তরুণ-ছাত্র সমাজের বিরুদ্ধে সরকার কি যুদ্ধ ঘোষণা করেছে: আসিফ নজরুল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেছেন, বিভিন্ন স্থানে ব্লক রেইড করে আমাদের ছাত্র এবং তরুণদেরকে গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করা হচ্ছে। তখন আমাদের মনে প্রশ্ন আসে, এই সরকার কি বাংলাদেশের তরুণ ছাত্রসমাজের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে? এটা কি কোনো অধিকৃত ভূমি? এটা কী গাজা স্ট্রিট নাকি কাশ্মির? মঙ্গলবার দুপুরে ডিআরইউ সাগর-রুনি মিলনায়তনে ‘হত্যা, অবৈধ আটক ও নির্যাতনের বিচার চাই’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. আসিফ নজরুল বলেন, আমরা শুনতে পাচ্ছি ২৬৭ জন মারা গেছে। একটা শব্দও বাড়িয়ে বলছি না। কালকে জিনিস কিনতে গিয়েছিলাম একটা দোকানে। তিনি বলেন, স্যার আমরা বিশ্বাস করি হাজার হাজার লোক মারা গেছে। আমরা এই সরকারকে বিশ্বাস করি না।
তিনি বলেন, আমি প্রতি রাতে ঘুমাতে পারি না। গতকাল ফোন এসেছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভাটারা থানায় ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাদেরকে অত্যাচার করা হয়েছে। গতকালই বাংলা বিভাগের এক ছাত্রকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ফোন এসেছিল একটি জায়গায় ব্লক রেইড করা হচ্ছে, কথা শুনতে পারছিলাম না। এর আগে আমরা শুনেছি কারফিউ জারি করে চারদিকে ঘিরে ধরে হেলিকপ্টারের আলো ফেলে বাংলাদেশের ছাত্র ও তরুণদেরকে গণগ্রেপ্তার করা হচ্ছে। গায়ে আঘাতের চিহ্ন আছে কিনা দেখা হচ্ছে। আঘাতের চিহ্ন থাকা মানে সে আন্দোলনে ছিল। তারপর তাকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
ড. আসিফ নজরুল বলেন, আমি ঘুমাতে পারি না যখন শহীদ মুগ্ধর গল্প পড়ি। যেই ছেলেটা আন্দোলনে গিয়েছিল বিস্কিট আর পানি দেয়ার জন্য। সবাইকে বলছিল পানি লাগবে কিনা। এরকম একটা ছেলেকে মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ১১ বছরের একটা ছেলে জানালা বন্ধ করতে গেছে, তাকে মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ৬ বছরের একটা মেয়ে রিয়া মারা গেছে। ৪ বছরের একটা শিশু বারান্দায় মারা গেছে। বারান্দায়, ছাদে, ঘরে শিশুদের হত্যা করা হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, বাংলাদেশের বেসরকারি সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম ইন বাংলাদেশের (এএলআরডি) নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. গীতি আরা নাসরীন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান মির্জা তাসলিমা সুলতানা। ঢাবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফা।
সরকার ঘোষিত শোকের দিনে ‘রক্তলাল’ ফেসবুক

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ঘোষিত ‘চোখে-মুখে লাল কাপড় বেঁধে ছবি অনলাইনে প্রচার’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ফেসবুকজুড়ে এখন শুধুই লাল রংয়ের প্রোফাইল ফটো। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সকাল থেকে ফেসবুকে বিভিন্ন জনের প্রোফাইল, গ্রুপ ও পেইজ ঘুরে এমন চিত্র দেখা যাচ্ছে।
এর আগে মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) মুখে ও চোখে লাল কাপড় বেঁধে ছবি তুলে তা অনলাইনে প্রচারের জন্য কর্মসূচি দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সোমবার (২৯ জুলাই) রাতে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচি জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মাহিন সরকার।
এরই অংশ হিসেবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ঘোষিত ‘চোখে-মুখে লাল কাপড় বেঁধে ছবি অনলাইনে প্রচার’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ফেসবুক ছেয়ে গেছে লাল রংয়ের প্রোফাইলে। লাল ছবি দেয়ার পাশাপাশি অনেককে চোখে ও মুখে লাল কাপড় বেঁধে একক ও দলীয় ছবিও দিতে দেখা যায়।
লাল কাপড় বাঁধার কারণ হিসেবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ বলেন, সরকার দেশব্যাপী গণহত্যা চালিয়ে তারপর ছাত্রদের আন্দোলনকে ‘সহিংসতা’ হিসেবে উল্লেখ করে নিহতদের স্মরণে শোক দিবস ঘোষণা করে নিহত শহিদদের সঙ্গে তামাশা করেছে।
এর প্রতিবাদে আমরা তাদের কালো ব্যাজ ধারণ কর্মসূচিকে বয়কট করেছি। এখনো তাদের হাতে রক্ত লেগে আছে। তাই আমাদের কর্মসূচি লাল কাপড় মুখ ও চোখে বেঁধে অনলাইন ক্যাম্পেইন করা।
এর আগে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ অন্যান্য নিহতদের স্মরণে রাষ্ট্রীয় শোক পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে। শোক পালনের দিন মসজিদ-মন্দির-গির্জা-প্যাগোডায় হবে বিশেষ প্রার্থনা। ধারণ করা হবে কালো ব্যাজ।
সেতু ভবনে হামলা, দুই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ৪ দিনের রিমান্ডে

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় সেতু ভবনে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বনানী থানার মামলায় দুই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রিমান্ডে নেওয়া আসামিরা হলেন, ইউনাইটেড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাওহীদ ইবনুল বদর সাফওয়ান ও তিতুমীর কলেজের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী নাজমুস সাকিব।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) তাদেরকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক আবু সাইদ মিয়া। আসামি পক্ষে রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন আইনজীবীরা। রাষ্ট্রপক্ষে তার জামিনের বিরোধিতা করা হয়।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুর রহমানের আদালত এ আদেশ দেন। একই মামলায় আদালত বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আদালতে বনানী থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক শাহ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গুলিস্তানে প্রতিবাদী গানের মিছিলে পুলিশের বাধা, ধস্তাধস্তি

রাজধানীর গুলিস্তানের জিরো পয়েন্ট এলাকায় প্রতিবাদী সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত প্রতিবাদী গানের মিছিলে বাধা দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। এ সময় পুলিশের সঙ্গে সংগঠনটির সদস্যদের ধ্বস্তাধস্তি এবং বাগবিতণ্ডার ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বিকেল সোয়া তিনটা থেকে সাড়ে তিনটা পর্যন্ত এ ঘটনা ঘটে। পরে সংগঠনটির সদস্যরা রাস্তায় বসে পড়েন।
আয়োজকরা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ছাত্র-জনতা হত্যা, নির্যাতন, গণগ্রেপ্তার ও হামলা-মামলা ইত্যাদির প্রতিবাদেই এমন আয়োজন করা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিবাদী গানের মিছিল নূর হোসেন চত্বর ( জিপিও, জিরো পয়েন্ট) থেকে বাহাদুর শাহ পার্ক অভিমুখে রওনা দিলেও গুলিস্তান খদ্দর বাজার শপিং কমপ্লেক্সের সামনে আসতেই আটকে দেয় পুলিশ।
শোকযাত্রায় বিভিন্ন দাবি, স্লোগান, কার্টুন, মুখোশ ও ছবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড ইত্যাদি প্রদর্শন করতে দেখা গেছে। মিছিলটি পুলিশের বাঁধার পর সামনে যেতে না পেরে সড়কেই বসে পরে। সেখানেই গান ও কবিতা আবৃত্তি করতে দেখা যায় তাদের।
প্রতিবাদী গানের মিছিলে উপস্থিত উদীচীর সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং সহসভাপতি জামশেদ আহমেদ তপন বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ সুশৃঙ্খল মিছিল নিয়ে বাহাদুর শাহ পার্কের দিকে যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশের বাধার কারণে সেটি সম্ভব হয়নি। সেজন্য আমরা সড়কেই অবস্থান নিয়েছি। সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি পালন করব।
আন্দালিব রহমান পার্থ আবারও ৩ দিনের রিমান্ডে

কোটা আন্দোলনের সময় সেতু ভবনে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বনানী থানার মামলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ ফের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) এই মামলায় ৫ দিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এদিন মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাকে আবারও ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক আবু সাইদ মিয়া। আসামি পক্ষে রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন আইনজীবীরা। রাষ্ট্র পক্ষে তার রিমান্ড ও জামিনের বিরোধিতা করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুর রহমানের আদালত এ আদেশ দেন।
এর গত বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুলতান সোহাগ উদ্দিনের আদালত তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ১৮ জুলাই প্রতিদিনের মতো সেতু ভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যথারীতি অফিসের কার্যক্রম করতে থাকেন। চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী অজ্ঞাতনামা ২৫০ থেকে ৩০০ জন আসামি কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও নাশকতা করার লক্ষ্যে বেআইনি জনতাবদ্ধে আবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, লাঠিসোঁটা, ইটপাটকেল নিয়ে আমাদের অফিসের সামনে এসে সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।
সেতু ভবনের সিনিয়র সচিবসহ কর্মকর্তাদের পদ-পদবি উল্লেখ করে খোঁজাখুঁজি করে হুমকি প্রদর্শন ও ত্রাস সৃষ্টির মাধ্যমে অন্তর্ঘাতমূলক ভীতি সৃষ্টি করে সেতু ভবন লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। একপর্যায়ে আসামিরা আমাদের অফিসের মূল ফটক ভেঙে অনধিকার প্রবেশ করে সেতু ভবনের ভেতরে প্রবেশ করে নিচ তলার ভবনের সামনে রক্ষিত জিপ, কার, বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস, পিকআপ, মোটরসাইকেল, নিরাপত্তা ভবন, সিসি ক্যামেরা, পার্কিং শেড, ক্যান্টিন, গাড়িচালকদের কক্ষ, আনসার শেড, মুজিব কর্নার, জেনারেটর কক্ষসহ মূল ভবন ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ ঘটায়।
এ সময়ে সেতু ভবনের সিনিয়র সচিব ও অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সেতু ভবনের ভেতরে থাকা অফিস স্টাফ ও নিরাপত্তাকর্মী আসামিদের ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম থেকে সরে যেতে অনুরোধ করলে আসামিরা তাদের হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, লাঠিসোঁটা, ইটপাটকেল দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে সেতু ভবনের সিনিয়র সচিব, অন্য অফিস স্টাফ ও নিরাপত্তা কর্মীদের এলোপাতাড়ি মারধর করে সাধারণ ও গুরুতর জখম করে।
পরে আসামিরা নিচ তলার আনসার শেড, ড্রাইভার শেড থেকে চেয়ার-টেবিলসহ অন্য আসবাবপত্র এবং সেতু ভবনের ভিতরে প্রবেশ করে নিচ তলা থেকে ১১তলা পর্যন্ত অফিসে ভাঙচুর করে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে অফিসে রক্ষিত কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ফাইল কেবিনেট, এসি, ফ্যান, পানির ফিল্টার, চেয়ার-টেবিল, আসবাবপত্রসহ সরকারি ও ব্যক্তিগত মালামাল চুরি করে এবং প্রত্যেক ফ্লোরে অগ্নিসংযোগ ঘটায়।
আসামিদের এরূপ ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড ও অগ্নিসংযোগে সেতু ভবনের নিচ তলা থেকে ১২তলা পর্যন্ত ফ্লোরে রক্ষিত সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ, পদ্মা সেতু প্রকল্প, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বহুলেন সড়ক টানেল- প্রকল্প, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প সেতু বিভাগের আওতাধীন সব প্রকল্পের প্রধান কার্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ দলিল, এফডিআর ইনস্ট্রুমেন্ট, টেন্ডার সিকিউরিটি ডকুমেন্টস, ইন্টারনেট সার্ভার, শতাধিক কম্পিউটার ও কম্পিউটার সামগ্রী, আসবাবপত্র, কম্পিউটার, জেনারেটর, ফায়ার এক্সটিংগুইসারসহ যাবতীয় নথিপত্র এবং সেতু ভবনের পার্কিংয়ে থাকা ৩২টি জিপ গাড়ি, ৯টি পিকআপ, ৭টি মাইক্রোবাস, একটি মিনিবাস, ৫টি মোটরসাইকেল, একটি অ্যাম্বুলেন্সে আগুন দিলে পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে আনুমানিক ৩০০ কোটি টাকার ক্ষতিসাধন হয়। তাৎক্ষণিক বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ মারফত ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ইউনিটকে খবর দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় সেতু ভবনের কেয়ারটেকার রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে বনানী থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মন্তব্য