ঢাকা, শুক্রবার, ৯ মে ২০২৫ ২৭ বৈশাখ ১৪৩২
 
শিরোনাম

গণস্বাস্থ্য কতৃক বন্যার্ত কৃষকদের সহায়তা প্রদান

নিজস্ব প্রতিবেদক
১৪ নভেম্বর, ২০২২ ১৪:৯
নিজস্ব প্রতিবেদক
গণস্বাস্থ্য কতৃক বন্যার্ত কৃষকদের সহায়তা প্রদান

গবি প্রতিনিধিঃ সিলেটের বিশ্বনাথে প্রলয়ংকারী বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে বোরো ধানের বীজ, ৫ প্রকারের সবজির বীজ, পোনামাছ, হাঁস ও ঢেউটিন বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।

সোমবার (১৪ নভেম্বর) সোমবার সকাল ১০ টায় Secours Populiare Francais (SPF) এর সহযোগিতায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র কৃষি সমবায় বিভাগের আয়োজনে বিশ্বনাথ উপজেলার বৈরাগী বাজার সংলগ্ন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে- নওধারে উক্ত বীজ বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কৃষি সমবায় বিভাগের পরিচালক রঞ্জন কুমার মিত্র সাহেবের সভাপতিত্বে ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র -নওধার শাখার ম্যানেজার সোহরাব আহমদ পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্বনাথ উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান এডভোকেট মোহাম্মদ আলমগীর, বিশেষ অথিতি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বিশ্বনাথ উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শাহ কামরান আহমদ, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কৃষি বিভাগের রিজিওনাল ম্যানেজার মনমথ পান্ডে বাদল, গগণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মানবসম্পদ বিভাগের এডমিন অফিসার শাহনাজ পারভীনপ্রমুখসহ বিভিন্ন কর্মকর্তা ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

এসময় বিশ্বনাথ উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের ২শত জন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র কৃষকের মাঝে ১০ কেজি করে উচ্চ ফলনশীল বোরো ধানের বীজ বিতরণ করা হয় এবং এ ধানের চাষাবাদ সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেয়া হয় ও পাশাপাশি এই ধানের চাষাবাদ সম্পর্কে লিফলেট দেয়া হয়।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কৃষি সমবায় বিভাগের পরিচালক রঞ্জন কুমার মিত্র বলেন, 'দক্ষিণ বঙ্গের পাশাপাশি সিলেট - সুনামগঞ্জ অঞ্চলে বন্যা পরবর্তীতে আমরা নিশ্চিত করছি প্রকৃত দরিদ্র কৃষকেরা যেন গণস্বাস্থ্যের কৃষি সেবা পায়।' আগামীতেও এ অঞ্চলে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কৃষি সমবায় বিভাগ দরিদ্র কৃষকদের মাঝে এ কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।

হাবিবুল্লাহ নামে একজন সাধারণ কৃষক বলেন, 'বন্যায় আমরা আবাদী ক্ষেত জমি হারিয়ে অনেক দূর্ভোগের ভেতরে ছিলাম। কিন্তু এসময় গণস্বাস্থ্য আমাদের পাশে দাঁড়িয়ে ধানের বীজ, প্রশিক্ষণ দেওয়ায় আমরা চিরকৃতজ্ঞ। এর আগে বন্যায় আমাদেরকে গণস্বাস্থ্য ত্রাণ চিকিৎসা ও পশু খাদ্য দিয়ে সহায়তা দিয়েছে গণস্বাস্থ্য।'

উল্লেখ্য, বিশ্বনাথ উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের ২শত জন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত্য কৃষকের মাঝে ১০ কেজি করে উচ্চ ফলনশীল বোরো ধানের বীজ, ৪ শত পরিবারের মাঝে ৫ প্রকারের সবজির বীজ, ১শত পরিবারের মাঝে বিভিন্ন প্রজাতির পোনামাছ, ৫০ টি পরিবারের মাঝে ৪ টি করে হাঁস এবং ৪০ টি পরিবারের মাঝে ১ বান করে ঢেউটিন বিতরণসহ ১০০ লোকের হাঁস পালনের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করবে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।

এছাড়া ইতোমধ্যে গণস্বাস্থ্যের উদ্যোগে ১২০ জন কৃষককে বসত বাড়িতে সবজি চাষের প্রশিক্ষণ এবং ১০০ জন লোকের মৎস চাষের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে।

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    বাকি খাইয়ে নিঃস্ব চবির অলি ভাই, ৩৪ বছর ব্যবসা করে শূন্য হাতে ফিরলেন

    নিজস্ব প্রতিবেদক
    ১৪ নভেম্বর, ২০২২ ১৩:৫০
    নিজস্ব প্রতিবেদক
    বাকি খাইয়ে নিঃস্ব চবির অলি ভাই, ৩৪ বছর ব্যবসা করে শূন্য হাতে ফিরলেন

    চৌত্রিশ বছর আগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ক্যাম্পাসে আসেন বরিশালের অলিম উদ্দীন। জমি বেচে দেড় লাখ টাকা পুঁজি নিয়ে আসেন তিনি। ক্যাম্পাসে খোলেন খাবারের হোটেল। প্রায় তিন যুগ ধরে কোনো রকম টিকে ছিলেন। কিন্তু করোনার ধাক্কা সামলাতে পারলেন না। তল্পিতল্পা গুটিয়ে ক্যাম্পাস ছাড়লেন তিনি।

    বাকির খাতা পূর্ণ করে নিঃস্ব হয়ে বাড়ি ফিরলেন তিনি। গতকাল রোববার পুঁজি হারিয়ে শূন্য হাতে ক্যাম্পাস ছেড়েছেন বলে জানা যায়। সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের কাছে তাঁর পাওনা প্রায় ৬ লাখ টাকা।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহজালাল হলের সামনে ‘প্রয়াস’ নামের খাবার হোটেলটি ছিল অলিম উদ্দীনের। তিনি ছাত্রদের কাছে ‘অলি ভাই’ নামেই পরিচিত ছিলেন। করোনার সময় ক্যাম্পাস দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েন। করোনা সংক্রমণের তীব্রতা কমার পর ক্যাম্পাস খুললে আবার ব্যবসা শুরু করেন। তবে দীর্ঘদিন ধরে বাকি–বকেয়া আদায় করতে না পেরে ক্রমে পুঁজি হারিয়ে ফেলেন। সর্বশেষ গত ৩১ অক্টোবর একেবারে নিঃস্ব হয়ে দোকান ছেড়ে দেন।

    অলিম উদ্দীন বলেন, ‘১৯৮৮ সালে জমি বিক্রি করে দেড় লাখ টাকা নিয়ে বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আসি। শুরুর দিকে ভালোভাবে ব্যবসা করতে পারলেও গত কয়েক বছর ধরে ব্যবসা ভালো যাচ্ছিল না। যার অন্যতম কারণ বাকি খেয়ে টাকা না দিয়ে চলে যাওয়া। শিক্ষার্থীদের কাছে আমি প্রায় ৬ লাখ টাকা বকেয়া পাই। কিন্তু তাঁরা টাকা না দিয়ে ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যায়।’

    অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত মনে অলিম উদ্দীন বলেন, ‘ছাত্রাবস্থায় যারা বাকি খেয়েছে, তাদের অনেকে এখন ভালো ভালো জায়গায় চাকরি করে। তারা চাইলে আমার টাকাগুলো দিয়ে দিতে পারে। কিন্তু দেয় না। বাকি খাওয়াতে খাওয়াতে আমি একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেছি। দোকান ছেড়ে খালি হাতে ক্যাম্পাস থেকে চলে এসেছি। যারা আমার কাছ থেকে বাকি খেয়েছে, তারা যেন আমার মোবাইল নম্বরে বিকাশ করে টাকা পাঠিয়ে দেয়।’

    বাড়িতে গিয়ে কী করবেন জানতে চাইলে অলিম বলেন, ‘এখন আমার কিছু করে খাওয়ার মতো বয়স নেই। আল্লাহ–বিল্লা করে কোনোমতে কাটাব।’

    আইন বিভাগের অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন এক ফেসবুক পোস্টে বলেন, ক্ষুধার্ত আপনাকে অলি আহমেদ নিজের অর্থ খরচ করে রান্না করে খাইয়েছেন। আপনার বকেয়া পরিশোধ করে সর্বস্বান্ত অলি আহমেদের পাশে দাঁড়ানো আপনার আইনগত, নৈতিক ও মানবিক দায়িত্ব। অন্যথায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় পাস করলেও মনুষ্যত্বের পরীক্ষায় আপনি চূড়ান্তভাবে অকৃতকার্য।

    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনেই ঝালমুড়ি বেচেন: বিসিএসের পাশাপাশি বিদেশে পড়তে যাওয়ার বাসনা

      নিজস্ব প্রতিবেদক
      ১৪ নভেম্বর, ২০২২ ১০:৩১
      নিজস্ব প্রতিবেদক
      নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনেই ঝালমুড়ি বেচেন: বিসিএসের পাশাপাশি বিদেশে পড়তে যাওয়ার বাসনা

      বিকেল বাজে তখন ৪টা। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের পাশে ঝালমুড়ি বিক্রি করছেন একজন। তার নাম আব্বাস উদ্দিন। প্রথমে দেখে সৌখিন দোকানী মনে হবে নিশ্চিত। তবে আব্বাসের ঝালমুড়ি বিক্রেতা হয়ে ওঠার গল্পটি সংগ্রামের, কষ্টের। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী। আব্বাস ছোটবেলা থেকেই আর্থিক টানাপোড়ন দেখে বড় হয়েছে। মেধাবী আব্বাসের প্রধান প্রতিবন্ধকতা দারিদ্র্য। কিন্তু হাল ছাড়ার পাত্র নন তিনি।

      ছোটবেলা থেকে মেধাবী আব্বাস বড় স্বপ্ন নিয়ে বেড়ে উঠছিলেন। কিন্তু শুরু থেকে আর্থিক অনটন, বাবা-মায়ের টানাপোড়নের সংসার বাধা হয়ে দাঁড়ায় তার স্বপ্নপূরনে।পড়ালেখায় তার অদম্য আগ্রহ দেখে তার পাশে দাঁড়ায় বড় ভাই আক্কাস উদ্দিন। কিন্তু করোনা কালীন সময়ে বড় ভাইয়ের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেলে ফের দুঃখ নেমে আসে তার ও তার পরিবারে। তিন ভাই বোনের মধ্যে সবার ছোট আব্বাস। ভাই আক্কাস ও বোন ফাতেমার বিয়ে হয়ে গেলে মা শাহানারা বেগমকে নিয়ে দুজনের সংসার তাদের।

      নবম শ্রেণিতে পড়াকালে চাকরি করে নিজের পরিবারের পাশে দাঁড়ান তিনি। দর্জি, রাজমিস্ত্রির সহকারী, ভিডিও ফটোগ্রাফিসহ নানা কাজ করতে হয়েছে তাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশেই ছোট্ট একটি বাসায় মাকে নিয়ে বসবাস করেন আব্বাস। সম্প্রতি সংসারের টানাপোড়ন নিয়ে চিন্তার ভাজ পড়ে আব্বাসের কপালে। তখনি মাথায় আসে ক্যাম্পাসের সামনে ঝালমুড়ি বিক্রির আইডিয়া। পড়ালেখার পাশাপাশি এই ঝালমুড়ি বিক্রি করে সংসার চালাতে হচ্ছে বলে জানান আব্বাস। তিনি বলেন, ক্লাস শেষ হওয়ার পর যতটুকু সময় পাই সেই সময়টাতে বিক্রি করি। বেচাকেনা শেষ করে বাসায় যেতে প্রায় রাত ১০টা বেজে যায়। সারাদিনের ক্লান্তিতে সহজে ঘুম চলে আসে তবে রাত ৪টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত একাডেমিক পড়াশোনা শেষ করার চেষ্টা করি।

      এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা যথাক্রমে ৪.১৭ ও ৩.৬৭ রেজাল্ট করা আব্বাসের বিশ্ববিদ্যালয় পড়ার স্বপ্ন ছিল স্কুল জীবন থেকে। অর্থের অভাবে ভর্তির কোচিং করার পর্যন্ত সুযোগ পায়নি আব্বাস। বন্ধুদের কাছ থেকে ধার করে বই পড়েছেন। তার এই বন্ধর পথ চলায় সবসময় সাহস জুগিয়েছে খালাতো বোন জান্নাত। এইচএসসিতে প্রথমবার ইংরেজিতে কৃতকার্য হতে না পারা আব্বাস ভর্তি পরীক্ষায় সেই ইংরেজিতে ৩০ মার্কের মধ্য ২৫ পেয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগে ভর্তি হয়। আর্থিক অনটনের কারণে কয়েকটি মেধাবৃত্তি পেলেও শর্ত সাপেক্ষ হওয়ায় নিতে পারেনি বলে জানান।

      আব্বাসের সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) প্রস্তুতির পাশাপাশি বিদেশে পড়ালেখা করতে যাওয়ার বাসনাও আছে। তিনি বলেন, অর্থনীতিতে পড়লে বিসিএসের পাশাপাশি বিদেশে উচ্চতর শিক্ষার জন্য প্রায় ১৬টি ডিগ্রির সুযোগ রয়েছে। ফুল স্কলারশিপ অথবা ৫০ শতাংশ স্কলারশিপের সুযোগ পেলে উচ্চতর ডিগ্রী অর্জনের জন্য বিদেশে চলে যাব। তার জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। নিজস্ব সম্পত্তি না থাকায় এখন থেকেই কিছু একটা করার চেষ্টা করছি। তাছাড়া পরিবারের আয় করার মতো মানুষও নেই। আমি কার ওপর নির্ভর করব? জন্ম থেকেই পরিবারের যতটুকু সামর্থ্য ছিল ততটুকু দিয়ে বড় করেছেন। এখনও পরিবারের ওপর নির্ভরশীল হয়ে থাকাটা নিজের কাছে বোঝা মনে হচ্ছে।

      তার মা শাহানার বেগম ছেলের সংগ্রামের কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন। পরিবারের ভরণপোষণের দায়িত্ব নিতেই তিনি ঝালমুড়ির দোকান দিয়েছেন।

      আব্বাস বলেন, ক্যাম্পাসের ভিতরে হলে আরো নিরাপদ ও সুবিধা হতো বলে মনে করেন তিনি। তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট বসার মতো কোথাও জায়গা পাচ্ছি না, যার কারণে যখন যেখানে সুযোগ পাই সেখানে বসে দোকান চালিয়ে নিই। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা পেলে ব্যবসার কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে চালিয়ে নিতে সহজ হতো।

      আব্বাসের ঝালমুড়ি খেতে বিকেল থেকে সন্ধ্যা অবধি ভিড় লেগে থাকে শিক্ষার্থীদের। তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র এভাবে ঝালমুড়ি বিক্রি করতে পারে সেটাই কল্পনাতীত। তার জীবন সংগ্রামের, তার অদম্য সাহস আমাদের মুগ্ধ করে। তার ঝালমুড়ি কেমন হচ্ছে সেটি বিষয় নয়, সে আমাদের ক্যাম্পাসের। আমরা এজন্য এখানে খেতে আসি। এসময় অনেকে ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে আব্বাস বসতে দেয়ার দাবি জানান।

      এ বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থনীতি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মুহ. আমিনুল ইসলাম আকন্দ বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা পূর্ব থেকে অবগত আছি। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে আমরা সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছি, তার নাম আমাদের নোটবুকে আছে। এছাড়াও ভবিষ্যতে সুযোগ পেলে আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করতে চাই। সুনির্দিষ্ট স্থানে আব্বাসের দোকানের বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের রিসোর্স সীমিত থাকার কারণে আমরা কোনো কিছু করতে পারছি না। বিষয়টা সামাজিক দায়বদ্ধতার মধ্যে পড়ে। এ বিষয় নিয়ে আমরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব।

      প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য

        মেরিন ফিশারিজ একাডেমি, চট্টগ্রামের ক্যাডেট ভর্তির চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশিত

        নিজস্ব প্রতিবেদক
        ১৪ নভেম্বর, ২০২২ ৯:৬
        নিজস্ব প্রতিবেদক
        মেরিন ফিশারিজ একাডেমি, চট্টগ্রামের ক্যাডেট ভর্তির চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশিত

        আব্দুল্লাহ আল মাসুদ (এমএফএ প্রতিনিধি): মেরিন ফিশারিজ একাডেমি, চট্টগ্রামের ক্যাডেট ভর্তির চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে।

        গত ২৯ অক্টোবর ২০২২ তারিখে মেরিন ফিশারিজ একাডেমি, চট্টগ্রামের ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে ৪৩তম ব্যাচে মেরিন ফিশারিজ বিভাগে ক্যাডেট ভর্তির লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় । লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের দুইটি গ্রুপে বিভক্ত করে যথাক্রমে গ্রুপ-১ এর ৭ নভেম্বর ও গ্রুপ-২ এর ৮ নভেম্বর মৌখিক পরীক্ষা, সাঁতার পরীক্ষা, প্রাথমিক স্বাস্থ্য এবং চক্ষু ও রং দর্শন পরীক্ষা মেরিন ফিশারিজ একাডেমি’র সুইমিংপুল, সিক বে, প্রশাসনিক ভবনে অনুষ্ঠিত হয় ।

        ১৩ নভেম্বর ২০২২ তারিখে একাডেমির ওয়েবসাইটে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে । প্রকাশিত চূড়ান্ত ফলাফলে মেধা তালিকায় ৩০ জন ও অপেক্ষমান তালিকায় ৩০ জন মনোনীত হয়েছে ।

        মেধা তালিকার মনোনীত প্রার্থী আগামী ১৫ নভেম্বর ২০২২ হতে ১৭ নভেম্বর ২০২২ পর্যন্ত সকাল ৯:০০ ঘটিকা হতে বিকাল ৩:০০ ঘটিকা পর্যন্ত ভর্তি হতে পারবে । উপরোক্ত সময়ের মধ্যে যদি কোন প্রার্থী কোন কারণে ভর্তি হতে ব্যর্থ হয় তবে তার ভর্তির যোগ্যতা সরাসরি বাতিল বলে গণ্য হবে।

        আসন শূন্য থাকা সাপেক্ষে অপেক্ষমান তালিকা হতে মেধাক্রমানুসারে ২০ নভেম্বর ২০২২ হতে ২৩ নভেম্বর ২০২২ পর্যন্ত ভর্তি করানো হবে ।

        ক্যাডেট ভর্তির সকল তথ্য ও নির্দেশনাবলী মেরিন ফিশারিজ একাডেমি’র ওয়েব সাইটে প্রকাশিত হয়েছে । ওয়েবসাইটের লিংক ক্লিক করুনা।

        প্রাসঙ্গিক
          মন্তব্য

          চার বছর ধরে শিক্ষার্থী সেজে ছিলেন: তিনি এখন লাপাত্তা!!

          নিজস্ব প্রতিবেদক
          ১৩ নভেম্বর, ২০২২ ২২:১৪
          নিজস্ব প্রতিবেদক
          চার বছর ধরে শিক্ষার্থী সেজে ছিলেন: তিনি এখন লাপাত্তা!!

          বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র না হয়েও আবাসিক হলে থাকতেন তিনি। বিভিন্ন সংগঠনের সভা-সমাবেশে, মিছিল-মিটিং সব জায়গায় ছিলেন সরব। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরছে বিভিন্ন শিক্ষকের সঙ্গে তাঁর ছবি। বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত বিভিন্ন ক্রীড়া অনুষ্ঠানে অংশও নিয়েছেন হরহামেশা। এত কিছুর পরে জানা গেল, অন্যের পরিচয়পত্র ব্যবহার করে শিক্ষার্থী সেজে তিনি এসব করে বেড়াতেন।

          দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। ওই ভুয়া শিক্ষার্থীর নাম মফিজুর রহমান ওরফে রাফি। মফিজুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মাফিজুর রহমানের পরিচয়পত্র ব্যবহার করতেন। আসল মাফিজুর রহমান ১৯তম ব্যাচের কৃষি অনুষদের সি গ্রুপের শিক্ষার্থী। তাঁদের দুজনের নাম এত কাছাকাছি হওয়ায় বিষয়টি প্রায় চার বছর ধরে বোঝা যায়নি বলে ধারণা করা হচ্ছে। মাফিজুর রহমান ডরমিটরি-২ (জিয়াউর রহমান) আবাসিক হলের শিক্ষার্থী। তবে তাঁর বাড়ি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে হওয়ায় তিনি হলে থাকতেন না। বাড়ি থেকেই ক্যাম্পাসে যাতায়াত করেন। এ সুযোগে তাঁর পরিচয়পত্র দেখিয়ে মফিজুর সেখানে থাকতেন।

          শিক্ষার্থীরা বলেন, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এক ব্যাডমিন্টন খেলার আয়োজন করে। ১৯তম ব্যাচের এক শিক্ষার্থী সে খেলায় নিবন্ধন করতে গিয়ে দেখেন মফিজুরও নিবন্ধন করেছেন। কিন্তু তাঁর আইডি নম্বর তাঁর পরিচিত একজনের সঙ্গে মিলে গেছে। বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ হলে ওই ছাত্র প্রকৃত শিক্ষার্থী মাফিজুর রহমানকে বিষয়টি জানান। পরে মাফিজুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরের কাছে গত বৃহস্পতিবার লিখিত অভিযোগ দেন।

          মুঠোফোনে মাফিজুর রহমান বলেন, ‘বন্ধুর কাছে জানতে পেরে খোঁজ নিয়ে দেখি মফিজুর রহমান রাফি নামের কোনো শিক্ষার্থী নেই। স্যাররাও খোঁজ নিয়ে ওই নামের কাউকে পাননি। পরে প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ করি। আমি জানি না সে আমার আইডি ব্যবহার করে আরও কোনো অপরাধ করেছে কি না?’

          ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকে মফিজুর রহমান ওরফে রাফি আত্মগোপন করেছেন। মুঠোফোনটিও বন্ধ রেখেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষি অনুষদের কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কৃষি অনুষদে এ, বি, সি—তিনটি গ্রুপ আছে। প্রতিটি গ্রুপে শিক্ষার্থী সংখ্যা ১৩০-১৫০ জন। এ গ্রুপের শিক্ষার্থীরা জানতেন, মফিজুর বি গ্রুপের ছাত্র আবার বি গ্রুপের শিক্ষার্থীরা জানতেন মফিজুর সি গ্রুপের ছাত্র। তবে কেউই তাঁকে ক্লাস করতে দেখেনি। ক্লাস করার কথা বললে মফিজুর বলতেন, ক্লাস করতে তাঁর ভালো লাগে না। তাই ক্লাসে যান না। শুধু পরীক্ষায় অংশ নেন।

          কৃষি অনুষদের ডিন রওশন আরা বলেন, ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে প্রক্টরের সঙ্গে কথা হয়েছে। সব শিক্ষকের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি পরিষ্কার হওয়া যাবে। কর্তৃপক্ষ বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।

          মফিজুর রাফি বিশ্ববিদ্যালয়ে ডরমিটরি-২ (জিয়াউর রহমান) আবাসিক হলে থাকতেন। ডরমিটরি-২ আবাসিক হলের হল সুপার আবু সাঈদ বলেন, এ বিষয়ে তাঁরা তদন্ত শুরু করেছেন।

          প্রক্টর মামুনুর রশিদ বলেন, প্রকৃত ঘটনা জানতে তাঁরা কাজ করছেন। তাঁরা অভিযুক্ত ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছেন।

          প্রাসঙ্গিক
            মন্তব্য
            সর্বশেষ সংবাদ
              সর্বাধিক পঠিত