এসআই পদের বুদ্ধিমত্তা ও মৌখিকের মাসব্যাপী পরীক্ষা শুরু ৯ মে

বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে ক্যাডেট সাব-ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) পদে নিয়োগের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত লিখিত ও মনস্তত্ত্ব পরীক্ষাসহ কম্পিউটার দক্ষতা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ২ হাজার ৫৫০ প্রার্থীর বুদ্ধিমত্তা ও মৌখিক পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে।
শনিবার রাতে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কম্পিউটার দক্ষতা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের বুদ্ধিমত্তা ও মৌখিক পরীক্ষা ৯ মে থেকে ধাপে ধাপে নেওয়া হবে। পরীক্ষা চলবে ৯ জুন পর্যন্ত। প্রতিদিন দুই বেলা পরীক্ষা নেওয়া হবে। সকাল ৯টায় এবং বেলা ২টায়।
পরীক্ষার্থীর বয়স, শিক্ষাগত যোগ্যতা, নাগরিকত্ব ও জাতীয় পরিচয়পত্রের মূল কপি সঙ্গে আনতে হবে। প্রার্থীদের এই ওয়েবসাইট থেকে http://police.teletalk.com.bd/home.php নতুনভাবে প্রবেশপত্র সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, ৬ ফিনিক্স রোড, ফুলবাড়িয়া, ঢাকায় উপস্থিত হতে হবে।
পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে উপস্থিত হতে হবে। লিখিত ও মনস্তত্ত্ব পরীক্ষার প্রবেশপত্রও সঙ্গে আনতে হবে। পরীক্ষার্থীদের কোভিড-১৯–সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে।
বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে ক্যাডেট সাব-ইন্সপেক্টর পদে নিয়োগের জন্য গত ডিসেম্বরে প্রার্থীদের শারীরিক মাপ, কাগজপত্র যাচাইকরণসহ শারীরিক সক্ষমতা যাচাই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের লিখিত ও মনস্তত্ত্ব পরীক্ষা গত জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হয়। লিখিত ও মনস্তত্ত্ব পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয় গত ১৭ ফেব্রুয়ারি। এরপর অনুষ্ঠিত হয় কম্পিউটার দক্ষতা পরীক্ষা। উন্নত বাংলাদেশের উপযোগী করে পুলিশকে গড়ে তোলার লক্ষ্যে এবার নতুন নিয়মে এসআই পদের পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে।
কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের ফল প্রকাশ

বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের (বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ) ৪৫তম কেন্দ্রীয় পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এবার পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৭৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ।
ইবতেদায়ি (পঞ্চম), নাহবেমির (সপ্তম), শরহে বেকায়া (দ্বাদশ), মেশকাত (স্নাতক) ও হিফজ—মোট পাঁচটি স্তরে এ পরীক্ষা হয়।
আজ শনিবার বিকেলে রাজধানী যাত্রাবাড়ীর কাজলায় বেফাকের মহাপরিচালক মাওলানা মুহাম্মদ যুবায়ের বোর্ডের পক্ষ থেকে শিক্ষা বোর্ডের সভাপতি ও আল-হাইয়াতুল উলয়ার চেয়ারম্যান মাওলানা মাহমুদুল হাসানের অনুমতিক্রমে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন।
বেফাক জানিয়েছে, এ বছর কেন্দ্রীয় পরীক্ষায় পরীক্ষার্থী ছিল ২ লাখ ২৫ হাজার ৬৩১ জন, এর মধ্যে ১ লাখ ২ হাজার ৭২৭ জন ছাত্র, ১ লাখ ২২ হাজার ৯০৪ জন ছাত্রী। উত্তীর্ণ হয়েছে ১ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯১ জন। উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের মধ্যে মেধাতালিকা ‘মুমতায’ অর্থাৎ স্টার মার্কস পেয়েছে ৩৩ হাজার ৪৩৩ জন, প্রথম বিভাগ (জায়্যিদ জিদ্দান) পেয়েছে ৩৭ হাজার ৬৬৫ জন, দ্বিতীয় বিভাগ (জায়্যিদ) পেয়েছে ৪০ হাজার ৯০৭ জন, তৃতীয় বিভাগ (মাকবুল) পেয়েছে ৫৪ হাজার ৬৮৩ জন। পরীক্ষার ফলাফল বেফাকের নিজস্ব ওয়েবসাইট www.wifaqresult.com এ পাওয়া যাবে। পিডিএফ আকারে পাওয়া যাবে www.wifaqbd.org এবং বেফাকের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে।
বার কাউন্সিলের এমসিকিউ পরীক্ষা ১৭ জুন

বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আইনজীবী অন্তর্ভুক্তির এমসিকিউ পরীক্ষার সময়সূচি ঠিক করা হয়েছে। সূচি অনুযায়ী, আগামী ১৭ জুন বার কাউন্সিলের এনরোলমেন্ট (আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্তি) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। গত বৃহস্পতিবার বার কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বার কাউন্সিলের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অনলাইনে অ্যাডমিট কার্ড সংগ্রহের সময়সূচি এবং পরীক্ষার ভেন্যু, সময়সহ বিস্তারিত অন্য তথ্য পরবর্তী সময়ে জানানো হবে। https://www.barcouncil.gov.bd তে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে।
জিপিএ-৫ আড়াই লাখ, পরীক্ষার সুযোগ পাবে ৩৫ হাজার

করোনাভাইরাসের কারণে ২০২০ সালে এইচএসসি পরীক্ষা না নিয়েই ফল প্রকাশ করা হয়। এতে জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে রেকর্ডের সৃষ্টি হয়। ২০২১ সালে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে মাত্র ৩টি বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এবার জিপিএ-৫ পাওয়ার গতবারের রেকর্ডও ভেঙে যায়। দুই পরীক্ষা মিলে বিজ্ঞানের প্রায় আড়াই লাখ শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেলেও কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন মাত্র ৩৫ হাজার শিক্ষার্থী।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালে নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীন ১১ লাখ ৪৫ হাজার ৩২৯ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ লাখ ৫৩ হাজার ৬১৪ জন। এদের মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ২৩ হাজার ৬২০ জন। ২০২১ সালে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীন এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ–৫ পেয়েছেন ১ লাখ ৭৮ হাজার ৫২২ জন। এদের মধ্যে শতকরা ৮০ ভাগই বিজ্ঞানের শিক্ষার্থী। আর দেশের ৮টি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন ৩৫ হাজার। যদিও প্রাথমিকভাবে সবাইকে আবেদনের সুযোগ দেওয়া হয়। তবে বাছাই করা হয় জিপিএর মাধ্যমেই। ফলে জিপিএ-৫ পেয়েও ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ মেলে না। এই অবস্থায় কৃষি গুচ্ছে সিলেকশন বাতিল অথবা পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন ভর্তিচ্ছুরা।
কৃষি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বলছে, তারা তাদের আওতাভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বাইরে পরীক্ষার কেন্দ্র করতে চান না। সেজন্য প্রতিবছর মোট আসন সংখ্যার ১০ গুন শিক্ষার্থীকে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেন। এবারও সেই পথেই হাটবেন তারা। তবে নতুন করে একটি বিশ্ববিদ্যালয় যুক্ত হওয়ায় এবার আসন সংখ্যা সামান্য বাড়ানো হতে পারে। তবে বিষয়টি নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
ভর্তিচ্ছুরা বলছেন, কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষায় মাত্র ৩৫ হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। যা মোট জিপিএ-৫ প্রাপ্তির তুলনায় খুবই নগন্য। কৃষি গুচ্ছ কর্তৃপক্ষ বুয়েটের মতো প্রাথমিক বাছাই পরীক্ষা নিতে পারে। এক্ষেত্রে প্রতিযোগিতার মাধ্যমেই শিক্ষার্থী বাছাই করা যেত। তবে কেবলমাত্র জিপিএ’র ভিত্তিতে প্রাথমিক বাছাই করায় যাদের বিষয়ভিত্তিক জিপিএ ভালো তারাই পরীক্ষার সুযোগ পাবে। এতে দুই লাখের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণই করতে পারবে না।
নাজমিন সিদ্দিকা নামে এক শিক্ষার্থী জানান, গত বছর এবং এ বছর মিলিয়ে বিজ্ঞানের আড়াই লাখের বেশি শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। কিন্তু দু:খের বিষয় মাত্র ৩৫ হাজারকে পরীক্ষা দিতে দিচ্ছে কৃষি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। এটা অন্যায়। ৮ টা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ধারণক্ষমতা আরো বেশি। হয় সিলেকশন বাড়াতে হবে না হয় সবাইকে পরীক্ষার সুযোগ দিতে হবে।
হৃদয় আলম নামে আরেক শিক্ষার্থী জানান, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বুয়েটের মতো প্রিলিমিনারি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী বাছাই করতে পারে। যারা এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবে তারাই পরবর্তীতে চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। আমরা পরীক্ষার সুযোগ চাই। এটি আমাদের অধিকার। আমাদের অধিকার ফিরে পেতে প্রয়োজনে আমরা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।
সার্বিক বিষয়ে জানতে কৃষিগুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার আহবায়ক ও শেরেবাংলা কৃষি বিশ্বব্যিালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়ার ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
নারী শিক্ষার্থীদের জন্য স্নাতকে ফুল-ফ্রি স্কলারশিপ

স্নাতকে স্কলারশিপ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়াশোনার সুযোগ দিচ্ছে ‘কার্ড এগেইন্টস হিউম্যানিটি’ নামের একটি গেম কোম্পানি। বাংলাদেশের উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করা নারী শিক্ষার্থীরা এ স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের শেষ সময় আগামী আগস্ট (ফল-২০২২) থেকে আবেদন শুরু হবে।
‘সায়েন্স অ্যাম্বাসেডর স্কলারশিপ’ এর আওতায় শিক্ষার্থীদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে চার বছরের স্নাতক কোর্সের সম্পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ করা হবে। তবে এর জন্য আবেদনকারীকে অবশ্যই বিজ্ঞান-প্রযুক্তি-গণিত-ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে আগ্রহী হতে হবে।
শিক্ষার্থীরা এ স্কলারশিপের মাধ্যমে আর্কিটেকচার, একচুয়ারিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং, বায়োকেমিস্ট্রি, বায়োইঞ্জিনিয়ারিং, ইনফরমেশন সায়েন্স, কম্পিউটার সায়েন্স, নেভাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ভিডিও গ্রাফিকস, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, রোবটিকস, জীববিজ্ঞান, উদ্ভিদবিজ্ঞান, রসায়ন, গণিত, ফলিত পদার্থবিজ্ঞান, পরিবেশবিদ্যা, ভূগোল, ভূতত্ত্ববিদ্যা, ভাষাতত্ত্ব, নার্সিং, পুষ্টিবিদ্যা, সমাজবিজ্ঞান, জীবাশ্মবিজ্ঞান, প্রাণিবিদ্যা, মনোবিজ্ঞান, পরিসংখ্যান, সমুদ্রবিদ্যা, মহামারিবিদ্যা ইত্যাদি বিষয়ে স্নাতক করতে পারবেন।
* সম্পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ করা হবে।
আবেদনের যোগ্যতা
* শিক্ষার্থীকে উচ্চমাধ্যমিকে ভালো ফলাফলধারী হতে হবে। * ইংরেজি দক্ষতার সনদ প্রদর্শন করতে হবে। * ২০২২-২৩ সালের সেশনে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার প্রস্তুতি থাকতে হবে। * যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকতে হবে। * আবেদনকারীকে একটি লেকচার ভিডিও বানাতে হবে। * বিজ্ঞান-প্রযুক্তির যেকোনো বিষয়ে ভিডিও বানানো যাবে। * দৈর্ঘ্য সর্বোচ্চ তিন মিনিট। * ভিডিওর সব তথ্য বৈজ্ঞানিকভাবে সঠিক হতে হবে। * ভিডিও ইউটিউবে ‘পাবলিক’ করে আপলোড দিতে হবে।
আবেদন পদ্ধতি:
অনলাইনে আবেদন করা যাবে। আবেদন করতে ও বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন এখানে।
মন্তব্য