পেট্রোবাংলায় দুদকের অভিযান

দুর্নীতির অভিযোগে পেট্রোবাংলায় দুদকের অভিযান চলমান..
বিস্তারিত আসছে....................
খালেদা জিয়ার আগমনে বিমানবন্দরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দেশে ফেরাকে কেন্দ্র করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের চারদিকে নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তোলেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী। বিমানবন্দরে প্রবেশের গোলচত্বর এলাকায় কঠোর অবস্থানে দেখা গেছে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ সদস্যদের। যারা প্রবেশ করছেন সঠিক কারণ যাচাই-বাছাই ও নিরাপত্তা তল্লাশি শেষে প্রবেশ করছেন।
এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশের প্রধান ও অতিরিক্ত ডিআইজি সিহাব কায়সার খান বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের আগমনকে কেন্দ্র নেতাকর্মীদের ঢল নামবে। এ ঢল ঠেকাতে ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঠিক রাখতে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আর সেই মোতাবেক তারা কাজ করছেন।
তিনি বলেন, পোশাকে, সাদা পোশাক, ক্রাইসিস রেসপন্স টিম, ডগ স্কোয়াড মোতায়েন করা হয়েছে। আর্মড পুলিশের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা আমরা গ্রহণ করেছি।
এদিকে আর্মড পুলিশের পাশাপাশি সিভিল এভিয়েশনের নিজস্ব সিকিউরিটি, অ্যাভসেক, বিমান বাহিনী ও সেনাবাহিনীর সদস্যদেরও দায়িত্বপালন করতে দেখা যাচ্ছে। এছাড়াও রয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সদস্যদের।
সরেজমিন দেখা যায়, বিমানবন্দরের প্রবেশের গোলচত্বর ও বেবিচক সদর দফতর গেটের দুই পাশেই বিপুল সংখ্যক পুলিশের অবস্থান। এই দুই গেট দিয়ে যারাই যাচ্ছেন তাদের তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
খালেদা জিয়াকে বহনকারী বিশেষ এয়ার এ্যাম্বুলেন্সটি সকাল সাড়ে ১০টায় শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে। অবতরণ করার পর তার গাড়ি বহর বিমানবন্দরের ৮ নম্বর হ্যাঙ্গার গেট দিয়ে বের হয়ে তার বাসভবন গুলশানে যাবে।
বাবার দিকে খেয়াল রাখবে : বিদায়বেলায় নাতনির উদ্দেশে খালেদা জিয়া

নাতনি ব্যারিস্টার জাইমা রহমানের উদ্দেশে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বিদায়বেলায় বলেছেন, ‘বাবার দিকে খেয়াল রাখবে।’
এছাড়া, হিথ্রো বিমানবন্দরে বিদায় জানাতে আসা ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে খালেদা জিয়া জিজ্ঞেস করেন, ‘তুমি কখন যাবে?’
জবাবে তারেক রহমান বলেন, ‘তুমি বিমানে উঠলে জাইমা চলে আসবে। তারপর বাবা-মেয়ে একসঙ্গে বাসায় চলে যাব।’
দুই পুত্রবধূকে সাথে নিয়ে দেশে ফিরলেন খালেদা জিয়া

দীর্ঘ চার মাস পর যুক্তরাজ্যের লন্ডন ক্লিনিকে চিকিৎসা শেষে দুই পুত্রবধূকে নিয়ে দেশে ফিরলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে বহনকারী কাতারের আমিরের বিশেষ ফ্লাইটটি আজ মঙ্গলবার (৬ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অবতরণ করে। তার সঙ্গে ছিলেন বড় ছেলে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান ও ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শামিলা তাবাসসুম। এসময় বিমানবন্দরে দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা তাঁকে স্বাগত জানান। এরপর বেলা ১১টা ৫ মিনিটের দিকে গুলশানের বাসভবন ফিরোজার উদ্দেশে রওনা হন বিএনপির চেয়ারপারসন।
তার আগে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে সকাল থেকেই বিমানবন্দর থেকে খিলখেত, বনানী ও গুলশান এলাকার মূল সড়কে বিএনপির নেতাকর্মীদের ঢল নামে। নির্ধারিত সময়ের অনেক আগে থেকেই নেতাকর্মীরা সড়কে জড়ো হতে শুরু করেন।
সরেজমিনে বিমানবন্দর এলাকায় দেখা যায়, বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা দলীয় পতাকা ও জাতীয় পতাকা হাতে রাস্তার দুই পাশে অবস্থান নেন। সেখানে তারা বিভিন্ন স্লোগান দেন। অপরদিকে খালেদা জিয়ার আগমন উপলক্ষে বিমানবন্দর এলাকায় ট্রাফিক পুলিশসহ নিরাপত্তাবাহিনীর ব্যাপক তৎপরতা দেখা গেছে।
দলীয় সূত্র জানা গেছে, খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানাতে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি অবস্থান করছে বিমানবন্দর থেকে লো মেরিডিয়েন হোটেল পর্যন্ত এলাকায়। ছাত্রদল অবস্থান করছে লো মেরিডিয়েন হোটেল থেকে খিলক্ষেত পর্যন্ত এলাকায়। যুবদল খিলক্ষেত থেকে হোটেল র্যাডিসন পর্যন্ত এলাকায়। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি হোটেল র্যাডিসন থেকে আর্মি স্টেডিয়াম পর্যন্ত এলাকায়। স্বেচ্ছাসেবক দল আর্মি স্টেডিয়াম থেকে বনানী কবরস্থান পর্যন্ত এলাকায়। কৃষক দল বনানী কবরস্থান থেকে কাকলী মোড় পর্যন্ত এলাকায়। শ্রমিক দল কাকলী মোড় থেকে বনানীর শেরাটন হোটেল পর্যন্ত এলাকায়। ওলামা দল, তাঁতী দল, জাসাস, মৎস্যজীবী দল অবস্থান করছে শেরাটন হোটেল থেকে বনানী কাঁচাবাজার পর্যন্ত এলাকায়। পেশাজীবী সংগঠনগুলো অবস্থান করছে বনানী কাঁচাবাজার থেকে গুলশান-২ পর্যন্ত এলাকায়। মহিলা দল অবস্থান করছে গুলশান-২ নম্বর গোলচত্বর থেকে গুলশান অ্যাভিনিউ রোড পর্যন্ত এলাকায়।
এদিকে, বেগম খালেদা জিয়ার জন্য তাঁর ঢাকার বাসভবন ‘ফিরোজা’প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সরাসরি গুলশানের ৮০ নম্বর সড়কের ১ নম্বর বাড়ি ‘ফিরোজা’য় যাবেন তিনি। বাড়িটির চারদিকে দেয়াল ঘেরা, সামনে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের জন্য কক্ষ। পালাক্রমে বাড়ি পাহারা দিচ্ছেন পুলিশ ও চেয়ারপারসনের সিকিউরিটি ফোর্সের (সিএসএফ) সদস্যরা। বাসভবনের ভেতরের সবগুলো কক্ষের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজও শেষ হয়েছে। সামনের সবুজ আঙিনা ফুল গাছের টব দিয়ে সাজানো হয়েছে।
এ বিষয়ে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘বাসা পুরোপুরি প্রস্তুত আছে। বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির সরবরাহ, বাসার আঙিনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, সাজসজ্জা কোনো কিছুই বাদ নেই। ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) স্বজনরা সবকিছু তদারকি করেছেন। এখন আমরা সবাই ম্যাডামের অপেক্ষায় আছি।’
গত ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যের লন্ডনে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। লন্ডন ক্লিনিকে টানা ১৭ দিন চিকিৎসা নেন তিনি। এরপর গত ২৫ জানুয়ারি থেকে ছেলে তারেক রহমানের বাসায় চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। এ সময় তিনি লন্ডন ক্লিনিকের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক প্যাট্রিক কেনেডি ও অধ্যাপক জেনিফার ক্রসের তত্ত্বাবধানে ছিলেন।
নেতাকর্মীদের ভালোবাসায় সিক্ত খালেদা জিয়া

দীর্ঘ চার মাস পর যুক্তরাজ্যের লন্ডন ক্লিনিকে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে বহনকারী কাতারের আমিরের বিশেষ ফ্লাইটটি আজ মঙ্গলবার (৬ মে) সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটের দিকে অবতরণ করে। এসময় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা তাঁকে স্বাগত জানান।
গুলশানের বাসভবন ফিরোজার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন। বিমানবন্দর থেকে ১১টা ৫ মিনিটে তিনি গাড়িতে ওঠেন তিনি। খালেদা জিয়া বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার সময় নেতা-কর্মীরা ঘিরে ধরেন। হাজার হাজার নেতাকর্মীদের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া। নেতাকর্মীদের সামাল দিতে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনীকে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
বিমানবন্দর থেকে লা মেরিডিয়ান হোটেল, খিলক্ষেত, হোটেল রেডিসন, আর্মি স্টেডিয়াম, বনানী কবরস্থান, কাকলী মোড়, বনানী শেরাটন হোটেল, বনানী কাঁচাবাজার, গুলশান-২ গোলচত্বর, গুলশান অ্যাভিনিউ রোড হয়ে ৮০ নম্বর সড়কের ১ নম্বর বাড়ি ‘ফিরোজা’য় যাবেন তিনি।
মন্তব্য