ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫ ২০ আষাঢ় ১৪৩২
 
শিরোনাম

ফিলিস্তিনপন্থী আন্দোলনে অংশ নেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রে ৬০০ বিদেশি শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল

নিজস্ব প্রতিবেদক
১১ এপ্রিল, ২০২৫ ১৬:৫১
নিজস্ব প্রতিবেদক
ফিলিস্তিনপন্থী আন্দোলনে অংশ নেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রে ৬০০ বিদেশি শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল

গত ১৯ জানুয়ারি ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের শপথ গ্রহণের পর গত প্রায় ৩ মাসে দেশের ১০০’র বেশি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত ৬ শতাধিক বিদেশি শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করেছে তার নেতৃত্বাধীন প্রশাসন।

এই শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ গত বছর গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান বন্ধ ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবিতে আন্দোলন করেছিলেন। এছাড়া ছোটোখাটো কিংবা ধর্তব্যের মধ্যে পড়ে না— এমন অপরাধেও বাতিল হয়েছে অনেক বিদেশি শিক্ষার্থীর ভিসা।

যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা সংক্রান্ত অনলাইন সংবাদ পোর্টাল ইনসাইড হায়ার ইডি’র বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে ব্রিটেনের দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, গণপরিবহনে টিকিট না কেটে ওঠা কিংবা সড়কে নির্ধারিত গতিসীমার চেয়ে জোরে গাড়ি চলানোর মতো অপরাধেও ভিসা বাতিলের ঘটনা ঘটেছে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত ৩ শতাধিক বিদেশি শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করা হয়েছে। অতি সম্প্রতি দক্ষিণ আমেরিকার দেশ গায়ানায় সফরে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ‘উন্মাদ’ আখ্যা দেন তিনি।

সেই সঙ্গে সাংবাদিকদের বলেন, “সম্ভবত এ পর্যন্ত ৩ শতাধিক (শিক্ষার্থী) ভিসা বাতিল হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও হবে। আমরা প্রতিদিনই এটি করছি। আমরা যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে উন্মাদমুক্ত করতে চাই।”

যে শতাধিক উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভিসা বাতিল হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটির সঙ্গে যোগাযোগ করেছে ইনসাইড হায়ার ইডি। সেসব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই পদক্ষেপ নেওয়ার আগে সরকারের পক্ষ থেকে তাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি। এমনকি এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এ সংক্রান্ত কোনো নথি পাননি তারা।

প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিবাসীদের প্রতি সহৃদয় নন। ২০১৭ সালে প্রথম যেবার তিনি ক্ষমতাসীন হয়েছিলেন, তখন থেকেই অভিবাসীদের প্রতি অনমনীয় মনোভাবের জন্য পরিচিতি পান তিনি।

ট্রাম্পের এই দফায় ক্ষমতা গ্রহণের পর ফের অভিবাসীদের প্রতি কঠোর নীতি নিয়েছে তার নেতৃত্বাধীন প্রশাসন। ইতোমধ্যে হাজার হাজার নথিবিহীন অভিবাসীদের তাদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এমনকি তার পূর্বসূরী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সময় যারা বসবাসের অনুমতি পেয়েছিলেন, তাদের মধ্যে অন্তত ১০ লাখ জনকে নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার আদেশ দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।

সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    ‘জুনেই’ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে পারে ফ্রান্স: প্রেসিডেন্ট ম্যাখোঁ

    নিজস্ব প্রতিবেদক
    ১১ এপ্রিল, ২০২৫ ১৩:৫৯
    নিজস্ব প্রতিবেদক
    ‘জুনেই’ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে পারে ফ্রান্স: প্রেসিডেন্ট ম্যাখোঁ

    ফ্রান্স আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে এবং আগামী জুনে নিউইয়র্কে ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাত নিরসনে জাতিসংঘ আয়োজিত এক সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ।

    প্যারিস থেকে এএফপি বৃহস্পতিবার জানায়, এ সপ্তাহে মিসর সফর করা ম্যাখোঁ বুধবার ফ্রান্স ফাইভ টেলিভিশনে প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমাদের স্বীকৃতির দিকে এগোতে হবে, এবং আমরা তা আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই করব।’

    তিনি আরও জানান, ‘জুনে সৌদি আরবের সঙ্গে যৌথভাবে আমরা এই সম্মেলনের আয়োজন করতে চাই, যেখানে একাধিক পক্ষের পারস্পরিক স্বীকৃতি চূড়ান্ত হতে পারে।’

    ম্যাখোঁ বলেন, ‘আমি এই স্বীকৃতি দেব কারণ আমি মনে করি কোনো এক সময় এটা করা উচিত হবে, এবং আমি এমন এক সম্মিলিত উদ্যোগেও অংশ নিতে চাই, যার মাধ্যমে যারা ফিলিস্তিনকে সমর্থন করে, তাদের ইসরাইলকেও স্বীকৃতি দেওয়ার সুযোগ তৈরি হবে।’

    এই স্বীকৃতি ফ্রান্সকে ‘তাদের বিরুদ্ধে স্পষ্ট অবস্থান নিতে সাহায্য করবে, যারা ইসরাইলের অস্তিত্বের অধিকার অস্বীকার করে—যেমন ইরান’, এবং একইসঙ্গে অঞ্চলজুড়ে সম্মিলিত নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে সহায়তা করবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

    ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাতের সমাধানে ফ্রান্স দীর্ঘদিন ধরেই দুই-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের পক্ষে অবস্থান নিয়ে আসছে, এমনকি ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের ইসরাইল আক্রমণের পরও।

    তবে প্যারিসের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়া দেশটির নীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন হবে এবং এটি ইসরাইলকে ক্ষুব্ধ করতে পারে, যারা বরাবরই বলে এসেছে—বিদেশি রাষ্ট্রগুলোর এমন পদক্ষেপ হবে খুবই আগাম।

    ‘এক পয়সাও বিনিয়োগ করবে না কেউ’

    ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়া ফ্রান্সের পদক্ষেপ ‘ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার এবং দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানকে রক্ষা করার ক্ষেত্রে সঠিক দিকেই একটি পদক্ষেপ’ বলে মন্তব্য করেছেন ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রবিষয়ক মন্ত্রী ভারসেন আঘাবেকিয়ান শাহিন।

    প্রায় ১৫০টি দেশ ইতোমধ্যেই ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। ২০২৪ সালের মে মাসে আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে ও স্পেন স্বীকৃতি দেয়, এরপর জুনে স্লোভেনিয়া। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামলার পর গাজায় ইসরাইলি বিমান হামলার নিন্দা থেকেই অনেকটা এই সিদ্ধান্তগুলো এসেছে।

    তবে ফ্রান্স হবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইউরোপীয় শক্তি যারা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে—এমন একটি সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরেই করে যার বিরোধিতা আসছে।

    মিসর সফরে ম্যাখোঁ মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি ও জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ দ্বিতীয়ের সঙ্গে শীর্ষ বৈঠক করেছেন এবং গাজা কিংবা ইসরাইল-অধিকৃত পশ্চিম তীরে জনবসতিস্থাপন বা সংযুক্তিকরণের তীব্র বিরোধিতা করেছেন।

    যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজাকে ‘মধ্যপ্রাচ্যের রিভিয়েরা’তে পরিণত করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন এবং ফিলিস্তিনিদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার ইঙ্গিত দেন—যা তীব্র সমালোচনার জন্ম দেয়।

    এ প্রসঙ্গে ম্যাখোঁ বলেন, ‘গাজা কোনো রিয়েল এস্টেট প্রকল্প নয়।’

    তিনি আরও বলেন, ‘অতিরিক্ত সরল চিন্তাভাবনা কোনো কাজে আসে না।’ ট্রাম্পকে উদ্দেশ করে ম্যাখোঁ বলেন, ‘হতে পারে একদিন এটা অসাধারণভাবে গড়ে উঠবে, তবে এখন আমাদের দায়িত্ব হলো জীবন রক্ষা করা, শান্তি ফিরিয়ে আনা, ও একটি রাজনৈতিক কাঠামো নিয়ে আলোচনা করা।’

    ‘যদি এই মৌলিক বিষয়গুলো না থাকে, তাহলে কেউই বিনিয়োগ করবে না। আজ গাজায় এক পয়সাও কেউ বিনিয়োগ করবে না,’ বলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট।

    এদিকে জেরুজালেম থেকে এএফপি জানায় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁর ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে জুনের মধ্যেই স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণার তীব্র সমালোচনা করেছেন ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদেওন সাআর। তিনি একে ‘সন্ত্রাসবাদকে পুরস্কৃত করার’ পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেছেন।

    বুধবার রাতে এক্স (সাবেক টুইটার)-এ দেওয়া এক পোস্টে গিদেওন সাআর বলেন, ‘আমরা সবাই যে বাস্তবতা জানি, সেই প্রেক্ষাপটে কোনো দেশ যদি কল্পিত ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে একতরফাভাবে স্বীকৃতি দেয়, তা হবে সন্ত্রাসবাদকে পুরস্কার দেওয়া এবং হামাসকে শক্তিশালী করার নামান্তর।’

    তিনি আরও বলেন, ‘এ ধরনের পদক্ষেপ আমাদের অঞ্চলে শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা এগিয়ে আনবে না—বরং আরও দূরে ঠেলে দেবে।’

     

    বাসস

    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      বাংলাদেশে শিগগিরই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে: জয়শঙ্কর

      নিজস্ব প্রতিবেদক
      ১০ এপ্রিল, ২০২৫ ১৮:৫৭
      নিজস্ব প্রতিবেদক
      বাংলাদেশে শিগগিরই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে: জয়শঙ্কর

      বাংলাদেশের ভালো ভারতের থেকে বেশি কোনও দেশ ভাবে না বলে দাবি করেছেন ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রহ্মণ্যম জয়শঙ্কর। তার দাবি, ভারতের চেয়ে বেশি কোনও দেশ বাংলাদেশের মঙ্গল কামনা করে না।

      এমনকি এটি ভারতের ডিএনএ-তে আছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। এছাড়া বাংলাদেশে শিগগিরই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।

       

      বুধবার (৯ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ফার্স্টপোস্ট।

       

      সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বুধবার বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাবলী নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং জোর দিয়ে বলেছেন, নয়াদিল্লি তার প্রতিবেশীর জন্য “মঙ্গল কামনা করে”।

      নয়াদিল্লির ভারত মণ্ডপে নিউজ১৮-এর ফ্ল্যাগশিপ রাইজিং ভারত সামিট ২০২৫-এর দ্বিতীয় দিনে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি একথা বলেন।

       

      তার মতে, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে কয়েক দশকের পুরোনো এই সম্পর্ক জনমুখী। জয়শঙ্কর বলেন, “ভারতের চেয়ে অন্য কোনও দেশ বাংলাদেশের জন্য এতটা মঙ্গল চায় না।”

       

      থাইল্যান্ডে ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাক্ষাতের কয়েকদিন পরই তিনি এই মন্তব্য করলেন। থাইল্যান্ডে বৈঠকের সময় নরেন্দ্র মোদি প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের সাথে তার আলোচনায় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করার ওপর জোর দিয়েছিলেন।

       

      বুধবার ড. ইউনূস-মোদির সেই বৈঠক সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, “আমি মনে করি আমাদের পক্ষ থেকে বৈঠকে যে প্রধান বার্তাটি বেরিয়ে এসেছে তা হলো, ঐতিহাসিক কারণে বাংলাদেশের সাথে আমাদের সম্পর্ক খুবই অনন্য। এটি মূলত জনগণের সাথে জনগণের সংযোগ, সম্ভবত অন্য যেকোনও সম্পর্কের চেয়ে অনেক বেশি। এবং এটিই আমাদের স্বীকৃতি দেওয়া উচিত।”

       

      তিনি বলেন, “দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশের মানুষের কাছ থেকে যে বক্তব্য বেরিয়ে আসছে তা নিয়ে আমাদের উদ্বেগ রয়েছে। আমরা যে মৌলবাদী প্রবণতা দেখছি তা নিয়ে আমাদের উদ্বেগ রয়েছে। সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা নিয়ে আমাদের উদ্বেগ রয়েছে। এবং আমি মনে করি আমরা সেই উদ্বেগগুলো প্রকাশের বিষয়ে খুব খোলামেলা ছিলাম।”

       

      জয়শঙ্কর জোর দিয়ে বলেন, ভারত বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। তিনি দাবি করেন, “একটি দেশ হিসেবে, আমাদের (ভারতের) চেয়ে বেশি কোনও দেশ বাংলাদেশের মঙ্গল কামনা করে না। এটা আমাদের ডিএনএতে আছে। এবং একজন শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে, একজন বন্ধু হিসেবে, আমি মনে করি আমরা আশা করি তারা সঠিক পথে চলবে এবং সঠিক কাজ করবে।”

       

      প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য

        পারমাণবিক চুক্তি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত ইরান

        নিজস্ব প্রতিবেদক
        ৯ এপ্রিল, ২০২৫ ১৮:৫
        নিজস্ব প্রতিবেদক
        পারমাণবিক চুক্তি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত ইরান

        ডেস্ক রিপোর্ট: ইরান তার পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি।

         

        তিনি উল্লেখ করেছেন, আগামী শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য ইরান প্রস্তুত, এবং একটি চুক্তিতে সই করার জন্যও তারা প্রস্তুত। তবে, ইরান একটি শর্ত রেখেছে।

         

        আব্বাস আরাগচি বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রথমে সামরিক হুমকি বন্ধ করতে হবে, এরপরই পারমাণবিক চুক্তি সইয়ের বিষয়ে আলোচনা শুরু হতে পারে। ইরান কোনোভাবেই জোরজবরদস্তি মেনে নেবে না বলে তিনি পরিষ্কার জানিয়েছেন।

         

        এছাড়া, গত ১ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে পাল্টাপাল্টি হুমকি দেওয়া হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে হুমকি দিয়ে বলেন, যদি ইরান পরমাণু চুক্তি না মানে, তবে যুক্তরাষ্ট্র তাদের ওপর বোমাবর্ষণ করবে। এমনকি, এই আক্রমণের তীব্রতা হবে অপ্রত্যাশিত। এর পরিপ্রেক্ষিতে, ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি যুক্তরাষ্ট্রকে হুমকি দিয়ে বলেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র হামলা চালায়, তবে ইরান এর কঠোর প্রতিশোধ নিবে এবং যে কোনো বহিরাগত আগ্রাসনের জবাব দেওয়া হবে।

         

        আব্বাস আরাগচি আরও বলেন, ‘ওমানে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে পরোক্ষ আলোচনা হবে। তবে, এর আগেই সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, দুই দেশের মধ্যে সরাসরি আলোচনা শুরু হবে। তিনি বলেন, ইরান-যুক্তরাষ্ট্র উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা শনিবার শুরু হবে, এবং এই আলোচনায় তিনি আশাবাদী। তবে, ট্রাম্প সতর্ক করে বলেন, যদি আলোচনা ব্যর্থ হয়, তবে ইরানকে মারাত্মক পরিণতির সম্মুখীন হতে হবে।

         

        এদিকে, ইরান নিশ্চিত করেছে যে, শনিবার ওমানে আলোচনা হবে, তবে তারা এটিকে পরোক্ষ আলোচনা বলে উল্লেখ করেছে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি এক পোস্টে জানিয়েছেন, এই আলোচনা যতটা সুযোগ, ঠিক ততটাই পরীক্ষা। তিনি বলেন, ‘বল এখন যুক্তরাষ্ট্রের কোর্টে।’

        মঙ্গলবার মস্কোতে রাশিয়া, চীন এবং ইরানের মধ্যে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।

        প্রাসঙ্গিক
          মন্তব্য

          শুল্ক নীতির ধাক্কায় ট্রাম্পের সম্পদ কমেছে ৫০০ মিলিয়ন ডলার

          নিজস্ব প্রতিবেদক
          ৯ এপ্রিল, ২০২৫ ১৭:৪৪
          নিজস্ব প্রতিবেদক
          শুল্ক নীতির ধাক্কায় ট্রাম্পের সম্পদ কমেছে ৫০০ মিলিয়ন ডলার

          ফোর্বস জানিয়েছে, গত ২ এপ্রিল ট্রাম্পের সম্পদ ছিল ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার। এখন তা নেমে এসেছে ৪ দশমিক ২ বিলিয়নে।

          মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্পদ এক সপ্তাহেই কমেছে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলার। নতুন শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়ে শুরু করা বাণিজ্য যুদ্ধ বিশ্ব অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে, যার ফলে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ট্রাম্পের নিজের ব্যবসাও।

          ফোর্বস জানিয়েছে, গত ২ এপ্রিল ট্রাম্পের সম্পদ ছিল ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার। এখন তা নেমে এসেছে ৪ দশমিক ২ বিলিয়নে। সবচেয়ে বড় ধস নেমেছে তার মিডিয়া কোম্পানি ট্রাম্প মিডিয়া অ্যান্ড টেকনোলজি গ্রুপ-এ, যার শেয়ার মূল্য তিন দিনে ৮% কমে গেছে।

          ট্রাম্পের রিয়েল এস্টেট ব্যবসাও ক্ষতির মুখে পড়েছে। নিউইয়র্ক ও সান ফ্রান্সিসকোর মূল ভবনগুলোতে অংশীদার কোম্পানিগুলোর শেয়ার ১৪-১৫% পর্যন্ত কমেছে। ফলে তার সম্পত্তির মূল্য কমেছে অন্তত ৯০ মিলিয়ন ডলার। গলফ রিসোর্ট ও হোটেল ব্যবসাও ঝুঁকির মধ্যে—বিশেষ করে যদি অর্থনৈতিক মন্দা শুরু হয়।

          এছাড়া, ট্রাম্প সম্প্রতি যে কয়েন ও ক্রিপ্টো প্রকল্প থেকে আয় করেছিলেন সেখানেও বড় পতন এসেছে। ইথার মুদ্রার মূল্য ৪৫% কমে গেছে, যা তার আয়কৃত সম্পদ আরো কমাতে পারে।

          বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের ব্যবসার সবচেয়ে বড় হুমকি এখন সরাসরি শুল্ক নয়, বরং তার সিদ্ধান্তে বিনিয়োগকারীদের আস্থা হারিয়ে যাওয়া। শুল্ক যুদ্ধ যত বাড়বে, ট্রাম্পের সম্পদের পতনও তত বেশি হতে পারে।

          প্রাসঙ্গিক
            মন্তব্য
            সর্বশেষ সংবাদ
              সর্বাধিক পঠিত