেন্দ্র হয়ে উঠবে।
আমাদের নীতি হচ্ছে- ‘সকলের সাথে মিত্রতা, কারো সাথে বৈরিতা নয়’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, এই নীতিই আমাদেরকে মুক্ত-বাজার বাণিজ্য ও একটি স্বাধীন অর্থনীতির সকল প্রতিবন্ধকতা থেকে আমাদের পৃথক করে রেখেছে। আজকের বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ তৈরি পোশাক উৎপাদনকারী দেশ। আমরা চামড়া, পরিবেশ-বান্ধব পাট ও পাটজাত দ্রব্য, খাদ্য ও সবার উপর আইসিটি ও আইটিইএস (আইটি এনাবলড সার্ভিসেস)-এ ভাল ও দক্ষ।’
বাংলাদেশের ৬৫০ হাজারের বেশি ফ্রিল্যান্সার ডেভেলপার রয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা এ প্রসঙ্গে আরো বলেন, এছাড়াও বাংলাদেশ উচ্চগতি সম্পন্ন ইন্টারনেটের জন্য পূর্ণ স্পেকট্রাম পাচ্ছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় র্যাংকিংয়ে একশ’র মধ্যে আনতে শত কোটি টাকার তহবিল গড়ছেন অ্যালামনাইরা

শিক্ষা ও গবেষণার মান বাড়িয়ে র্যাংকিংয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে (ঢাবি) বিশ্বের ১০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্য নিয়ে আসার লক্ষ্য নিয়ে শত কোটি টাকার তহবিল গঠন করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন’।
অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি একে আজাদ বলেন, ইতোমধ্যে অ্যালামনাই প্রোগ্রামের মাধ্যমে আমরা অনেক দূর এগিয়ে এসেছি। আশা করছি, আগামী দুই-এক বছরের মধ্যে আমরা বাকি ফান্ডটা জোগাড় করে ফেলব।
বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ‘শতবর্ষের মিলনমেলা’ অনুষ্ঠান উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। আগামী শনিবার (১২ মার্চ) দিনব্যাপী এই মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হবে।
এ কে আজাদ বলেন, শতবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে পৌঁছানোর কথা ছিল, সেখানে আসতে পারেনি। আমরা দেখেছি বিশ্বের এক হাজার বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাংকিংয়ে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় নেই।
“ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে ১০০ র্যাংকিংয়ের ভেতরে আনতে আমাদের সংগঠন কাজ করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চের জন্য যে বাজেট প্রয়োজন, সে পরিমাণ বাজেট সরকার থেকে আসছে না। আমরা সেখানে অনুদান দিতে চাই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে র্যাংকিংয়ে বিশ্বের ১০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে আনতে আমরা ১০০ কোটি টাকার ফান্ড গঠনের একটি লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছি।”
৩০-৪০ বছর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে যেসব সুবিধা ছিল, সেগুলো কমে আসছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আপনারা দেখবেন ৬০ এর দশকের পাঠাগার, মেডিকেল সেন্টার কিন্তু এখনও আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বাড়লেও সেগুলোর ধারণক্ষমতা ও সক্ষমতা বাড়েনি। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী অর্থাভাবে যথাযথভাবে তাদের শিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারে না।
তাদের জন্য কাজ চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়ে একে আজাদ বলেন, “প্রতি বছর অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাড়ে তিন কোটি থেকে চার কোটি টাকা বৃত্তি প্রদান করা হয়।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ, মুজিব শতবর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে মিলনমেলার আয়োজন করছে ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন।
দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে বিশ্বের ২৫টি দেশে অবস্থানরত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ হাজার ৩৩৭ জন সদস্য রেজিস্ট্রেশন করেছে বলে জানান অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব রঞ্জন কর্মকার।
শনিবার ‘শতবর্ষের মিলনমেলা’ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে সাড়ে ৮টা থেকে অ্যালামনাই এবং অতিথিরা প্রবেশ করবেন। সকাল ১০টায় পবিত্র ধর্মগ্রন্থগুলো থেকে পাঠ ও শোক প্রস্তাবের মাধ্যমে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হবে।
১০টা ৫০ মিনিটে বেশ কিছু গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০০ শিল্পীর ১০০ ছবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিত্রপ্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হবে। এরপর অতিথিরা বক্তব্য রাখবেন।
দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে ‘বাংলাদেশের পদযাত্রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।
বিকাল ৩টা ৩০ মিনিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০০ গুণীজনকে মরনোত্তর সম্মাননা প্রদান করা হবে। পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শেষ হবে মিলনমেলা। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শিল্পী সাবিনা ইয়াসমিনের একক পরিবেশনা থাকবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিযুদ্ধ শুরু আজ

২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের সম্মান শ্রেণীতে ভর্তি যুদ্ধ শুরু হচ্ছে আজ। শুক্রবার (১১ মার্চ) সকাল ১০টা থেকে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্য দিয়ে চলতি বছরের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি যুদ্ধ শুরু হবে।
ঢাকা, চট্টগ্রাম, বগুড়া ও খুলনা মোট চারটি কেন্দ্রে একযোগে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। একইদিন বিকাল ৩টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত আর্টস ও সোশ্যাল সায়েন্স অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা হবে। পরদিন শনিবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত সিকিউরিটি অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক অনুষদে ভর্তি পরীক্ষা হবে। বিকাল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত নেয়া হবে সায়েন্স ও টেকনোলজি অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা।
চারটি কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও মৌখিক পরীক্ষা ঢাকার বিইউপির ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া ১৮ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (এমআইএসটি) ভর্তি পরীক্ষাও অনুষ্ঠিত হবে।
১৩ ফেব্রুয়ারি এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছিলো। ঘোষিত ফলাফলে উত্তীর্ণ হয় ১৩ লাখ ৬ হাজার ৭১৮ জন। আর জিপিএ-৫ পান ১ লাখ ৮৯ হাজার ১৬৯ শিক্ষার্থী।
এইচএসসির ফল প্রকাশের এক মাসের মধ্যেই বিইউপিতে ভর্তি যুদ্ধ শুরু হলেও এখানো ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করেনি অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। তবে মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষা ১ এপ্রিল, ডেন্টালের ভর্তি পরীক্ষা ২২ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভর্তির প্রাথমিক তারিখ ঠিক করে উপাচার্য পরিষদকে জানায়। পরে উপাচার্য পরিষদের মাধ্যমে ভর্তি পরীক্ষার তারিখগুলো ঠিক করে দেয়া হয়। স্ব স্ব বিশ্ববিদ্যালয় তারিখ চূড়ান্ত করে।
তিন ফরম্যাটেই কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকছেন সাকিব

সাকিব আল হাসানকে নিয়ে শেষ কিছু দিনে কম জলঘোলা হয়নি। সবশেষ আলোচনায় এসেছিলেন শারীরিক ও মানসিক অবসাদের কারণে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যেতে না চেয়ে। তবে শেষ চার-পাঁচ বছরে সিরিজের আগে যেতে না চাওয়া, বিশেষ করে টেস্ট খেলতে অনীহা নিয়ে কথা হয়েছে বেশ। তবু বিসিবি তাকে টেস্টসহ তিন ফরম্যাটের চুক্তিতেই রেখেছে সবসময়। এর ব্যত্যয় এবারও ঘটেনি। সাকিব এবারও আছেন বিসিবির তিন ফরম্যাটের চুক্তিতেই।
কিছুদিন আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে চিঠি দিয়েছেন এই অলরাউন্ডার। যেখানে জানিয়েছেন, আগামী নভেম্বর পর্যন্ত টেস্ট খেলতে চান না। এরপর আসন্ন দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যেতে চান না বলেও জানান তিনি। সাকিবের সে প্রস্তাব আমলে নিয়ে আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত তাকে বিশ্রাম দিয়েছে বিসিবি। তবে আজ বৃহস্পতিবার ঘোষিত কেন্দ্রীয় চুক্তিতে দেখা গেল তিন ফরম্যাটেই আছে সাকিবের নাম। ২০২০ সালে ক্রিকেটারদের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে নতুনত্ব আনে বিসিবি। প্রথমবারের মতো চুক্তি হয়েছিল লাল বল ও সাদা বলের ক্রিকেটের ভিত্তিতে। কিন্তু গতবার সেটি পরিবর্তন করে তিন ফরম্যাটের জন্য আলাদা আলাদা চুক্তি করে ক্রিকেট বোর্ড। আজ ঘোষিত ক্রিকেটারদের নতুন চুক্তির তালিকায় আছে তিনটি শ্রেণি—টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি। তিন শ্রেণি মিলিয়ে বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে আছেন ২১ ক্রিকেটার। যেখানে গতবার চুক্তিতে ছিলেন ২৪ ক্রিকেটার।
এবার ঘোষিত চুক্তিতে তিন সংস্করণেই আছেন পাঁচজন। মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, লিটন দাস, তাসকিন আহমেদ ও শরীফুল ইসলাম। তারা আগেরবারও তিন সংস্করণের চুক্তিতে ছিলেন। শুধু টেস্টে ১৪ জন, ওয়ানডেতে ১০ জন এবং টি-টোয়েন্টিতে আছেন ১২ জন।
আগের চুক্তি থেকে এবার বাদ পড়েছেন ক্রিকেটার ৫ জন। তারা হলেন- মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, সাইফ হাসান, সৌম্য সরকার, আবু জায়েদ চৌধুরী রাহী ও শামীম হোসেন পাটোয়ারি। তাদের মধ্যে সাইফউদ্দিন ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি, সাইফ টেস্ট, সৌম্য টি-টোয়েন্টি, রাহী টেস্ট এবং শামীম টি-টোয়েন্টির চুক্তিতে ছিলেন। একাধিক ফরম্যাটের চুক্তিতে থেকে এবার বাদ পড়া একমাত্র ক্রিকেটার সাইফউদ্দিন।
এবার প্রথমবারের মত জায়গা পেয়েছেন ২ ক্রিকেটার। তারা হলেন- মাহমুদুল হাসান জয় ও ইয়াসির আলী চৌধুরী। এক বছর পর আবার চুক্তিতে ফিরেছেন নাঈম শেখ। চুক্তির মেয়াদ থাকবে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত।
কে কে আছেন কেন্দ্রীয় চুক্তির তালিকায়
টেস্ট মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, তামিম ইকবাল, মেহেদী হাসান মিরাজ, মুমিনুল হক, তাইজুল ইসলাম, নাজমুল হোসেন শান্ত, এবাদত হোসেন চৌধুরী, সাদমান ইসলাম, ইয়াসির আলী চৌধুরী ও মাহমুদুল হাসান জয়।
ওয়ানডে মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, তামিম ইকবাল, মেহেদী হাসান মিরাজ, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুস্তাফিজুর রহমান ও আফিফ হোসেন ধ্রুব।
টি-টোয়েন্টি মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুস্তাফিজুর রহমান, আফিফ হোসেন ধ্রুব, নুসুল হাসান সোহান, নাসুম আহমেদ, নাঈম শেখ ও শেখ মেহেদী হাসান।
তিন সংস্করণেই আছেন মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, লিটন দাস, তাসকিন আহমেদ, শরীফুল ইসলাম এই পাঁচজন।
মন্তব্য