ঢাকা, রবিবার, ১৭ আগস্ট ২০২৫ ২ ভাদ্র ১৪৩২
 
শিরোনাম

হারানো ফোন ফিরে পেলেন মির্জা আব্বাস

নিজস্ব প্রতিবেদক
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১৩:১১
নিজস্ব প্রতিবেদক
হারানো ফোন ফিরে পেলেন মির্জা আব্বাস

ডেস্ক রিপোর্ট: বঙ্গভবনে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে হারানো মোবাইল ফোনটি ফিরে পেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

বাংলাদেশের ৫৪তম বিজয় দিবস উপলক্ষে গত সোমবার এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন এবং ফার্স্ট লেডি ড. রেবেকা সুলতানা।

অনুষ্ঠানে মির্জা আব্বাস যেখানে বসেছিলেন তার পাশের একটি চেয়ারে মোবাইল ফোনটি রেখেছিলেন। পরে ফোনটি আর খুঁজে পাননি তিনি।

শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমকে জানান, বিষয়টি তিনি রাষ্ট্রপতির প্রেসসচিব জয়নাল আবেদীনকে অবহিত করেছিলেন। পরবর্তীতে মঙ্গলবার ফোনটি পাওয়া গেছে।

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    জাতীয় নাগরিক কমিটিতে যুক্ত হলেন আরও ৪০ জন

    নিজস্ব প্রতিবেদক
    ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১৩:২
    নিজস্ব প্রতিবেদক
    জাতীয় নাগরিক কমিটিতে যুক্ত হলেন আরও ৪০ জন

    ডেস্ক রিপোর্ট: জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য হিসেবে আরও ৪০ জনকে যুক্ত করা হয়েছে। এর ফলে এ কমিটির সদস্য সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪৭ জনে। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নতুন ৪০ সদস্য যুক্ত করার তথ্য জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন।

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এবং ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের স্পিরিটকে (চেতনা) সমুন্নত রাখতে জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় কমিটি বর্ধিতকরণের চলমান প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে আরও ৪০ জনকে যুক্ত করা হয়েছে। এতে জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য দাঁড়ালো মোট ১৪৭ জনে।

    নতুন সদস্যরা হলেন- আজাদ খান ভাসানী, ফারিবা হায়দার, তারিক আদনান মুন, টিনা নন্দী, রুম্মানা জান্নাত, খান মুহাম্মদ মুরসালিন, মোস্তাক আহমেদ (শিশির), তাওহীদ তানজিম, অঞ্জলী সরেন, আফসানা ছপা, মীর হাবীব আল মানজুর, সাইয়েদ জামিল, সাদ্দাম হোসেন, মীর লোকমান, রিপা কুণ্ডু, মাহমুদুর রহমান শুভ্র, ফারিহা সুলতানা অমি, সাকিব শাহরিয়ার, আবদুল্লাহ আল মানসুর, বেলাল আহমেদ চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার আবুল বাশার, ইমন সৈয়দ, সৈয়দ ফরহাদ, রহমত উল্লাহ, ডা. মনিরুজ্জামান, তাহিয়াতুন মরিয়ম, মাহবুব আলম, আজাদ আহমেদ পাটোয়ারী, কাজী আশরাফুর রহমান, নফিউল ইসলাম, তাহসীনা মেহরীন অনিন্দিতা, ড. জাহেদুল ইসলাম, তামিম আহমেদ, মুনতাসীর মাহমুদ, তুহিন মাহমুদ, শওকত আলী, মো. আবদুর রহমান, আবদুল্লাহ মাসুদ সুইট, সাবিত আল হাসান ও ঋয়াজ মোর্শেদ।

    ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। এই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের এক দফা (ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত) বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গত ১৩ সেপ্টেম্বর নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীকে আহ্বায়ক, আখতার হোসেনকে সদস্যসচিব ও সামান্তা শারমিনকে মুখপাত্র করে ৫৫ সদস্যের জাতীয় নাগরিক কমিটি আত্মপ্রকাশ করে।

    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      কারাগার থেকে চিঠিতে স্বজনদের যা লিখলেন ব্যারিস্টার সুমন

      নিজস্ব প্রতিবেদক
      ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:৪৭
      নিজস্ব প্রতিবেদক
      কারাগার থেকে চিঠিতে স্বজনদের যা লিখলেন ব্যারিস্টার সুমন

      ডেস্ক রিপোর্ট: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা মামলায় কাশিমপুর কারাগারে থাকা সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন দুটি চিঠি লিখেছেন। একটি তার মায়ের উদ্দেশে ও অন্যটি ভাই বোন এবং ভগ্নিপতিদের উদ্দেশে।

      মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে ব্যারিস্টার সুমনের ইংল্যান্ড প্রবাসী ভাই চিঠি দুটি তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে শেয়ার করেন।

      তিনি লিখেছেন, ‘দোয়া রইল। আমাকে নিয়ে দুশ্চিন্তা করবেন না। আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্যই করেন। প্রথমে একটু কষ্ট লাগত, এখন ঠিক হয়ে গেছি। নিয়মিত নামাজ, কোরআন শরিফ পড়ি। বাংলা তরজমা করা কোরআন পড়তে অনেক ভালো লাগে। আপনি নিজের শরীরের প্রতি খেয়াল রাখবেন। সারা জীবন আপনাকেই বেশি কষ্ট দিছি। অনেক মোটা বাচ্চা হওয়ার কারণে আমার জন্মের সময়ই আপনাকে কষ্ট দিছি। এই ৪৫ বছরে এসেও আপনার টাকায় আমার পরিবারের বাসা ভাড়া হয়, এর চেয়ে আর বেশি কী এক মায়ের কাছ থেকে নিতে পারি। আপনার জন্য দোয়া রইল। যে বয়সে আপনাকে আমার সেবা করার কথা, সেই বয়সে বরং আপনারাই আমার পরিবারকে দেখতেছেন। আল্লাহর কাছে আপনার জন্য সুস্থ ও লম্বা হায়াতের জন্য দোয়া চাই। ভালো থাকবেন।

      এছাড়া ভাই-বোন ও ভগ্নিপতিদের উদ্দেশে সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন লিখেছেন, ‘আমার জন্য কোনো চিন্তা করো না। রাজবন্দি হিসেবে জেলে আছি, কোনো চোর বা দুর্নীতির হিসেবে নই। আমার কারণে তোমাদের কোনো অসম্মান হউক এটা কখনো চাইনি, আশা করি আল্লাহর রহমতে হবেও না। ’

      চিঠিতে তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘অনেকে বলে আপনার কি সম্পদ আছে? দীর্ঘদিন জেলে কীভাবে খরচ চালাবেন? আমি উত্তর দেই আমার বেশি সম্পদ না থাকলেও পাঁচটি বোন আছে, একটা ভাই আছে। এটাই আমার বড় সম্পদ। শুধু জেলে কেন? আমি পৃথিবীতে না থাকলেও আমার কোনো আফসোস নেই। বোনেরা আমার পরবর্তী প্রজন্মের জন্য তোমাদের চেয়ে ভালো অভিভাবক আর কেউ হতে পারবে না। তোমাদের জন্য অনেক অনেক দোয়া রইল। ভালো থেকো তোমরা সবাই। আল্লাহ চাইলে দেখা হবে শিগগিরই। সুমন, কাশিমপুর কারাগার থেকে ১৭/১২/২০২৪’

      ব্যারিস্টার সুমনের ইংল্যান্ড প্রবাসী ভাই সোহাগ জানান, তার মা ও বোনেরা দেশে এবং প্রবাসে আছেন। কারাগার থেকে পাওয়া চিঠি সোশ্যাল মিডিয়া ও হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে সবাই পেয়েছেন।

      প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য

        বাংলাদেশে কনসার্ট নিয়ে যা জানালেন রাহাত ফতেহ আলী

        নিজস্ব প্রতিবেদক
        ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:৩২
        নিজস্ব প্রতিবেদক
        বাংলাদেশে কনসার্ট নিয়ে যা জানালেন রাহাত ফতেহ আলী

        ডেস্ক রিপোর্ট: পাকিস্তানের অন্যতম জনপ্রিয় শিল্পী রাহাত ফতেহ আলী খান। জুলাই-আগস্টের ছাত্র আন্দোলনে হতাহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিতে ঢাকায় বিনা পারিশ্রমিকে ‘চ্যারিটি কনসার্ট’ করবেন তিনি। আগামী ২১ ডিসেম্বর ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে পারফর্ম করবেন তিনি।

        আসন্ন এ কনসার্ট নিয়ে একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেন রাহাত ফতেহ আলী খান। যেখানে তিনি বলেন, আমার বীর বাঙালি ভাই ও বোনদের সালাম জানাই- আসসালামু আলইকুম। শিক্ষার্থীদের আহ্বানে আপনাদের সবার জন্য গান গাইতে আসছি আপনাদের সুন্দর জন্মভূমি বাংলাদেশে।

        রাহাত ফতেহ আলী খান শহীদ পরিবারের উদ্দেশে বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যারা আহত হয়েছেন তাদের পরিবারের জন্য তহবিল সংগ্রহের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে একটি দাতব্য কনসার্টে আপনাদের সবার সাথে দেখা করব।’

        কনসার্টের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়াম ঢাকায় সাহসী শিক্ষার্থীরা কনসার্টের আয়োজন করেছে। কনসার্টের সময় সংগৃহীত তহবিল উৎসর্গ করা হবে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যারা প্রাণ হারিয়েছেন বা আহত হয়েছেন তাদের পরিবারের কল্যাণে।’

        কনসার্টের তারিখ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘২১ ডিসেম্বর আর্মি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশি ভাই-বোনদের সাথে দেখা হবে ইনশাআল্লাহ। বাংলাদেশ-পাকিস্তান বন্ধুত্বের জিন্দাবাদ।’

        প্রাসঙ্গিক
          মন্তব্য

          বুটেক্সে ফর্মফিলাপ যেন এক ভোগান্তির নাম

          নিজস্ব প্রতিবেদক
          ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:১১
          নিজস্ব প্রতিবেদক
          বুটেক্সে ফর্মফিলাপ যেন এক ভোগান্তির নাম

          মাইনুল হাসান মাসুম: সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার ফরম পূরণের কথা মনে হলেই ভোগান্তির চিত্র ভেসে ওঠে। যেখানে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় কাজ চলছে, সেখানে বুটেক্সে ফরম পূরণে এখনো প্রাচীন আমলের পদ্ধতি চালু রয়েছে। প্রশাসনকে অনলাইনে ফরম পূরণের ব্যবস্থার জন্য একাধিকবার জানানোর পরও আশার আলো দেখেনি শিক্ষার্থীরা। এমনটাই অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) শিক্ষার্থীরা।

          জানা যায়, ফরম পূরণের জন্য প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে অনলাইনে ফরম সংগ্রহ করতে হয়, এরপর সেই ফরম প্রিন্ট করে, ম্যানুয়ালি ফিলাপ করতে হয়। তারপর ফরমের সাথে যুক্ত করতে হয় লাইব্রেরি ক্লিয়ারেন্স এবং হল সংযুক্তি। আর এই  লাইব্রেরি ক্লিয়ারেন্স নিতে ভোগান্তির শেষ নাই, দীর্ঘ লাইন ধরে সংগ্রহ করতে হয়। অন্যদিকে যারা অনাবাসিক শিক্ষার্থী তাদেরকে তিনটি হল ঘুরে ঘুরে হল সংযুক্তি নিতে হয়, যাতে চরম ভোগান্তির সম্মুখীন হচ্ছে অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে অনলাইনের নামে ফর্ম ফিলাপের টাকা জমা নিলেও, এটার রশিদ প্রিন্ট করে আবার জমা দিতে হয়। এভাবে জটিল ও সময় সাপেক্ষ প্রক্রিয়ায় প্রতি সেমিস্টার ফাইনালের ফরম পূরণ চলে।

          এ বিষয়ে দেশের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে চলছে ফরম পূরণ কার্যক্রম। কিন্তু প্রতিষ্ঠার ১৪ বছর পার করে ফেলা বাংলাদেশ টেক্সটাইল  বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো চলছে ভোগান্তিকর অ্যানালগ পদ্ধতি।

          নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৬তম ব্যাচের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ফরম ফিলাপের প্রক্রিয়াটা পরীক্ষার থেকেও জটিল। এই দপ্তর থেকে ওই দপ্তর, এই ভবন থেকে ওই ভবনে অহেতুক ছোটাছুটি করার ফলে শিক্ষার্থীদের মূল্যবান সময় ও শ্রম ব্যয় হয়। এ জন্য সকল শিক্ষার্থীদের দাবি এই প্রক্রিয়াটা যেন সহজ ও শিক্ষার্থীবান্ধব করা হয়।

          বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মো. রিয়াজুল ইসলাম বলেন, আমরা দ্রুতই অটোমেশন পদ্ধতিতে ঢুকে যাবো। তখন আর এই ভোগান্তি থাকবে না। আশা করা যায়, পরবর্তী সেমিস্টার থেকেই শিক্ষার্থীরা এই সুবিধা পাবে।

          বিষয়ে আইসিটি সেলের মো. আসিফুর রহমান বলেন, আমরা সবকিছু অনলাইনে আনার জন্য কাজ করছি। ইতোমধ্যেই কাজ অনেক দূর এগিয়েছে। আশা করছি, খুব শিগগিরই শিক্ষার্থীরা সবকিছু অনলাইনে করতে পারবে।

          প্রাসঙ্গিক
            মন্তব্য
            সর্বশেষ সংবাদ
              সর্বাধিক পঠিত