ঢাকা, সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫ ৩ ভাদ্র ১৪৩২
 
শিরোনাম

সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ির ধাক্কায় প্রাণ গেল আইডিয়াল ছাত্রের

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৬ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:২৬
নিজস্ব প্রতিবেদক
সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ির ধাক্কায় প্রাণ গেল আইডিয়াল ছাত্রের

রাজধানীর মুগদার মদিনাবাগ এলাকায় দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের একটি ময়লার গাড়ির ধাক্কায় মাহিন আহমেদ (১৩) নামে এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। মাহিন মতিঝিল আইডিয়ালের সপ্তম শ্রেণিতে পড়াশোনা করছিল। এ ঘটনায় ময়লার গাড়িটি জব্দ ও চালককে আটক করেছে পুলিশ।

গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাত সাড়ে ৮টায় এই ঘটনা ঘটে।

দুর্ঘটনার পর মাহিনকে প্রথমে মুগদা হাসপাতাল নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে নেওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে। সেখানে রাত ১টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মাহিনের মা জোছনা আক্তার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমাকে সন্ধ্যায় বলল, সে চাচার বাসায় যাবে। আমি মানা করে বললাম, কাল সকালে যেও। মাহিন বলল, খেলাধুলা করে সন্ধ্যায় চাচার বাসায় চলে যাবে। আর ফিরল না।

মাহিনের স্বজনদের দাবি— ময়লার গাড়িটি খুব বেপরোয়াভাবে চলছিল। চালকও নেশাগ্রস্ত ছিল। তাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

মুগদা থানার উপ-পরিদর্শক মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, সিটি কর্পোরেশনের গাড়ির ধাক্কায় আহত আইডিয়াল শিক্ষার্থীকে প্রথমে উদ্ধার করে মুগদা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হলে রাত ১টার দিকে মারা যায় মাহিন। ঘটনার পর দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়িটি জব্দ ও চালককে আটক করা হয়েছে।

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    দেশসেরা ইনস্টিটিউটের তালিকায় নিটারের সাফল্য

    নিজস্ব প্রতিবেদক
    ২৫ এপ্রিল, ২০২৪ ২১:৩০
    নিজস্ব প্রতিবেদক
    দেশসেরা ইনস্টিটিউটের তালিকায় নিটারের সাফল্য

    নিটার প্রতিনিধি: আলফার-ডগার সাইন্টিফিক ইনডেক্স' (AD Scientific Index) বিশ্বের সকল সেরা বিশ্ববিদ্যালয় সহ বিভিন্ন ইনস্টিটিউট, হাসপাতাল, কোম্পানি ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের কর্মদক্ষতার ভিত্তিতে প্রতি বছরই সেরাদের তালিকা প্রকাশ করে।

    এবার ও তার ব্যতিক্রম নয়। সম্প্রতি আলফার-ডগার সাইন্টিফিক ইনডেক্স এর প্রকাশিত ২০২৪ সালে বিশ্বের সকল সেরা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে তালিকাভুক্ত হয়েছে বাংলাদেশের কিছু প্রতিষ্ঠানের নাম। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশের MIST, NITER, Army IBA শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সহ ICDDR, BRRI, BJRI এর মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম।

    র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের ইন্সটিটিউটগুলোর মধ্যে প্রথম স্থানে আছে International Centre for Diarrhoeal Disease Research, Bangladesh (ICDDR,B) ; যা বিশ্ব র‍্যাঙ্কিংয়ে ৩০৭ তম, দ্বিতীয় Bangladesh Atomic Energy Commission (BAEC) ; যার অবস্থান বিশ্ব র‍্যাঙ্কিংয়ে ১৩৮৮ তম, তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে Bangladesh Rice Research Institute (BRRI) ; যার বিশ্ব র‍্যাঙ্কিং ১৪৮২ তম।

    এছাড়াও বাংলাদেশের সকল ইনস্টিটিউট গুলোর মধ্যে ৬ষ্ঠ এবং সারা বিশ্বে ১৮২৪ তম স্থানে রয়েছে Military Institute of Science & Technology (MIST)। এই র‍্যাঙ্কিং-এ ইন্সটিটিউটের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং ও টেকনোলজি অনুষদের শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড রিসার্চ - নিটার এর অবস্থান বাংলাদেশে ১৭ তম এবং এশিয়া মহাদেশের মধ্যে ৬৫০ তম।

    ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড রিসার্চ - নিটার ২০০৯ সাল থেকে চলমান বাংলাদেশের একমাত্র পাবলিক - প্রাইভেট পার্টনারশিপ ইনস্টিটিউট, যেখানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয় সহ আরো ৪ টি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট (আইপিই, এফডিএই, সিএসই, ইইই) রয়েছে। এছাড়াও এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উচ্চশিক্ষার সুযোগের পাশাপাশি রয়েছে উন্নতমানের ল্যাবরেটরি সুবিধা, যা গবেষণার কাজে অত্যন্ত সহায়ক। এখানে মোট ৩০ জন বিজ্ঞানী রয়েছেন, যার মধ্যে প্রকাশিত তালিকায় নিটারের কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের সহকারী অধ্যাপক জনাব আনিছুর রহমান এর নাম উল্লেখযোগ্য।

    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      ঢাবির হল থেকে যেতো প্রশ্নের সমাধান: প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে গ্রেপ্তার ৫

      নিজস্ব প্রতিবেদক
      ২৫ এপ্রিল, ২০২৪ ২১:৩৬
      নিজস্ব প্রতিবেদক
      ঢাবির হল থেকে যেতো প্রশ্নের সমাধান: প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে গ্রেপ্তার ৫

      প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার তৃতীয় ধাপে ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে প্রশ্নপত্র ফাঁসের সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (দক্ষিণ) বিভাগ।

      গ্রেফতারদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী জ্যোতির্ময় গাইন (২৬) ও সুজন চন্দ্র রায় (২৫) আর তিন পরীক্ষার্থী হলেন- মনিষ গাইন (৩৯), পংকজ গাইন (৩০) ও লাভলী মন্ডল (৩০)।

      বৃহস্পতিবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর-রশীদ।

      পুলিশ জানায়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ২০ এপ্রিল ঢাকা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের আইন বিভাগের দুই শিক্ষার্থী জ্যোতির্ময় গাইন ও সুজন চন্দ্র রায়কে আটক করা হয়। তারা হলে বসেই জ্যোতির্ময় গাইনের চাচা ও প্রশ্নফাঁস কাণ্ডের মূল হোতা অসীম গাইনের নির্দেশে হলে বসে প্রশ্ন সমাধান করে তা পরীক্ষার্থীদের সরবরাহ করতো৷

      জিজ্ঞাসাবাদের পর ২১ তারিখ তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয় এবং গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ২৪ এপ্রিল মাদারীপুর থেকে আরো তিন পরীক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। প্রশ্নপত্র পেয়ে পরীক্ষা দেওয়া ওই তিন শিক্ষার্থী হলেন: পংকজ গাইন(৩০), মনিশ গাইন এবং লাভলী মন্ডল (৩০)। তাদের এখনও জিজ্ঞাসাবাদ চলছে৷ তবে ঘটনার মূল হোতা অসীম গাইন এখনো পলাতক, তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালছে৷

      সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় গত ২৯ মার্চ। ২১ এপ্রিল দুই দফায় ফল প্রকাশ করা হয়। প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়ে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পুরো ঘটনা নিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ তদন্ত শুরু করে।

      তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া গেছে, পরীক্ষার দিন মাদারীপুর জেলার পাঁচটি কেন্দ্রে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়। টাকার বিনিময়ে চক্রের পরীক্ষার্থী সদস্যরা পরীক্ষা শুরুর সঙ্গে সঙ্গে প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে বাইরে চক্রের সমাধানকারী গ্রুপের কাছে পাঠিয়ে দেয়। এরপর তা দ্রুত সমাধান করে টাকা নেওয়া বা চুক্তি করা শিক্ষার্থীদের কাছে ডিভাইসের মাধ্যমে কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হয়। আটক জ্যোতির্ময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা ভবনের আবাসিক ছাত্র এবং সুজন একই হলের সন্তোষচন্দ্র ভট্টাচার্য ভবনের আবাসিক ছাত্র।

      গোয়েন্দা-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (দক্ষিণ) বিভাগের উপকমিশনার মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার (তৃতীয় ধাপ) প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় ডিএমপির রমনা থানায় সাইবার নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা হয়েছে। মামলাটি তারা তদন্ত করছেন।’

      এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মূলত মাদারীপুরের পাঁচটি পরীক্ষা কেন্দ্রে ফাঁস হওয়া প্রশ্নের সমাধান নিয়ে পরীক্ষা দেয় একদল শিক্ষার্থী। ২৯ মার্চ কেন্দ্রে দায়িত্বরত শিক্ষকরা আট পরীক্ষার্থীকে আটক করে। পরে দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রের সমাধান ও ডিভাইস জব্দ করা হয়। ওই ঘটনায় মাদারীপুর সদর থানায় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের উচ্চমান সহকারী রেজাউল করিম বাদী হয়ে মামলা করেন।

      মামলার এজাহারে বলা হয়, মাদারীপুরে ১৮টি পরীক্ষা কেন্দ্রে নিয়োগ পরীক্ষার সময়ে কয়েকটি কেন্দ্রে কিছু পরীক্ষার্থী লিখিত পরীক্ষায় অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল করতে ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইসে (ব্যবহৃত মোবাইল) মেসেজ অপশনে উত্তরপত্রের লিখে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। তাদের মধ্যে মাদারীপুর সদরে কুলপদ্বী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে নোমান আহম্মেদ (২৬), মাদারীপুর সরকারি কলেজ পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে সঞ্জয় রায় (৩২), সদরের আলহাজ আমিন উদ্দিন হাইস্কুল কেন্দ্র থেকে সাথী আক্তার (৩০), তৃষ্ণা বালা (২৯), শামসুন্নাহার ভূঁইয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মুক্তি বাড়ৈ (২৬), সদরের জুলিও কুরী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে দূর্গা হাওলাদার (৩২), নিপা বৈদ্য (২৭) ও শিখা কির্তনীয়াকে (৩২) আটক করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পলাতক অসীম গাইন (৪৫) ও উজ্জ্বল সরকারকে (৩২) আসামি করা হয়।

      এজাহারে বলা হয়, আসামিদের মাদারীপুর জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অসৎ উপায়ে মোবাইল ফোনের মেসেজের মাধ্যমে পরীক্ষার উত্তর সরবরাহ করা চক্রের সঙ্গে তাদের যোগসাজশ রয়েছে। আটক পরীক্ষার্থীরা মোবাইল ফোন নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করে পরীক্ষা চলাকালে প্রশ্নের উত্তর মোবাইলের মেসেজের মাধ্যমে পেয়ে উত্তরপত্রে তা লিখার সময়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে নিযুক্ত কক্ষ পরিদর্শক ও বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটদের হাতে আটক হয়।

      প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহম্মদ গণমাধ্যমে বলেন, ‘প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে, এমন তথ্য তাদের কাছে নেই। ফাঁস হওয়া প্রশ্নের সমাধান দেখে মাদারীপুরের কয়েকটি কেন্দ্রে কয়েক পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দেওয়ার সময়ে আটকের বিষয়েও তিনি অবগত নন বলে জানান। ওই ঘটনায় মামলার বিষয়েও জানেন না।’

      তিনি বলেন, জেলাগুলোতে জেলা প্রশাসকেরা (ডিসি) পরীক্ষা কমিটির সভাপতি থাকেন। মাদারীপুরের ঘটনাটি সেখান থেকে কেউ অবগত করেনি।

      প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য

        নতুন কারিকুলামে শ্রেণিতে ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী নয়: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী

        নিজস্ব প্রতিবেদক
        ২৫ এপ্রিল, ২০২৪ ১৯:৪৭
        নিজস্ব প্রতিবেদক
        নতুন কারিকুলামে শ্রেণিতে ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী নয়: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী

        শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার চাঁপা বলেছেন, নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নে প্রতি শ্রেণিতে ৫৫ জন শিক্ষার্থীর বেশি ভর্তি করা উচিত নয়। সে বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ক্রমে সব সমস্যারই সমাধান হবে।

        বৃহস্পতিবার সাভারের ব্রাক সিডিএম-তে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন- সেকেন্ডারি এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের ‘ডিসেমিনেশন অব নিউ কারিকুলাম’ স্কিম কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর ও এসইডিপি এর কর্মকর্তাগণের ‘নতুন শিক্ষাক্রম বিস্তরণ, মনিটরিং ও মেন্টরিং’ বিষয়ক দুই দিনব্যাপী এক ওরিয়েন্টেশন কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

        অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘নতুন শিক্ষাক্রম নানাবিধ চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়েই বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে শিক্ষকের স্বল্পতা রয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাতও হয়তো কাঙ্ক্ষিত মানে নেই। এনটিআরসিএ শিক্ষক স্বল্পতার বিষয়টি নিরসনের লক্ষ্যে কাজ করছে। তাই নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নে প্রতি শ্রেণিতে ৫৫ জন শিক্ষার্থীর বেশি ভর্তি করা উচিত নয়। সে বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ক্রমে সব সমস্যারই সমাধান হবে’।

        বেগম শামসুন নাহার চাঁপা বলেন, এখন সময় এসেছে নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একযোগে কাজ করার। শিক্ষার রূপান্তরের সাথে সাথে শিক্ষা প্রশাসনের দায়িত্ব ও কর্তব্যেরো রূপান্তর জরুরি।

        তিনি বলেন, এই ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা কর্মকর্তাদের স্ব-স্ব দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন করতে সহযোগিতা করবে। শিক্ষার উন্নয়নে বাজেট বা অর্থ-সংস্থান কোনো বড় বাধা নয়। শিক্ষায় পূর্বের তুলনায় বরাদ্দ ব্যাপকভাবে বাড়ানো হয়েছে; আগামীতে আরও বাড়বে।

        প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন নতুন কারিকুলাম প্রনয়ণ ও বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট যারা আছেন, তাদের অনুরোধ করব মূল্যায়ন নিয়ে জনমনে যে-প্রশ্ন রয়েছে, শিক্ষার্থীর উচ্চ শিক্ষা নিয়ে অভিভাবকদের মনে যে –উদ্বেগ রযেছে, আমাদের সবাইকে এই নতুন ভাবনার সম্পৃক্ত করা প্রয়োজন। এগুলো দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিরসন করা জরুরি।

        প্রাসঙ্গিক
          মন্তব্য

          চবিতে জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে ডিএনএ দিবস উদযাপন

          নিজস্ব প্রতিবেদক
          ২৫ এপ্রিল, ২০২৪ ১৯:৪৫
          নিজস্ব প্রতিবেদক
          চবিতে জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে ডিএনএ দিবস উদযাপন

          চবি প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগের উদ্যাগে ডিএনএ এর গঠন আবিষ্কারের ৭ দশক পূর্তি উপলক্ষ্যে দিনব্যাপি বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে ডিএনএ দিবস ২০২৪ উদযাপিত হয়েছে।

          বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বেলা ১২ টায় বিভাগের সেমিনার কক্ষে এটি অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে সকাল থেকে র‍্যালী, পোস্টার এক্সিবিশন, ফটো এক্সিবিশন, কুইজ প্রতিযোগিতা ও আলোচনাসহ নানা কার্যক্রমের আয়োজন করে বিভাগটি।

          এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক বেনু কুমার দে এবং উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সেকান্দর চৌধুরী।

          'মেকিং সেন্স অব ইউর ডিএনএ' শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের শিক্ষক এবং জাতীয় ফরেনসিক ডিএনএ প্রোফাইলিং ল্যাবরেটরীর কারিগরী উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শরীফ আখতারুজ্জামান।

          তিনি বলেন, ডিএনএ পৃথিবীকে পরিবর্তন করে দিয়েছে ফরেনসিক সাইন্স যা অপরাধী সনাক্ত করে, পিতামাতা সনাক্ত করে, অভিবাসী বিতর্ক, কিনশিপ এনালাইসিস, উত্তরাধিকার বিতর্ক এবং ধ্বংসাবশেষ সনাক্তকরণের জন্য ব্যবহৃত হয়।

          অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. সেকান্দার চৌধুরী বলেন, মহাকালের যে বয়স হয়েছে তার তুলনায় ডিএনএর ৭১ বছর কিছুই নয়। আমি এই বিভাগের সফলতা কামনা করি।

          এছাড়াও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক বেনু কুমার দে, জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. তৌহিদ হোসেন, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আল-ফোরকান, জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. তৌহিদ হোসেন ও বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. লায়লা খালেদা।

          উল্লেখ্য, মানব ইতিহাসে ডিএনএ এর গঠন আবিষ্কারের প্রভাব নিয়ে প্রথম পর্যায়ে এ বিভাগের আয়োজনে কুইজ, পোস্টার প্রদর্শনী, ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতা ইত্যাদির আয়োজন করা হয়।

          প্রাসঙ্গিক
            মন্তব্য
            সর্বশেষ সংবাদ
              সর্বাধিক পঠিত