ঢাকা, সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫ ৩ ভাদ্র ১৪৩২
 
শিরোনাম

ভর্তি হতে না পারা শিক্ষার্থীদের সুযোগ দিচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

নিজস্ব প্রতিবেদক
১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৮:৫৬
নিজস্ব প্রতিবেদক
ভর্তি হতে না পারা শিক্ষার্থীদের সুযোগ দিচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষের শূন্য আসনে মেধাক্রমের ভিত্তিতে ভর্তির জন্য সাক্ষাৎকার আহ্বান করেছে কর্তৃপক্ষ। প্রথম থেকে সপ্তম মেধাতালিকায় বিষয় বরাদ্দ পেয়েও যেসব শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারেননি, তাঁরাই সাক্ষাৎকারে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। ভর্তির জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের এটি শেষ পদক্ষেপ।

বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে ভর্তিসংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। ভর্তি–ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সাক্ষাৎকারে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের মেধাক্রমানুসারে আসন শূন্য থাকা সাপেক্ষে বিষয় বরাদ্দ দেওয়া হবে। সাক্ষাৎকারে বিষয়প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা কোনো মাইগ্রেশনের সুযোগ পাবেন না, এমনকি পরে কোনো বিভাগের শূন্য আসন (যদি থাকে) পূরণের ক্ষেত্রেও তাঁরা বিষয় পরিবর্তনের সুযোগ পাবেন না।

বলা হয়েছে, বিষয় বরাদ্দ তালিকা ২২ ফেব্রুয়ারি প্রকাশ করা হবে। ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি বিকেল চারটার মধ্যে ভর্তি ফিস ও কাগজপত্র মনোনীত বিভাগে জমা দিয়ে ভর্তি হতে হবে।

ভর্তি বিজ্ঞপ্তিটি এবং ভর্তিসংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট http://admission.jnu.ac.bd এবং www.jnu.ac.bd থেকে সংগ্রহ করতে হবে।

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    শিগগিরই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার আশা শিক্ষামন্ত্রীর

    নিজস্ব প্রতিবেদক
    ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৮:৫৩
    নিজস্ব প্রতিবেদক
    শিগগিরই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার আশা শিক্ষামন্ত্রীর

    শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো সমস্যা সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কমবেশি আছে, তা সমাধানের চেষ্টা করছে সরকার। শিক্ষার্থীদের অধিকার যেমন আছে, দায়িত্বও আছে। শাবিপ্রবির সমস্যা সমাধানে সরকার সব ধরনের চেষ্টা করছে।

    আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে সিলেট সার্কিট হাউস মিলনায়তনে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ সময় শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘করোনার সংক্রমণ কমছে। আশা করা যাচ্ছে, খুব শীঘ্রই খুলে দেওয়া হবে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।’

    দীপু মনি আরও বলেছেন, সব সমস্যাই আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব। শাবিপ্রবির সমস্যাও আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হবে। তিনি আরও বলেন, ‘শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলন নিরসনে সরকারের পক্ষ থেকে যা করণীয়, করা হয়েছে। স্থানীয় নেতৃত্ব তা নিরসনে কাজ করে গেছেন। সব সময় একটি মহল বিভিন্ন জায়গায় অনুপ্রবেশ করে সমস্যার সংকটকে ঘনীভূত করার চেষ্টা করেন, ঘোলা পানিতে মাছ ধরার চেষ্টা করেন। এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে, যাতে তারা তা করতে পারে না। সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে ধারণক্ষমতার বেশি শিক্ষার্থীরা পড়ালেখা ও আবাসিক হলে বসবাস করে আসছে। আমরা সব সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করছি।’

    শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে আওয়ামী লীগ নেতাদের কারণে। এ ঘটনায় দেশ-বিদেশ থেকে তৃতীয় পক্ষ অরাজকতার চেষ্টা করে।

    মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুক উদ্দিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন প্রমুখ সভায় উপস্থিত ছিলেন।

    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      সশরীরে ঢাবিতে প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু ২২ ফেব্রুয়ারি

      নিজস্ব প্রতিবেদক
      ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৮:৪৩
      নিজস্ব প্রতিবেদক
      সশরীরে ঢাবিতে প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু ২২ ফেব্রুয়ারি

      শুরু হতে যাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রথম বর্ষের ক্লাস। আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের সশরীরে শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হবে। পাশাপাশি পূর্বঘোষিত রুটিন অনুযায়ী পরীক্ষাগুলো চলমান থাকবে।

      শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

      বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন ভর্তিকৃত প্রথম বর্ষ (সম্মান) শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সশরীরে শ্রেণি কার্যক্রম যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে পুনরায় শুরু হবে। এছাড়া পূর্বঘোষিত রুটিনভিত্তিক পরীক্ষা চলমান থাকবে।

      এর আগে করোনা সংক্রমণের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের বিষয়ে সরকারি নির্দেশনার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীর শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে অনলাইনে ক্লাস-পরীক্ষা চালু রাখা হয়।

      গত ২১ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়টির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা প্রজ্ঞাপনের আলোকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীর শিক্ষা কার্যক্রম আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। তবে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পারস্পরিক সহযোগিতায় অব্যাহত থাকবে। পরে সেটি বাড়িয়ে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

      প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য

        ১৫ হাজার শিক্ষক নেবে এনটিআরসিএ, আবেদন করুন ভেবেচিন্তে

        নিজস্ব প্রতিবেদক
        ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৮:২৭
        নিজস্ব প্রতিবেদক
        ১৫ হাজার শিক্ষক নেবে এনটিআরসিএ, আবেদন করুন ভেবেচিন্তে

        এক প্রতিষ্ঠান থেকে অন্য প্রতিষ্ঠানে সরাসরি বদলি হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। প্রতিষ্ঠান বদলের সহজ কোনো সুযোগ আদৌ তৈরি হবে কি না, হলেও কত দিনে হবে, তা অনিশ্চিত। যখনই হোক, যে নীতিমালা তৈরি করা হবে, সেই নীতিমালায় কে কতটুকু সুযোগ পাবে, তা–ও অজানা।

        বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১৫ হাজার ১৬৩ জন শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। ১৫ হাজার ১৬৩ পদের মধ্যে ১২ হাজার ৮০৭টি এমপিওভুক্ত শূন্য পদ। নন-এমপিও পদ আছে ২ হাজার ৩৫৬টি। বেসরকারি স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা, কারিগরি ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এসব শিক্ষক নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আবেদন করা যাবে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

        আবেদনকারীর বয়স ১ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে সর্বোচ্চ ৩৫ বছর বা তার কম হতে হবে। শিক্ষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে জারি করা সর্বশেষ জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুসরণ করতে হবে। তবে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ইনডেক্সধারী প্রার্থীদের সমপদে আবেদনের ক্ষেত্রে বয়সসীমা শিথিলযোগ্য। এ ছাড়া সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায় অনুযায়ী ১২ জুন ২০১৮ তারিখের পূর্বে যাঁরা নিবন্ধিত হয়েছেন কিন্তু ইনডেক্সধারী নন, তাদের ক্ষেত্রেও এই বয়সসীমা শিথিলযোগ্য থাকবে। প্রতিটি আবেদনের জন্য ১০০ টাকা ফি দিয়ে পৃথক পৃথক আবেদন করতে হবে। একটি আবেদন করে পছন্দক্রম নির্ধারণ করার কোনো সুযোগ রাখা হয়নি। যথাযথ যোগ্যতা থাকলে একজন প্রার্থী একাধিক প্রতিষ্ঠানে একাধিক পদে আবেদন করতে পারবেন। এনটিআরসিএর ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করা যাবে।

        এক প্রতিষ্ঠান থেকে অন্য প্রতিষ্ঠানে সরাসরি বদলি হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। প্রতিষ্ঠান বদলের সহজ কোনো সুযোগ আদৌ তৈরি হবে কি না, হলেও কত দিনে হবে, তা অনিশ্চিত। যখনই হোক, যে নীতিমালা তৈরি করা হবে, সেই নীতিমালায় কে কতটুকু সুযোগ পাবে, তা–ও অজানা। বর্তমানে প্রতিষ্ঠান পরিবর্তনের সুযোগ থাকলেও এনটিআরসিএ কর্তৃক প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুসারে নতুন করে নিয়োগের জন্য আবেদন করে যোগ্যতা প্রমাণ করে নিয়োগ লাভ করে সেখানে গিয়ে নতুন করে যোগদান করতে হবে। সে ক্ষেত্রে সমপদ হলে পূর্ব অভিজ্ঞতা গণনাযোগ্য হবে।

        শূন্য পদের বিপরীতে প্রার্থীসংখ্যা বেশি থাকায় যেকোনো প্রার্থী মনে করতে পারেন, একটি বা দুটি আবেদন করলে তার চাকরি না–ও হতে পারে। সে ক্ষেত্রে তিনি নিজের বাড়ির আশপাশে অবস্থিত একাধিক প্রতিষ্ঠানে এবং অনেক দূরের একাধিক প্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে পারেন। যে প্রতিষ্ঠানেই আবেদন করুন না কেন, একজন প্রার্থীর অবশ্যই নিচের বিষয়গুলো বিবেচনায় রেখে আবেদন করা উচিত।

        ● নিবন্ধন পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর বেশি বা মেরিট পজিশন আগে না থাকলে ভালো প্রতিষ্ঠানে সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা কম। সে ক্ষেত্রে অধিকসংখ্যক আবেদন করার প্রয়োজন হতে পারে।

        ● নিজের এলাকায় ও কম দূরের প্রতিষ্ঠানগুলোকে পছন্দের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিতে হবে। বিশেষ করে যাঁদের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সমস্যা আছে এবং যাঁরা নারী প্রার্থী, তাঁদের ক্ষেত্রে এ বিষয়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ।

        ● প্রতিষ্ঠানের অবস্থা, কর্মপরিবেশ, শিক্ষার্থীর সংখ্যা, আর্থিক সচ্ছলতা ও শিক্ষকদের সুযোগ-সুবিধা ইত্যাদি সন্তোষজনক কি না, তা জেনে নিতে হবে। শিক্ষার্থীর সংখ্যা কম থাকলে প্রাতিষ্ঠানিক সুযোগ-সুবিধা কম।

        ● আবেদনের জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত পদটি এমপিওভুক্ত কি না বা এমপিওভুক্ত হবে কি না, হলে কত দিন লাগতে পারে, তা নিশ্চিত হতে হবে।

        ● কোনো কারণে নন-এমপিও পদে আবেদন করতে চাইলে, তা জেনে-বুঝেই করা উচিত। কারণ, সরকারি আদেশ থাকার পরেও অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান থেকে নন-এমপিও শিক্ষকদের আর্থিক সুবিধা কম দেওয়া হয়।

        ● দূরের কোনো প্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে হলে, সেই প্রতিষ্ঠান ও এলাকা সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেওয়া উচিত। সেখানে যাতায়াত সুবিধা কেমন, থাকা-খাওয়ার সুবিধা আছে কি না, নিরাপত্তাব্যবস্থা কেমন, ছুটিতে বা প্রয়োজনে নিজের আপনজনের কাছে যাওয়া-আসা করা যাবে কি না, এসব বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া উচিত।

        ● গ্রামে কিংবা শহরে যেখানে বসবাস করতে আপনি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন, সেখানকার প্রতিষ্ঠানকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। শহরে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানে আবেদন করার ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, শহরের প্রতিষ্ঠানে বেতন-ভাতা কিছুটা বেশি থাকলেও জীবনযাপনের ব্যয় আরও অনেক বেশি।

        ● স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, কারিগরি ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে কোন ধরনের প্রতিষ্ঠানে চাকরি আপনি বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বা অস্বস্তি বোধ করবেন, তা ভেবে নেওয়া উচিত।

        ● যে পদে আবেদন করবেন সে পদের বেতন স্কেল, বর্তমান মূল বেতন, অন্যান্য ভাতার পরিমাণ, বেতন বৃদ্ধির পরিমাণ, পদোন্নতির সুযোগ, অবসরকালীন সুবিধা—এসব বিষয় জেনে নেওয়া উচিত।

        ● একাধিক স্তরবিশিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত পদে যোগদান করলে কোন কোন স্তরে ক্লাস নিতে হবে, তা জেনে নেওয়া এবং সেই স্তরে ক্লাস নেওয়ার জন্য নিজের ইচ্ছা ও যোগ্যতা আছে কি না বা থাকবে কি না তা ভেবে নেওয়া উচিত।

        ● আধুনিক শিক্ষকতায় কাজের ধরন-পরিধি কেমন, লেখাপড়ায় লেগে থাকতে ভালো লাগে কি না, শিক্ষকের দায়িত্ব-কর্তব্য কতটুকু ও কর্মকালে ছুটি ভোগের বিধান কেমন, অন্যান্য পেশার তুলনায় সুযোগ-সুবিধা কতটুকু, নিজের যোগ্যতা ও মন-মানসিকতার সঙ্গে এই পেশা খাপ খায় কি না, ইত্যাদি বুঝে নেওয়া দরকার।

        ● প্রতিষ্ঠান পরিবর্তনের ক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত প্রতিষ্ঠানের অবস্থা ও অবস্থান বর্তমান প্রতিষ্ঠানের অবস্থা ও অবস্থানের তুলনায় অধিক ভালো কি না এবং সেখানে গেলে পরিবর্তনের উদ্দেশ্য পূর্ণ হবে কি না, তা জেনে নেওয়া উচিত।

        বর্তমানে সরকারি মাধ্যমিক স্তরে সহকারী শিক্ষকের মূল বেতন ১২ হাজার ৫০০ টাকা। উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতক পর্যায়ে প্রভাষকের প্রাথমিক মূল বেতন ২২ হাজার টাকা। এ ছাড়া সব স্তরের শিক্ষকদের বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ, বাড়ি ভাড়া ভাতা ১ হাজার টাকা, চিকিৎসা ভাতা ৫০০ টাকা, উৎসব ভাতা ২৫ শতাংশ, বাংলা নববর্ষ ভাতা ২০ শতাংশ দেওয়া হয়ে থাকে। মূল বেতন থেকে অবসর ও কল্যাণ তহবিলের জন্য ১০ শতাংশ টাকা জমা রাখা হয়। নিয়মিত ২৫ বা তার বেশি বছর চাকরি করে অবসরে গেলে কল্যাণ ও অবসর তহবিল থেকে সর্বশেষ মূল বেতনের প্রায় ১০০ গুণ টাকা পাওয়ার বিধান রয়েছে। এসব সরকারি সুবিধার বাইরে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার বিষয়টি প্রতিষ্ঠানের নিয়মের ওপর নির্ভর করে।

        প্রাসঙ্গিক
          মন্তব্য

          শিগগিরই পদোন্নতি পাচ্ছেন বেসরকারি কলেজের প্রভাষকরা

          নিজস্ব প্রতিবেদক
          ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ২১:৫
          নিজস্ব প্রতিবেদক
          শিগগিরই পদোন্নতি পাচ্ছেন বেসরকারি কলেজের প্রভাষকরা

          বেসরকারি কলেজ, উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়, স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষকরা পদোন্নতি পাচ্ছেন। যেসব শিক্ষকদের চাকরি আট বছর পূর্ণ হয়েছে শিগগিরই তাদের পদোন্নতি দেওয়া হবে। এ লক্ষ্যে পদোন্নতির রূপরেখা চূড়ান্ত করতে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি সভা অনুষ্ঠিত হবে।

          বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর এ সংক্রান্ত অফিস আদেশ জারি করে।

          অফিস আদেশে বলা হয়, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২১ অনুযায়ী উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়/স্কুল অ্যান্ড কলেজ/উচ্চ মাধ্যমিক কলেজে আট বছর সন্তোষজনক চাকরির পূর্তিতে ‘প্রভাষক’থেকে ‘জ্যেষ্ঠ প্রভাষক’ পদে এবং ডিগ্রি কলেজে ‘প্রভাষক’ থেকে ‘সহকারী অধ্যাপক’ পদে মূল্যায়নের ভিত্তিতে পদোন্নতির জন্য রূপরেখা প্রণয়ন চূড়ান্ত করতে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টায় সভা অনুষ্ঠিত হবে। অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক-২) ফৌজিয়া জাফরীনের সভাপতিত্বে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সভা অনুষ্ঠিত হবে।

          প্রাসঙ্গিক
            মন্তব্য
            সর্বশেষ সংবাদ
              সর্বাধিক পঠিত