The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪

বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ চুকানোর আগেই সহকারী জজ হন সুমাইয়া

ছোটবেলা থেকেই সবারই স্বপ্ন থাকে কেউ ডাক্তার হবে, কেউ ইঞ্জিনিয়ার আবার কেউবা শিক্ষক। প্রত্যেকেরই থাকে আলাদা আলাদা স্বপ্ন। তবে এসব থেকে একবারেই ব্যতিক্রম ছিলেন সুমাইয়া। তার ছিলো না নির্দিষ্ট কোনো কিছু হবার স্বপ্ন। সময় যখন যা ডিমান্ড করবে, তখন সেটাই হবেন- এমন ভাবনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক শেষ করে স্নাতকে ভর্তি হোন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ চুকানোর আগেই হয়ে গেলেন সহকারী জজ! আমরা বলছি চতুর্দশ বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (বিজেএস) পরীক্ষায় মেধা তালিকায় প্রথম হওয়া সুমাইয়া নাসরিনের কথা।

সুমাইয়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী। বর্তমানে তিনি স্নাতকোত্তর (এলএলএম) অধ্যয়নরত। তিনি নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার বড়াইগ্রাম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক নাজনীন খাতুন এবং জীব-বীমা করপোরেশনের ব্যবস্থাপক (অব.) আবুল কালাম আজাদ দম্পতির দ্বিতীয় সন্তান।

নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার লক্ষ্মীকোল গ্রামে সুমাইয়ার জন্ম ও বেড়ে ওঠা। স্থানীয় আরএন কিন্ডারগার্টেন স্কুলে তার শিক্ষাজীবন শুরু হয়। এরপর লক্ষ্মীকোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়ে পঞ্চম শ্রেণি পাস করেন। পরে বড়াইগ্রাম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। সেখান থেকেই ২০১০ সালে জেএসসিতে সব বিষয়ে জিপিএ-৫ এবং ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পান। একই স্কুল থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে ২০১৩ সালে মাধ্যমিক (এসএসসি) পাস করেন।

পরে ভর্তি হোন রাজশাহী কলেজে। সেখান থেকে ২০১৫ সালে সব বিষয়ে জিপিএ-৫ পেয়ে উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) পাস করেন। পরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে ভর্তি হোন। তিনি ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত স্নাতক (সম্মান) চূড়ান্ত পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে দ্বিতীয় স্থান লাভ করেন। বর্তমানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েই তিনি স্নাতকোত্তরে অধ্যয়নরত।

প্রথম স্থান অধিকার করা সুমাইয়া বলেন, আমার এই অসাধারণ সফলতার পেছনে আমার পরিবার ও বিভাগের শিক্ষকদের অবদান সবচেয়ে বেশি। আমি প্রথম হব, এমনটা প্রত্যাশা ছিলো না। আমার টার্গেট ছিল মেধা তালিকায় নাম আসলেই হবে।

সুমাইয়া আরো বলেন, আমার কোনো নির্দিষ্ট লক্ষ্য ছিলো না। আমি বড় হয়ে এই হব বা ওই হব। সময় যখন যা ডিমান্ড করবে, তখন সেটাই করবো। তবে যেহেতু বিচারকের লাইনে এলাম, তাই সব সময় ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার চেষ্টা থাকবে আমার। বিচারবঞ্চিত ব্যক্তিদের পাশে দাঁড়িয়ে সব সময় প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে আমার অবস্থান থাকবে।

সুমাইয়া নাসরিন পড়াশোনার বিষয়ে বলেন, নিয়মিত পড়ালেখার বিকল্প নেই। পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি সমসাময়িক বিষয়ে ধারণা থাকতে হবে। তবেই সফলতা আসবে।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.