ঢাকা, সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫ ৩ ভাদ্র ১৪৩২
 
শিরোনাম

পরিস্থিতির অবনতি হলে অনলাইনে ক্লাস: শিক্ষামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
৭ জানুয়ারি, ২০২২ ১৫:৭
নিজস্ব প্রতিবেদক
পরিস্থিতির অবনতি হলে অনলাইনে ক্লাস: শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, করোনা ও ওমিক্রনের বিষয়ে আমাদের ঝুঁকি নেয়া ঠিক হবে না। টিকা নেয়ার কর্মসূচি জোরদার করার পাশাপাশি যারা টিকা নেয়নি তাদের টিকার আওতায় আনতে হবে। করোনা পরিস্থিতির অবনতি হলে ছাত্র-ছাত্রীদের অনলাইনে ক্লাস নেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) বিকেলে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের বাহাদুরপুর রোভার পল্লীতে বাংলাদেশ রোভার স্কাউট অঞ্চলের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত প্রতিভা অন্বেষণ ও আন্ত:ইউনিট বিতর্ক প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

দীপু মনি বলেন, স্কাউটিং ভালো মানুষ হতে শেখায়। তাই জীবনে একবার হলেও স্কাউটিংয়ে অংশগ্রহণ করা উচিত।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ রোভার স্কাউট অঞ্চলের সভাপতি ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান।

এতে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ স্কাউটের প্রধান জাতীয় কমিশনার ও দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার (তদন্ত) ড. মো. মোজাম্মেল হক খান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. গিয়াস উদ্দিন মিয়া, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এসএম তরিকুল ইসলাম, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. আতাউল্লাহ মণ্ডল, রোভার স্কাউট অঞ্চলের সহ-সভাপতি ও মুজিব শতবর্ষ উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর এম এ বারী, রোভার অঞ্চলের সম্পাদক একেএম সেলিম চৌধুরী, রোভার কামরুল হোসেনসহ প্রমুখ।

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    গবেষণা হয় না দেশের ২৭ বিশ্ববিদ্যালয়ে

    নিজস্ব প্রতিবেদক
    ৭ জানুয়ারি, ২০২২ ১৪:৩৬
    নিজস্ব প্রতিবেদক
    গবেষণা হয় না দেশের ২৭ বিশ্ববিদ্যালয়ে

    দেশের ২৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা কাজের জন্য কোনো বরাদ্দ ছিল না। এসব উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গবেষণা কার্যক্রম ছাড়াই উচ্চতর ডিগ্রির সনদ বিতরণ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের ৪৭তম প্রতিবেদনে এমন চিত্র উঠে এসেছে।

    এতে করে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা দূরের কথা, এক ধরনের সনদ বিক্রি করা হচ্ছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যুগে এখনও মুখস্থ বিদ্যার ওপর নির্ভর করে ডিগ্রি প্রদান করায় শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বাড়ছে। এ অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা কার্যক্রম বাড়াতে হলে বরাদ্দ ও পলিসি নির্ধারণ করার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

    ইউজিসির সর্বশেষ (২০২০ সালের) প্রতিবেদনে দেখা গেছে, দেশে বর্তমানে ৬৪টি সরকারি ও ১০৭ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। তার মধ্যে ২৭টি সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা বাবদ কোনো ধরনের অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়নি।

    এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে রয়েছে- সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটি, দ্যা পিপলস ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়, ফার্স্ট ক্যাপিট্যাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, জেড এইচ সিকদার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যাল, ব্রিটানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ বেঙ্গল ইন্ট্যারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, রণদা প্রসাদ সাহা বিশ্ববিদ্যালয়, গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, দি ইন্ট্যারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্স, রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয় (কুষ্টিয়া), সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয়, রূপায়ন এ কে এম শামসুজ্জোহা বিশ্ববিদ্যালয়, আনোয়ার খান মডার্ন ইউনিভার্সিটি, জেড এম আর এফ ইউনিভার্সিটি অব ম্যানেজমেন্ট সায়েন্স, আহসানিয়া মিশন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা খান বাহাদুর আহসান উল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়, শাহ মখদুম ম্যানেজম্যান্ট ইউনিভার্সিটি (রাজশাহী), ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি (বরিশাল), ইন্ট্যারন্যাশনাল স্টান্ডার্ড ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব ব্রাক্ষণবাড়িয়া, ইউনিভার্সিটি অব স্কিল এনরিচম্যান অ্যান্ড টেকনোলজি, মাইক্রোল্যান্ড ইউনির্ভাসিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি এবং আর টি এম আল কবির টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি।

    এসব প্রতিষ্ঠানের একাধিক নীতিনির্ধারকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে। কোনোটার শিক্ষার্থী কম, অল্প কয়েকটি অনুষদ চালু থাকায় গবেষণা কাজের জন্য বরাদ্দ রাখা সম্ভব হয়নি। অবার অনেকগুলো নতুন বিশ্ববিদ্যালয় চালু হওয়ায় গবেষণা বাবদ তাদের কোনো ধরনের বরাদ্দ রাখা সম্ভব হয়নি।

    জানতে চাইলে ইউজিসির সদস্য (গবেষণা সহায়ক ও প্রকাশনা বিভাগ) প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, একজন শিক্ষার্থীর উচ্চশিক্ষার সনদ পেতে গবেষণার সঙ্গে সর্ম্পক নেই, তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা থাকতে হবে। গবেষণা ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় চলবে সেটি কাম্য নয়। তারা যাতে বেশি বেশি গবেষণা কাজ করে সে জন্য তাগাদা দেওয়া হচ্ছে। এ বাবদ বরাদ্দ বাড়াতেও সরকারকে আহ্বান জানানো হয়েছে।

    তিনি বলেন, অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বরাদ্দ পায় না বলে গবেষণা কাজ করতে আগ্রহী হয় না। এ খাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজ তহবিল তৈরি করতে হবে। দেশের ইন্ডাস্ট্রিগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। শুধু সরকারি বরাদ্দনির্ভর থাকলে হবে না। কারণ বিশ্ববিদ্যালয় একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। সেটিকে মাথায় রেখে গবেষণার জন্য ফান্ড তৈরির আহ্বান জানান প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন।

    তিনি আরও বলেন, নতুন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মূলত গবেষণা বরাদ্দ ছিল না। তদের পর্যাপ্ত ফান্ড না থাকায় এ জন্য অর্থ বরাদ্দ দিতে পারেনি। সরকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দিয়ে কয়েকটি পদে জনবল নিয়োগ দিয়ে থাকে। গবেষণার জন্য তেমন বরাদ্দ দেয় না। তারপরও কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা ধরনের গবেষণা কার্যক্রমে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চাইতেও এগিয়ে রয়েছে। তারা দেশি-বিদেশি অর্থ আনতে সক্ষম হচ্ছে। শুধু সরকারি বরাদ্দের উপর নির্ভর না করে সেদিকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত।

    এদিকে বিভিন্ন সময়ে কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে সনদ বিক্রির অভিযোগ পাওয়া যায়। সেখানে শিক্ষার্থীরা ভর্তি হয়ে বা ভর্তি না হলেও অনেকে অর্থ ব্যয় করে সনদ কেনার সুযোগ পাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সে কারণে অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না।

    জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মোহাম্মদ তারেক আহসান বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আসলে টিচিং নাকি গবেষণা করবে সেটি নির্ণয় করতে হবে। টিচিং হলে একটি কোর্স সম্পন্ন করে সার্টিফিকেট দেওয়া কাজ হয়ে থাকে। আর গবেষণা বা রিসার্চ ইউনিভার্সিটি হলে বড় অংশ জুড়ে গবেষণা করতে হয়। আমাদের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিকুলাম-সিলেবাসে সেটি দেখা যায় না।

    তিনি বলেন, গবেষণা করতে হলে একটি বড় ধরনের ফান্ড প্রয়োজন হবে। সেটি সবসময় অবহেলিত। পলিসি তৈরির প্রক্রিয়াটা আসলে পারসেপশন বেইজড, এভিডেন্স বেইজড না। ইউনিভার্সিটির সঙ্গে পলিসি তৈরির প্রক্রিয়ার সংযোগ অনেক দরকার। আমরা সবসময় সরকারের কাছে গবেষণা ফান্ড পাবো তা কিন্ত নয়। অন্যান্য দেশের মতো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে তহবিল তৈরি করতে হবে। সে জন্য শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যুক্ত থাকতে হবে। তাহলে আর ফান্ডের সংকট হবে না। এটা করলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণা সংস্কৃতি তৈরি হবে।

    অধ্যাপক মোহাম্মদ তারেক আহসান আরও বলেন, গবেষণা সংস্কৃতি তৈরি না হলে ফান্ডের সংকট কাটবে না। শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি শিক্ষকদের আগ্রহ তৈরি করতে হবে। শুধু অর্থ দিয়ে তা হবে না। যে উৎস থেকে অর্থ আসছে সেগুলোকেও আমরা কতটুকু কাজে লাগাতে সক্ষম হয়েছি সেটিও ভেবে দেখতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের নিয়োগ, পদায়নে বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত জার্নালে প্রচার করতে হবে। তাহলে শিক্ষকরা নিজেকে প্রমোট করতে এ দিকে গুরুত্ব দেবেন। এ ধরনের একটি পলিসি প্রণয়ন করা প্রয়োজন। নতুবা শুধু সার্টিফিকেট (সনদ) বিতরণ হবে। শিক্ষার্থীদের কাছে ফি নিয়ে ক্লাস ও থিওরি পড়িয়ে শেষ করা হবে। সেখান থেকে বের হয়ে আসা জরুরি বলেও মনে করেন এ গবেষক।

    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      ঢাবি’র শতবর্ষ বৃত্তি পেলেন কলা অনুষদের ১৫২ শিক্ষার্থী

      নিজস্ব প্রতিবেদক
      ৭ জানুয়ারি, ২০২২ ১৪:২৫
      নিজস্ব প্রতিবেদক
      ঢাবি’র শতবর্ষ বৃত্তি পেলেন কলা অনুষদের ১৫২ শিক্ষার্থী

      ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদভুক্ত বিভিন্ন বিভাগের ১৫২ জন মেধাবী শিক্ষার্থী পেয়েছেন শতবর্ষ বৃত্তি। বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) সকালে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে তাদের হাতে বৃত্তির চেক তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

      উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘ঢাবি ক্যাম্পাস দূষণমুক্ত ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার ক্ষেত্রে মেধাবী শিক্ষার্থীদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। টেকসই উন্নয়ন অর্জনে অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠন করা প্রয়োজন।’

      আর্থিক সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে ঢাবি’র অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের আওতায় আনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন উপাচার্য। এজন্য শিক্ষক ও সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

      কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবু মো. দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাবি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক ড. রেজওয়ানা চৌধুরী, অধ্যাপক ড. আশা ইসলাম নাঈমসহ অনেকে।

      প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য

        উন্নত বিশ্বে কারিগরি শিক্ষায় গুরুত্ব বেশি আমরাও সেদিকে এগুচ্ছি

        নিজস্ব প্রতিবেদক
        ৭ জানুয়ারি, ২০২২ ১৪:১৮
        নিজস্ব প্রতিবেদক
        উন্নত বিশ্বে কারিগরি শিক্ষায় গুরুত্ব বেশি আমরাও সেদিকে এগুচ্ছি

        কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, উন্নত বিশ্বে কারিগরি শিক্ষায় বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। আমরাও সেদিকে এগুচ্ছি।

        কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেসব শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করছে তারা ভালো করছে। ভবিষ্যতে আরও ভালো করবে। আমাদের লক্ষ্য ২০৫০ সালে কারিগরি শিক্ষা ৫০ শতাংশে উন্নীত করা। বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) গাজীপুরে বাহাদুরপুর এলাকায় রোভার পল্লীতে বাংলাদেশ স্কাউটস রোভার অঞ্চল আয়োজিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে প্রতিভা অন্নেষণ ও আন্তঃইউনিট বিতর্ক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

        শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছেন শিক্ষায় বিনিয়োগ হচ্ছে শ্রেষ্ঠতম বিনিয়োগ। আমাদের যেতে হবে অনেক দূর। আমাদের দেশে বর্তমানে ৫ কোটি শিক্ষার্থী রয়েছে, যেটি অনেক দেশের মোট জনসংখ্যার চেয়েও বেশি। এই যে শিক্ষার্থী সংখ্যা, এই সংখ্যাটিকে সম্পদে রূপান্তর করাটাই আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ। এটিকে ওভারকাম করতে হবে। মানবিক বাংলাদেশ তৈরিতে আমাদের সন্তানরা বড় ভূমিকা পালন করবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

        তিনি আরো বলেন, শিক্ষার্থীদেরকে ভালো মানুষ, স্বাবলম্বী ও পরোপকারী মানুষ হিসেবে তৈরি হতে হবে। তাদের মধ্যে সহমর্মিতার বোধ তৈরি করতে হবে। তরুণ প্রজন্মকে মানবিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। ’ শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষায় আমরা যা কিছু করছি আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত শিক্ষার কথা বলছি- এসবই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া পথরেখা।

        অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও বাংলাদেশ স্কাউটস রোভার অঞ্চলের সভাপতি প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান।

        এ সময় উপস্থিত ছিলেন- প্রধান স্কাউট ব্যক্তিত্ব ও দুর্নীতি দমন কমিশনার (দুদক) ড. মো. মোজাম্মেল হক খান, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলাম ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. গিয়াসউদ্দীন মিয়া।

        প্রাসঙ্গিক
          মন্তব্য

          একাদশে ভর্তির আবেদন শুরু শনিবার, জেনে নিন খুঁটিনাটি

          নিজস্ব প্রতিবেদক
          ৭ জানুয়ারি, ২০২২ ১৪:৭
          নিজস্ব প্রতিবেদক
          একাদশে ভর্তির আবেদন শুরু শনিবার, জেনে নিন খুঁটিনাটি

          একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন শুরু হবে আগামী শনিবার (৮ জানুয়ারি)। এবারও ডিজিটাল পদ্ধতিতে লটারির মাধ্যমে কলেজ পাবেন আবেদনকারীরা। আগে এসএমএসের মাধ্যমে আবেদনের সুযোগ থাকলেও এবার শুধু অনলাইনে ভর্তির আবেদন করতে হবে। দুই মাস ধরে ভর্তি কার্যক্রম শেষে ২ মার্চ একাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু হবে।

          আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি কলেজ পর্যায়ে শিক্ষার্থী ভর্তির বিষয়ে রোডম্যাপ তৈরি করেছে। আবেদনে শিক্ষার্থীরা সর্বনিম্ন পাঁচটি ও সর্বোচ্চ ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্বাচন করবে। ভর্তির জন্য তিন ধাপে মেধাতালিকা প্রকাশ করা হবে। একাদশে ভর্তি হতে xiclassadmission.gov.bd ওয়েবসাইটে আবেদন করতে হবে।

          এদিকে, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা বলছেন, এবার প্রায় ২১ লাখ শিক্ষার্থী এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাস করেছেন। এত বিপুল শিক্ষার্থীর জন্য পর্যাপ্ত আসন আছে কি না, এ নিয়ে তাদের মনে আছে সংশয়। তবে, কলেজ সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সব শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার পরও প্রায় ৫ লাখ আসন খালি থাকবে।

          ঢাকা শিক্ষা বোর্ড থেকে জানা গেছে, ৩০ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীদের সিলেকশন নিশ্চয়ন করতে হবে। সিলেকশন নিশ্চয়ন না করলে তাদেরকে পুনরায় ফি দিয়ে আবেদন করতে হবে। ৭ ও ৮ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় পর্যায়ের আবেদন নেওয়া হবে। পছন্দক্রম অনুযায়ী প্রথম মাইগ্রেশনের ফল এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের আবেদনের ফল প্রকাশ করা হবে ১০ ফেব্রুয়ারি। ১১-১২ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের সিলেকশন নিশ্চয়ন করতে হবে। এ সময়ের মধ্যে সিলেকশন নিশ্চয়ন না করলে আবেদন বাতিল হবে। ১৩ ফেব্রুয়ারি তৃতীয় পর্যায়ের আবেদন নিয়ে পছন্দক্রম অনুযায়ী দ্বিতীয় মাইগ্রেশনের ফল এবং তৃতীয় পর্যায়ের আবেদনের ফল প্রকাশ করা হবে ১৫ ফেব্রুয়ারি। ১৬ ও ১৭ ফেব্রুয়ারি তৃতীয় পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের সিলেকশন নিশ্চয়ন করতে হবে। এ সময়ের মধ্যে সিলেকশন নিশ্চয়ন না করলে আবেদন বাতিল হবে।

          যারা আবেদন করতে পারবেন: ২০১৯ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে যারা এসএসসি পাস করেছেন, তারা আবেদন করতে পারবেন। তবে, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএসসি পাস করা শিক্ষার্থীরা ২২ বছর বয়সেও আবেদন করতে পারবেন। যেসব শিক্ষার্থী এসএসসি ও দাখিলের ফল পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করবেন, তারা ১৫ জানুয়ারির মধ্যে আবেদন করলেও ফল পরিবর্তনকারীরা ২২ ও ২৩ জানুয়ারি আবেদন করতে পারবেন। ২৪ জানুয়ারি পছন্দক্রম পরিবর্তনের সুযোগ দেওয়া হবে। ২৯ জানুয়ারি প্রথম দফায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করা হবে।

          অন্যদিকে, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলোতেও ৮ জানুয়ারি থেকে আবেদন নেওয়ার চিন্তা চলছে। কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে ভর্তি নীতিমালাসহ এ সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

          কোন প্রতিষ্ঠানে আবেদন ও ভর্তি ফি কত: আবেদন ও নির্বাচন পর্ব শেষে ১৯ থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা হবে। এবার আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫০ টাকা। নীতিমালায় ঢাকা ও জেলা পর্যায়ে বাংলা ও ইংরেজি ভার্সনে ভর্তি ফিসহ সব ব্যয় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী, ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার ক্ষেত্রে বাংলা ও ইংরেজি ভার্সনে ৫ হাজার টাকা, ঢাকা মহানগরের বাইরে ৩ হাজার, জেলা পর্যায়ে ২ হাজার আর উপজেলা ও মফস্বলে ১ হাজার ৫০০ টাকা আদায় করা যাবে। নির্ধারিত ফির বেশি অর্থ আদায় করা যাবে না। এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সেশন চার্জ ও ভর্তি ফি নেওয়া যাবে। উন্নয়ন ফি আদায় করা যাবে না।

          সরকারি তথ্য অনুযায়ী, একাদশ শ্রেণিতে লেখাপড়া হয়, সারা দেশে এমন কলেজ ও মাদ্রাসা আছে ৮ হাজার ৮৬৪টি। অন্যদিকে, সরকারি ও বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট আছে ৫৫০। কলেজ ও মাদ্রাসায় আসন আছে ২৪ লাখ ৪০ হাজার ২৪৯টি। পলিটেকনিকে আছে ১ লাখ ৬৯ হাজার আসন। সবমিলিয়ে এ স্তরে আসন ২৬ লাখ ৯ হাজার ২৪৯টি। এর বিপরীত দিকে এসএসসি, দাখিল এবং সমমানের পরীক্ষায় পাস করেছেন ২০ লাখ ৯৬ হাজার ৫৪৬ জন। তাদের মধ্যে এসএসসিতে ১৬ লাখ ৮৬ হাজার ২১১ জন, দাখিলে ২ লাখ ৭২ হাজার ৭২২ জন এবং কারিগরি শাখা থেকে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৬১৩ জন পাস করেছেন।

          প্রাসঙ্গিক
            মন্তব্য
            সর্বশেষ সংবাদ
              সর্বাধিক পঠিত