ঢাকা, শুক্রবার, ৯ মে ২০২৫ ২৭ বৈশাখ ১৪৩২
 
শিরোনাম

ইবি রিসার্চ সোসাইটির বিদেশে উচ্চশিক্ষা বিষয়ক সেমিনার

নিজস্ব প্রতিবেদক
২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১৮:১৭
নিজস্ব প্রতিবেদক
ইবি রিসার্চ সোসাইটির বিদেশে উচ্চশিক্ষা বিষয়ক সেমিনার

ইবি প্রতিনিধি : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) রিসার্চ সোসাইটির উদ্যোগে বিদেশে উচ্চশিক্ষা বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন একাডেমিক ভবনের ৪র্থ তলায় এটি অনুষ্ঠিত হয়।

সেমিনারে বিভিন্ন বিভাগের প্রায় দুইশত শিক্ষার্থী অংশ নেন। সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থনীতি বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. কাজী মোস্তফা আরিফ ও একই বিভগের এসোসিয়েট প্রফেসর ড. আব্দুল জলিল পাঠান।

উক্ত সেমিনারে মুখ্য আলোচক ছিলেন এপ্লাইড কেমিস্ট্রি এন্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এসোসিয়েট প্রফেসর ড. রফিকুল ইসলাম। সেমিনারে মডারেটর হিসেবে ছিলেন ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. মো. খালিদ হোসেন জুয়েল। সেমিনারে আলোচকরা বিদেশে উচ্চ শিক্ষার গুরুত্ব, পদ্ধতি, গবেষণার কৌশল, আইইএলটিএস, প্রফেসর অনুসন্ধানের উপায়, গবেষণার জন্য উপযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় এবং গবেষণার জন্য যথাযথ দেশ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

মুখ্য আলোচকের বক্তব্যে ড. রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রত্যেকের উচিত বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে কমপক্ষে একটি মাস্টার্স কোর্স করা। আমি সকলকে বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স করার জন্য পরামর্শ দেই। এজন্য সকলকে তার সিভি সমৃদ্ধ করতে হবে। আমাদেরকে একমূখী লক্ষ্য ঠিক করে আগাতে হবে এবং সময়কে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. আলমগীর হোসেন ভূইয়া বলেন, শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য হতে হবে জ্ঞান সৃষ্টি এবং জ্ঞান বিতরণ। আর এজন্য গবেষণা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। প্রত্যেক শিক্ষকের গবেষণা তার নিজ বিভাগে উপস্থাপন করা উচিত যাতে বিভাগের শিক্ষার্থীরা শিখতে পারে। ঘন্টাব্যাপী সেমিনার শেষে গবেষণায় ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এসময় মুখ্য আলোচক শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    সমস্যায় জর্জরিত বাকৃবির হেলথ কেয়ার সেন্টার

    নিজস্ব প্রতিবেদক
    ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১৬:১৯
    নিজস্ব প্রতিবেদক
    সমস্যায় জর্জরিত বাকৃবির হেলথ কেয়ার সেন্টার

    বাকৃবি প্রতিনিধি: বাংলাদেশ কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ে (বাকৃবি) শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসেবার জন্য প্রতিষ্ঠিত হেলথ কেয়ার সেন্টার নানা সমস্যায় জর্জরিত রয়েছে। সময়মতো ডাক্তার না থাকা, ঔষধ না থাকা, ডাক্তারদের দূর্ব্যবহারসহ নানা অভিযোগ তুলেছে বিশ^বিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত সোমবার একবেলা হেলথ কেয়ার সেন্টার বন্ধ রাখে শিক্ষার্থীরা।

    শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিশ^বিদ্যালয়ের হেলথ কেয়ারে সার্বক্ষণিক ডাক্তার থাকার কথা থাকলেও সবসময় ডাক্তার পাওয়া যায় না। সাধারণ ঔষধ গুলোও সবসময় পাওয়া যায় না। মানসম্পন্ন ঔষধ নাই বললেই চলে যা আছে সবই নিম্নমানের। সাম্প্রতিক ভাইরাল জ¦¡রের প্রকোপে পড়া অনেক শিক্ষার্থীই অভিযোগ করেছেন যে জ¦রের পরিমাণ (তাপমাত্রা) না মেপেই তাদের ঔষধ দেওয়া হয়। জরুরি প্রয়োজনে তাৎক্ষনিক অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া যায় না। বারবারই চালক সংকটের কথা শুনতে হয়। সাপ্তাহিকভাবে বিশেষজ্ঞ একজন ডাক্তার বসার কথা থাকলেও এখনও পর্যন্ত এরকম কোনো সেবা পাওয়া যায়নি। বাইরের তথা আশেপাশের এলাকার মানুষদের চিকিৎসা দেওয়ার কারণে অনেক ক্ষেত্রেই বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাৎক্ষণিক চিকিৎসা পান না।

    সার্বক্ষণিক ডাক্তার না থাকার বিষয়ে বিশ^বিদ্যালয়ের চীফ মেডিকেল অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মো. সাঈদুর রহমান বলেন, বিভিন্ন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পক্ষ থেকে জরুরী ভিত্তিক কল আসলে তখন তাদের বাসায় গিয়ে চিকিৎসা দিতে হয়। ওই সময় কোন শিক্ষার্থী হেলথ কেয়ারে আসলে তখন ডাক্তারের সংকট হয়। এ সময় যদি অতিরিক্ত একজন ডাক্তারকে হেলথ কেয়ারে রাখতে পারলে শিক্ষার্থীদের এই সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হতো।

    পর্যাপ্ত ঔষধ সরবরাহের ব্যাপারে তিনি বলেন, আমাদের কাছে প্রয়োজনীয় সকল ঔষধের সংগ্রহ আছে। মাঝে বাজেট সংকটের কারণে দুই-একটি ঔষধ সরবরাহ কমানো হয়েছিল। তবে বর্তমানে প্রয়োজনের সফল ঔষধ সংগ্রহে রাখা হয়েছে। হেলথ কেয়ারের অধীনে ৫৩ প্রকারের ট্যাবলেট, ১১ প্রকারের ক্যাপসুল, ১২ প্রকারের ইঞ্জেকশন এবং ২২ প্রকারের ড্রপ ও ক্রিম সংগ্রহে রাখা হয়। এসব ঔষধ মানসম্মত। তবে বাজেট বাড়ালে আমরা শিক্ষার্থীদের আরও বেশি ঔষধ বিতরণ করতে পারবো।

    অনেক সময় ডাক্তারের অনুপস্থিতিতে মানবিকতার খাতিরে বা জরুরি ভিত্তিতে ফার্মাসিস্টকে ঔষধ দিতে হয়। তখন তিনি ডাক্তারের সাক্ষর ছাড়াই শুধুমাত্র রেজিস্ট্রেশন নাম্বার লিখে ঔষধ দিয়ে থাকেন। পরবর্তীতে ডাক্তার আসলে সবগুলো কাগজ একসাথে সাইন করিয়ে নেওয়া হয়। এখানে অনেকেই ভুল বুঝে থাকেন, যে একজন ব্যক্তিকে আনেকগুলো রশিদের ভিত্তিতে ঔষধ দেওয়া হচ্ছে।

    ডা. মো. সাঈদুর বলেন, হেলথকেয়ারের অধীনে থাকা অ্যাম্বুলেন্স নিয়ন্ত্রণ করে বিশ^বিদ্যালয়ের পরিবহণ শাখা। এখানে মেডিকেল অফিসারের কোন হস্তক্ষেপ নেই। অনেক সময় পরিবহণ শাখায় চালকের সংকটের কারণে জরুরি ভিত্তিতে সেবা দেওয়া মাঝে মধ্য সম্ভব হয়ে ওঠে না। আবার বিভিন্ন সময়ে শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তারা বিনা প্রয়োজনে অ্যাম্বুলেন্সের দাবি করে। এ সময় আমাদের করার কিছু থাকে না। এমন কি তারা ডাক্তারের বৈধ অনুমতিও নেন না।

    সাপ্তাহিক বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের ব্যাপারে তিনি বলেন, আমরা বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে আলোচনা করেছি। তারা আসলে পুরো সপ্তাহেই ব্যস্ত থাকেন। কাজেই হেলকেয়ারে কাজ করতে হলে তাদের সাপ্তাহিক ছুটির দিনে কাজ করতে হবে। এক্ষেত্রে ছুটির দিনে কাজ করতে অনেকেই নারাজ। এ বিষয়ে আরেকটি বড় বাধা হলো আর্থিক বরাদ্ধ।

    তিনি বলেন, বর্তমানে হেলথ কেয়ারের অধীনে ইসিজি, আল্ট্রাসেনোগ্রাফি, এক্সরে ও বিভিন্ন প্যাথলোজি টেস্ট চালু রয়েছে। প্যাথলজি টেস্ট এর মধ্যে রয়েছে টিসি, ডিসি, এইচবি, ইএসআর, বøাড গøুকোজ, বিলিরুবিন, ক্রিয়েটিনিন, কোলেস্টেরল, লিপিড প্রোফাইল, এইচবিএএলসি, এএসও টাইটার, আরএ টেস্ট, সিআরপি, ভিডিআরএল, এইচ বিএস এজি, ওয়াইডাল, ট্রিপল এন্টিজেন, বøাড গ্রুপ, প্রেগনেন্সি, আইসিটি ডেঙ্গু টেস্ট। তবে এসব টেস্ট পরিচালনার জন্য দক্ষ জনবলের অভাব রয়েছে।

    ডা. পার্থ সেনের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি সব সময় আমার অধীনস্থ ডাক্তারদেরকে কাউন্সিলিং করার জন্য পরামর্শ দেই। এছাড়াও আমি তাদেরকে শিক্ষার্থীদের সাথে সহানুভূতিশীল ও নমনীয় আচরণের জন্যই বলে থাকি। আমি আশা করি পরবর্তীতে তিনি তার আচরণ সংশোধন করবেন এবং শিক্ষার্থীদেরকে সবসময় ভালো চিকিৎসা দেবেন।

    তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হেলথ কেয়ার সাধারণত বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট সকলের জন্যই। এখানে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক শিক্ষার্থী কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা স্বাস্থ্যসেবা পাবেন। তবে আশেপাশের এলাকা থেকে অসুস্থ কেউ আসলে মানবিকতার খাতিরে আমাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়। সে ক্ষেত্রে আমাদের না করার কোন সুযোগ থাকে না। হেলকেয়ারের সার্বিক বিষয় সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। পরবর্তীতে তারা এ সকল বিষয়ের জন্য নিয়ম নীতি নির্ধারণ করবেন।

    এ সময় তিনি দাবি জানিয়ে বলেন, আমাদের আরো জনবল দরকার। শুধু ডাক্তারসংখ্যা বাড়ানোই যথেষ্ট নয়। ডাক্তারের সকল কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য নার্স, ডাক্তারের সহকারীর প্রয়োজন হয়। এছাড়া আমরা বছরে ৩৬৩ দিন ডিউটি করি। সেক্ষেত্রে আমাদের জন্য আলাদা কোন ভাতার ব্যবস্থা নাই। কোন বিশেষ সুযোগ-সুবিধাই আমরা পাই না। এদিকে একজন ডাক্তার বা কর্মচারী যদি অসুস্থ্য হয়ে পড়েন তবে তার বিপরীতে আলাদা করে কোন জনবল নেই। ২০১৯ সালের ডাক্তার নিয়োগ সার্কুলার হলেও এখনো পর্যন্ত কোনো ডাক্তার নিয়োগ হয়নি। এই বিষয়গুলো দ্রæত সমাধান করা গেলে আরেকটু উন্নত সেবা দেওয়া সম্ভব হবে।

    এ বিষয়ে কৃষি অনুষদের সহ-সভাপতি মো তারিক জামান জয় বলেন, আমরা সোমবার এক বেলার জন্য হেলথ কেয়ার বন্ধ করে রাখি। আমাদের দাবি ছিল তিনটি অ্যাম্বুলেন্স চালু করা, পর্যাপ্ত পরিমাণ ডাক্তার নিয়োগ দেওয়া এবং শিক্ষার্থীদের সাথে ডাক্তারের অসৌজন্যমূলক আচরণের বিচার করা। এ সময় অ্যাম্বুলেন্সের বিষয়টি উপাচার্য তাৎক্ষণিকভাবে সমাধান করেন।

    এ বিষয়ে বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, হেলথ কেয়ারের সামগ্রিক বিষয় নিয়ে আমি অবগত আছি। একে একে সকল বিষয়ে সমাধান করার চেষ্টা করছি। এর মধ্যে এম্বুলেন্সের বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে। ডাক্তার ও ডাক্তারের সাহায্যকারীদের নিয়োগের বিষয়টি একটু সময় সাপেক্ষ। আমরা ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি। বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নিয়োগের ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী বাজেটের তুলনায় অর্থ বরাদ্দ বাড়াতে প্রস্তুত।

    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      ঢাবির হল থেকে লাফিয়ে পড়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু

      নিজস্ব প্রতিবেদক
      ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১১:২৪
      নিজস্ব প্রতিবেদক
      ঢাবির হল থেকে লাফিয়ে পড়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু

      ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিজয় ৭১ হল থেকে লাফিয়ে পড়ে ফিরোজ কাজী (২২) নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি ঢাবির চাইনিজ এজ এ ফরেন ল্যাঙ্গুয়েজ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তবে তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

      মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১টার দিকে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মৃত ঘোষণা করেন।

      ফিরোজ কাজীকে হাসপাতালে নিয়ে আসা ঢাবি শিক্ষার্থী মাহিম খান বলেন, ফিরোজ মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলে থাকতেন। আমরা বিজয় ৭১ হলে থাকি। আজ রাতে আমরা হঠাৎ একটি শব্দ শুনতে পাই। গিয়ে দেখি ফিরোজ কাজী নিচে পড়ে আছেন। পরে আমরা তাকে দ্রুত উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

      তিনি বলেন, ফিরোজ বিজয় ৭১ হল থেকে লাফিয়ে পড়েছেন নাকি অসাবধানতাবশত পড়ে গেছেন, সে বিষয়টি বলতে পারছি না। তার শরীরে তেমন কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। তিনি বিজয় ৭১ হলে কার কাছে এসেছিলেন, সে বিষয়টিও জানা নেই।

      প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য

        খুবি উপাচার্যের সাথে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ

        নিজস্ব প্রতিবেদক
        ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ২৩:২৯
        নিজস্ব প্রতিবেদক
        খুবি উপাচার্যের সাথে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ

        খুবি প্রতিনিধি : বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি আজ ১৯ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) বিকাল ৫.৩০ মিনিটে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন এর সাথে তাঁর কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন। উপাচার্য রাষ্ট্রদূতকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এসময় ইইউ রাষ্ট্রদূত উপাচার্যকে স্মারক উপহার দেন। উপাচার্যও তাঁকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোগ্রাম খচিত ক্রেস্ট, সুন্দরবন ও উপকূলীয় এলাকার ওপর প্রকাশিত গবেষণা নিবন্ধ, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় স্টাডিজ, প্রসপেক্টাস উপহার প্রদান করেন।

        পরে উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন। তিনি বলেন, গত ৩৩ বছর ধরে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত ২০৪১ সালের ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে দেশ ও জাতির চাহিদা বিবেচনায় নিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয় দক্ষ ও যোগ্য গ্র্যাজুয়েট তৈরি করে চলছে। বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটরা দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।

        তিনি আরও বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিবছর অসংখ্য শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় দেশসমূহ এবং ভারতসহ বিভিন্ন দেশে যান। এছাড়া ইউরোপের বিভিন্ন দেশের খ্যাতিমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এক্সচেঞ্জ, এমওইউ’র কথা উল্লেখ করেন উপাচার্য। বিভিন্ন দেশের সাথে যৌথ শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রমের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ভৌগলিক অবস্থানের কারণে সুন্দরবন আমাদের পার্শ্ববর্তী হওয়ায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। এছাড়াও এই উপকূলীয় অঞ্চলের প্রাকৃতিক পরিবেশ, বনজ ও মৎস্যসহ বিভিন্ন সম্পদ নিয়ে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে নানামুখী গবেষণা পরিচালিত হচ্ছে। বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়া সরকারের অর্থায়নে অস্ট্রেলিয়ান সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশন্যাল এগ্রিকালচার রিসার্চ (এসিআইএআর) এর সাথে খুবির চলমান গবেষণার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন উপাচার্য। এর মধ্যে ‘এসিআইএআর প্রজেক্ট বাংলাদেশ সুন্দরবন ইকোসিস্টেম ম্যানেজমেন্ট’ শীর্ষক এ প্রকল্পটি ২০২৪ সাল থেকে কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে।

        উপাচার্য বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় কিউএস র‌্যাংকিংয়ে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের এপিএ র‌্যাংকিংয়ে এ বছর ৪র্থ অবস্থানে উঠে এসেছে। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আনন্দের বিষয়। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভবনের ছাদে স্থাপিত সোলার প্যানেল থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে প্রথম ওবিই কারিকুলা প্রণয়ন, একই একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুসরণ করে ক্লাস ও পরীক্ষা গ্রহণ, প্রতিবছর ৪-৫টি আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজনের বিষয়গুলো বিশেষভাবে উল্লেখ করেন।

        রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সবসময় উৎসাহিত ও সহযোগিতা করা হচ্ছে। প্রতিবছর ইউরোপে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ এবং চলমান বিভিন্ন গবেষণাকর্মের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

        উপাচার্য খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার জন্য ইইউ রাষ্ট্রদূতকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান এবং বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন ভ্রমনের পরামর্শ দেন।

        সৌজন্য সাক্ষাতকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. কামরুল হাসান তালুকদার, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস, ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর মো. শরীফ হাসান লিমন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রোগ্রাম ম্যানেজার জুই চাকমা, উপাচার্যের সচিব সঞ্জয় সাহাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

        প্রাসঙ্গিক
          মন্তব্য

          কুবিতে সম্প্রসারিত ক্যাম্পাস নেটওয়ার্ক সুবিধা ও মোবাইল অ্যাপ উদ্বোধন

          নিজস্ব প্রতিবেদক
          ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ২১:৩৮
          নিজস্ব প্রতিবেদক
          কুবিতে সম্প্রসারিত ক্যাম্পাস নেটওয়ার্ক সুবিধা ও মোবাইল অ্যাপ উদ্বোধন

          কুবি প্রতিনিধি : ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার অংশ হিসেবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন দ্রুতগতির ক্যাম্পাস নেটওয়ার্ক ও 'কুমিল্লা ইউনিভার্সিটি' নামে অফিসিয়াল মোবাইল এপ্লিকেশন সফটওয়্যারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে।

          মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্চুয়াল কক্ষে ভিসি অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন এর উদ্বোধন করেন।

          এসময় শিক্ষার্থীদের একাডেমিক শিক্ষা, গবেষণা ও ব্যবহারিক কাজে প্রযুক্তি নির্ভরতা বৃদ্ধি ও প্রসারের লক্ষে প্রকৌশল অনুষদের আওতাভূক্ত বিভাগে ০৮টি, বিজনেস অনুষদ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, আইন অনুষদে ও গণিত বিভাগে ১টি করে সর্বমোট ১২টি কম্পিউটার ল্যাবে উন্নত প্রযুক্তির সুইচিং ডিভাইস ব্যবহার করে ল্যান স্থাপনের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়।

          শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের শিক্ষা, গবেষণা, সেমিনার ওয়ার্কসপ, প্রজেক্ট, প্রশিক্ষণ, প্রতিযোগিতা ইত্যাদি কাজের আওতায় প্রকৌশল অনুষদ ভবন, বিজ্ঞান অনুষদ ভবন (৪র্থ ও ৫ম তলা), সকল ডরমিটরি, অতিথি ভবন, পরিবহন পুল ও কেন্দ্রীয় ক্যাফেটিরিয়ার প্রতিটি কক্ষে ল্যান সংযোগ স্থাপন ও ওয়াই-ফাই রাউটার স্থাপনের উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হয়। পাশাপাশি বিজ্ঞান অনুষদ (১ম, ২য় ও ৩য় তলা), প্রশাসনিক ভবন ও ভিসি বাংলোর প্রয়োজনীয় স্থানে সংযোগ স্থাপন ও ওয়াই-ফাই রাউটার স্থাপনের উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হয়। সম্প্রসারণ কাজের বিভিন্ন স্থাপনায় আধুনিক প্রযুক্তির সুইচিং ডিভাইস ব্যবহার করে সর্বমোট ১৪৬৫টি ল্যান সংযোগ ও বিভিন্ন স্থাপনার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে উন্নত প্রযুক্তির ৯২টি ওয়াই-ফাই রাউটার স্থাপন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

          উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভিসি অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, মানসম্পন্ন একাডেমিক পরিবেশের অগ্রগতির দিকে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় আজ তার সম্প্রসারিত নেটওয়ার্ক সুবিধা এবং কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় মোবাইল অ্যাপসের উদ্বোধন উদযাপন করেছে। সম্প্রসারিত ক্যাম্পাস নেওয়ার্ক সুবিধাগুলো ক্যাম্পাসে ইন্টারনেট সংযোগে বিপ্লব ঘটাবে। পাশাপাশি শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের একাডেমিক এবং প্রশাসনিক কর্মীদের উচ্চ-গতির ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদান করবে। এছাড়াও, অনলাইন একাডেমিক রিসোর্সগুলিতে নিরবিচ্ছিন্ন অ্যাক্সেস থাকবে এবং উন্নত গবেষণা ক্ষমতা ও একাডেমিক প্রকল্পগুলিতে উন্নত সহযোগিতা প্রদান করবে।

          তিনি আরও বলেন, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি একটি স্মার্ট বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির চাবিকাঠি। শেখার এবং উদ্ভাবনের জন্য সর্বোত্তম সম্ভাব্য পরিবেশ প্রদানের জন্য আমাদের উৎসর্গের উপর জোর দিতে হবে।

          প্রাসঙ্গিক
            মন্তব্য
            সর্বশেষ সংবাদ
              সর্বাধিক পঠিত