ঈদযাত্রায় পদ্মা সেতুতে ৭ দিনে টোল আদায় প্রায় ২৫ কোটি টাকা

ঈদযাত্রায় পদ্মা সেতুতে গত সাত দিনে মোট টোল আদায় হয়েছে ২৪ কোটি ৭৩ লাখ ৬১ হাজার টাকা। গত ১০ জুন থেকে আজ (১৬ জুন) রাত ১০টা পর্যন্ত এই টোল আদায় হয়েছে বলে সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে।
ঈদযাত্রায় সবচেয়ে বেশি টোলা আদায় হয়েছে গত ১৪ জুন। ওই দিন মোট আদায় হয় ৪ কোটি ৮২ লাখ ১৮ হাজার ৬০০ টাকা। ১৫ জুন টোল আদায় হয়েছে ৪ কোটি ৩০ লাখ ৮২ হাজার ৯০০ টাকা। আজ (১৬ জুন) রাত ১০টা পর্যন্ত টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ৩৫ লাখ ৯৯ হাজার সাতশ ৫০ টাকা।
এর আগে গত ১০ জুন টোল আদায় হয় ২ কোটি ৬০ লাখ ২৬ হাজার ৫০০ টাকা। ১১ জুন ২ কোটি ৮২ লাখ ৫১ হাজার ৫০০ টাকা। ১২ জুন ৩ কোটি ১৩ লাখ ৬০ হাজার ৪৫০ টাকা। ১৩ জুন টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ৬৮ লাখ ২১ হাজার ৭০০ টাকা।
গত ৭ দিনে পদ্মা সেতু মাওয়া প্রান্তে টোটাল টোল আদায় হয়েছে ১৩ কোটি ১৪ লাখ ৫২ হাজার ৯০০ টাকা। একই সময়ে জাজিরা প্রান্ত দিয়ে টোল আদায় হয়েছে ১১ কোটি ৫৯ লাখ ৮ হাজার ৫০০ টাকা।
সাত দিনে মাওয়া প্রান্ত দিয়ে পদ্মা সেতু অতিক্রম করেছে ১ লাখ ২২ হাজার ৫শ ৭২টি যানবাহন। জাজিরা প্রান্ত দিয়ে পদ্মা সেতু অতিক্রম করেছে ৮২ হাজার ৮৫টি যানবাহন। দুই প্রান্ত দিয়ে মোট গত ৭ দিনে ২ লাখ ৪ হাজার ৬শ ৫৭টি যানবাহন পারাপার হয়েছে।
পদ্মা সেতুর অতিরিক্ত প্রকৌশলী আমিরুল হায়দার চৌধুরী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ব.ম শামীম/এমএ
ঈদুল আজহা ঈদযাত্রা পদ্মা সেতু বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন সিলেটে কখন কোথায় ঈদের জামাত সিলেটে কখন কোথায় ঈদের জামাত কার্যালয় ও বাসভবনে একাধিক পশু, কী কোরবানি দিচ্ছেন খালেদা জিয়া? কার্যালয় ও বাসভবনে একাধিক পশু, কী কোরবানি দিচ্ছেন খালেদা জিয়া?
রংপুর সিটিতে ১১৭ স্থানে পশু জবাই, বর্জ্য অপসারণে টার্গেট ১২ ঘণ্টা রংপুর সিটিতে ১১৭ স্থানে পশু জবাই, বর্জ্য অপসারণে টার্গেট ১২ ঘণ্টা শেষ সময়ে ভোগান্তি ছাড়াই ঢাকা ছাড়ছেন ঘরমুখো মানুষ শেষ সময়ে ভোগান্তি ছাড়াই ঢাকা ছাড়ছেন ঘরমুখো মানুষ Site use implies Privacy Policy acceptance. OK
পদ্মা সেতুতে ৭ দিনে টোল আদায় প্রায় ২৫ কোটি টাকা
ঈদের দিন ঢাকাসহ চার বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা

পবিত্র ঈদুল আজহা আগামীকাল সোমবার। এদিন চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ ও রংপুর জেলার কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। ঢাকায় দুপুরে ও বিকালে হতে পারে বৃষ্টি।
এছাড়া রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও, চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে।
সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব থাকবে।
আবহাওয়াবিদ আজিজুর রহমান জানান, আষাঢ় মাস চলছে। এ কারণে সারাদেশে কমবেশি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ঈদের দিন রাজধানী ঢাকায় বেলা ১২টা থেকে তিনটার মধ্যে ৭ থেকে ৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হতে পারে। বিকালে হতে পারে হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টিপাত। এছাড়া দেশের উত্তর পশ্চিমাঞ্চল ও উত্তরাঞ্চল এবং উত্তর পূর্বাঞ্চল এবং দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
৮ লাখের শান্তকে কিনলে অশান্ত ফ্রি!

কালো আর সাদা রঙের অস্ট্রেলিয়ান ফ্রিজিয়ান প্রজাতির গরু শান্ত। ওজন ২৪ মণ। পাশেই রয়েছে দেশি সাদা রঙের অশান্ত নামের আরেকটি গরু। দুটো গরুকে ঘিরে মানুষের জটলা। সবার দৃষ্টি তাদের দিকেই। কারণ শান্তকে কিনলে গরুর মালিক অশান্তকে ফ্রিতে দিচ্ছে। দাম চাইছে ৮ লাখ টাকা। মানুষ দরদামও করছে, তবে প্রত্যাশিত মূল্য উঠলেই শান্তর সঙ্গে অশান্তকে ফ্রিতে বিক্রি করবেন গরু দুটির মালিক। খুলনার জোড়াগেট কোরবানির পশুর হাটে সকলের নজর কাড়ছে শান্ত আর অশান্ত।
গরু দুটির মালিক বাগেরহাট যাত্রাপুর গ্রামের মুরাদ খান জানান, শুক্রবার বাগেরহাট থেকে গরু দুটিকে জোড়াগেট হাটে এনেছেন তারা। অস্ট্রেলিয়ান ফ্রিজিয়ান প্রজাতির ২৪ মণের গরুটির নাম দিয়েছেন শান্ত। আর দেশি সাদা রঙের ২ মণের গরুটির নাম অশান্ত। গরু দুটির দাম হাঁকিয়েছেন ৮ লাখ টাকা।
এমন নাম দেওয়া প্রসঙ্গে মুরাদ খান গণমাধ্যমে বলেন, বড় গরুটি নিজস্ব খামারে লালন-পালন করা হয়েছে। গরুটি শান্ত প্রকৃতির। এ জন্য তার নাম শান্ত দিয়েছি। আর ছোট দেশি গরুটি দৌড়ঝাপ বেশি করে তাই তার নাম অশান্ত। মূলত মানুষের নজর কাড়তেই শান্তর সঙ্গে অশান্তকে ফ্রি দেওয়া হচ্ছে। গত কোরবানির ঈদেও একটি গরু ছিল তার নামও শান্ত ছিল। ওই শান্তর সঙ্গে একটি লাল ছাগল ফ্রিতে দেওয়া হয়েছিল। এবার গরুর সঙ্গে গরু ফ্রি দেওয়া হচ্ছে।
‘থানায় রাখা যাবে মূল্যবান সম্পদ’

ঈদের ছুটিতে স্বজনদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করতে শহর ছাড়তে শুরু করেছেন নগরবাসী। এরই মধ্যে নগর প্রায় ফাঁকা। ফাঁকা নগরে বাসা-বাড়ি চুরির ভয় সবার মাথায়। তবে এবার এ বিষয়ে অভয় দিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়। মূল্যবান সম্পদ থানায় রেখে যাওয়ার পরামর্শ তার।
তিনি বলেন, ঈদের ছুটিতে প্রতি বছরই স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে নগরবাসী শহর ছেড়ে যায়। এ সময় শহর ফাঁকা হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে আমাদের একটি অভিজ্ঞতা আছে। আমি পরামর্শ দিচ্ছি যে আপনাদের মূল্যবান যদি কোনো সম্পদ থাকে, সেগুলো আত্মীয়-স্বজনের বাসায় কিংবা থানায়ও রাখতে পারেন।
নগরীর চান্দগাঁও থানার এক কিলোমিটার এলাকার কর্ণফুলী পশুর হাটের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
সিএমপি কমিশনার বলেন, যাদের নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে, সেসব প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের একসঙ্গে ছুটি না দিয়ে পালাক্রমে ছুটি দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। আর কোনো রকম ব্যত্যয় পরিলক্ষিত হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা নেবেন। পাশাপাশি যাদের অবস্থা ভালো আছে, তাদেরকে বলেছি আপনারা আইপি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগান। যেন আপনি দূরবর্তী স্থান থেকেও আপনার প্রতিষ্ঠানের অবস্থা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করতে পারেন। সেই অনুসারে প্রয়োজনে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগও করতে পারবেন।
ঈদে নগরবাসীর নিরাপত্তায় ৪ স্তরের নিরাপত্তা বলয় সাজানো হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ঈদকে ঘিরে আমরা ৪ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। আমাদের পোশাকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আছে, আমাদের সাদা পোশাকে ব্যবস্থা আছে। আমাদের স্পেশালাইজড টিম প্রস্তুত আছে। এ ছাড়া আমরা ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরাসহ বিভিন্ন ইন্সট্রুমেন্টের সাহায্য নিয়েছি। আমাদের থানার বিভিন্ন ধরনের গোয়েন্দা সংস্থাও কাজ করছে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) আ স ম মাহতাব উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) প্রকৌশলী আবদুল মান্নান মিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মাসুদ আহাম্মদ, উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) মো. আব্দুল ওয়ারিশ, উপপুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-পশ্চিম) মো. তারেক আহম্মেদ, চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির প্রমুখ।
৩৫ হাজার মুসল্লির নামাজের জন্য প্রস্তুত জাতীয় ঈদগাহ

আগামীকাল সোমবার দেশে উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল আজহা। রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে কাল সকাল সাড়ে ৭টায়। সেখানে প্রায় ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের নামাজ আদায় করবেন। সে লক্ষে এরই মধ্যে সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)।
ডিএসসিসির আওতাধীন হওয়ায় প্রতি বছর জাতীয় ঈদগাহের ব্যবস্থাপনার কাজ করে সংস্থাটি। এ বছরও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের অঞ্চল-১ প্রকৌশল বিভাগের আওতায় জাতীয় ঈদগাহের কাজ চলছে। জানা গেছে, জাতীয় ঈদগাহে প্রায় ২৫০ জন অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও ৮০ জন গুরুত্বপূর্ণ নারী জামাতে অংশ নেবেন। এছাড়া সাধারণ পুরুষ প্রায় ৩১ হাজার এবং নারী ৩ হাজার ৫০০ জন মিলিয়ে প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ নামাজে অংশ নেবেন।
ডিএসসিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঈদগাহ মাঠে ১০টি এয়ার কুলারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া পর্যাপ্ত ফ্যান ও লাইটের ব্যবস্থা আছে। পাশাপাশি খাবার পানির ব্যবস্থা, ভিআইপি কাতারে জায়নামাজের ব্যবস্থা, ভ্রাম্যমাণ টয়লেটের ব্যবস্থা, প্রাথমিক চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা এবং বৃষ্টির পানি নিরোধক সামিয়ানার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া জাতীয় ঈদগাহে ভিআইপি, নারী ও পুরুষের প্রবেশের জন্য আলাদা ৩টি গেট করা হয়েছে।
আরও জানা গেছে, জাতীয় ঈদগাহে ভিআইপি (পুরুষ) কাতার হবে ৫টি, ভিআইপি (নারী) ১টি, জনসাধারণের মধ্যে পুরুষ কাতার ৬৫টি ও নারী কাতার ৫০টিসহ ১২১টি কাতার হবে। এছাড়া জাতীয় ঈদগাহে অজুখানায় একসঙ্গে ১১৩ জন পুরুষ ও ২৭ জন নারীসহ ১৪০ জন একসঙ্গে অজু করতে পারবেন।
এদিকে আজ সকালে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, ঈদগাহ ও এর আশপাশের এলাকায় এসবির ইকুইপমেন্ট ও ডিএমপির ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করা হবে। পুরো এলাকা সিসি ক্যামেরা দিয়ে পর্যবেক্ষণ, ড্রোন পেট্টোলিং ও ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে। সেইসঙ্গে করা হবে মেটাল ডিটেকটর ও আর্চওয়ের মাধ্যমে তল্লাশি।
এ পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, ইউনিফর্ম পুলিশ ছাড়াও ডিবি, এসবি ও অন্য সংস্থার কার্যক্রম অব্যহত থাকবে। কোনো দাহ্য বস্তু নিয়ে ঈদের জামাতে আসা যাবে না। জঙ্গি তৎপরতার আশঙ্কা নেই জানিয়ে তিনি বলেন, এরপরও ডিএমপি পুরো বিষয়টি বিবেচনায় রেখে নিরাপত্তা পরিকল্পনা তৈরি করেছে।
মন্তব্য