ঢাকা, সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫ ৩ ভাদ্র ১৪৩২
 
শিরোনাম

ইবিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কল্যাণের নেতৃত্বে রাসেল-পারভেজ

নিজস্ব প্রতিবেদক
৩১ মে, ২০২৩ ১৭:৩২
নিজস্ব প্রতিবেদক
ইবিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কল্যাণের নেতৃত্বে রাসেল-পারভেজ

নিজস্ব প্রতিবেদক: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবিতে) চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির কার্যনির্বাহী-২০২৩ এর নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে সভাপতি হয়েছেন ইংরেজি বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. রাসেল আলী এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. পারভেজ আলী।

এছাড়া সহ সভাপতি হিসেবে সাব্বির আহমেদ শুভ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তোফায়েল আহমেদ তিতাস ও সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে মাইনুল ইসলামকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। সংগঠনটির সদ্য বিদায়ী সভাপতি সাফফাত হোসেন শিশির ও সাধারণ সম্পাদক সাকির হোসেন স্বাক্ষরিত এ কমিটি আগামী ১ বছর সমিতির দায়িত্ব পালন করবেন।

কমিটির অনুমোদন দেন সংগঠনটির উপদেষ্টা ও আইন বিভাগের প্রফেসর ড. শাহজাহান মন্ডল এবং সংগঠনটির উপদেষ্টা ও বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. মহাঃ আনোয়ারুল হক (স্বপন)।

সংগঠনটির নব্য সভাপতি মো. রাসেল আলী বলেন, আমি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি আমাদের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. শাহজাহান মন্ডল স্যার ও প্রফেসর ড. মহা. আনোয়ারুল হক স্বপন স্যারকে আমাকে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য। এছাড়া ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই সদ্য বিদায়ী সভাপতি সাফফাত হোসেন শিশির ও সাধারণ সম্পাদক সাকির হোসেন ভাইকে। আমি আগামীতে চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতির প্রতিটি সদস্য কে স্মার্ট সিটিজেন হিসেবে গড়ে তুলতে সর্বদা নিয়োজিত থাকবো। সংগঠনের প্রতিটি সদস্যকে আধুনিক, সময়োপযোগী ও আদর্শবান ব্যক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে সার্বিক প্রচেষ্টা চালাবো। এছাড়া চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতিকে শুধু এ বিশ্ববিদ্যালয়ে নয়, সারা দেশে একটি মডেল সমিতি হিসেবে গড়ে তুলবো ইনশাআল্লাহ।

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    পাবিপ্রবিতে স্মার্ট ক্লাসরুম উদ্বোধন

    নিজস্ব প্রতিবেদক
    ৩১ মে, ২০২৩ ১৭:১৮
    নিজস্ব প্রতিবেদক
    পাবিপ্রবিতে স্মার্ট ক্লাসরুম উদ্বোধন

    পাবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবিতে) স্মার্ট ক্লাসরুম উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার (৩১মে) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সাম হল ভবনের তৃতীয় তলায় এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্মার্ট ক্লাসরুম সম্মিলিতভাবে উদ্বোধন করেন।

    এরপর কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগে স্মার্ট ক্লাসরুম উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কে এম সালাহ্ উদ্দীন।

    উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন বলেন, ইতিবাচক চিন্তার মাধ্যমে যেকোনো কাজ সহজেই করা সম্ভব। যদি আমাদের চেষ্টা থাকে, সেক্ষেত্রে সামর্থ্য কম থাকলেও কাজটি করা সম্ভব। প্রতিটি কাজকেই একটি টিমের মাধ্যমে আমাদের সম্পাদন করতে হবে। জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা এবং সাধ্যমতো ভালো কাজ করার ব্যাপারে নিজেকে আগ্রহী করে তুলতে হবে। জ্ঞানকে ছড়িয়ে দেওয়া এবং গুণীজনদের কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে আমাদের নেতৃত্ব দিতে হবে। নিজে কাজ করা এবং কাজের স্বীকৃতিও অর্জন করতে হবে। কাজের মাধ্যমেই আমিাদের বড় হতে হবে।

    এসময় তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়কে অশান্ত করবেন না। বিশ্ববিদ্যালয়কে ভালোবাসুন। নেতিবাচক চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসুন এবং বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে ইতিবাচক ভাবনা ভাবুন। সরকারি অর্থ খরচের বিষয়ে প্রতিটি ক্ষেত্রে সাশ্রয়ী হওয়ার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহবান জানান।

    কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কে এম সালাহ্ উদ্দীন বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে পাবিপ্রবি কাজ করে যাচ্ছে। স্মার্ট ক্লাসরুমে একটি স্মার্ট বোর্ড থাকবে। এই বোর্ডের মাধ্যমে অডিও ভিডিও দেখা যাবে। শিক্ষার্থীদের ক্লাসে উপস্থিতি স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাউন্ট হয়ে যাবে। টিচিং ও লার্নিং সিস্টেম আরও উন্নত হবে। এরফলে শিক্ষকরাও শিক্ষার্থীদের ক্লাসরুমে আকৃষ্ট করতে পারবেন। আর এর মাধ্যমে আমরা ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে যুক্ত হতে পারব। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মাধ্যম আমাদের শিক্ষার্থীদের গড়ে তুলতে পারব।

    এসময় অনুষ্ঠানে রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আইসিটি সেলের পরিচালক ও সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. আব্দুর রহিম।

    প্রসঙ্গত প্রাথমিকভাবে পাঁচটি অনুষদের পাঁচটি বিভাগসহ মোট সাতটি ক্লাসরুম এর আওতায় আসবে। পর্যায়ক্রমে অন্য বিভাগগুলোও স্মার্ট ক্লাসরুমের আওতায় আসবে।

    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      রাবি শিক্ষকের স্কুটি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের পৌঁছে দিচ্ছে পরীক্ষা কেন্দ্রে

      নিজস্ব প্রতিবেদক
      ৩১ মে, ২০২৩ ১২:৫১
      নিজস্ব প্রতিবেদক
      রাবি শিক্ষকের স্কুটি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের পৌঁছে দিচ্ছে পরীক্ষা কেন্দ্রে

      বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে পোঁছে দিচ্ছে রাবি শিক্ষকের স্কুটি। বুধবার (৩১ মে) সকালে ক্যাম্পাস জুড়ে এমন চিত্র দেখা যায়।

      বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক ড. গোলাম কিবরিয়া ফেরদৌস নিজের স্কুটি পিডিএফ টিমকে দিয়ে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। শুধু আজ নয় ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে তিনদিন ধরে নিজের স্কুটি পিডিএফ টিমকে দিয়ে এমন মহানুভবতার পরিচয় দিয়েছেন তিনি।

      খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দূরদূরান্ত থেকে আগত প্রতিবন্ধী ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের কেন্দ্রে পৌঁছানো থেকে শুরু করে তাদেরকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করতে কাজ করে যাচ্ছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সংগঠন ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (পিডিএফ) টিম। প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মধ্যে চলাচল করতে কষ্ট হয় এমন শিক্ষার্থীদেরকে এই স্কুটি দিয়ে তাদেরকে নিদ্রিষ্ট কেন্দ্রে পৌঁছে দেন পিডিএফ টিমের সদস্যরা। পরীক্ষা শেষে শিক্ষার্থীদের রিসিভ করে আবার অভিভাবকদের কাছে পৌঁছে দেন তারা।

      ময়মনসিংহ থেকে কলা অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা দিতে এসেছেন তৌফিক। তিনি দুচোখে কিছুই দেখতে পান না। তাকে এই স্কুটি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন’স কমপ্লেক্সে পৌঁছে দেন পিডিএফ সদস্যরা। স্কুটি সেবা পেয়ে তিনি বলেন, আমার দুচোখ অন্ধ। আমি একাই ময়মনসিংহ থেকে এখানে এসেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের পিডিএফ সদস্যরা আমাকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছেন। আমার কাগজপত্র হারিয়ে ফেলেছিলাম। পিডিএফ সদস্যরা অল্প সময়ে কাগজ পত্র তুলে এবং শ্রুতি লেখক ব্যবস্থা করে স্কুটি দিয়ে দ্রুত কেন্দ্রে পৌঁছে দেন আমাকে। এসময় তিনি অসংখ্য ধন্যবাদ জানান পিডিএফ সদস্যদেরকে।

      বগুড়া থেকে ভর্তি পরীক্ষা দিতে এসেছেন তোফায়েল নামে এক শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, আমি অনেক দূর থেকে ভর্তি পরীক্ষা দিতে এসেছি। এখানে আসার পর পিডিএফ সদস্যরা আমাকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছেন। হুইল চেয়ার করে আমাকে নিদ্রিষ্ট কেন্দ্র পৌঁছে দেন তারা।

      শিক্ষার্থীদেরকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করছেন হাবিবা আক্তার নামের এক পিডিএফ সদস্য। তিনি বলেন, প্রতিবন্ধীসহ সাধারণ শিক্ষার্থীদেরকে তথ্য দিয়ে, কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়াসহ বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে থাকছে পিডিএফ সদস্যরা। বিভিন্ন পরীক্ষার কেন্দ্রে আমাদের সদস্য কাজ করছে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের কাছ থেকে পাওয়া স্কুটি দিয়ে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের বিভিন্ন কেন্দ্রে পৌঁছে দিচ্ছে আমাদের সদস্যরা।

      শিক্ষকের কাছ থেকে স্কুটি পেয়ে পিডিএফ সভাপতি আশিকুর রহমান সোহাগ বলেন, রাবি শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় আমাদের পিডিএফ স্বেচ্ছাসেবী সদস্যরা দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, ও হুইলচেয়ার ব্যক্তিদের অতিদ্রুত কেন্দ্রে পোঁছে দেওয়ার জন্য আমাদের বিশেষ টিম সবসময় কাজ করে যাচ্ছে। পিডিএফ এর উপদেষ্টা ড.গোালাম কিবরিয়া ফিরদৌস স্যার আমাদেরকে স্কুটি দিয়ে সহযোগিতা করায় আমাদের কাজ অনেক সহজতর হয়ে গেছে। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা, প্রক্টরসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান পিডিএফ সভাপতি।

      স্কুটি দিয়ে সহযোগিতার কারণ জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক ড. গোলাম কিবরিয়া ফেরদৌস বলেন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা এখন আর সমাজের বোঝা নয়। প্রতিবছর রাবিতে ভর্তি পরীক্ষা দিতে এখানে প্রচুর প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা আসে। ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে ক্যাম্পাসের অনেক রাস্তায় যানবাহন চলাচল করতে পারে না। আমার স্কুটির সামনে শিক্ষক লেখা রয়েছে ফলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আমার গাড়ি চলাচল করলে বাঁধা দিবে না। যেসব প্রতিবন্ধী ব্যক্তি হাঁটতে পারেনা, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী অনেক শিক্ষার্থী আছে যারা চোখে দেখতে পায়না।

      অনেক সময় তাদের কেন্দ্র অনেক দূর পরে তাদের কথা চিন্তা করেই আমার স্কুটি পিডিএফ টিমকে তিনদিনের জন্য দিয়েছি। এ স্কুটি দিয়ে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের বিভিন্ন কেন্দ্রে পৌঁছে দিতে রাবির পিডিএফ টিম কাজ করছে।

      তিনি আরো বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রতিবন্ধীবান্ধব। শুধু আমি নয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকদের উচিত প্রতিবন্ধী পাশে দাঁড়ানো কারণ তাদের ছাড়া আমাদের সমাজ কখনো উন্নয়ন করা সম্ভব না। এসময় তিনি সকলকে পিডিএফ এর পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানান।

      প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য

        সাইবার নিরাপত্তা ভিত্তিক প্রতিযোগিতায় নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের সাফল্য

        নিজস্ব প্রতিবেদক
        ৩১ মে, ২০২৩ ১২:৪৫
        নিজস্ব প্রতিবেদক
        সাইবার নিরাপত্তা ভিত্তিক প্রতিযোগিতায় নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের সাফল্য

        নোবিপ্রবি প্রতিনিধি: আধুনিক বিশ্বে সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ যে কোন দেশের জন্য একটি অন্যতম চ্যালেঞ্জিং বিষয়। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সাইবার সিকিউরিটি সংক্রান্ত বিভিন্ন যুগোপযোগী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

        এরই ধারাবাহিকতায় মিলিটারি ইন্সটিটিউট অব সায়েন্স টেকনোলজি (MIST) এর কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগ ও লিটকন এর উদ্যোগে এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি (ICT) ডিভিশন, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (BCC) এবং ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সি (DSA) এর যৌথ সহযোগিতায় গত শনিবার ২০ মে, ২০২৩ তারিখে এমআইএসটি ক্যাম্পাসে অত্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশে “𝐌𝐈𝐒𝐓 𝐋𝐞𝐞𝐭𝐜𝐨𝐧 𝟐𝟎𝟐𝟑: 𝐇𝐚𝐜𝐤𝐌𝐞𝐈𝐟𝐘𝐨𝐮𝐂𝐚𝐧” এর আয়োজন করা হয়।

        উক্ত অনুষ্ঠানের সমাপনী পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি (ICT) বিভাগের তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনায়েদ আহমেদ পলক, এমপি।

        “𝐇𝐚𝐜𝐤𝐌𝐞𝐈𝐟𝐘𝐨𝐮𝐂𝐚𝐧” শীর্ষক 𝐂𝐓𝐅 (𝐂𝐚𝐩𝐭𝐮𝐫𝐞 𝐓𝐡𝐞 𝐅𝐥𝐚𝐠) প্রতিযোগিতাটি দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীর পাশাপাশি সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্যও উন্মুক্ত ছিল। সাইবার নিরাপত্তা ভিত্তিক CTF প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীরা তথ্য নিরাপত্তার বিভিন্ন ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা এবং বাস্তব জ্ঞান ব্যবহার করে সাইবার সিকিউরিটি সংক্রান্ত ক্রিপ্টোগ্রাফি, ওয়েব এক্সপ্লয়টেশন, রিভার্স ইঞ্জিনিয়ারিং, ফরেনসিক, নেটওয়ার্ক অ্যানালাইসিস ইত্যাদি বিষয়ক বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সমাধান করে।

        উক্ত প্রতিযোগিতায় সর্বমোট ৩৫১ টি দল বাছাই পর্বে অংশগ্রহণ করে, যার মধ্যে থেকে ১০০টি দল চূড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়। চূড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৭৫টি দল দেশের ৭২ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে এবং বাকী ২৫টি দল বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ পুলিশ, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড, এবং বাণিজ্যিক ব্যাংকসহ বিভিন্ন কর্পোরেট সংস্থা থেকে অংশগ্রহণ করে।

        উক্ত প্রতিযোগিতায় সর্বমোট ৮৭টি দলকে পেছনে ফেলে ৩য় স্থান অর্জন করেছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজির (আইআইটি) শিক্ষার্থী কাজী আশিকুর রহমানের (২০১৯-২০ সেশন) নেতৃত্বে থাকা টিম 'ফেডারেলবংকইনভেস্টিগেশন'। এছাড়াও প্রতিযোগিতায় ৯ম স্থান অর্জন করেন একই ইনস্টিটিউটের (আইআইটি) শিক্ষার্থীদের টিম ‘বাগ ফাইন্ডার’। উক্ত টিমের সদস্যরা হলেন, ইরফানুল হক নাবিল (টিম লিডার), সানজিদা আক্তার সামান্তা ও মো. রবিউল ইসলাম শান্ত।

        নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের এই সাফল্যের জন্য তাদের উষ্ণ অভিনন্দন জানান নোবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম। ভবিষ্যতেও তথ্য-প্রযুক্তি ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা সাফল্যের এ ধারাবাহিকতা বজায় রাখবেন বলে আশা প্রকাশ করেন ।

        প্রাসঙ্গিক
          মন্তব্য

          ইবিতে অনার্স পাশ না করেই মাস্টার্স সম্পন্ন

          নিজস্ব প্রতিবেদক
          ৩০ মে, ২০২৩ ২০:৫৭
          নিজস্ব প্রতিবেদক
          ইবিতে অনার্স পাশ না করেই মাস্টার্স সম্পন্ন

          নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) অনার্স সম্পন্ন না হয়েই মাস্টার্স সম্পন্ন করেছে ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের এক শিক্ষার্থী। মাস্টার্স সম্পন্নের চার বছর পর জানতে পেরে স্নাতক শেষ বর্ষের অকৃতকার্য কোর্সের পরীক্ষা দেয়ার জন্য আবেদন করেন ঐ শিক্ষার্থী। সর্বশেষ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২৬ তম একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় তার সনদ বাতিলের সুপারিশ করলে ২৫৮ তম সিন্ডিকেট সভায় তা পাশ করা হয়।

          বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সিন্ডিকেট সদস্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

          জানা যায়, সনদ বতিলকৃত ঐ শিক্ষার্থীর নাম শামীরুল ইসলাম। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০১৩-২০১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। ২০১৭ সালে ঐ শিক্ষার্থীর স্নাতক শেষ বর্ষের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরে স্নাতক শেষ বর্ষের ৪১৫ নম্বর কোর্সে ফেল করেন ঐ শিক্ষার্থী। তবুও তিনি ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে স্নাতকোত্তরে ভর্তি হন এবং ২০১৮ সালে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।

          এদিকে তিনি স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের সাময়িক সনদপত্রও উত্তোলন করেন। সনদে তাকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর উভয় পরীক্ষায় কৃতকার্য দেখানো হয়।

          এ বছরের জানুয়ারিতে মূল কাগজপত্র উত্তোলন করতে গিয়ে তিনি জানতে পারেন অনার্সে একটি কোর্সে অকৃতকার্য হয়েছিলেন তিনি। পরে অকৃতকার্য সেই কোর্সে পরীক্ষার জন্য আবেদন করেন।

          এ সময় শামীরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘মূল কাগজপত্র উত্তোলন করতে গিয়ে আমি জানতে পারি অনার্সে একটি বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছিলাম। তখন এ বিষয়টি আমাকে আগে জানানো হয়নি। এর আগে আমি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দফতর থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের সাময়িক সনদপত্র উত্তোলন করি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে আমি সব ডকুমেন্ট উপস্থাপন করেছি।’

          এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমানকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করে কর্তৃপক্ষ। কমিটির প্রতিবেদন প্রদানের পর রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় ঐ শিক্ষার্থীর দুই সনদই বাতিলের সুপারিশ করা হয়। এছাড়া স্নাতকের অকৃতকার্য হওয়া কোর্সের স্পেশাল পরীক্ষা গ্রহণ করার এবং এ পরীক্ষায় কৃতকার্য হওয়া সাপেক্ষে স্নাতকোত্তরে ভর্তির সুযোগ প্রদানের সুপারিশ করা হয়। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫৮তম সিন্ডিকেট সভায় সুপারিশগুলোকে অনুমোদন করা হয়।

          এ বিষয়ে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় দুই সনদ বাতিল করে মানবিক দিক বিবেচনা করে তাকে পুনরায় পরীক্ষার গ্রহণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

          প্রাসঙ্গিক
            মন্তব্য
            সর্বশেষ সংবাদ
              সর্বাধিক পঠিত