ঢাকা, শনিবার, ২৩ আগস্ট ২০২৫ ৮ ভাদ্র ১৪৩২
 
শিরোনাম

২৫ আগস্ট যে কারণে কক্সবাজার যাবেন প্রধান উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক
২১ আগস্ট, ২০২৫ ২০:১
অনলাইন ডেস্ক
২৫ আগস্ট যে কারণে কক্সবাজার যাবেন প্রধান উপদেষ্টা

রোহিঙ্গা বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিতে কক্সবাজার যাবেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। আগামী ২৪ আগস্ট কক্সবাজারে এই সম্মেলন শুরু হবে। পরদিন ২৫ আগস্ট কক্সবাজার যাবেন প্রধান উপদেষ্টা।

বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম।

প্রেসসচিব বলেন, ‘আগামী ২৪, ২৫ ও ২৬ আগস্ট কক্সবাজারে রোহিঙ্গা বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলন হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকার রোহিঙ্গা ইস্যুটিকে খুব গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। এই বিষয়ে আমরা অনেকের সঙ্গে কাজ করছি। সেই আলোকে রোহিঙ্গা সংকট যাতে আবারও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোচনার বিষয় হয়, সে জন্য তিনটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন করার পরিকল্পনা নিয়েছি।

তার প্রথমটি ২৪ আগস্ট শুরু হবে, এরপর ৩০ সেপ্টেম্বর সবচেয়ে বড় সম্মেলন হবে জাতিসংঘে। সেখানে আশা করছি ১৭০টি দেশ অংশ নেবে। তারপর আমরা আরেকটা বড় সম্মেলন আশা করছি কাতারের দোহাতে।’
তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গারা যে মানবিক সংকটের সম্মুখীন হয়েছে, তাদের কথা আন্তর্জাতিক ফোরামে নিয়ে আসা অনেকটা কষ্টকর।

সে জন্য কক্সবাজারের সম্মেলনে আমরা আশা করছি ৪০টি দেশের প্রতিনিধিরা থাকবেন, অনেক আন্তর্জাতিক ও জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা এখানে থাকবে। তাদের সঙ্গে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী সরাসরি সম্পৃক্ত হতে পারবে, তাদের কথা বলতে পারবেন। ২৪ আগস্ট এই ধরনের একটি আয়োজন রাখা হয়েছে। ২৫ আগস্ট কক্সবাজারে যাবেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। এই সম্মেলন ২৬ আগস্ট শেষ হবে।

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    অফিশিয়াল পাসপোর্টে ভিসা ছাড়াই পাকিস্তান সফর করা যাবে : প্রেসসচিব

    অনলাইন ডেস্ক
    ২১ আগস্ট, ২০২৫ ১৯:১৬
    অনলাইন ডেস্ক
    অফিশিয়াল পাসপোর্টে ভিসা ছাড়াই পাকিস্তান সফর করা যাবে : প্রেসসচিব

    অফিশিয়াল ও কূটনৈতিক পাসপোর্ট পারস্পরিক ভিসা অব্যাহতি সুবিধা পেতে পাকিস্তানের সঙ্গে চুক্তির অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।

    বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। এদিন দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম।

    প্রেসসচিব বলেন, ‘পাকিস্তানের মতো এ রকম চুক্তি আমরা আরো ৩১টি দেশের সঙ্গে করেছি। এই চুক্তি হবে পাঁচ বছরের জন্য। এর ফলে যারা অফিশিয়াল পাসপোর্ট এবং কূটনৈতিক পাসপোর্ট ব্যবহার করছেন তারা এখন বিনা ভিসায় পাকিস্তান সফর করতে পারবেন। একইভাবে পাকিস্তানের যারা অফিশিয়াল এবং কূটনৈতিক পাসপোর্ট ব্যবহার করছেন তারাও বাংলাদেশে সফর করতে পারবেন কোনো ভিসা ছাড়াই।

    এটা একটা স্ট্যান্ডার্ড প্র্যাকটিস।’
    উপ-প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, এই বিষয়ে পাকিস্তান সরকারের সম্মতি পাওয়া গেছে।

     

    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      নথি গায়েব করে ১৪৬ কোটি টাকার কর ফাঁকি, ৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করবে দুদক

      নিজস্ব প্রতিবেদক
      ২১ আগস্ট, ২০২৫ ১৬:৩২
      নিজস্ব প্রতিবেদক
      নথি গায়েব করে ১৪৬ কোটি টাকার কর ফাঁকি, ৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করবে দুদক

      ঢাকা কর অঞ্চল-৫ এর কর কমিশনার আবু সাঈদ মো. মুস্তাকসহ তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। নথি গায়েব করে ১৪৬ কোটি টাকার কর ফাঁকিতে সহায়তার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

      বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) কমিশন এই মামলার অনুমোদন দেয়। দুদকের উপ-পরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।

      শিগগির দুদকের সহকারী পরিচালক মিনহাজ বিন ইসলাম মামলাটি দায়ের করবেন বলে জানা গেছে। তাদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করতে পারে দুদক।

      অভিযুক্তরা হলেন- কর অঞ্চল-৫ এর কর কমিশনার আবু সাঈদ মো. মুস্তাক, অতিরিক্ত কর কমিশনার গোলাম কবীর এবং উপ-কর কমিশনার লিংকন রায়।

      এর আগে গত ১০ জুলাই একটি করদাতা কোম্পানির আয়কর নথি গায়েব করে সরকারের ১৪৬ কোটি ৫৭ লাখ টাকার রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগে ঢাকার কর অঞ্চল-৫, সার্কেল-৯০ (কোম্পানি)-এর অফিসে অভিযান চালায় দুদকের এনফোর্সমেন্ট ইউনিট।

      প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, অভিযানের সময় ১৪৬ কোটি ৫৭ লাখ টাকা কম কর নির্ধারণী আদেশের মূল ফাইলগুলো খুঁজে পায়নি এনফোর্সমেন্ট টিম। এগুলো উদ্দেশ্যমূলক গায়েব করা হয়েছে মর্মে টিমের সদস্যদের কাছে প্রতীয়মান হয়। অভিযানকালে অন্যান্য রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০২২-২৩ করবর্ষের মাসিক কর নির্ধারণ রেজিস্ট্রার ৪-এর পৃষ্ঠা নম্বর ৩-এর ৪৪ ও ৪৫ নম্বর ক্রমিকে টিআইএনধারী একটি প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে কর মওকুফ সুবিধা দেওয়া হয়েছে।

      তাতে দেখা যায়, ২০২০-২১ ও ২০২১-২২ করবর্ষের দুটি মামলার বিপরীতে কর্তৃপক্ষের নির্ণয় করা আয়ের বিপরীতে কর দাবির পরিমাণ যথাক্রমে ৭২ কোটি ৯৬ লাখ টাকা ও ৭৩ কোটি ৬১ লাখ টাকা। সবমিলিয়ে ১৪৬ কোটি ৫৭ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়। পরে মামলা দুটি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক অডিটের জন্য নির্বাচিত হয়। এরপর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নথিতে রক্ষিত কর নির্ধারণী আদেশ অনুযায়ী কর মামলা দুটিতে করদাবির পরিমাণ নির্ধারণ করেন যথাক্রমে শূন্য টাকা ও ১ হাজার ২৯৯ টাকা, যা অস্বাভাবিক।

       

      প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য

        শেরপুরে পাটের অধিক ফলনে খুশি কৃষকরা

        অনলাইন ডেস্ক
        ২১ আগস্ট, ২০২৫ ১৪:৩১
        অনলাইন ডেস্ক
        শেরপুরে পাটের অধিক ফলনে খুশি কৃষকরা

        শেরপুরে সোনালী আঁশের সুদিন ফিরছে। বিগত দিনের চেয়ে বেশি দামের কারণে কৃষকরা পাট চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। ফলে এবছর লক্ষ্যমাত্রার ছাড়িয়ে জেলায়  অধিক ফলন হয়েছে পাটের।

        সরজমিনে দেখা গেছে, জেলার বিভিন্ন উপজেলায় এখন চলছে পাট কাটার ধুম।  বিভিন্ন জলাশয়ে চলছে পাট জাগ, আঁশ ছড়ানো, শুকানো ও পাটকাঠি সংগ্রহের কর্মযজ্ঞ । সবুজ পাট গাছের রূপান্তর ঘটছে সোনালী পাটের আঁশ আর পাটকাঠিতে। গ্রামীণ জনপদে কৃষান কৃষানীরা মেতে উঠেছেন পাট কাজের ব্যস্ততায়।

        জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এক দশক আগে জেলায় পাটের আবাদি জমি ছিল চলতি বছরের প্রায় অর্ধেক। হেক্টর প্রতি পাটের গড় উৎপাদনও বৃদ্ধি পাওয়ায় চলতি বছর জেলায় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে পাটের আবাদ হয়েছে। এবছর ১ হাজার ৮৯৪ হেক্টর জমি আবাদ লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে পাটের আবাদ হয়েছে ১ হাজার ৯১১ হেক্টরে। এসব জমি থেকে পাটের উৎপাদন ৬ হাজার ২০ টন।

        গত বছর জেলায় ১ হাজার ৮৯৪ হেক্টর জমিতে পাটের চাষ হয়েছিল। এবছর পাটের চাষ বৃদ্ধিতে জেলা পাট অধিদপ্তর থেকে প্রায় ৭ হাজার কৃষকের মাঝে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচীর আওতায় ১ কেজি করে পাট বীজ এবং ১২ কেজি করে রাসায়নিক সার প্রদান করা হয়েছিল।

        ইতোমধ্যে ১ হাজার ৭০০ হেক্টর জমির পাট কাটা শেষ হয়েছে। যেখানে বিঘা প্রতি পাটের গড় ফলন ১০ থেকে ১২ মণ। কৃষকরা বলছেন, বিঘাতে পাট চাষে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা এবং খরচ বাদে মুনাফা থাকে ১৪ থেকে ১৫ হাজার টাকা। এছাড়া প্রতিটি পাটখড়ির আঁটি ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি করে বাড়তি আয় করা যায়।

        জেলা সদরের লছমনপুর ইউনিয়নের দড়িপাড়া গ্রামের কৃষক জামাল উদ্দিন (৪৫) জানান, সিন্ডিকেট করে যেন কোন ব্যবসায়ী পাটের দাম কমাতে না পারে সেদিকে সরকারের কঠোর নজরদারি প্রয়োজন। তা না হলে একদিকে যেমন কৃষকদের পাট চাষে আগ্রহ কমবে। অন্যদিকে পাটের ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হবেন পাট চাষীরা।

        একই এলাকার কৃষক আক্রাম হোসেন (৪২) বলেন, প্রতিবছরের মত এবারো তিন বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছি। এবছর আষাঢ়ে কাংখিত বৃষ্টি না থাকলেও শ্রাবনে প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে। তাই হাতের নাগালে আশপাশের সকল জলাধার পানিতে টইটুম্বুর থাকায় জমির পাট অনায়াসে পঁচাতে পেরেছি। তাই এবার পরিবহনের খরচ একদম নেই। এছাড়া বিঘা প্রতি ১২ মণ করে ফলন পাচ্ছি এবং দামও বেশ ভাল।

        এবিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপপরিচালক,  মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন জানান, পরিবেশ বান্ধব বলে দেশে পাটের বহুমুখী ব্যবহার দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলে দেশে ও বিদেশে পাটের চাহিদা বাড়ছে। বাড়তি মূল্য পাওয়ার কারণে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন এবং পাট চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। পাট জাগ সহ নানা বিষয়ে কৃষকদের পরামর্শ দিতে মাঠে কাজ করছে উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা।

        প্রাসঙ্গিক
          মন্তব্য

          চিকিৎসকের জবানবন্দি

          হাসপাতালে ভর্তি ১৬৭ জুলাই আহতের বেশির ভাগের মাথার খুলি ছিল না

          অনলাইন ডেস্ক
          ২০ আগস্ট, ২০২৫ ১৭:৪৯
          অনলাইন ডেস্ক
          হাসপাতালে ভর্তি ১৬৭ জুলাই আহতের বেশির ভাগের মাথার খুলি ছিল না

          জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালে গুরুতর আহত যে ১৬৭ জনকে ভর্তি করা হয় তাদের বেশিরভাগের মাথার খুলি ছিল না বলে জানিয়েছেন ওই হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক মো. মাহফুজুর রহমান।

          বুধবার (২০ আগস্ট) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক মো. মাহফুজুর রহমান তার জবানবন্দিতে এমন তথ্য জানান। তিনি গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে করা মামলার ১৩তম সাক্ষী।

          শেখ হাসিনা ছাড়া এই মামলার অপর দুই আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। সাবেক আইজিপি মামুন ইতিমধ্যে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায় স্বীকার করেছেন। আজ তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

          জবানবন্দিতে মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালে ৫৭৫ জন গুলি ও পিলেটবিদ্ধ রোগীকে বহির্বিভাগে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। তাদের মধ্যে অনেককেই হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজনীয়তা থাকলেও সিট সংকুলান না হওয়ায় এবং গুরুতর আহত রোগীর চাপ বেশি থাকায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। গুরুতর আহত ১৬৭ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের বেশির ভাগেরই মাথার খুলি ছিল না। তাদের মধ্যে চারজনকে মৃত অবস্থায় আনা হয়। ২৯ জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। সাতজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে পাঠানো হয়।’

          গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের প্রায় ৩৩টি অস্ত্রোপচার নিজে করেছেন বলে জবানবন্দিতে উল্লেখ করেন মাহফুজুর রহমান। তিনি বলেন, ‘অনেকগুলো বুলেট ও পিলেট আহত আন্দোলনকারীদের শরীর থেকে বের করেছি। অনেকগুলো গুলি ও পিলেট রোগীরা চেয়ে নিয়ে যায়। তদন্তকারী কর্মকর্তা জব্দ তালিকামূলে দুটি পিলেট এবং একটি বড় বুলেট ও আরও একটি গোলাকার বুলেট জব্দ করেছে।’

          জবানবন্দিতে মাহফুজুর রহমান বলেন, গত বছরের ১৯ জুলাই যখন রোগীর সংখ্যা বাড়ছিল, তখন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) লোকেরা এসে নতুন গুলিবিদ্ধ ছাত্রদের ভর্তি না করার জন্য তাকে চাপ দেন।

          মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘(ডিবি) বলে, আপনি অতি উৎসাহী হবেন না, আপনি বিপদে পড়বেন। তারা আরও বলে, যাদের ভর্তি করেছেন, তাদের রিলিজ করবেন না—এ বিষয়ে ওপরের নির্দেশ আছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তখন আমরা কৌশলে ভর্তি রেজিস্ট্রারে রোগীদের জখমের ধরন পরিবর্তন করে গুলিবিদ্ধের স্থলে রোড অ্যাক্সিডেন্ট বা অন্যান্য কারণ লিপিবদ্ধ করে ভর্তি করি।’

          জবানবন্দিতে মাহফুজুর রহমান আরও বলেন, উপরিউক্ত মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রধান নির্দেশদাতা শেখ হাসিনা। তার নির্দেশ কার্যকরকারী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ওবায়দুল কাদের, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী আরাফাত এবং যারা নিরস্ত্র আন্দোলনকারীদের ওপর নির্বিচার গুলি চালিয়ে নিহত ও আহত করেছেন, তাদের বিচার ও ফাঁসি চান তিনি।

          প্রাসঙ্গিক
            মন্তব্য
            সর্বশেষ সংবাদ
              সর্বাধিক পঠিত