ঢাকা, রবিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৫ ২৪ কার্তিক ১৪৩২
 
শিরোনাম

বান্দরবানের আলীকদম ও থানচিতে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৪ অক্টোবর, ২০২২ ১০:৪৬
নিজস্ব প্রতিবেদক
বান্দরবানের আলীকদম ও থানচিতে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি

বান্দরবানের আরো দুই উপজেলায় স্থানীয় ও বিদেশি পর্যটকদের ভ্রমণের উপর ২৩ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়। উপজেলাগুলো হলো- আলীকদম ও থানচি।

গত রোববার (২৩ অক্টোবর) জেলা প্রশাসক, বান্দরবান এক আদেশে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

উক্ত আদেশে বলা হয়েছে, “বান্দরবান পার্বত্য জেলার আলীকদম ও থানচি উপজেলায় সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসীদের উপস্থিতির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য সংগ্রহের জন্য সদর দপ্তর, বান্দরবান রিজিয়ন ও বান্দরবান সেনানিবাসের বান্দরবান রিজিয়ন কর্তৃক আধিপত্য বিস্তারমূলক টহল কার্যক্রম পরিচালনা এবং গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করত: বান্দরবান পার্বত্য জেলার আলীকদম ও থানচি উপজেলায় স্থানীয় ও বিদেশি পর্যটকদের ভ্রমণ ২৩ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত এতদ্বারা নিষিদ্ধ করা হলো”।

বান্দরবান পার্বত্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (রুটিন দায়িত্ব) মো. লুৎফুর রহমান (উপসচিব) উক্ত আদেশে স্বাক্ষর করেছেন।

ইতোপূর্বে গত ১৭ অক্টোবর একই কারণে রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলার পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    আগামী মঙ্গলবার সকালে ঘুর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর

    নিজস্ব প্রতিবেদক
    ২৩ অক্টোবর, ২০২২ ১৭:৩২
    নিজস্ব প্রতিবেদক
    আগামী মঙ্গলবার সকালে ঘুর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর

    বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করা নিম্নচাপটি আজ রোববারের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে যার সম্ভাবনা প্রবল। যা পরবর্তীতে আরও শক্তি অর্জন করে আগামী মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে বলে মনে করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সার্বিক অবস্থার প্রেক্ষিতে দেশের সব কটি সমুদ্রবন্দর ও কক্সবাজারকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে স্বাভাবিকের চেয়ে তিন থেকে পাঁচ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসও হতে পারে। এমনটাই জানা গেছে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে।

    ভারতের আবহাওয়াবিদেরা জানাচ্ছেন, ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দক্ষিণ–পশ্চিম উপকূলে আঘাত হানতে পারে। তবে উপকূলে আঘাত হানার শক্তি কেমন হতে পারে, তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।

    ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ভোলা, খুলনা, নোয়াখালী , বরিশাল, ফেনীসহ দেশের উপকূলীয় এলাকা এবং নদীবন্দরগুলোকে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান বলেন, “গভীর নিম্নচাপটি আজকের ভিতর ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। বাংলাদেশের উপকূলের দিকে দুই দিনের মধ্যে আঘাত হানতে পারে। আমরা এর গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছি। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে এটি একটি মাঝারি আকারের ঘূর্ণিঝড়। তবে এটি আমাবস্যার সময় আঘাত হানবে। যার কারণে বাতাসের গতি কম থাকলেও জলোচ্ছ্বাসের ফলেই উপকূলীয় এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।”

    দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য আঘাতের কথা চিন্তা করে সভা করেছে। তারা দেশের উপকূলীয় সব জেলায় জরুরি খাবার, উদ্ধার সরঞ্জামসহ ঘূর্ণিঝড়–পরবর্তী অবস্থা মোকাবিলায় অনেক স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখার বিষয়ে জোর দিয়েছেন।

    আবহাওয়াবিদের আশঙ্কা , কাল সোমবার দেশের উপকূলসহ বেশির ভাগ এলাকাতেই বৃষ্টি শুরু হতে পারে। আর বৃষ্টি বেশি হলেই ঘূর্ণিঝড়ের গতি কমে আসতে পারে।

    নিম্নচাপের প্রভাবে এরই মধ্যে রাজধানীসহ দেশের প্রায় সব এলাকার আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে রয়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টিও হচ্ছে। উপকূলীয় এলাকাগুলোয় এরই মধ্যে মাঝারি বৃষ্টি শুরু হয়েছে।

    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় পৌঁছেছেন ব্রুনাইয়ের সুলতান

      নিজস্ব প্রতিবেদক
      ১৫ অক্টোবর, ২০২২ ১৫:৪২
      নিজস্ব প্রতিবেদক
      রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় পৌঁছেছেন ব্রুনাইয়ের সুলতান

      রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় পৌঁছেছেন ব্রুনাই দারুসসালামের সুলতান হাজি হাসানাল বলকিয়াহ মুইজ্জাদ্দিন ওয়াদ্দৌলাহ।

      সুলতানকে বহনকারী একটি বিশেষ ভিভিআইপি ফ্লাইট শনিবার দুপুর আড়াইটায় (বাংলাদেশ সময়) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

      রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ মন্ত্রিসভার সিনিয়র সদস্য ও পদস্থ বেসামরিক এবং সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে ব্রুনাইয়ের সুলতানকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানান।

      বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে এই প্রথম সুলতান ওয়াদ্দৌলাহ ঢাকা সফরে এসেছেন।

      বিমান বন্দরে অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌ ও বিমান বাহিনীর একটি চৌকস দল বিমানবন্দরে তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। সেখান থেকে একটি সুসজ্জিত মোটর শোভাযাত্রা সহকারে তাকে সাভারে জাতীয় স্মৃতি সৌধে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

      ব্রুনাইয়ের সুলতান ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের নয় মাসের স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর শহিদদের স্মরণে সাভার জাতীয় স্মৃতি সৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। সুলতান সেখানে একটি গাছের চারা রোপন এবং ‘দর্শনার্থী বইয়ে’ স্বাক্ষর করবেন।

      রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন জানিয়েছেন, সাভার থেকে সুলতানকে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে নিয়ে যাওয়া হবে। ঢাকায় সফরকালে সুলতান এই হোটেলেই অবস্থান করবেন।

      একইদিন বিকেলে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ একে আব্দুল মোমেন হোটেলের সভাকক্ষে তার সাথে সাক্ষাৎ করবেন।

      এদিন সন্ধ্যা সাতটায় বঙ্গভবনের ক্রিডেনশিয়াল হলে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। পরে ব্রুনাইয়ের সুলতান বঙ্গভবনের গ্যালারি হলে দশনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করবেন।

      রাষ্ট্রপ্রধান সন্ধ্যা ৭টা ৩৫ মিনিটে সুলতানের সম্মানে রাষ্ট্রীয় নৈশভোজ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন।

      আগামী ১৬ অক্টোবর সকাল সোয়া দশটায় সুলতান ওয়াদ্দৌলাহ ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে তিনি সেখানে রক্ষিত দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করবেন।

      জাদুঘর প্রাঙ্গণে জাতির পিতার পরিবারের সদস্যরা সুলতানকে অভ্যর্থনা জানাবেন। বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে ব্রুনাইয়ের সুলতান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার তেজগাঁওস্থ কার্যালয়ের শিমুল হলে একান্ত বৈঠক করবেন।

      পরে পিএমও’র চামেলী হলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একটি প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

      বঙ্গভবনের মুখপাত্র জানিয়েছেন, সুলতানের তিন দিনের সফর বিশেষ গুরত্বপূর্ণ, কারণ অন্যান্য কর্মসূচির সঙ্গে করোবীতে কয়েকটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে।

      সুলতানের সফরকালে উভয় দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বিমান চলাচল,বাংলাদেশি জনশক্তি নিয়োগ এবং দু’দেশের নাবিকদের সনদ দেয়াসহ পাঁচটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে। সুলতান সেখানে থাকা ‘দর্শনার্থী বইতে’ স্বাক্ষর করবেন।

      সুলতান আগামী ১৭ অক্টোবর ঢাকা ত্যাগ করবেন। ঢাকা ত্যাগের আগে বিমানবন্দরে রাষ্ট্রীয় গার্ড অব অনার প্রদানের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রুনাইয়ের সুলতান ও তার সফর সঙ্গীদের বিদায় জানাবেন।

      প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য

        প্রথমবার ঢাকায় আসছেন ব্রুনাইয়ের সুলতান, হতে পারে ৫ চুক্তি-সমঝোতা

        নিজস্ব প্রতিবেদক
        ১৪ অক্টোবর, ২০২২ ১৭:৪৯
        নিজস্ব প্রতিবেদক
        প্রথমবার ঢাকায় আসছেন ব্রুনাইয়ের সুলতান, হতে পারে ৫ চুক্তি-সমঝোতা

        ব্রুনাই দারুসসালামের সুলতান হাজি হাসানাল বলকিয়াহ মুইজ্জাদ্দিন ওয়াদ্দৌলাহ আগামীকাল (শনিবার) তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকা আসছেন। এ সময় বিমানবন্দরে তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দিয়ে স্বাগত জানাবে বাংলাদেশ।

        সুলতানকে বহনকারী একটি বিশেষ ভিভিআইপি ফ্লাইট শনিবার দুপুর ১২টায় (বাংলাদেশ সময়) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে।

        রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ মন্ত্রিসভার সিনিয়র সদস্য ও পদস্থ বেসামরিক এবং সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে ব্রুনাইয়ের সুলতানকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানাবেন।

        সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাজকীয় পরিবারের সদস্য, সে দেশের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এবং ব্রুনাই সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা ব্রুনাইয়ের সুলতানের সফরসঙ্গী হিসেবে থাকবেন।

        বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে এই প্রথম সুলতান ওয়াদ্দৌলাহ ঢাকা সফরে আসছেন।

        বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌ ও বিমান বাহিনীর একটি চৌকস দল বিমানবন্দরে তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করবে। সেখান থেকে একটি সুসজ্জিত মোটর শোভাযাত্রা সহকারে তাকে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে নিয়ে যাওয়া হবে।

        পরে ব্রুনাইয়ের সুলতান ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের নয় মাসের স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর শহিদদের স্মরণে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। সুলতান সেখানে একটি গাছের চারা রোপন এবং দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করবেন।

        রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন জানিয়েছেন, সাভার থেকে সুলতানকে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে নিয়ে যাওয়া হবে। ঢাকায় সফরকালে সুলতান এই হোটেলেই অবস্থান করবেন।

        একইদিন বিকালে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন হোটেলের সভা কক্ষে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।এদিন সন্ধ্যা সাতটায় বঙ্গভবনের ক্রিডেনশিয়াল হলে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন ব্রুনাইয়ের সুলতান।পরে ব্রুনাইয়ের সুলতান বঙ্গভবনের গ্যালারি হলে দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করবেন।

        রাষ্ট্রপ্রধান সন্ধ্যা ৭টা ৩৫ মিনিটে সুলতানের সম্মানে রাষ্ট্রীয় নৈশভোজ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন।

        ১৬ অক্টোবর সকাল সোয়া দশটায় সুলতান ওয়াদ্দৌলাহ ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন এবং বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে তিনি সেখানে রক্ষিত দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করবেন।

        জাদুঘর প্রাঙ্গণে জাতির পিতার পরিবারের সদস্যরা সুলতানকে অভ্যর্থনা জানাবেন।

        সকাল ১১টা ৫ মিনিটে ব্রুনাইয়ের সুলতান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার তেজগাঁও কার্যালয়ের (পিএমও) শিমুল হলে একান্ত বৈঠক করবেন।

        পরে পিএমও’র চামেলী হলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একটি প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

        বঙ্গভবনের মুখপাত্র জানিয়েছেন, সুলতানের তিন দিনের সফর বিশেষ গুরত্বপূর্ণ। কারণ অন্যান্য কর্মসূচির সঙ্গে করোবীতে কয়েকটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে।

        সুলতানের সফরকালে উভয় দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বিমান চলাচল, বাংলাদেশি জনশক্তি নিয়োগ এবং দুদেশের নাবিকদের সনদ দেওয়াসহ পাঁচটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে। সুলতান সেখানে দর্শনার্থী বইতে স্বাক্ষর করবেন।

        সুলতান ১৭ অক্টোবর ঢাকা ত্যাগ করবেন।ঢাকা ত্যাগের আগে বিমানবন্দরে রাষ্ট্রীয় গার্ড অব অনার প্রদানের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রুনাইয়ের সুলতান ও তার সফর সঙ্গীদের বিদায় জানাবেন।

        প্রাসঙ্গিক
          মন্তব্য

          ঢাকাকে বাসযোগ্য করতে বিশ্বব্যাংকের ঋণ চায় বাংলাদেশ

          নিজস্ব প্রতিবেদক
          ১৪ অক্টোবর, ২০২২ ৭:৫১
          নিজস্ব প্রতিবেদক
          ঢাকাকে বাসযোগ্য করতে বিশ্বব্যাংকের ঋণ চায় বাংলাদেশ

          রাজধানী ঢাকা শহরকে বাসযোগ্য করতে বিশ্বব্যাংকের ঋণ সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ। এর আওতায় ঢাকার চারপাশের নদী পুনরুদ্ধারের পাশাপাশি সৌন্দর্বর্ধনও করা হবে।

          স্থানীয় সময় বুধবার (১২ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের বার্ষিক সভা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

          জানা গেছে, ঢাকা শহরের আশপাশের নদীগুলোর পুনরুদ্ধারের জন্য একটি বিনিয়োগ কর্মসূচি ডিজাইন করতে প্রযুক্তিগত সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মাধ্যমে বিশ্বব্যাংকে এমন একটি প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়। তবে বাংলাদেশের এমন প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা শহরকে বাঁচাতে একটি আম্ব্রেলা ইনভেস্টমেন্ট কর্মসূচির কথা বলেছে সংস্থাটি।

          বিশ্বব্যাংক আম্ব্রেলা বিনিয়োগ কর্মসূচির (ইউআইপি) নকশা করার জন্য একটি প্রযুক্তিগত সহায়তা দেবে, যা ঢাকা শহরের চারপাশের নদীগুলোর পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে ঢাকাকে বাসযোগ্য হিসেবে গড়ে তোলা হবে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সমন্বয়ে একটি টিম নেতৃত্ব দিচ্ছে। বিশ্বব্যাংক সম্পদ সংগ্রহ করে কর্মসূচির আওতায় ঢাকার চারপাশের নদীর উন্নয়ন করবে। পরামর্শমূলক পরিষেবা দেওয়ার জন্য একটি আন্তর্জাতিক গ্রুপের সঙ্গে চুক্তি করেছে। তারা এই প্রযুক্তিগত চুক্তির সঙ্গে জড়িত সরকারি স্টেকহোল্ডারদের প্রচেষ্টাকে সহযোগিতা করবে। কাঠামোগত ভবিষ্যৎ পদক্ষেপের পথ প্রশস্ত করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে বিশ্বব্যাংক।

          বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংককে জানায়, নদী পুনরুদ্ধার একটি জটিল বিষয়। কারণ এখানে অনেকগুলো সেক্টর এবং স্টেকহোল্ডার জড়িত রয়েছে। প্রয়োজনীয় কাজ নির্ধারণের জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলোর সম্মিলিত প্রচেষ্টাকে একত্রিক করবে। বিশ্বব্যাংকের সঠিক পরিকল্পনায় সমন্বিত নদী ব্যবস্থাপনার জন্য একটি সামগ্রিক কৌশল এবং একটি সময়পোযোগী পদ্ধতির প্রয়োজন বিশ্বব্যাংক কার্যকরভাবে ভবিষ্যতে বিনিয়োগকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। টেকনিক্যাল প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো প্রস্তাবিত আম্ব্রেলা প্রকল্প ঢাকার নদীগুলোর জন্য নকশা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুবিধা দেবে। চলমান প্রচেষ্টার ওপর একটি বেসলাইন মূল্যায়ন, সমাধানের জন্য দিকনির্দেশনাসহ একটি সামগ্রিক কৌশলের বিকাশ প্রয়োজন। ঢাকার নদীগুলোর অধীনে প্রকল্পগুলোকে আরও ভালোভাবে অগ্রাধিকার, সারিবদ্ধ এবং বাস্তবায়নের জন্য একটি রোডম্যাপ দরকার। এক্ষেত্রে টেকনিক্যাল অ্যাসিসটেন্স (টিএ) মূলত কৌশলগত পরিকল্পনা উন্নত করতে সহায়তা করবে।

          টিএ প্রকল্পের আওতায় ডেটা সংগ্রহ, স্টেকহোল্ডারদের পরামর্শ, প্রাতিষ্ঠানিক প্রেক্ষাপট এবং আইনি কাঠামো পর্যালোচন হবে। বিদ্যমান প্রাসঙ্গিক পরিকল্পনা এবং প্রকল্পগুলোর মূল্যায়ন, সামগ্রিক ঢাকার চারপাশের নদী পরিকল্পনার অবস্থা আপডেট করা হবে। ঢাকার নদীর নকশা করার জন্য একটি আদর্শ পদ্ধতির প্রস্তাব করা হবে। ভবিষ্যৎ বিনিয়োগকে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য একটি হাতিয়ার হিসেবে আম্ব্রেলা প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। নদী পুনরুদ্ধারে সরকারের যৌথ প্রচেষ্টাকে একত্রিত করার জন্য একটি রোডম্যাপ তৈরিতে সহায়তা করবে বিশ্বব্যাংক।

          টিএ প্রকল্প মার্চ ২০২২ সালে শুরু হয়েছিল এবং ২০২৩ সালের মার্চের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা। এখন পর্যন্ত বিশ্বব্যাংক এবং কনসালট্যান্ট স্টেকহোল্ডারসহ চলমান পরিকল্পনার কাজ চলমান। ২১টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে ৫১টি আলোচনা হয়েছে। এই পরামর্শগুলোতে নদী পুনরুদ্ধার এবং সংশ্লিষ্ট নগর পরিষেবা সম্পর্কিত পরিকল্পনার কথা বলা হয়েছে। প্রকল্পগুলোর প্রাসঙ্গিক তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। ফোকাল ব্যক্তিদের মধ্যে পাঁচটি প্রযুক্তিগত সভাও সংগঠিত হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের কাছে প্রস্তাব জানিয়ে বাংলাদেশ জানায়, নদী পুনরুদ্ধার অনেক সেক্টর এবং স্টেকহোল্ডার জড়িত এবং এর জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদি টেকসই পদ্ধতির প্রয়োজন হবে। ঢাকা নদী মহাপরিকল্পনা (২০১৯) একটি ভিত্তি প্রদান করে, তবে ঢাকা নদী পুনরুদ্ধারের জন্য একটি সামগ্রিক, অবিচ্ছেদ্য দীর্ঘমেয়াদি কৌশলের অভাব রয়েছে। বর্তমান টিএ স্বল্প থেকে মাঝারি সময়ের মধ্যে ঢাকার জন্য সর্বোচ্চ অর্থনৈতিক ও সামাজিক লাভের জন্য একটি আম্ব্রেলা বিনিয়োগ কর্মসূচি (ইউআইপি) ধারণা দিয়েছে। সমন্বিত নদী ব্যবস্থাপনার জন্য একটি সামগ্রিক কৌশল প্রয়োজন।

          প্রাসঙ্গিক
            মন্তব্য
            সর্বশেষ সংবাদ
              সর্বাধিক পঠিত